মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jatina143 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Jatina143 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}


{{ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন}}সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৬৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
{{ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন}}
ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮১।

[[বিষয়শ্রেণী:১৯১৫-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯১৫-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩৩-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩৩-এ মৃত্যু]]

০৮:৪৮, ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত
চিত্র:মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত.jpeg
মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত
জন্ম২৭ অক্টোবর, ১৯১৫
মৃত্যু৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন


               মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত ইনি বার্জ হত্যার দ্বিতীয় তরুণ যুবক, বার্জ হত্যার পরের দিন হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মৃগেন্দ্রনাথ। মৃগেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম হয়েছিল ২৭ অক্টোবর ১৯১৫ সালে মেদিনীপুর জেলার পাহাড়িপুরে। তার পিতার নাম ছিল বেণীমাধব দত্ত। মৃগেন্দ্রনাথ মেদিনীপুর টাউন স্কুলের ছাত্র ছিলেন। পরে তিনি গোপন বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলে যোগদান করেন ও দলের সক্রিয় সদস্যও ছিলেন। এদিকে পেডি ও ডগলাস বিপ্লবীদের হাতে নিহত হয়েছেন। পেডি ও ডগলাস নিহত হবার পর বার্জকে মেদিনীপুরের  ম্যাজিস্ট্রেট বানানো হয়।
                মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত ও তার সাথীরা একসময় ম্যাজিস্ট্রেট বার্জকে হত্যা করার দায়িত্ব পান। কারন বার্জ সাহেব বিপ্লবীদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লবীদের ওপর নানা অত্যাচার ও দেশের মানুষের নির্যাতন, যে করেই হোক বার্জকে পৃথিবী থেকে সরাতেই হবে। মৃগেন্দ্রানাথ দত্ত বাদে আরো চার জন তরুণ যুবক ছিল। তারা হলেন-- ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ ও অনাথবন্ধু পাঁজা। ১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। 
                মৃগেন্দ্রনাথ ও তার সঙ্গী অনাথবন্ধু পাঁজা খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে বার্জ সাহেব মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তারা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।
                মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত ঘটনাস্থলে মারা যান নি। অনাথবন্ধু পাঁজা সেখানেই মারা যান। পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ সালে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। একের পর এক বলিদানের কারনে অগ্নিযুগের তরুণরা স্বাধীনতার স্বপ্নে আত্মহারা হয়েছিল।

(তথ্যসূত্র সংগৃহীত কপি)

লিখেছেন

প্রকাশ রায়

তথ্যসূত্র

সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৬৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬

ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮১।