সেপালা আত্তিগাল্লে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪৮ নং লাইন: | ৪৮ নং লাইন: | ||
সেপালা আত্তিগাল্লে ১৯৪০ সালে যুক্তরাজ্যের স্যান্ডহার্স্ট সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গমন করেন এবং ১৯৪২ সালে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে বের হন কেন্দ্র থেকে, তাকে [[শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী হাল্কা পদাতিক রেজিমেন্ট]]ে কমিশন দেওয়া হয়, তিনি [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]]ে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন তিনি ক্যাপ্টেন হন, ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত মেজর ছিলেন।<ref name="i1">{{cite news |title=From Captain to Army Commander — Sepala Attygalle’s illustrious career |url=http://www.island.lk/2001/01/17/news05.html |accessdate=3 July 2020 |publisher=Island}}</ref> |
সেপালা আত্তিগাল্লে ১৯৪০ সালে যুক্তরাজ্যের স্যান্ডহার্স্ট সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গমন করেন এবং ১৯৪২ সালে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে বের হন কেন্দ্র থেকে, তাকে [[শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী হাল্কা পদাতিক রেজিমেন্ট]]ে কমিশন দেওয়া হয়, তিনি [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]]ে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন তিনি ক্যাপ্টেন হন, ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত মেজর ছিলেন।<ref name="i1">{{cite news |title=From Captain to Army Commander — Sepala Attygalle’s illustrious career |url=http://www.island.lk/2001/01/17/news05.html |accessdate=3 July 2020 |publisher=Island}}</ref> |
||
১৯৪৯ সালে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী গঠিত হলে সেপালা লেফটেন্যান্ট হিসেবে একটি পদাতিক ব্যাটেলিয়নে যোগ দেন, এবং খুব দ্রুত তার মেজর পর্যন্ত পদবীগুলো স্থায়ী করা হয়। ১৯৫১ সালে তিনি লেঃ কর্নেল হিসেবে শ্রীলঙ্কা হাল্কা পদাতিক |
১৯৪৯ সালে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী গঠিত হলে সেপালা লেফটেন্যান্ট হিসেবে একটি পদাতিক ব্যাটেলিয়নে যোগ দেন, এবং খুব দ্রুত তার মেজর পর্যন্ত পদবীগুলো স্থায়ী করা হয়। ১৯৫১ সালে তিনি লেঃ কর্নেল হিসেবে শ্রীলঙ্কা হাল্কা পদাতিক রেজিমেন্টের একটি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর জন্য সাঁজোয়া রেজিমেন্ট গঠন করেন, এবং ১ম সাঁজোয়া রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দেন, এ সময় তিনি [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী]]র সাহায্য নিয়েছিলেন কিছুটা। সেপালা '৫৬ সালে পূর্ণ কর্নেল এবং '৬২ সালে ব্রিগেডিয়ার হন; '৬৭ সালে হন মেজর-জেনারেল। মেজর জেনারেল হিসেবে তিনি [[সেনাবাহিনী প্রধান (শ্রীলঙ্কা)|শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর প্রধান]] হন এবং তিনি শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেন। নতুন নতুন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় জেনারেল সেপালার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় [[সিরিমাভো বন্দরনায়েকে]]র সরকার দ্বারা হয়ে যায়।<ref>{{cite web |title=HISTORY OF THE 1st RECONNAISSANCE REGIMENT SRI LANKA ARMOURED CORPS |url=https://alt.army.lk/slac/1slac |website=army.lk |publisher=Sri Lanka Army |accessdate=3 July 2020}}</ref> ১৯৭৪ সালে সেপালা লেঃ জেনারেল হন এবং তাকে [[জাফনা]] অঞ্চলের কোর অধিনায়ক করা হয় তবে তিনি কোর অধিনায়কের কার্যালয়ে বেশি একটা বসতেন না; [[শ্রীলঙ্কা মিলিটারি একাডেমি]] জেনারেল সেপালাই উদ্বোধন করেছিলেন, তার পরিকল্পনাতেই সৈনিক এবং কর্মকর্তাদের এক্ত্র প্রশিক্ষণকেন্দ্রকে 'মিলিটারি একাডেমী' বা ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হয়। ১৯৭৭ সালে অবসরের আগে সেপালা পূর্ণ জেনারেল পদ পান এবং তিনি সেনাপ্রধান থাকাকালীন শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর অধীনস্ত ফরমেশন ব্রিগেড থেকে কোরে রূপান্তরিত করে দেন, গঠিত হয় নতুন নতুন পদাতিক ডিভিশন। |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
{{ সূত্র তালিকা }} |
{{ সূত্র তালিকা }} |
০৬:৪৪, ২৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জেনারেল সেপালা আত্তিগাল্লে রাজকীয় ভিক্টরিয় অর্ডার | |
---|---|
জন্ম | ১৪ অক্টোবর ১৯২১ |
মৃত্যু | ১৫ জানুয়ারী ২০০১ |
আনুগত্য | শ্রীলঙ্কা |
সেবা/ | |
কার্যকাল | ১৯৪২-১৯৪৮ ১৯৪৮-১৯৭৭ |
পদমর্যাদা | জেনারেল |
সার্ভিস নম্বর | ০/৫০০১০ |
ইউনিট |
|
নেতৃত্বসমূহ |
|
যুদ্ধ/সংগ্রাম |
|
পুরস্কার |
|
অন্য কাজ | অসামরিক প্রতিরক্ষা সচিব (শ্রীলঙ্কা), যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত |
সেপালা আত্তিগাল্লে (১৯২১-২০০১) শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ছিলেন। ১৯৬৭ সালে তিনি মেজর-জেনারেল হিসেবে শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান পদ পান এবং ১৯৭৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন পূর্ণ জেনারেল হিসেবে, ১৯৭৪ সালে তাকে লেঃ জেনারেল পদবী দেওয়া হয়, তিনিই ছিলেন শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম লেঃ জেনারেল এবং প্রথম ভারপ্রাপ্ত পূর্ণ জেনারেল।[১] শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া রেজিমেন্ট জেনারেল সেপালার হাত ধরেই গঠিত হয়েছিলো।
সামরিক জীবন
সেপালা আত্তিগাল্লে ১৯৪০ সালে যুক্তরাজ্যের স্যান্ডহার্স্ট সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গমন করেন এবং ১৯৪২ সালে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে বের হন কেন্দ্র থেকে, তাকে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী হাল্কা পদাতিক রেজিমেন্টে কমিশন দেওয়া হয়, তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন তিনি ক্যাপ্টেন হন, ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত মেজর ছিলেন।[২]
১৯৪৯ সালে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী গঠিত হলে সেপালা লেফটেন্যান্ট হিসেবে একটি পদাতিক ব্যাটেলিয়নে যোগ দেন, এবং খুব দ্রুত তার মেজর পর্যন্ত পদবীগুলো স্থায়ী করা হয়। ১৯৫১ সালে তিনি লেঃ কর্নেল হিসেবে শ্রীলঙ্কা হাল্কা পদাতিক রেজিমেন্টের একটি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর জন্য সাঁজোয়া রেজিমেন্ট গঠন করেন, এবং ১ম সাঁজোয়া রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দেন, এ সময় তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়েছিলেন কিছুটা। সেপালা '৫৬ সালে পূর্ণ কর্নেল এবং '৬২ সালে ব্রিগেডিয়ার হন; '৬৭ সালে হন মেজর-জেনারেল। মেজর জেনারেল হিসেবে তিনি শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর প্রধান হন এবং তিনি শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেন। নতুন নতুন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় জেনারেল সেপালার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সিরিমাভো বন্দরনায়েকের সরকার দ্বারা হয়ে যায়।[৩] ১৯৭৪ সালে সেপালা লেঃ জেনারেল হন এবং তাকে জাফনা অঞ্চলের কোর অধিনায়ক করা হয় তবে তিনি কোর অধিনায়কের কার্যালয়ে বেশি একটা বসতেন না; শ্রীলঙ্কা মিলিটারি একাডেমি জেনারেল সেপালাই উদ্বোধন করেছিলেন, তার পরিকল্পনাতেই সৈনিক এবং কর্মকর্তাদের এক্ত্র প্রশিক্ষণকেন্দ্রকে 'মিলিটারি একাডেমী' বা ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হয়। ১৯৭৭ সালে অবসরের আগে সেপালা পূর্ণ জেনারেল পদ পান এবং তিনি সেনাপ্রধান থাকাকালীন শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর অধীনস্ত ফরমেশন ব্রিগেড থেকে কোরে রূপান্তরিত করে দেন, গঠিত হয় নতুন নতুন পদাতিক ডিভিশন।
তথ্যসূত্র
- ↑ Last post for two Generals ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে
- ↑ "From Captain to Army Commander — Sepala Attygalle's illustrious career"। Island। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "HISTORY OF THE 1st RECONNAISSANCE REGIMENT SRI LANKA ARMOURED CORPS"। army.lk। Sri Lanka Army। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০।