চকোয়া চাউল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:শস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:শস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:আসামের কৃষি]]
[[বিষয়শ্রেণী:আসামের কৃষি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের ভৌগোলিক ইঙ্গিত]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক]]

০৬:৫৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চকোয়া চাউল
ভৌগোলিক নির্দেশক
বর্ণনাজলে ভেজালেই নরম হওয়া চাউল
ধরনধান/চাউল
অঞ্চলআসাম
দেশভারত


চকোয়া চাউল বা চকোয়া ধান আসাম-এর বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত একধরনের ব্যাপক জাতের শালিধান। এই চালটিতে এমিলুজ উপাদান (শর্করা অণু) তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে পাওয়া যায়। অন্য চালসমূহে এমিলুজ উপাদান ২০-২৭% হওয়ার পরিবর্তে চকোয়া চাউলে এই পরিমাণ ১২-১৭% হয়।[১] চকোয়া চাউল কিছু পরিমাণে আঠাজাতীয় হয়। উইলিয়াম উইলসন হান্টার ১৮৭৯ সালে প্রকাশ পাওয়া তাঁর গ্রন্থ এ স্ট্যাটিষ্টিকাল একাউন্ট অফ আসাময়ে আসামে পাওয়া ৮৭ ধরনের চালের কথা উল্লেখ করেছেন এবং এর মধ্যে চকোয়া চাউল অন্যতম। চকোয়া চাউল এতটাই নরম যে আসামের লোকেরা একে রান্না না করে কেবল জলে ভিজিয়ে রেখেই কোমক চাউল হিসাবে ব্যবহার করেন।[২] বুরঞ্জীবিদ সূর্যকুমার ভূঞা হিষ্ট্রি অফ আসাম শীর্ষক গ্রন্থে আহোম সৈন্যবাহিনী চকোয়া চাউল থেকে প্রস্তুত করা কোমক চাউল খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেছেন।[৩]

বিবরণ

চকোয়া চাউলের গাছ প্রায় ১৫৮ সেমিঃ উঁচু হয়। একটি গোছায় গড়ে ৯ টি করে নল থাকে এবং এখানে গড়ে ১৫৮ টা পূর্ণ বীজ থাকার বিপরীতে পাতা থাকে ১৫ টা।[১]

প্রকার

হান্টার চকোয়া চাউলের তিনধরনের প্রকারের নাম উল্লেখ করেছেন এবং এগুলি হচ্ছে গরু চকোয়া, ছোট চকোয়া এবং বর চকোয়া।[২] তিতাবরের ধান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে আসামের বিভিন্ন স্থান থেকে চকোয়া চাউলের প্রায় ২৩টা চারা সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উৎপাদন

আসামের তিনসুকিয়া, ধেমাজী, ডিব্রুগড়, লখিমপুর, শিবসাগর, যোরহাট, গোলাঘাট, নগাওঁ, মরিগাওঁ এবং শোণিতপুর জেলায় প্রধানভাবে এর চাষ করা হয় যদিও মাজুলী এবং দরং জেলায়ও চকোয়া চাউলের চাষ দেখা যায়।

চকোয়া চাউলের উৎপাদন চক্রটি ১৩৫-১৬৫ দিনের। ধান রোয়া কার্য জুন-জুলাই মাসে আরম্ভ হয় এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে শস্য কাটার জন্য উপযোগী হয়ে উঠে। প্রতি হেক্টর মাটিতে এই ধানের গড় উৎপাদন ২.৫ টন। কিন্তু আসামের কৃষকরা ঘরে খাবার অন্য ধানসমূহের সাথেই চাষ করা উঁচু পরম্পরাগত চকোয়া চাউলের উৎপাদন প্রতি হেক্টরে ১ টনেরও বেশি নয়। রোদ বা আলোর প্রতি সংবেদনশীলতার জন্য রোদ থেকে সময়ের উপর নির্ভর করে এর বৃদ্ধি বা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।[১]

ভৌগোলিক স্বীকৃতি

২০১৬ সালে যোরহাটের সেউজ সতীর্থ নামের এক প্রতিষ্ঠান আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এর সহযোগতিয় চকোয়া চাউলকে ভৌগোলিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আবেদন জানান। ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবরে প্রকাশ পাওয়া ভারত সরকারের ভৌগোলিক স্বীকৃতি পঞ্জীয়ন বিভাগ থেকে প্রকাশিত পত্রিকার ১২৪ সংখ্যক সংস্করণে চকোয়া চাউলকে ভৌগোলিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।[৪]

তথ্যসূত্র

  1. "CHOKUWA RICE OF ASSAM" (পিডিএফ)GEOGRAPHICAL INDICATIONS JOURNAL (১২৪): ৮–১৩। ২০১৯।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  2. Hunter William Wilson (১৮৭৯)। A Statistical Account of Assam। লণ্ডন: Trubner & Co.। পৃষ্ঠা ২৫০, ২৫৩, ৩০০, ৩৭০। 
  3. Bhuyan SK (১৯৬৫)। History of Assam 
  4. "Traditional Scarf (Gamosa) of Assam gets Geographical Indications tag"The Sentinel। নভেম্বর ১৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১২, ২০২০ 

টেমপ্লেট:ভৌগোলিক ইঙ্গিত