ইব্রাহিমীয় ধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[File:Three main Abrahamic Religions.png|thumb|ইহুদিদের [[ডেভিড বা দাউদের তারকা]] (উপরে), [[খ্রীস্টান ক্রুস]] (মাঝে), ইসলামের [[চাঁদ ও তারা]] (নিচে)]]
[[File:Three main Abrahamic Religions.png|thumb|ইহুদিদের [[ডেভিড বা দাউদের তারকা]] (উপরে), [[খ্রীস্টান ক্রুস]] (মাঝে), ইসলামের [[চাঁদ ও তারা]] (নিচে)]]

'''ইব্রাহিমীয় ধর্ম''' বা '''আব্রাহামীয় ধর্ম''' ({{lang-en|Abrahamic Religion}}) বলতে [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] ধর্মগুলোকে বোঝানো হয়, যাদের মধ্যে [[আব্রাহাম]] বা [[ইব্রাহিম|ইব্রাহিমের]] সাথে সম্পর্কিত ধর্মীয় উৎপত্তি<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
'''ইব্রাহিমীয় ধর্ম''' বা '''আব্রাহামীয় ধর্ম''' ({{lang-en|Abrahamic Religion}}) বলতে [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] ধর্মগুলোকে বোঝানো হয়, যাদের মধ্যে [[আব্রাহাম]] বা [[ইব্রাহিম|ইব্রাহিমের]] সাথে সম্পর্কিত ধর্মীয় উৎপত্তি<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|বছর = 2010
|বছর = 2010
৯ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
|আর্কাইভের-তারিখ = ২১ জুলাই ২০১০
|আর্কাইভের-তারিখ = ২১ জুলাই ২০১০
|অকার্যকর-ইউআরএল = না
|অকার্যকর-ইউআরএল = না
}}</ref> অথবা ধর্মীয় ইতিহাসগত ধারাবাহিকতা বিদ্যমান।<ref name="Massignon 1949">{{harvnb|Massignon|1949|pp=20–23}}</ref><ref name="J.Smith98">{{harvnb|Smith|1998|p=276}}</ref><ref name="Anidjar2001">{{harvnb|Derrida|2002|p=3}}</ref> এইসব ধর্ম তিনি বা তার বংশধর প্রচার করেছেন। [[ভারত]], [[চীন]], [[জাপান]] ইত্যাদি দেশের [[উপজাতি|উপজাতিয়]] অঞ্চল বাদ দিয়ে সারা বিশ্বে এই মতবাদের আধিপত্য। [[তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব|তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে]] যে তিনটি ধর্মগত শ্রেণীবিন্যাস পাওয়া যায়, এদের মধ্যে ইব্রাহিমীয় ধর্ম একটি শ্রেণী; অপর দুটি শ্রেণী হচ্ছে [[ভারতীয় ধর্ম]] ([[হিন্দু ধর্ম]], [[বৌদ্ধধর্ম]], ইত্যাদি) এবং [[পূর্ব এশীয় ধর্ম]] ([[তাওবাদ]], [[শিন্তৌ ধর্ম]], ইত্যাদি)।<ref name="Adams2">[http://www.britannica.com/eb/article-38030/classification-of-religions C.J. ''Classification of religions: Geographical''. Encyclopædia Britannica, 2007]. Accessed: 15 May 2013</ref>
}}</ref> অথবা ধর্মীয় ইতিহাসগত ধারাবাহিকতা বিদ্যমান।<ref name="Massignon 1949">{{harvnb|Massignon|1949|pp=20–23}}</ref><ref name="J.Smith98">{{harvnb|Smith|1998|p=276}}</ref><ref name="Anidjar2001">{{harvnb|Derrida|2002|p=3}}</ref> এইসব [[ধর্ম]] তিনি বা তার বংশধর প্রচার করেছেন। [[ভারত]], [[চীন]], [[জাপান]] ইত্যাদি দেশের [[উপজাতি|উপজাতীয়]] অঞ্চল বাদ দিয়ে সারা বিশ্বে এই মতবাদের আধিপত্য।<ref name="Adams2">[http://www.britannica.com/eb/article-38030/classification-of-religions C.J. ''Classification of religions: Geographical''. Encyclopædia Britannica, 2007]. Accessed: 15 May 2013</ref>


== ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহের তালিকা ==
== ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহের তালিকা ==

১০:৫৯, ১৯ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইহুদিদের ডেভিড বা দাউদের তারকা (উপরে), খ্রীস্টান ক্রুস (মাঝে), ইসলামের চাঁদ ও তারা (নিচে)

ইব্রাহিমীয় ধর্ম বা আব্রাহামীয় ধর্ম (ইংরেজি: Abrahamic Religion) বলতে একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোকে বোঝানো হয়, যাদের মধ্যে আব্রাহাম বা ইব্রাহিমের সাথে সম্পর্কিত ধর্মীয় উৎপত্তি[১] অথবা ধর্মীয় ইতিহাসগত ধারাবাহিকতা বিদ্যমান।[২][৩][৪] এইসব ধর্ম তিনি বা তার বংশধর প্রচার করেছেন। ভারত, চীন, জাপান ইত্যাদি দেশের উপজাতীয় অঞ্চল বাদ দিয়ে সারা বিশ্বে এই মতবাদের আধিপত্য।[৫]

ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহের তালিকা

সূচনালগ্ন অনুসারে ক্রমবিন্যাস করলে প্রধান তিনটি ইব্রাহিমীয় ধর্ম হচ্ছে- ইহুদী ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, এবং ইসলাম[৬]

ইহুদি ধর্ম

ইহুদী ধর্মানুসারীরা নিজেদেরকে আব্রাহামের (ইব্রাহিমের) পৌত্র যাকোব (ইয়াকুব)-এর উত্তরপুরুষ বলে মনে করেন। এই ধর্ম কঠোরভাবে একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তাদের মূল ধর্মীয় বিধান বা হালাখা অনুসারে, এই ধর্মের অন্তর্গত সকল শাখার মূলগত ধর্মগ্রন্থ একটিই- তোরাহ বা তানাখ বা তাওরাত বা হিব্রু বাইবেল। ইহুদীদের ইতিহাসজুড়ে বিভিন্ন ধর্মসংশ্লিষ্ট পন্ডিত ব্যক্তি ইহুদী ধর্মের মূল মত নির্দিষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রস্তাব করেন, যাদের সবগুলোই বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে যায়। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা বলে Maimonides প্রদত্ত "বিশ্বাসের তেরোটি নীতি" স্বীকৃত, যা দ্বাদশ শতকে প্রদত্ত হয়। অর্থোডক্স ইহুদী এবং রক্ষণশীল ইহুদী মতে, মোশি (মুসা) সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী সত্য; তিনি পূর্বতন বা পরবর্তী সকল নবী তথা প্রেরিতপুরুষের নেতৃত্বস্থানীয়।

খ্রিস্ট ধর্ম

খ্রিস্টধর্ম সূচিত হয় ইহুদী ধর্মের একটি শাখা হিসাবে। এর উৎপত্তি ভূমধ্যসাগরীয় উপত্যকায়, খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে। পরবর্তীতে এটি পৃথক বিশ্বাস এবং ধর্মাচরণযুক্ত আলাদা ধর্ম হিসাবে বিস্তৃত হয়। খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম যিশু (ঈসা)- প্রায় সকল মতেই তাকে ঐশ্বরিক বলে মনে করা হয়। খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদ মতানুযায়ী যিশু ঐশ্বরিক তিন চরিত্রের একজন। খ্রিস্টীয় বাইবেল খ্রিস্টধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত; তবে এক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত কিছু মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, যেমনঃ- রোমান ক্যাথলিক মত এবং পূর্বস্থিত অর্থোডক্স মত।

ইসলাম ধর্ম

ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা। যিনি নিজের ইচ্ছাকে স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ করে দেন এবং নিজের ইচ্ছায় জীবন পরিচালিত না করে স্রষ্টার দেয়া বিধি-নিষেধ মেনে চলেন তিনিই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর ইসলামের অনুসারীদেরকে আরবীতে বলা হয় মুসলিম

পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম আঃ হতেই ইসলাম ধর্মের শুরু। হযরত আদম (এডাম) ইসলামের প্রথম নবী । আল্লাহ মানবজাতিকে পথপ্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবীরাসূল (বার্তাবাহক) প্রেরণ করেছেন। আর ইসলামী ইতিহাসবেত্তাদের মতানুযায়ী এসব বার্তাবাহকের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ চব্বিশ হাজার।

এরই ধারাবাহিকতায় ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেয়া এই ধর্মের সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী হলেন হযরত মোহাম্মদ (সঃ)।

ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো: আল্লাহ'র কোনো অংশীদার নেই এবং মুহাম্মদ (স:) হলেন আল্লাহর বান্দা ও একজন রাসূল। এই ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হলো কুরআন, আর কুরআনে আল্লাহ মানবজাতির চলার পথকে সংক্ষেপে ব্যক্ত করেছেন। আর তাই কুরআন হলো পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে অনুবাদ অযোগ্য বই। তাই এই কুরআনের ব্যাখ্যায় দ্বারস্থ হতে হয় সহীহ বা যাচাইকৃত হাদিস সংকলনসমূহের উপর।

এই ধর্মের উল্লেখযোগ্য দিক হলো পবিত্র কুরআনে মানবজীবনের সমস্ত দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পারিবারিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন থেকে শুরু করে সমস্ত সমস্যার সমাধান দেয়া হয়েছে এই গ্রন্থে এবং পরবর্তীতে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের মানদন্ডও দিয়ে দেয়া হয়েছে এই ধর্মে।ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ (সঃ)।ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম।ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মুসলমান বলা হয়।মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সাধারণত দুইটি।

তথ্যসূত্র

  1. "Philosophy of Religion"Encyclopædia Britannica। ২০১০। ২১ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১০ 
  2. Massignon 1949, পৃ. 20–23
  3. Smith 1998, পৃ. 276
  4. Derrida 2002, পৃ. 3
  5. C.J. Classification of religions: Geographical. Encyclopædia Britannica, 2007. Accessed: 15 May 2013
  6. *"Why "Abrahamic"?"। Lubar Institute for Religious Studies at U of Wisconsin। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১২