অক্সিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব যোগ
অনুবাদ
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
== অক্সিনের কাজ ==
== অক্সিনের কাজ ==


=== [1]. বৃদ্ধিনিয়ন্ত্রণ :- ===
=== []. বৃদ্ধিনিয়ন্ত্রণ :- ===
অক্সিন প্রধানত উদ্ভদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে । এছাড়া অক্সিনের প্রভাবে :
অক্সিন প্রধানত উদ্ভদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে । এছাড়া অক্সিনের প্রভাবে :


২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:
(iv) কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, ফলে উদ্ভিদের সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটে ।
(iv) কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, ফলে উদ্ভিদের সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটে ।


=== [2]. ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ :- ===
=== []. ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ :- ===
অক্সিন উদ্ভিদের ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করে । অক্সিন আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বেশি মাত্রায় সঞ্চিত হয়ে ওই অঞ্চলের কোশগুলির দ্রুত বিভাজন ঘটায়, ফলে উদ্ভিদের কান্ড আলোর উৎসের দিকে বেঁকে যায় । উদ্ভিদের মুল স্বল্প অক্সিনে বেশি অনুভূতিশীল হওয়ায় আলোর উত্সের দিকের কোশগুলি দ্রুত বিভাজিত হয়, ফলে মূল আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায় ।
অক্সিন উদ্ভিদের ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করে । অক্সিন আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বেশি মাত্রায় সঞ্চিত হয়ে ওই অঞ্চলের কোশগুলির দ্রুত বিভাজন ঘটায়, ফলে উদ্ভিদের কান্ড আলোর উৎসের দিকে বেঁকে যায় । উদ্ভিদের মুল স্বল্প অক্সিনে বেশি অনুভূতিশীল হওয়ায় আলোর উত্সের দিকের কোশগুলি দ্রুত বিভাজিত হয়, ফলে মূল আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায় ।


=== [3]. অঙ্গমোচন রোধ:- ===
=== []. অঙ্গমোচন রোধ:- ===
অক্সিন উদ্ভিদের অপরিণত অঙ্গের (পাতা, মুকুল, ফুল, ফল ইত্যাদি) অকাল পতন রোধ করে ।
অক্সিন উদ্ভিদের অপরিণত অঙ্গের (পাতা, মুকুল, ফুল, ফল ইত্যাদি) অকাল পতন রোধ করে ।


=== [4]. অঙ্গ বিভেদ নিয়ন্ত্রণ:- ===
=== []. অঙ্গ বিভেদ নিয়ন্ত্রণ:- ===
লঘু ঘনত্বের অক্সিন উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের, যেমন মূল, কান্ড, পাতা, ফুল, ফল ইত্যাদির পরিস্ফুটন ঘটায় । এইভাবে অক্সিন উদ্ভিদের ফল ও বীজ গঠনেও সাহায্য করে ।<ref name="shaping">{{cite journal |author=Friml J |title=Auxin transport — shaping the plant |journal=Current Opinion in Plant Biology |volume=6 |issue=1 |pages=7–12 |date=February 2003 |pmid=12495745 |doi=10.1016/S1369526602000031}}</ref>
লঘু ঘনত্বের অক্সিন উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের, যেমন মূল, কান্ড, পাতা, ফুল, ফল ইত্যাদির পরিস্ফুটন ঘটায় । এইভাবে অক্সিন উদ্ভিদের ফল ও বীজ গঠনেও সাহায্য করে ।<ref name="shaping">{{cite journal |author=Friml J |title=Auxin transport — shaping the plant |journal=Current Opinion in Plant Biology |volume=6 |issue=1 |pages=7–12 |date=February 2003 |pmid=12495745 |doi=10.1016/S1369526602000031}}</ref>


=== [5]. ফলের পরিস্ফুটন:- ===
=== []. ফলের পরিস্ফুটন:- ===
অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই ডিম্বাশয়টি ফলে পরিণত হয়, ফলে বীজহীন ফল সৃষ্টি হয় । অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই বীজ বিহীন ফল সৃষ্টি হওয়ায় এই পদ্ধতিকে পার্থেনোকার্পি বলে ।
অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই ডিম্বাশয়টি ফলে পরিণত হয়, ফলে বীজহীন ফল সৃষ্টি হয় । অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই বীজ বিহীন ফল সৃষ্টি হওয়ায় এই পদ্ধতিকে পার্থেনোকার্পি বলে ।


=== [6] উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণ:- ===
=== [] উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণ:- ===
উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণে অক্সিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে ।
উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণে অক্সিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে ।


৩৯ নং লাইন: ৩৯ নং লাইন:
প্রাকৃতিক অক্সিন তিন রকমের হয় , যথা
প্রাকৃতিক অক্সিন তিন রকমের হয় , যথা


[1] অক্সিন(এ)রাসায়নিক সংকেতটি হলো <chem>C18H32O5</chem> .
[] অক্সিন(এ)রাসায়নিক সংকেতটি হলো <chem>C18H32O5</chem> .


[2]অক্সিন(বি)রাসায়নিক সংকেতটি হলো <chem>C18H30O4</chem>.
[]অক্সিন(বি)রাসায়নিক সংকেতটি হলো <chem>C18H30O4</chem>.


[3] হেটারোঅক্সিন রাসায়নিক সংকেতটি হলো <chem>C10H9O2N</chem> .
[] হেটারোঅক্সিন রাসায়নিক সংকেতটি হলো <chem>C10H9O2N</chem> .


== অক্সিনের ব্যবহারিক প্রয়োগ ==
== অক্সিনের ব্যবহারিক প্রয়োগ ==
কৃষিকার্যে অক্সিন হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগ হল :
কৃষিকার্যে অক্সিন হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগ হল :


[1] বীজহীন ফল উত্পাদন:- বীজহীন ফল (টম্যাটো, বেগুন, লঙ্কা, লাউ, কুমড়ো, পেঁপে, তরমুজ আঙ্গুর প্রভৃতি) উত্পাদনের জন্য অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।
[] বীজহীন ফল উত্পাদন:- বীজহীন ফল (টম্যাটো, বেগুন, লঙ্কা, লাউ, কুমড়ো, পেঁপে, তরমুজ আঙ্গুর প্রভৃতি) উত্পাদনের জন্য অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।


[2] কলম তৈরি:- শাখা কলমের সাহায্যে বংশ বিস্তারের জন্য নানান ফুল ও ফলের গাছে অক্সিন প্রয়োগ করে দ্রুত সৃষ্টি করা হয় ।
[] কলম তৈরি:- শাখা কলমের সাহায্যে বংশ বিস্তারের জন্য নানান ফুল ও ফলের গাছে অক্সিন প্রয়োগ করে দ্রুত সৃষ্টি করা হয় ।


[3] আগাছা দমন:- চাষের খেতে আগাছা দমনের জন্য কৃত্রিম অক্সিন [২,৪-ডি] ব্যবহার করা হয় ।<CENTER><gallery caption="অক্সিন">
[] আগাছা দমন:- চাষের খেতে আগাছা দমনের জন্য কৃত্রিম অক্সিন [২,৪-ডি] ব্যবহার করা হয় ।<CENTER><gallery caption="অক্সিন">
চিত্র:2,4-Dichlorophenoxyacetic acid structure.svg|২,৪-ডি
চিত্র:2,4-Dichlorophenoxyacetic acid structure.svg|২,৪-ডি
</gallery></CENTER>
</gallery></CENTER>
[4] অকাল পতন রোধ:- পাতা, ফুল ও ফলের মোচন অর্থাৎ ঝরে পড়া রোধ করার জন্য কৃত্রিম অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।
[] অকাল পতন রোধ:- পাতা, ফুল ও ফলের মোচন অর্থাৎ ঝরে পড়া রোধ করার জন্য কৃত্রিম অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।

[] ক্ষত নিরাময়:- উদ্ভিদ-অঙ্গ (প্রধানত ডালপালা ) ছাঁটার পর ওই অঞ্চলের ক্ষতস্থান পূরণের জন্য কৃত্রিম অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।


[5] ক্ষত নিরাময়:- উদ্ভিদ-অঙ্গ (প্রধানত ডালপালা ) ছাঁটার পর ওই অঞ্চলের ক্ষতস্থান পূরণের জন্য কৃত্রিম অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
{{reflist}}


[[বিষয়শ্রেণী:উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব]]

২০:০৭, ২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নেটিভ অক্সিনস
Skeletal structure diagram
ইন্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড.সমস্ত অক্সিন কার্বোক্সিলিক অ্যাসিড গ্রুপ.[১]

অক্সিন উদ্ভিদদেহের প্রধান বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন । এই হরমোন হেটরো-অক্সিন নামেও পরিচিত । এর রাসায়নিক নাম ইন্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড বা আইএএ ।অক্সিনের রাসায়নিক সংকেতটি হলো ( )। অক্সিন ভাজক কলার কোশ থেকে উৎপন্ন হয়ে ফ্লোয়েম কলা দিয়ে নিম্নে অভিমুখে পরিবাহিত হয়। অক্সিনের ক্রিয়া অন্ধকারই ভালো হয় ।অক্সিন ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে সংশ্লেষিত হয়।

সংজ্ঞা

উদ্ভিদের কান্ড ও মূলের অগ্রভাগ, মুকুলাবরণী, বর্ধনশীল পাতার কোশ ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন নাইট্রোজেন ঘটিত যেসব জৈব অ্যাসিড উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের একসঙ্গে অক্সিন বলে । যথা : ইন্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড [আইএএ] প্রভৃতি ।

অক্সিনের উৎসস্থল

অক্সিন উদ্ভিদের অগ্রস্থ ভাজক কলায়, বিশেষ করে কান্ডের অগ্রভাগ, ভ্রূণমুকুলাবরণী বা কোলিওপটাইল, ভ্রূণ ও কচিপাতা বা বর্ধনশীল পাতার কোশে উৎপন্ন হয় ।

অক্সিনের কাজ

[১]. বৃদ্ধিনিয়ন্ত্রণ :-

অক্সিন প্রধানত উদ্ভদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে । এছাড়া অক্সিনের প্রভাবে :

(i) উদ্ভিদ কোশ বিভাজিত হয় ।

(ii) কোশ আয়তনে প্রসারিত হয় ।

(iii) ক্যাম্বিয়ামের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায় ।

(iv) কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়, ফলে উদ্ভিদের সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটে ।

[২]. ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ :-

অক্সিন উদ্ভিদের ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করে । অক্সিন আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বেশি মাত্রায় সঞ্চিত হয়ে ওই অঞ্চলের কোশগুলির দ্রুত বিভাজন ঘটায়, ফলে উদ্ভিদের কান্ড আলোর উৎসের দিকে বেঁকে যায় । উদ্ভিদের মুল স্বল্প অক্সিনে বেশি অনুভূতিশীল হওয়ায় আলোর উত্সের দিকের কোশগুলি দ্রুত বিভাজিত হয়, ফলে মূল আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায় ।

[৩]. অঙ্গমোচন রোধ:-

অক্সিন উদ্ভিদের অপরিণত অঙ্গের (পাতা, মুকুল, ফুল, ফল ইত্যাদি) অকাল পতন রোধ করে ।

[৪]. অঙ্গ বিভেদ নিয়ন্ত্রণ:-

লঘু ঘনত্বের অক্সিন উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের, যেমন মূল, কান্ড, পাতা, ফুল, ফল ইত্যাদির পরিস্ফুটন ঘটায় । এইভাবে অক্সিন উদ্ভিদের ফল ও বীজ গঠনেও সাহায্য করে ।[২]

[৫]. ফলের পরিস্ফুটন:-

অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই ডিম্বাশয়টি ফলে পরিণত হয়, ফলে বীজহীন ফল সৃষ্টি হয় । অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই বীজ বিহীন ফল সৃষ্টি হওয়ায় এই পদ্ধতিকে পার্থেনোকার্পি বলে ।

[৬] উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণ:-

উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণে অক্সিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে ।

প্রাকৃতিক অক্সিন

প্রাকৃতিক অক্সিন তিন রকমের হয় , যথা

[১] অক্সিন(এ)রাসায়নিক সংকেতটি হলো .

[২]অক্সিন(বি)রাসায়নিক সংকেতটি হলো .

[৩] হেটারোঅক্সিন রাসায়নিক সংকেতটি হলো .

অক্সিনের ব্যবহারিক প্রয়োগ

কৃষিকার্যে অক্সিন হরমোনের ব্যবহারিক প্রয়োগ হল :

[১] বীজহীন ফল উত্পাদন:- বীজহীন ফল (টম্যাটো, বেগুন, লঙ্কা, লাউ, কুমড়ো, পেঁপে, তরমুজ আঙ্গুর প্রভৃতি) উত্পাদনের জন্য অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।

[২] কলম তৈরি:- শাখা কলমের সাহায্যে বংশ বিস্তারের জন্য নানান ফুল ও ফলের গাছে অক্সিন প্রয়োগ করে দ্রুত সৃষ্টি করা হয় ।

[৩] আগাছা দমন:- চাষের খেতে আগাছা দমনের জন্য কৃত্রিম অক্সিন [২,৪-ডি] ব্যবহার করা হয় ।

[৪] অকাল পতন রোধ:- পাতা, ফুল ও ফলের মোচন অর্থাৎ ঝরে পড়া রোধ করার জন্য কৃত্রিম অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।

[৫] ক্ষত নিরাময়:- উদ্ভিদ-অঙ্গ (প্রধানত ডালপালা ) ছাঁটার পর ওই অঞ্চলের ক্ষতস্থান পূরণের জন্য কৃত্রিম অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।

তথ্যসূত্র

  1. Taiz, L.; Zeiger, E. (১৯৯৮)। Plant Physiology (2nd সংস্করণ)। Massachusetts: Sinauer Associates। 
  2. Friml J (ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Auxin transport — shaping the plant"। Current Opinion in Plant Biology6 (1): 7–12। ডিওআই:10.1016/S1369526602000031পিএমআইডি 12495745