চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Rafi Bin Tofa (আলোচনা | অবদান) →বহিঃসংযোগ: সম্প্রসারণ |
Rafi Bin Tofa (আলোচনা | অবদান) পরিষ্কারকরণ |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Infobox_University |
{{Infobox_University |
||
| name = চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় |
| name = চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় |
||
| image_name = সিভাসু লোগো.png |
|||
| image_name = চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো.jpg |
|||
| established = ১৯৯৬ (চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজ) <br /> ২০০৬ (বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর) |
| established = ১৯৯৬ (চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজ) <br /> ২০০৬ (বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর) |
||
| type = [[সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়]] |
| type = [[সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়]] |
||
১৫ নং লাইন: | ১৫ নং লাইন: | ||
| country = [[বাংলাদেশ]] |
| country = [[বাংলাদেশ]] |
||
| nickname = সিভাসু |
| nickname = সিভাসু |
||
| logo = সিভাসুর জলছাপ লোগো.png |
|||
| address = জাকির হোসেন রোড, [[খুলশী থানা|খুলশী]], [[চট্টগ্রাম]] |
| address = জাকির হোসেন রোড, [[খুলশী থানা|খুলশী]], [[চট্টগ্রাম]] |
||
| affiliations = [[বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন]] |
| affiliations = [[বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন]] |
০৮:২৭, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
নীতিবাক্য | জ্ঞান সেবা সমৃদ্ধি |
---|---|
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৯৬ (চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজ) ২০০৬ (বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর) |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ |
ডিন | অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হালিম (ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ) অধ্যাপক ড. জাহানারা খাতুন (খাদ্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ)[১] অধ্যাপক ড. মোঃ নুরুল আবছার খান (মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ) |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৯০ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ১২৬ |
শিক্ষার্থী | ৮০০ |
ঠিকানা | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
সংক্ষিপ্ত নাম | সিভাসু |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | www.cvasu.ac.bd |
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে সিভাসু) বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশের একমাত্র ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এটিকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেই গণ্য করা হয় এবং অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়েও অনুষদের ওপর শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সিভাসু বাংলাদেশের সর্বপ্রথম প্রাণী ব্লাড ব্যাংক তৈরি করে।[২] বাংলাদেশের প্রথম পেট হাসপাতাল, প্রথম শারীরবৃত্তির জাদুঘর সিভাসু তৈরি করেছে।
অবস্থান
চট্টগ্রামের খুলশী থানার অন্তর্গত এবং নগরীর জাকির হোসেন রোডে এটি অবস্থিত।[৩] বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে রয়েছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আর সামনে পাহাড়তলী এলাকা। আর পেছনদিকে অর্থাৎ, উত্তর দিকে রয়েছে ফয়েজ লেক।
ইতিহাস
দক্ষ ও যুগোপযোগী ভেটেরিনারিয়ান তৈরি করার নিমিত্তে ১৯৯৫-৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর বিজ্ঞান অনুষদ এর অধীনে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে এটিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ৭ই আগস্ট এটি যাত্রা শুরু করে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও মাৎস্যবিজ্ঞান নামে আরো দুটি অনুষদ সহ মোট তিনটি অনুষদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।[৪]।
গবেষণা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মিত গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়। ২০১৮ সালে ডিএনএ সেক্সিং প্রযুক্তির সাহায্যে শৌখিন পাখির লিঙ্গ নির্ধারণে সাফল্য পায় সিভাসুর একদল গবেষক। বাংলাদেশে এই প্রযুক্তিতে এই প্রথম সাফল্য অর্জিত হয়। আগে লিঙ্গ নির্ধারণে প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করে পাখির নমুনা বিদেশে পাঠাতে হতো।[৫] ৩.৭৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে সিভাসু গবেষণা তরী কাপ্তাই হ্রদে নামানো হয়। এই গবেষণা তরীতে ১২ জন গবেষক একসাথে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া এখানে থাকার সু-ব্যবস্থাও আছে। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছ কেন কমে যাচ্ছে, এই সংস্ক্রান্ত কারণ উদ্ঘাটনে গবেষণা প্রকল্পটি শুরু করা হয়।[৬] ২০২০ সালে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মহামারীতে এই ভাইরাসের জিনোম রহস্য উন্মোচন করে সিভাসু। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়। চারটি দেশের ভাইরাসের সাথে জিনগত মিল দেখতে পাওয়া যায়।[৭]
শিক্ষাঙ্গণ
মূল ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাসেই এর সবরকম প্রশাসনিক কার্যাদি পরিচালিত হয়। মূল ক্যম্পাসে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পৃথক দুটি হল রয়েছে। একটি হল বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হান্নান হল এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রী হল। এছাড়াও প্রশাসনিক ভবন, ইউসুফ চৌধুরী ভবন, শহীদ মিনারসহ আরো কিছু ভবন রয়েছে। এনাটমি মিউজিয়াম, ফিশারিজ মিউজিয়ামসহ বিভিন্নরকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
এস.এ. কাদেরি ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল
১৯৯৫-১৯৯৬ সাল থেকে পশুপাখির চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতাল গড়ে ওঠে। তবে শুরুতে এটি ছিল কেবল একটি টিনশেড বিল্ডিং। ধীরে ধীরে এটি এখন পাঁচতলা ভবনে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিদিন এখানে প্রায় ১০০ টির মতো প্রাণী চিতিৎসা নিতে আসে। ২০১৫ সালে এ হাসপাতালে ৪ হাজার ৮০৬টি প্রাণী ও পাখিকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এ হাসপাতালে প্রাণী ও পাখির সব ধরনের চিকিৎসাসেবা অর্থাৎ মেডিসিন, সার্জারি ও প্রসবসংক্রান্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোগনির্ণয় থেকে শুরু করে প্রসবজনিত সমস্যা, কৃত্রিম প্রজনন, দাঁতের চিকিৎসা কিংবা জটিল রোগের অস্ত্রোপচার — সবকিছুরই চিকিৎসা হয়।। এছড়া আছে এক্স-রে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফি, সিএস টেস্ট, অ্যান্টিবডি-টাইটার টেস্টসহ সব রকমের পরীক্ষা। একই সঙ্গে পোলট্রি ও দুগ্ধ খামার স্থাপনে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ ও নির্দেশনাও দেন এখানকার চিকিৎসকেরা। ছুটির দিন ছাড়া এখানে সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। শনিবার ও অন্যান্য ছুটির দিনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ হাসপাতাল।[৮]
জাদুঘরসমূহ
মৎস্য জাদুঘর
২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এই মৎস্য জাদুঘরটি নির্মিত হয়। এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।[৯] প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে এটি অবস্থিত। কর্ণফুলী, হালদা, রাঙামাটির কাপ্তাই লেক, সিলেটের হাওর, পাবনার খালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পুকুর, বিল ও নদী থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে দেশীয় প্রজাতির স্বাদু পানির ২০০ মাছ। স্বাদুর পানির মাছের মধ্যে কাজলি, রানি, গুতুম, খলিশা, ঢেলা, রিঠা, মধুপাবদা, ফলি, বাইম, মহাশোলের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছ, রুই, কাতলা, কালিবাউস, মৃগেল, ইলিশ, ভ্যাদা ইত্যাদি। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। এর মধ্যে কোরাল, কামিলা, মাইট্টা, সুরমা, চান্দা, বিশতারা, তারা, ডেভিল রে, হাতুড়ি হাঙর, শাপলাপাতা, রেমুরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। প্রতিটি মাছের পাশেই এর বৈজ্ঞানিক, স্থানীয় ও সাধারণ নাম এবং বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা থাকবে। এসব মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে পাশাপাশি দুটি কক্ষে অসংখ্য কাচের জারে। ৬৭০ ঘনফুট আয়তনের অ্যাকুয়ারিয়ামও রয়েছে এখানে। যেটাতে মূলত দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে জলজ বাস্তুসংস্থান।[১০]
এনাটমি জাদুঘর
এটি দেশের প্রথম এনাটমি জাদুঘর। ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হেকেপ প্রকল্পের আওতায় এই জাদুঘরটি নির্মান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগ এই জাদুঘরটি দেখাশুনা করে। ঘোড়া, গরু, হরিণ, উট, হাঁস, ছাগল, ভেড়া, কবুতর, কুমির, সাপ, টিকটিকি, শূকর, উটপাখি এবং বানরের কঙ্গাল এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। এখানে ৩০ টি স্টাফ প্রাণী, ২০ টি প্রাণীর মডেল, ফর্মালডিহাইডে ৫০০ টি নমুনা, ২০০০ টি বিভিন্ন ধরণের হাড়, ৩০০০ বিভিন্ন স্লাইড এবং ৩০ জন বৈজ্ঞানিকের স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। কিছু শুকনো নরম অঙ্গও যাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।[১১]
ছাত্রাবাস
শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ছিল একটি ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীদের জন্য ছিল ফজিলাতুন্নেছা হল। ২০১৬ সালে তৈরি হওয়া হাটহাজারী ক্যাম্পাসে আরেকটি হল তৈরি করা হচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে।
- এমএ হান্নান ছাত্রাবাস[১২]
- বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস[১৩]
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল (নির্মানাধীন, হাটহাজারী ক্যাম্পাস)
কক্সবাজার আউটরিচ ক্যম্পাস
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই ক্যম্পাস তৈরির কাজ শুরু হয়। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন দরিয়ানগর এলাকায় এই ক্যাম্পাস অবস্থিত। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।[১৪] এটিই বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আউটরিচ ক্যাম্পাস। ছাত্রদের জন্য পৃথক দুটি ছাত্রাবাস এবং শিক্ষকদের জন্য আবাসনের কাজ চলমান রয়েছে। ক্যাম্পাসটি তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় এবং পাহাড়ে ঘেরা ৫ একর জমি দেয়া হয়। ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাসটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[১৫]
হাটহাজারী রিসার্চ এন্ড ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাস
প্রায় ১০ একর জায়গা নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় এই ক্যাম্পাস অবস্থিত। এই ক্যাম্পাসের পাশেই সরকারি ডেইরি ফার্ম অবস্থিত। এই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী এবং গবেষকরা হাতে কলমে কাজ করতে পারবেন। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করা হয়।[১৬] এখানে দুটি ফ্যাকাল্টি খোলা হবে। একটি ফ্যাকাল্টি অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, আরেকটি ফ্যাকাল্টি অব এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্স।[১৭] ২০২০ সালে এই ক্যাম্পাসে কোভিড ১৯ সনাক্তকরণ ল্যাব চালু করা হয়। উপ-শিক্ষামন্ত্রী নওফেল এই ল্যাবের উদ্বোধন করেন।
টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার
এটি বাংলাদেশের প্রথম পেট হাসপাতাল। পাশাপাশি পশুপাখির গবেষণা এবং ইন্টার্নি ডাক্তারেরা এখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ঢাকার পূর্বাচলে ২২ কাঠা জমির ওপর এই হাসপাতাল অবস্থিত।[১৮]
অনুষদ ও বিভাগসমূহ
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩টি অনুষদে ১৮টি বিভাগ রয়েছে।[১৯] চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ এবং অন্তর্গত বিভাগসমূহ হলো:
ভেটেরিনারী মেডিসিন অনুষদ
- রোগবিদ্যা ও পরজীবীবিদ্যা বিভাগ
- অ্যানাটমি ও কলাস্থান বিভাগ
- শারীরবিদ্যার, প্রাণরসায়ন ও ঔষধবিদ্যা বিভাগ
- প্রাণী বিজ্ঞান ও পুষ্টি বিভাগ
- অনুজীবিদ্যা ও ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ বিভাগ
- জেনেটিক্স ও পশু প্রজনন বিভাগ
- ডেইরি ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি অর্থনীতি ও সামাজিক বিভাগ
- মেডিসিন ও সার্জারী বিভাগ
খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ
- পদার্থ ও গাণিতিক বিজ্ঞান বিভাগ
- ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগ
- ফলিত খাদ্য বিজ্ঞান ও পুষ্টি বিভাগ
- খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকৌশল বিভাগ
মৎস্য অনুষদ
- মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- ফিসিং ও পোস্ট হার্ভেস্ট প্রযুক্তি বিভাগ
- সামুদ্রিক জৈব-গবেষণা বিভাগ
- কৃষি বিভাগ
- মাছের জীববিদ্যা এবং জৈব প্রযুক্তি বিভাগ
গবেষণা কেন্দ্রসমূহ
- পোল্ট্রি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র[২০]
- ওয়ান হেলথ ইন্সটিটিউট[২১]
- ইন্সটিটিউট অব কোস্টাল-বায়োডাইভারসিটি, মেরিন ফিসারিজ এবং ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন[২২]
অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ঝিনাইদহ সরকারী ভেটেরিনারি কলেজকে ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে সিভাসুর অধিভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে নানা জটিলতার কারণে কলেজটিকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া হয়।[২৩] বর্তমানে সিভাসুর অধীনে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত নেই।
উপাচার্যবৃন্দের তালিকা
ক্রমিক নং | নাম | ছবি | মেয়াদকাল |
---|---|---|---|
১ | নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ | ২০০৬-২০১০ | |
২ | আবু সালেহ মাহফুজুল বারি | ২০১০-২০১৪ | |
৩ | গৌতম বুদ্ধ দাশ | ২০১৪-বর্তমান |
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "অনুষদ প্রধান"। সিভাসু। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম এনিম্যাল ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা"। ৮ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "দেশেই হবে শৌখিন পাখির লিঙ্গ নির্ধারণ"। প্রথম আলো। ১৫ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৯।
- ↑ "রাঙ্গামাটিতে গবেষণা তরী নামার জন্য প্রস্তুত"। দ্যা ডেইলি স্টার। ৫ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৯।
- ↑ "জিনোম সিকোয়েন্স: চট্টগ্রামের করোনাভাইরাসের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুরের ভাইরাসের মিল"। মে ২১, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২০।
- ↑ "মানুষের মতো চিকিৎসা প্রাণীদের"। প্রথম আলো। ৬ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মৎস্য জাদুঘরের উদ্বোধন"। ১৪ জানুয়ারী ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "মৎস্য ও অ্যানাটমি জাদুঘর"। ৯ জানুয়ারী ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "দেশের প্রথম শরীরবৃত্তির জাদুঘর সিভাসুতে"। ২৮ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "M A Hannan Hall"। cvasu.ac.bd। ৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Bangamata Fazilatunnessa Hall"। cvasu.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "কক্সবাজারে আউটরিচ ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর আজ"। ২২ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "আরও একটি ক্যাম্পাস হবে কক্সবাজারে"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "গবেষণা ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আজ"। ২ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "সিভাসু'র ২য় ক্যাম্পাস পরিদর্শনে ইউজিসি'র প্রতিনিধি দল"। জুলাই ১৯ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৯। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "দেশের প্রথম পেট হসপিটালের যাত্রা শুরু আজ"। কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "List of Faculties"। www.cvasu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Poultry Research and Training Centre (PRTC)"। www.cvasu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "one health institute" (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Institute of Coastal Bio-Diversity, Marine Fisheries & Wildlife Conservation" (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "শেকৃবির অধিভুক্ত হচ্ছে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ"। ২৮ জুলাই ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২০।