রমেশ চন্দ্র মিত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৩ নং লাইন: ৩৩ নং লাইন:


==কৃতিত্ব==
==কৃতিত্ব==
রমেশ চন্দ্র সম্মানের সাথে বিচারপতির কাজ করেছেন প্রায় কুড়ি বছর। তিনি ১৮৮৭ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে]]<nowiki/>র ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন। ১৮৮৩ সালে আদালত অবমাননার মামলায় রাষ্ট্রগুরু [[সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়]]<nowiki/>কে সাজা দেওয়ার সময় অন্যান্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ইংরেজ বিচারপতির সাথে মতানৈক্য প্রকাশ করেছিলেন। [[রিপন কলেজ|রিপন কলেজে]]<nowiki/>র উন্নতি, শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার করে জনপ্রিয় হন। 'এজ অফ কনসেন্ট' বিলের বিরোধীতা করেছিলেন তিনি। [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস]] দলে যোগ দিয়ে ১৮৯৬ সালে কলকাতা অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হন। [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] শাস্ত্রের অধ্যাপনার জন্যে [[কলকাতা]]<nowiki/>র [[ভবানীপুর (কলকাতা)|ভবানীপুরে]] প্রতিষ্ঠা করেন চতুষ্পাঠী।<ref name=":0" /> তিনি তাঁর জন্মস্থানে বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে একটি বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ হতে এটি তাঁর নামে অর্থাৎ [[বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন]] নামে পরিচিত হয়।
রমেশ চন্দ্র সম্মানের সাথে বিচারপতির কাজ করেছেন প্রায় কুড়ি বছর। তিনি ১৮৮৭ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে]]<nowiki/>র ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন। ১৮৮৩ সালে আদালত অবমাননার মামলায় রাষ্ট্রগুরু [[সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়]]<nowiki/>কে সাজা দেওয়ার সময় অন্যান্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ইংরেজ বিচারপতির সাথে মতানৈক্য প্রকাশ করেছিলেন। [[রিপন কলেজ|রিপন কলেজে]]<nowiki/>র উন্নতি, শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার করে জনপ্রিয় হন। 'এজ অফ কনসেন্ট' বিলের বিরোধীতা করেছিলেন তিনি। [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস]] দলে যোগ দিয়ে ১৮৯৬ সালে কলকাতা অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হন। [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] শাস্ত্রের অধ্যাপনার জন্যে [[কলকাতা]]<nowiki/>র [[ভবানীপুর (কলকাতা)|ভবানীপুরে]] প্রতিষ্ঠা করেন চতুষ্পাঠী।<ref name=":0" /> তিনি তাঁর জন্মস্থানে বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে একটি বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ হতে এটি তাঁর নামে অর্থাৎ [[বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন]] নামে পরিচিত হয়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম =B.S.R.I|ইউআরএল =http://wikimapia.org/1277283/B-S-R-I}}</ref>


==সম্মান==
==সম্মান==

০৯:৫৪, ১৬ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রমেশ চন্দ্র মিত্র
জন্ম১৮৪০
মৃত্যু১৩ জুলাই, ১৮৯৯
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত
পরিচিতির কারণআইনবিদ, বিচারক, সমাজসেবী

রমেশ চন্দ্র মিত্র (১৮৪০- ১৩ জুলাই, ১৮৯৯) ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বাঙালি বিচারপতি ও খ্যাতনামা সমাজসেবী।[১]

প্রারম্ভিক জীবন

রমেশ চন্দ্র মিত্র ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার রাজারহাট-বিষ্ণুপুরে জন্মগ্রহণ করেন, তার পিতার নাম ছিল রামচন্দ্র মিত্র। হেয়ার স্কুলপ্রেসিডেন্সী কলেজে শিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি। বি এ ও বি এল পাশ করে ২১ বছর বয়েসে ওকালতি শুরু করেন সদর দেওয়ানী আদালতে। বিচারপতি অনুকূল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর কলকাতা হাইকোর্টে তার স্থলাভিসিক্ত হন তিনি। উচ্চপদস্থ ইংরেজ রাজপুরুষরা বিচারপতি মিত্রের আইন জ্ঞান ও রায়কে কদর করতেন।[২]

কৃতিত্ব

রমেশ চন্দ্র সম্মানের সাথে বিচারপতির কাজ করেছেন প্রায় কুড়ি বছর। তিনি ১৮৮৭ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন। ১৮৮৩ সালে আদালত অবমাননার মামলায় রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাজা দেওয়ার সময় অন্যান্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ইংরেজ বিচারপতির সাথে মতানৈক্য প্রকাশ করেছিলেন। রিপন কলেজের উন্নতি, শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার করে জনপ্রিয় হন। 'এজ অফ কনসেন্ট' বিলের বিরোধীতা করেছিলেন তিনি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলে যোগ দিয়ে ১৮৯৬ সালে কলকাতা অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হন। সংস্কৃত শাস্ত্রের অধ্যাপনার জন্যে কলকাতাভবানীপুরে প্রতিষ্ঠা করেন চতুষ্পাঠী।[২] তিনি তাঁর জন্মস্থানে বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে একটি বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ হতে এটি তাঁর নামে অর্থাৎ বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন নামে পরিচিত হয়। [৩]

সম্মান

তার কৃতিত্বের জন্যে তাকে নাইট উপাধি প্রদান করা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. Dr. GIRIJA K. MOOKERJEE। "SUBHASH CHANDRA BOSE"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারী ২০১৮ 
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪৬১। 
  3. "B.S.R.I"