সুমেরীয় সভ্যতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nafiul adeeb (আলোচনা | অবদান)
ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত 103.133.141.15 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল করে আফতাব বট-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Sales contract Shuruppak Louvre AO3766.jpg|right|thumb|250px|প্রাচীন সুমেরীয় লিপির নিদর্শন: পোড়ামাটির ফলকে লেখা বাণিজ্যিক দলিল]]
[[চিত্র:Sales contract Shuruppak Louvre AO3766.jpg|ডান|থাম্ব|250px|প্রাচীন সুমেরীয় লিপির নিদর্শন: পোড়ামাটির ফলকে লেখা বাণিজ্যিক দলিল]]
'''সুমের'''({{IPAc-en|ˈ|s|uː|m|ər}}) যা শুমের, (মিশরীয় সাঙ্গার, বাইবেলে শিনার নামে পরিচিত, স্থানীয় উচ্চারণ কি-এন-গির) [[মেসোপটেমিয়া]]র দক্ষিণাংশের এক [[প্রাচীন সভ্যতা]]। এর অবস্থান ছিল আধুনিক রাষ্ট্র [[ইরাক]] এর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। সুমের সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল খ্রীস্টপূর্ব ৪ হাজার বছর হতে খ্রীষ্টপূর্ব ৩ হাজার বছরের মধ্যে। ব্যাবিলন সভ্যতার উত্থানের সাথে সাথে সুমেরের পতন ঘটে। সুমের সভ্যতাকে পৃথিবীর প্রথম সংগঠিত সভ্যতা হিসাবে গণ্য করা হয়।
'''সুমের''' ({{IPAc-en|ˈ|s|uː|m|ər}}) যা শুমের, (মিশরীয় সাঙ্গার, বাইবেলে শিনার নামে পরিচিত, স্থানীয় উচ্চারণ কি-এন-গির) [[মেসোপটেমিয়া]]র দক্ষিণাংশের এক [[প্রাচীন সভ্যতা]]। এর অবস্থান ছিল আধুনিক রাষ্ট্র [[ইরাক]] এর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। সুমের সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৪ হাজার বছর হতে খ্রিষ্টপূর্ব ৩ হাজার বছরের মধ্যে। ব্যাবিলন সভ্যতার উত্থানের সাথে সাথে সুমেরের পতন ঘটে। সুমের সভ্যতাকে পৃথিবীর প্রথম সংগঠিত সভ্যতা হিসাবে গণ্য করা হয়।


== সুমেরীয় সভ্যতার উৎস ==
== সুমেরীয় সভ্যতার উৎস ==
বর্তমানে ইরাকের টাইগ্রীস ও ইউফ্রেটিস (তৎকালীন দজলা ও ফোরাত) নদীর মধ্যবর্তী উর্বর স্থানে সুমেরীয় সভ্যতার গোড়াপত্তন ঘটে। পশ্চিম এশিয়ার নবোপলয়ী পর্যায় থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে প্রথম যে সভ্যতা গড়ে উঠে তাই সুমেরীয় সভ্যতা।
বর্তমানে ইরাকের তাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস (তৎকালীন দজলা ও ফোরাত) নদীর মধ্যবর্তী উর্বর স্থানে সুমেরীয় সভ্যতার গোড়াপত্তন ঘটে। পশ্চিম এশিয়ার নবোপলয়ী পর্যায় থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে প্রথম যে সভ্যতা গড়ে উঠে তাই সুমেরীয় সভ্যতা।


দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ার আদি অ-সেমেটিকবাসীরা সাধারণভাবে সুমেরিয়ান নামে পরিচিত। <ref>The spread of Islam</ref>
দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ার আদি অ-সেমেটিকবাসীরা সাধারণভাবে সুমেরিয়ান নামে পরিচিত।<ref>The spread of Islam</ref>


== সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান ==
== সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান ==
নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাবে সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না। সুমেরীয়দের একটি দল 4000 খ্রিস্ট পূর্বাব্দের দিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষত এলামের পাহাড়ী অঞ্চল থেকে অগ্রসর হয়েছিল। মূলত উৎস ভূমিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুমেরীয়দের গোষ্ঠী উর্বর কৃষি ভূমির সন্ধানে অগ্রসর হয়ে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে চলে এসেছিল। সুমেরীয়দের নামানুসারে এ অংশটি সুমেরীয় (সুমের) নামে পরিচিত হয়। আবার অন্য একদল ঐতিহাসিক মনে করেন, এরা মধ্য এশিয়ার মালভূমি থেকে সমুদ্রপথে আগমন করেছে। ভারতীয় ঐতিহাসিকদের ধারণা এরা যাযাবর। পশু ও নিজেদের খাদ্য অন্বেষণে এরা মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে চলে আসে। তবে তাদের আদি বাসস্থান যেখানেই না কেন তারা খুব একটা বাধার সম্মুখীন না হয়ে নিম্ন উপত্যকায় বসবাস শুরু করে। ইটনা নামক স্থানে প্রথম তারা বসতি গড়ে তোলেন।কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে এরা আধুনিক তুর্কীর আনাতোলিয়া নামল স্থান থেকে এসেছিল।সুমেরিয়ানদের সত্যিকারের মূল আবাস নিয়ে বিতর্ক আছে বলেই এটা নিয়ে অনেক রহস্যময় গল্প ও ব্যাখ্যা চালু আছে।কনপিরেসি থিউরিতে সুমেরিয়ান একটা জনপ্রিয় ধারণা।
নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাবে সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না। সুমেরীয়দের একটি দল ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষত এলামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অগ্রসর হয়েছিল। মূলত উৎস ভূমিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুমেরীয়দের গোষ্ঠী উর্বর কৃষিজ ভূমির সন্ধানে অগ্রসর হয়ে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে চলে এসেছিল। সুমেরীয়দের নামানুসারে এ অংশটি সুমেরীয় (সুমের) নামে পরিচিত হয়। আবার অন্য একদল ঐতিহাসিক মনে করেন, এরা মধ্য এশিয়ার মালভূমি থেকে সমুদ্রপথে আগমন করেছে। ভারতীয় ঐতিহাসিকদের ধারণা এরা যাযাবর। পশু ও নিজেদের খাদ্য অন্বেষণে এরা মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে চলে আসে। তবে তাদের আদি বাসস্থান যেখানেই না কেন তারা খুব একটা বাধার সম্মুখীন না হয়ে নিম্ন উপত্যকায় বসবাস শুরু করে। ইটনা নামক স্থানে প্রথম তারা বসতি গড়ে তোলেন। কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে,{{কারা}} এরা আধুনিক তুরস্কের আনাতোলিয়া নামক স্থান থেকে এসেছিল। সুমেরীয়দের মূল আবাস নিয়ে বিতর্ক আছে বলেই এটা নিয়ে অনেক রহস্যময় গল্প ও ব্যাখ্যা চালু আছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বানুসারে সুমেরীয় একটা জনপ্রিয় ধারণা।


== সুমেরীয়দের অবদান ==
== সুমেরীয়দের অবদান ==
বড় অবদান চাকা আবিষ্কার করেন।
বড় অবদান চাকা আবিষ্কার করেন। জলঘড়ি ও চন্দ্রপঞ্জিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদান রয়েছে।
জলঘড়ি ও চন্দ্রপঞ্জিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদান রয়েছে।


== লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার ==
== লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার ==
সুমেরিয় গণ কিউনিফার্ম নামে একটি নতুন লিপির উদ্ভাবন করেন।কিউনিফার্ম কে বলা হয় অক্ষরভিত্তিক বর্ণমালা।
সুমেরিয় গণ কিউনিফার্ম নামে একটি নতুন লিপির উদ্ভাবন করেন।কিউনিফার্ম কে বলা হয় অক্ষরভিত্তিক বর্ণমালা।

== সুমেরীয় সাহিত্য ==
== সুমেরীয় সাহিত্য ==
সুমেরীয় সাহিত্য মিশরীয়দের চেয়ে উন্নত ছিল।সুমেরীয়রাই প্রথম মহাকাব্য রচনা করেছিলেন।তাদের বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম "গিলগামেশ
সুমেরীয় সাহিত্য মিশরীয়দের চেয়ে উন্নত ছিল।সুমেরীয়রাই প্রথম মহাকাব্য রচনা করেছিলেন।তাদের বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম “গিলগামেশ”।


== সুমেরীয় ধর্ম ==
== সুমেরীয় ধর্ম ==
সুমেরীয়দের জীবনে ধর্ম একটি বিশেষ স্থান দখল করেছিল। তারা অনেক দেবতায় বিশ্বাসী ছিল। তাদের সূর্য দেবতা ছিল "শামাশ"।
সুমেরীয়দের জীবনে ধর্ম একটি বিশেষ স্থান দখল করেছিল। তারা অনেক দেবতায় বিশ্বাসী ছিল। তাদের সূর্য দেবতা ছিল “শামাশ”।


== সুমেরীয় আইন ==
== সুমেরীয় আইন ==


== অন্যান্য অবদান ==
== অন্যান্য অবদান ==
{{অসম্পূর্ণ }}


==তথ্যসূত্র==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}

{{অসম্পূর্ণ}}


[[বিষয়শ্রেণী:মেসোপটেমিয় সভ্যতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মেসোপটেমিয় সভ্যতা]]

০৯:১৬, ৩১ মার্চ ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রাচীন সুমেরীয় লিপির নিদর্শন: পোড়ামাটির ফলকে লেখা বাণিজ্যিক দলিল

সুমের (/ˈsmər/) যা শুমের, (মিশরীয় সাঙ্গার, বাইবেলে শিনার নামে পরিচিত, স্থানীয় উচ্চারণ কি-এন-গির) মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণাংশের এক প্রাচীন সভ্যতা। এর অবস্থান ছিল আধুনিক রাষ্ট্র ইরাক এর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। সুমের সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৪ হাজার বছর হতে খ্রিষ্টপূর্ব ৩ হাজার বছরের মধ্যে। ব্যাবিলন সভ্যতার উত্থানের সাথে সাথে সুমেরের পতন ঘটে। সুমের সভ্যতাকে পৃথিবীর প্রথম সংগঠিত সভ্যতা হিসাবে গণ্য করা হয়।

সুমেরীয় সভ্যতার উৎস

বর্তমানে ইরাকের তাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস (তৎকালীন দজলা ও ফোরাত) নদীর মধ্যবর্তী উর্বর স্থানে সুমেরীয় সভ্যতার গোড়াপত্তন ঘটে। পশ্চিম এশিয়ার নবোপলয়ী পর্যায় থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে প্রথম যে সভ্যতা গড়ে উঠে তাই সুমেরীয় সভ্যতা।

দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ার আদি অ-সেমেটিকবাসীরা সাধারণভাবে সুমেরিয়ান নামে পরিচিত।[১]

সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান

নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাবে সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না। সুমেরীয়দের একটি দল ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষত এলামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অগ্রসর হয়েছিল। মূলত উৎস ভূমিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুমেরীয়দের গোষ্ঠী উর্বর কৃষিজ ভূমির সন্ধানে অগ্রসর হয়ে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে চলে এসেছিল। সুমেরীয়দের নামানুসারে এ অংশটি সুমেরীয় (সুমের) নামে পরিচিত হয়। আবার অন্য একদল ঐতিহাসিক মনে করেন, এরা মধ্য এশিয়ার মালভূমি থেকে সমুদ্রপথে আগমন করেছে। ভারতীয় ঐতিহাসিকদের ধারণা এরা যাযাবর। পশু ও নিজেদের খাদ্য অন্বেষণে এরা মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে চলে আসে। তবে তাদের আদি বাসস্থান যেখানেই না কেন তারা খুব একটা বাধার সম্মুখীন না হয়ে নিম্ন উপত্যকায় বসবাস শুরু করে। ইটনা নামক স্থানে প্রথম তারা বসতি গড়ে তোলেন। কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে,টেমপ্লেট:কারা এরা আধুনিক তুরস্কের আনাতোলিয়া নামক স্থান থেকে এসেছিল। সুমেরীয়দের মূল আবাস নিয়ে বিতর্ক আছে বলেই এটা নিয়ে অনেক রহস্যময় গল্প ও ব্যাখ্যা চালু আছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বানুসারে সুমেরীয় একটা জনপ্রিয় ধারণা।

সুমেরীয়দের অবদান

বড় অবদান চাকা আবিষ্কার করেন। জলঘড়ি ও চন্দ্রপঞ্জিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদান রয়েছে।

লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার

সুমেরিয় গণ কিউনিফার্ম নামে একটি নতুন লিপির উদ্ভাবন করেন।কিউনিফার্ম কে বলা হয় অক্ষরভিত্তিক বর্ণমালা।

সুমেরীয় সাহিত্য

সুমেরীয় সাহিত্য মিশরীয়দের চেয়ে উন্নত ছিল।সুমেরীয়রাই প্রথম মহাকাব্য রচনা করেছিলেন।তাদের বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম “গিলগামেশ”।

সুমেরীয় ধর্ম

সুমেরীয়দের জীবনে ধর্ম একটি বিশেষ স্থান দখল করেছিল। তারা অনেক দেবতায় বিশ্বাসী ছিল। তাদের সূর্য দেবতা ছিল “শামাশ”।

সুমেরীয় আইন

অন্যান্য অবদান

তথ্যসূত্র

  1. The spread of Islam