অমরু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
আলংকারিক বামনের (খ্রষ্টীয় নবম শতক) 'কাব্যালংকার' নামক গ্রন্থে উদ্ধৃত হইয়াছে; কিন্তু তাতে কবি বা কাব্যের উল্লেখ নেই। খ্ৰিস্টীয় নবম শতকের
আলংকারিক বামনের (খ্রষ্টীয় নবম শতক) 'কাব্যালংকার' নামক গ্রন্থে উদ্ধৃত হইয়াছে; কিন্তু তাতে কবি বা কাব্যের উল্লেখ নেই। খ্ৰিস্টীয় নবম শতকের
মধ্যভাগে আনন্দবর্ধন বিখ্যাত কবি হিসাবে অমরুর নাম উল্লেখ করেন। কেউ কেউ মনে করেন, অমরু শতকত্রয়ের রচয়িতা ভর্তৃহরির পরবর্তী। অমরুশতকের চারটি রূপ রয়েছে। এগুলো হলো বর্তমান দক্ষিণ ভারতীয়, বঙ্গীয়, পশ্চিম ভারতীয় এবং মিশ্র। বিভিন্নরূপে এর শ্লোকসংখ্যা ৯৬-১১৫; সকল রূপে সাধারণ শ্লোকসংখ্যা ৫১। এর উনিশটি টীকা আছে। সম্ভবতঃ অমরুর আদর্শ ছিল
মধ্যভাগে আনন্দবর্ধন বিখ্যাত কবি হিসাবে অমরুর নাম উল্লেখ করেন। কেউ কেউ মনে করেন, অমরু শতকত্রয়ের রচয়িতা ভর্তৃহরির পরবর্তী। অমরুশতকের চারটি রূপ রয়েছে। এগুলো হলো বর্তমান দক্ষিণ ভারতীয়, বঙ্গীয়, পশ্চিম ভারতীয় এবং মিশ্র। বিভিন্নরূপে এর শ্লোকসংখ্যা ৯৬-১১৫; সকল রূপে সাধারণ শ্লোকসংখ্যা ৫১। এর উনিশটি টীকা আছে। সম্ভবতঃ অমরুর আদর্শ ছিল
প্রাকৃতে রচিত হালের সত্তসঙ্গ। জীবন ও প্রেমের বিভিন্ন অবস্থায় নারীর বর্ণনা এই কাব্যের বিষয়বস্তু এবং গ্রন্থিক ভাষা বেশ সরস ও সুখপাঠ্য। ছন্দের বৈচিত্র্যও উপভােগ্য। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে পরস্পর নিরপেক্ষ এসব শ্লোকগুলি এক-একটি শব্দময় চিত্রতুল্য।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভারতকোষ, প্রথম খণ্ড|শেষাংশ=বন্দ্যোপাধ্যায়|প্রথমাংশ=সুরেশচন্দ্র|বছর=১৯৬৪ |প্রকাশক=বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=১০২|আইএসবিএন=|সংগ্রহের-তারিখ=৬ ডিসেম্বর ২০২০}}</ref>
প্রাকৃতে রচিত হালের সত্তসঙ্গ। জীবন ও প্রেমের বিভিন্ন অবস্থায় নারীর বর্ণনা এই কাব্যের বিষয়বস্তু এবং গ্রন্থিক ভাষা বেশ সরস ও সুখপাঠ্য। ছন্দের বৈচিত্র্যও উপভােগ্য। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে পরস্পর নিরপেক্ষ এসব শ্লোকগুলি এক-একটি শব্দময় চিত্রতুল্য।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভারতকোষ, প্রথম খণ্ড|শেষাংশ=বন্দ্যোপাধ্যায়|প্রথমাংশ=সুরেশচন্দ্র|বছর=১৯৬৪ |প্রকাশক=বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=১০৪|আইএসবিএন=|সংগ্রহের-তারিখ=৬ ডিসেম্বর ২০২০}}</ref>
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}

১৩:০৮, ৬ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অমরু একজন প্রাচীন ভারতীয় কবি। তার সম্পর্কে অদ্যাবধি তেমন কিছুই জানা যায় নি। অমরুশতকের তিনটি শ্লোক আলংকারিক বামনের (খ্রষ্টীয় নবম শতক) 'কাব্যালংকার' নামক গ্রন্থে উদ্ধৃত হইয়াছে; কিন্তু তাতে কবি বা কাব্যের উল্লেখ নেই। খ্ৰিস্টীয় নবম শতকের মধ্যভাগে আনন্দবর্ধন বিখ্যাত কবি হিসাবে অমরুর নাম উল্লেখ করেন। কেউ কেউ মনে করেন, অমরু শতকত্রয়ের রচয়িতা ভর্তৃহরির পরবর্তী। অমরুশতকের চারটি রূপ রয়েছে। এগুলো হলো বর্তমান দক্ষিণ ভারতীয়, বঙ্গীয়, পশ্চিম ভারতীয় এবং মিশ্র। বিভিন্নরূপে এর শ্লোকসংখ্যা ৯৬-১১৫; সকল রূপে সাধারণ শ্লোকসংখ্যা ৫১। এর উনিশটি টীকা আছে। সম্ভবতঃ অমরুর আদর্শ ছিল প্রাকৃতে রচিত হালের সত্তসঙ্গ। জীবন ও প্রেমের বিভিন্ন অবস্থায় নারীর বর্ণনা এই কাব্যের বিষয়বস্তু এবং গ্রন্থিক ভাষা বেশ সরস ও সুখপাঠ্য। ছন্দের বৈচিত্র্যও উপভােগ্য। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে পরস্পর নিরপেক্ষ এসব শ্লোকগুলি এক-একটি শব্দময় চিত্রতুল্য।[১]

তথ্যসূত্র

  1. বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেশচন্দ্র (১৯৬৪)। ভারতকোষ, প্রথম খণ্ড। কলকাতা: বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ। পৃষ্ঠা ১০৪।