উইকিপিডিয়া:খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট: স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার করেছে
ট্যাগ: হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন
Tip-bd (আলোচনা | অবদান)
করোনা বিজয়ী একজন যুবকের লোমহর্ষক আত্মকথন!, বানান সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{খেলাঘর}}<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে, এই মহামারী মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাদুর্যোগে ব্যংকে কর্মরত এক যুবকের লোমহর্ষক আত্মকথন! তাঁর করোনায় আক্রান্ত ও বিজয়ের কাহিনী শুনে, সমাজের নিদারুন সামাজিক বাস্তবতা উপলব্ধির সুযোগ হল। যা, বিখ্যাত কোন সিনেমা বা উপন্যাস হার মানাবে। ভার্চুয়াল জগতের অস্থির পাঠকের নিকট সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপস্থাপন করা, একজন অপেশাদার লেখক এর পক্ষে অসম্ভব। সংগত কারণে, এখনই এই পথ না মাড়ায়..!
{{খেলাঘর}}<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->

শত আলাপচারিতায় মাঝে দুটি বিষয়, প্রচণ্ডভাবে মনকে নাড়া দিয়েছে! সমাজের ক্ষত মেরামতের লক্ষে ক্ষুদ্র সমাজকর্মী হিসেবে দ্বায়বদ্ধতায় তা উপস্থাপনের ব্যর্থ চেষ্টা; করোনাতে আক্রান্তের কুফলে, যুবকটির সাত মাসের নব দাম্পত্য জীবনের অবসান। দুইবার নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে পেয়ে, পুনর্জন্মের অনুভূতি, এই অসীম অবসরেও সামনে বসে আন্তরিক ভাবে শোনার লোকের অভাব ।

চোরাবালির দুঃস্বপ্ন মুক্ত হতে, কাজ পাগল যুবকটি, যে সমাজের জন্য জীবন বলিদান করতে পিছুপা হয়নি। সেই মানুষটি, এখন সমাজ চ্যুত! করোনার নীল বিষের ভৌতিক দুঃস্বপ্নের দিবস ও রজনীর স্মৃতি ভুলে থাকতে, কাজের মধ্যে মন ডুবে থাকতে চায়। সঙ্গীহারা ও সমাজ বিচ্ছিন্নতার নিসঙ্গতার যন্ত্রণা নিবারনে কর্মক্ষেত্রে গমন..। সহকর্মীদের অসহযোগিতার, প্রিয় কর্মস্থলে সহজে হয়নি ঠাঁই! কথার তীঁরে বারংবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে যুবকটির অন্তর। বর্তমান পেক্ষাপটে, শরীর হতে করোনার বিদায়। তাই তিঁনি কাগজে কলমে করোনা জয়ী নির্ভীক বীর ! বাস্তবে, অমানবিক পীড়াদায়ক দূঘটনা এখনও তাঁর পিছু ছাড়েনি! যা, করোনার যন্ত্রনার থেকেও শত-সহস্র গুন বেশী বেদনাদায়ক।

যুবকটির কর্মক্ষেত্র ব্যাংকের নিত্যদিনের হিসাবের খাতা মিললেও, মেলেনা জীবনের খাতার পাতা..! প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢা.বি হতে ইংরেজি সাহিত্যে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী তার জীবন সঙ্গী ও সমশিক্ষিত সহকর্মীরা মহাবিপদের দিনে..! প্রাতিষ্ঠানিক সর্বোচ্চ শিক্ষা তাদের মনকে আলোকিত করতে পারেনি। তাই, কুসংস্কারের অন্ধকারাচ্ছন্ন পাহাড়ের নীচে চাপা বিবেক!

এরপরও, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীদের নির্মম রসিকতা মোকাবেলা করে, দেশের সেবা প্রতিষ্ঠান সমূহের চরম অসহযোগিতায় মাঝে সম্পূর্ণ একাকী..! এখনও একা জীবন সংগ্রামে, একুশ দিনের ভীতিকর স্মৃতি,তাড়া করে ফেরে..! দিন শেষে, নিঃসঙ্গ রজনীতে, একাকী অন্ধকার ঘরে মেলে না, এই যুব ব্যাংক কর্মকর্তার জীবনের হিসাব..!

তাই, যুবকটির মাঝে মাঝে মনে হয়। এই জীবনের মিছে যন্ত্রণার অবসান করোনাতেই হলেই হয়তো ভালো ছিলো! কবিগুরুর ছোট গল্পের কল্প চরিত্র কদম্বিনি মতই, এখন এই যুবকটির বাস্তব জীবন ছারখার..! আধুনিক সভ্য সমাজ কি এখনও কদম্বিনির পরিণতি দেখতে চায়! কতশত কদম্বিনি নিত্য নরবলি হয়, এ নিঠুর সমাজে। কয়জন মানব সন্তান তা দেখতে পায় ! কলিকাল বোধহয়, কবি গুরুদের বড্ড আকাল! তাই, বাস্তব ঘটনা উপস্থাপনের অভাবে, সামনে আসছে, শত বছরের আগের কল্প গল্প গুচ্ছ। যা, ঘটছে বাস্তবেই আগের মতই গোপনে..!

সমাজের এই ক্ষত নিবারণে, সমাজকর্মীদের সন্ধানে চলুক জোটবেধে, জোর কদমে... এ কাজের জন্য খুববেশী অর্থের প্রয়োজন নেই। সানুষের জ্ঞান-মানবতা ও ভালোবাসাই পারে, এই দুরারোগ্য ব্যাধি হতে ঘুনেধরা সমাজের, অসহায় মানুষকে মুক্ত করতে…

০৫:৫২, ২২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে, এই মহামারী মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাদুর্যোগে ব্যংকে কর্মরত এক যুবকের লোমহর্ষক আত্মকথন! তাঁর করোনায় আক্রান্ত ও বিজয়ের কাহিনী শুনে, সমাজের নিদারুন সামাজিক বাস্তবতা উপলব্ধির সুযোগ হল। যা, বিখ্যাত কোন সিনেমা বা উপন্যাস হার মানাবে। ভার্চুয়াল জগতের অস্থির পাঠকের নিকট সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপস্থাপন করা, একজন অপেশাদার লেখক এর পক্ষে অসম্ভব। সংগত কারণে, এখনই এই পথ না মাড়ায়..!

শত আলাপচারিতায় মাঝে দুটি বিষয়, প্রচণ্ডভাবে মনকে নাড়া দিয়েছে! সমাজের ক্ষত মেরামতের লক্ষে ক্ষুদ্র সমাজকর্মী হিসেবে দ্বায়বদ্ধতায় তা উপস্থাপনের ব্যর্থ চেষ্টা; করোনাতে আক্রান্তের কুফলে, যুবকটির সাত মাসের নব দাম্পত্য জীবনের অবসান। দুইবার নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে পেয়ে, পুনর্জন্মের অনুভূতি, এই অসীম অবসরেও সামনে বসে আন্তরিক ভাবে শোনার লোকের অভাব ।

চোরাবালির দুঃস্বপ্ন মুক্ত হতে, কাজ পাগল যুবকটি, যে সমাজের জন্য জীবন বলিদান করতে পিছুপা হয়নি। সেই মানুষটি, এখন সমাজ চ্যুত! করোনার নীল বিষের ভৌতিক দুঃস্বপ্নের দিবস ও রজনীর স্মৃতি ভুলে থাকতে, কাজের মধ্যে মন ডুবে থাকতে চায়। সঙ্গীহারা ও সমাজ বিচ্ছিন্নতার নিসঙ্গতার যন্ত্রণা নিবারনে কর্মক্ষেত্রে গমন..। সহকর্মীদের অসহযোগিতার, প্রিয় কর্মস্থলে সহজে হয়নি ঠাঁই! কথার তীঁরে বারংবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে যুবকটির অন্তর। বর্তমান পেক্ষাপটে, শরীর হতে করোনার বিদায়। তাই তিঁনি কাগজে কলমে করোনা জয়ী নির্ভীক বীর ! বাস্তবে, অমানবিক পীড়াদায়ক দূঘটনা এখনও তাঁর পিছু ছাড়েনি! যা, করোনার যন্ত্রনার থেকেও শত-সহস্র গুন বেশী বেদনাদায়ক।

যুবকটির কর্মক্ষেত্র ব্যাংকের নিত্যদিনের হিসাবের খাতা মিললেও, মেলেনা জীবনের খাতার পাতা..! প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢা.বি হতে ইংরেজি সাহিত্যে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী তার জীবন সঙ্গী ও সমশিক্ষিত সহকর্মীরা মহাবিপদের দিনে..! প্রাতিষ্ঠানিক সর্বোচ্চ শিক্ষা তাদের মনকে আলোকিত করতে পারেনি। তাই, কুসংস্কারের অন্ধকারাচ্ছন্ন পাহাড়ের নীচে চাপা বিবেক!

এরপরও, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীদের নির্মম রসিকতা মোকাবেলা করে, দেশের সেবা প্রতিষ্ঠান সমূহের চরম অসহযোগিতায় মাঝে সম্পূর্ণ একাকী..! এখনও একা জীবন সংগ্রামে, একুশ দিনের ভীতিকর স্মৃতি,তাড়া করে ফেরে..! দিন শেষে, নিঃসঙ্গ রজনীতে, একাকী অন্ধকার ঘরে মেলে না, এই যুব ব্যাংক কর্মকর্তার জীবনের হিসাব..!

তাই, যুবকটির মাঝে মাঝে মনে হয়। এই জীবনের মিছে যন্ত্রণার অবসান করোনাতেই হলেই হয়তো ভালো ছিলো! কবিগুরুর ছোট গল্পের কল্প চরিত্র কদম্বিনি মতই, এখন এই যুবকটির বাস্তব জীবন ছারখার..! আধুনিক সভ্য সমাজ কি এখনও কদম্বিনির পরিণতি দেখতে চায়! কতশত কদম্বিনি নিত্য নরবলি হয়, এ নিঠুর সমাজে। কয়জন মানব সন্তান তা দেখতে পায় ! কলিকাল বোধহয়, কবি গুরুদের বড্ড আকাল! তাই, বাস্তব ঘটনা উপস্থাপনের অভাবে, সামনে আসছে, শত বছরের আগের কল্প গল্প গুচ্ছ। যা, ঘটছে বাস্তবেই আগের মতই গোপনে..!

সমাজের এই ক্ষত নিবারণে, সমাজকর্মীদের সন্ধানে চলুক জোটবেধে, জোর কদমে... এ কাজের জন্য খুববেশী অর্থের প্রয়োজন নেই। সানুষের জ্ঞান-মানবতা ও ভালোবাসাই পারে, এই দুরারোগ্য ব্যাধি হতে ঘুনেধরা সমাজের, অসহায় মানুষকে মুক্ত করতে…