নিডারিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Hasley (আলোচনা | অবদান)
58.145.186.227-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
please subscribe my YouTube channelhttps://youtu.be/et8rlrgi6s0[[চিত্র:Sea nettles.jpg|thumbnail|নিডারিয়ান প্রাণী জেলিফিশ]]
[[চিত্র:Sea nettles.jpg|thumbnail|নিডারিয়ান প্রাণী জেলিফিশ]]
'''নিডারিয়া''' বলতে ডিপ্লোব্লাস্টিক (Diploblastic) প্রাণী অর্থাৎ দ্বিস্তর [[ভ্রূণবিদ্যা|ভ্রূণ]] বিশিষ্ট প্রাণিদের কে বোঝায়। এরা ইতিপূর্বে সিলেনটারেটা (Coelenterata) নামে পরিচিত ছিলো। এদের অধিকাংশই [[সমুদ্র|সামুদ্রিক]], কিছু স্বাদুপানির বাসিন্দা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=মুত্তাবি |প্রথমাংশ১=ইকবাল আজিজ |শিরোনাম=মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান |প্রকাশক=জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড |পাতা=৬৩ }}</ref> গ্রিক শব্দ Knide অর্থ রোম বা কাঁটা এবং Aria অর্থ সংযুক্ত থাকা। এ শব্দদুটির সমন্বয়ে নিডেরিয়া (Cnidaria) শব্দটি তৈরি হয়েছে। ১৮৮৮ সালে বিজ্ঞানী হাসচেক (Hatschek) প্রথম নিডেরিয়া (Cnidaria) [[পর্ব (জীববিজ্ঞান)|পর্বটির]] নামকরণ করেন।বিচিত্র বর্ণময়তার কারণে এই পর্বের সদস্যরা সমুদ্রকে বর্ণিল রূপদানে সব চেয়ে বেশি অবদান রেখেছে । প্রবাল ও প্রবাল প্রাচীর গঠনকারী প্রাণিরা এই পর্বের সদস্য । এজন্য নিডেরিয়ান প্রাণিদের সমুদ্রের ফুল (flower of the sea ) বলা হয় ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক= গাজী আজমল, গাজী আসমত |শিরোনাম=উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান (২য় পত্র)|প্রকাশক=গাজী পাবলিশার্স|পাতা=১০}}</ref>
'''নিডারিয়া''' বলতে ডিপ্লোব্লাস্টিক (Diploblastic) প্রাণী অর্থাৎ দ্বিস্তর [[ভ্রূণবিদ্যা|ভ্রূণ]] বিশিষ্ট প্রাণিদের কে বোঝায়। এরা ইতিপূর্বে সিলেনটারেটা (Coelenterata) নামে পরিচিত ছিলো। এদের অধিকাংশই [[সমুদ্র|সামুদ্রিক]], কিছু স্বাদুপানির বাসিন্দা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=মুত্তাবি |প্রথমাংশ১=ইকবাল আজিজ |শিরোনাম=মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান |প্রকাশক=জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড |পাতা=৬৩ }}</ref> গ্রিক শব্দ Knide অর্থ রোম বা কাঁটা এবং Aria অর্থ সংযুক্ত থাকা। এ শব্দদুটির সমন্বয়ে নিডেরিয়া (Cnidaria) শব্দটি তৈরি হয়েছে। ১৮৮৮ সালে বিজ্ঞানী হাসচেক (Hatschek) প্রথম নিডেরিয়া (Cnidaria) [[পর্ব (জীববিজ্ঞান)|পর্বটির]] নামকরণ করেন।বিচিত্র বর্ণময়তার কারণে এই পর্বের সদস্যরা সমুদ্রকে বর্ণিল রূপদানে সব চেয়ে বেশি অবদান রেখেছে । প্রবাল ও প্রবাল প্রাচীর গঠনকারী প্রাণিরা এই পর্বের সদস্য । এজন্য নিডেরিয়ান প্রাণিদের সমুদ্রের ফুল (flower of the sea ) বলা হয় ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক= গাজী আজমল, গাজী আসমত |শিরোনাম=উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান (২য় পত্র)|প্রকাশক=গাজী পাবলিশার্স|পাতা=১০}}</ref>



১৩:২৬, ১৪ মার্চ ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নিডারিয়ান প্রাণী জেলিফিশ

নিডারিয়া বলতে ডিপ্লোব্লাস্টিক (Diploblastic) প্রাণী অর্থাৎ দ্বিস্তর ভ্রূণ বিশিষ্ট প্রাণিদের কে বোঝায়। এরা ইতিপূর্বে সিলেনটারেটা (Coelenterata) নামে পরিচিত ছিলো। এদের অধিকাংশই সামুদ্রিক, কিছু স্বাদুপানির বাসিন্দা।[১] গ্রিক শব্দ Knide অর্থ রোম বা কাঁটা এবং Aria অর্থ সংযুক্ত থাকা। এ শব্দদুটির সমন্বয়ে নিডেরিয়া (Cnidaria) শব্দটি তৈরি হয়েছে। ১৮৮৮ সালে বিজ্ঞানী হাসচেক (Hatschek) প্রথম নিডেরিয়া (Cnidaria) পর্বটির নামকরণ করেন।বিচিত্র বর্ণময়তার কারণে এই পর্বের সদস্যরা সমুদ্রকে বর্ণিল রূপদানে সব চেয়ে বেশি অবদান রেখেছে । প্রবাল ও প্রবাল প্রাচীর গঠনকারী প্রাণিরা এই পর্বের সদস্য । এজন্য নিডেরিয়ান প্রাণিদের সমুদ্রের ফুল (flower of the sea ) বলা হয় ।[২]

বৈশিষ্ট্য

কিছু কোষ কলা (যেমন- স্নায়ুকলা) গঠন করলেও অধিকাংশ কোষই বিচ্ছিন্ন তবে সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য বিশেষায়িত।

  • দ্বিস্তরীয় (Diploblastic) প্রাণী অর্থাৎ এদের ভ্রূণ দ্বিস্তর বিশিষ্ট। বাহিরের স্তর এক্টোডার্ম (Ectoderm) এবং ভেতরের স্তর এন্ডোডার্ম (Endoderm)। এই দুই কোশস্তরের মধ্যে তরল জেলির মতো অকোশীয় মেসোগ্লিয়া (Mesoglea) নামে ধাত্র বা পদার্থ থাকে।।
  • পূর্ণাঙ্গ প্রাণীও দ্বিস্তর তথা দ্বিত্বক বিশিষ্ট। দেহের ভেতরে প্রশস্ত গহ্বর যা গ্যাস্ট্রোভ্যাস্কুলার গহ্বর (Gastrovascular cavity) বা সিলেন্টেরন (Coelenteron) নামে পরিচিত এবং এটি একটি মাত্র ছিদ্র পথে (মুখছিদ্র) বাইরে উন্মুক্ত (পায়ু ছিদ্র অনুপস্থিত)।
  • দেহঅরীয় প্রতিসম (Radial symmetry) অর্থাৎ এদের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত একটিমাত্র তল বরাবর ছেদ করে দুই বা ততোধিক বার দেহটিকে সমভাবে ভাগ করা যায়।
  • বহিঃ দেহত্বকে (Epidermis) মুখছিদ্রকে ঘিরে প্রচুর পরিমাণে নিডোব্লাস্ট (Cnidoblast) নামক কোষ বর্তমান যার মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ বহন করা নিমাটোসিস্ট (Nematocyst) নামক একটি থলি এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রয়োগ করার জন্য থ্রেড টিউব (Thread tube) নামক চাবুকের মত নল থাকে।
  • আসিলোমেট (Acoelomate) প্রাণী, অর্থাৎ দেহগহ্বর বা সিলোম এখানে অনুপস্থিত।
  • একাকী অথবা উপনিবেশ গঠন করে অবস্থান করে। নিশ্চল অথবা মুক্ত সাঁতারু। অনেকের শুধুমাত্র মুক্ত বা নিশ্চল পলিপ (Polyp) দশা বর্তমান। আবার অনেকের মুক্ত সাঁতারু মেডুসা (Medusa) দশা বর্তমান। আবার অনেকের উভয় দশা সমন্বিত পলিমরফিসম (polymorphism) দেখা যায়।
  • এই পর্বের প্রাণিদের মধ্যে জনুক্রম বা মেটাজেনেসিস (Metagenesis) পরিলক্ষিত হয়।
  • বহিঃকোষীয় ও অন্তঃকোষীয় উভয় প্রকার পরিপাক প্রক্রিয়া এদের দেহে দেখতে পাওয়া যায়।
  • কিছু স্নায়ুকোষ এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্মে জাল বিস্তার করে থাকে।
  • সংবহনতন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র ও রেচনতন্ত্র অনুপস্থিত।
  • জীবনচক্রে সিলিয়াযুক্ত প্লানুলা লার্ভা (Planula larva) দেখা যায়।

শ্রেণীবিভাজন

  1. হাইড্রোজোয়া (Hydrozoa)
  2. স্কাইফোজোয়া (Scyphozoa)
  3. অ্যান্থোজোয়া (Anthozoa)
    1. হেক্সাকোরালিয়া (Hexacoralia)
    2. অক্টোকোরালিয়া (Octocoralia)
  4. কিউবোজোয়া (Cubozoa)

শ্রেণীবিন্যাস

১৯৪০ সালের (H. L. Hyman এর) শ্রেণীবিভাজন অনুযায়ী পর্ব নিডারিয়ায় হাইড্রোজোয়া, স্কাইফোজোয়া এবং অ্যান্থোজোয়া নামে তিনটি শ্রেণী ছিল। ১৯৭২ সালে বিজ্ঞানী মেগলিস (Meglitsch) প্রদত্ত নিডেরিয়া পর্বের শ্রেণীবিন্যাস করেন। Ruppert ও Bernes ১৯৯৪ সালে পর্ব নিডারিয়াকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেন এবং কিউবোজোয়া শ্রেণীটি সংযোজিত হয়।

শ্রেণী: হাইড্রোজোয়া (Hydrozoa)

গ্রিক শব্দ Hydra যার আভিধানিক অর্থ Water তথা পানি এবং Zoios যার আভিধানিক অর্থ animal তথা প্রাণী এ শব্দদুটির সমন্বয়ে হাইড্রোজোয়া (Hydrozoa) শব্দটি তৈরি হয়েছে। অনেকের জীবনচক্রে কেবলমাত্র পলিপ (Polyp) দশা বর্তমান, অনেকের আবার অযৌন পলিপ (Polyp) ও যৌন মেডুসা (Medusa) উভয় দশাই উপস্থিত। মেসোগ্লিয়া (Mesogloea) কোষ-বিহীন (Non-cellular)। জননকোষ উৎপাদন অঙ্গ (Gonad) এক্টোডার্ম (Ectoderm) থেকে উদ্ভূত। স্বাদুপানি অথবা সামুদ্রের বাসিন্দা এবং নিশ্চল অথবা মুক্ত সাঁতারু। উদাহরণ: Hydra virdis, Obelia geniculata

শ্রেণী: স্কাইফোজোয়া (Schyphozoa)

গ্রিক শব্দ Skyphos যার আভিধানিক অর্থ Cup তথা কাপ এবং Zoios যার আভিধানিক অর্থ animal তথা প্রাণী এ শব্দদুটির সমন্বয়ে স্কাইফোজোয়া (Schyphozoa) শব্দটি তৈরি হয়েছে। এদের জীবনচক্রে মেডুসা (Medusa) দশাই প্রধান, পলিপ (Polyp) দশা অনুপস্থিত বা স্বল্পস্থায়ী। মেডুসা দশায় দেহ ঘণ্টা অথবা ছাতা আকৃতির। জননকোষ উৎপাদন অঙ্গ (Gonad) এন্ডোডার্ম (Endoderm) থেকে উদ্ভূত। বৃহৎ আকৃতির মেসোগ্লিয়ায় (Mesogloea) তন্তু (Fibers) ও কোষ বর্তমান। নিশ্চল এবং সামুদ্রিক। উদাহরণ: Aurelia aurita, Cyania capillata

শ্রেণী: অ্যান্থোজোয়া (Anthozoa)

গ্রিক শব্দ Anthos যার আভিধানিক অর্থ flower তথা ফুল এবং Zoios যার আভিধানিক অর্থ animal তথা প্রাণী এ শব্দদুটির সমন্বয়ে অ্যান্থোজোয়া (Anthozoa) শব্দটি তৈরি হয়েছে। এদের জীবনচক্রে কেবলমাত্র পলিপ দশা উপস্থিত। মেডুসা দশা অনুপস্থিত। মেসোগ্লিয়ায় (Mesogloea) তন্তুময় যোজক কলা (Fibrous connective tissue) বর্তমান। জননকোষ উৎপাদন অঙ্গ (Gonad) এন্ডোডার্ম (Endoderm) থেকে উদ্ভূত। একাকী অথবা উপনিবেশ গঠনকারী প্রাণীরা সকলেই সামুদ্রিক। উদাহরণ: Metridium senil, Gorgoni verrucosa

তথ্যসূত্র

  1. মুত্তাবি, ইকবাল আজিজ। মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। পৃষ্ঠা ৬৩। 
  2. গাজী আজমল, গাজী আসমত। উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান (২য় পত্র)। গাজী পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ১০। 


পর্ব (জীববিজ্ঞান)
পর্ব: পরিফেরা  · নিডারিয়া  · প্লাটিহেলমিনথিস  · নেমাটোডা  · এনিলিডা  · আর্থোপোডা  · মলাস্কা  · একাইনোডার্মাটা  · কর্ডাটা