প্রকৃতি-প্রত্যয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2401:4900:314F:E89E:0:6:1A5F:EA01-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
নতুন গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করা হল।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৩ নং লাইন: ৩৩ নং লাইন:
:চল্ + অন্ত = চলন্ত
:চল্ + অন্ত = চলন্ত
:জম্ + আ = জমা
:জম্ + আ = জমা
:দোল্+ অন= দোলন
:নাচ+ অন = নাচন
:মিশ্+আল= মিশাল
:বচ্+ক্তি= উক্তি
:মুচ্+ ক্তি=মুক্তি
:


*বাংলা শব্দ গঠনে দুই প্রকার প্রত্যয় পাওয়া যায়। যেমন : তদ্ধিত প্রত্যয় ও কৃৎপ্রত্যয়।
*বাংলা শব্দ গঠনে দুই প্রকার প্রত্যয় পাওয়া যায়। যেমন : তদ্ধিত প্রত্যয় ও কৃৎপ্রত্যয়।
৫১ নং লাইন: ৫৭ নং লাইন:
:উপ+হার= উপহার (পরিতোষিক),
:উপ+হার= উপহার (পরিতোষিক),
:পরি+হার=পরিহার (বর্জন) ইত্যাদি।
:পরি+হার=পরিহার (বর্জন) ইত্যাদি।
*বাংলা উপসর্গ : অ, অনা, অঘা, অজ, আ, আব, নি ইত্যাদি অব্যয় জাতীয় শব্দাংশ বাংলা উপসর্গ। খাঁটি বাংলা শব্দের আগে এগুলো যুক্ত হয়। যেমন :
*বাংলা উপসর্গ : অ, অনা, অঘা, অজ, আ, আব, নি ইত্যাদি অব্যয় জাতীয় শব্দাংশ বাংলা উপসর্গ। খাঁটি বাংলা শব্দের আগে এগুলো যুক্ত হয়। যেমন :
:অ+কাজ=অকাজ,
:অ+কাজ=অকাজ,
:অনা+ছিষ্টি (সৃষ্টি শব্দজাত)=অনাছিষ্টি ইত্যাদি।
:অনা+ছিষ্টি (সৃষ্টি শব্দজাত)=অনাছিষ্টি ইত্যাদি।

১৭:২৮, ১৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাংলা ব্যাকরণের আলোচনার জন্য পণ্ডিতগণ কিছু পারিভাষিক শব্দ ব্যবহার করেছেন। এ ধরনের প্রয়োজনীয় কিছু পারিভাষিক শব্দের পরিচয় নিম্নে প্রদান করা হলো। পারিভাষিক শব্দগুলো হলো প্রাতিপদিক, সাধিত শব্দ, প্রকৃতি, প্রত্যয়, উপসর্গ, অনুসর্গ ইত্যাদি।

প্রাতিপদিক

বিভক্তিহীন নামশব্দকে প্রাতিপদিক বলে।[১] যেমন : হাত, বই, কলম ইত্যাদি।

সাধিত শব্দ

মৌলিক শব্দ ছাড়া অন্যসব শব্দকে সাধিত শব্দ বলে। যেমন : হাতা, গরমিল, দম্পতি ইত্যাদি। সাধিত শব্দ দুই প্রকার। যেমন : নামশব্দ ও ক্রিয়া।

  • প্রত্যেকটি সাধিত শব্দ বা নামশব্দেরও ক্রিয়ার দুটি অংশ থাকে। যেমন : প্রকৃতি ও প্রত্যয়।

প্রকৃতি

যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে[২] ভাগ করা যায় না তাকে প্রকৃতি বলে । প্রকৃতি দুই প্রকার । যেমন : নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু

  • নাম প্রকৃতি : হাতল, ফুলেল , মুখর - এ শব্দগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই -
হাত+ল=হাতল (বাঁট) ,
ফুল+এল=ফুলেল (ফুলজাত) ও
মুখ+র=মুখর (বাচাল)। হাত, ফুল ও মুখ ইত্যাদি শব্দকে বলা হয় প্রকৃতি বা মূল অংশ। এগুলোর নাম প্রকৃতি ।
  • ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু : আবার চলন্ত , জমা ও লিখিত-শব্দগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই -
চল্+অন্ত=চলন্ত (চলমান) ,
জম্ +আ= জমা (সঞ্চিত) ও
লিখ্+ইত= লিখিত (যা লেখা হয়েছে) । এখানে চল্ , জম্ ও লিখ্ তিনটি ক্রিয়ামূল বা ক্রিয়ার মূল অংশ । এদের বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু

প্রত্যয়

শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে শব্দ বা নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। কয়েকটি শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো :

  • নাম প্রকৃতি প্রত্যয় প্রত্যয়ান্ত শব্দ
হাত + ল = হাতল
ফুল + এল = ফুলেল
মুখ + র = মুখর
  • ক্রিয়া প্রকৃতি প্রত্যয় প্রত্যয়ান্ত শব্দ
চল্ + অন্ত = চলন্ত
জম্ + আ = জমা
দোল্+ অন= দোলন
নাচ+ অন = নাচন
মিশ্+আল= মিশাল
বচ্+ক্তি= উক্তি
মুচ্+ ক্তি=মুক্তি
  • বাংলা শব্দ গঠনে দুই প্রকার প্রত্যয় পাওয়া যায়। যেমন : তদ্ধিত প্রত্যয় ও কৃৎপ্রত্যয়।
  1. তদ্ধিত প্রত্যয়: শব্দমূল বা নাম শব্দের সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। যেমন : হাতল, ফুলেল ও মুখর শব্দের যথাক্রমে ল, এল ও র তদ্ধিত প্রত্যয়।
  2. কৃৎপ্রত্যয়: ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয় তাকে বলে কৃৎপ্রত্যয়। যেমন : চলন্ত, জমা ও লিখিত শব্দের যথাক্রমে অন্ত, আ ও ইত কৃৎপ্রত্যয়।
  3. তদ্ধিতান্ত শব্দ: তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় তদ্ধিতান্ত শব্দ। যেমন : হাতল, ফুলেল ও মুখর।
  4. কৃদন্ত শব্দ: কৃৎপ্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় কৃদন্ত শব্দ। যেমন : চলন্ত, জমা ও লিখিত।

উপসর্গ

শব্দ বা ধাতুর আগে কিছু সুনির্দিষ্ট অব্যয় জাতীয় শব্দাংশ যুক্ত হয়ে সাধিত শব্দের অর্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ ও সংকোচন ঘটিয়ে থাকে। এদের বলা হয় উপসর্গ। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থ না থাকলেও শব্দ বা ধাতুর আগে ব্যবহৃত হলেই অর্থবাচকতা সূচিত হয়। যেমন : 'পরা' একটি উপসর্গ, এর নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। কিন্তু 'জয়' শব্দের আগে যুক্ত হয়ে হলো 'পরাজয়'। এটি জয়ের বিপরীতার্থক। সেই রূপ 'দর্শন' অর্থ দেখা। এর আগে 'প্র' উপসর্গ যুক্ত হয়ে হলো 'প্রদর্শন' অর্থাৎ সম্যকরূপে দর্শন বা বিশেষভাবে দেখা। বাংলা ভাষায় তিন প্রকারের উপসর্গ দেখা যায়। যেমন :

  • সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ : প্র, পরা, অপ-এরূপ বিশটি সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ রয়েছে। তৎসম উপসর্গ তৎসম শব্দ বা ধাতুর আগে ব্যবহৃত হয়[৩]। যেমন,
'পূর্ণ' একটি তৎসম শব্দ। 'পরি' উপসর্গযোগে হয় 'পরিপূর্ণ। হৃ (হর)+ঘঞ='হার'-এ কৃদন্ত শব্দের আগে উপসর্গ যোগ করলে যে রূপ অর্থের পরিবর্তন লক্ষ্যিত হয়
আ+হার= আহার (খাওয়া),
বি+হার=বিহার (ভ্রমণ),
উপ+হার= উপহার (পরিতোষিক),
পরি+হার=পরিহার (বর্জন) ইত্যাদি।
  • বাংলা উপসর্গ : অ, অনা, অঘা, অজ, আ, আব, নি ইত্যাদি অব্যয় জাতীয় শব্দাংশ বাংলা উপসর্গ। খাঁটি বাংলা শব্দের আগে এগুলো যুক্ত হয়। যেমন :
অ+কাজ=অকাজ,
অনা+ছিষ্টি (সৃষ্টি শব্দজাত)=অনাছিষ্টি ইত্যাদি।
  • বিদেশি উপসর্গ : কিছু বিদেশি শব্দ বা শব্দাংশ বাংলা উপসর্গরূপে ব্যবহৃত হয়ে অর্থের বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। বিদেশি উপসর্গ বিদেশি শব্দের সঙ্গেই ব্যবহৃত হয়। যথা : বেহেড, লাপাত্তা, গরহাজির ইত্যাদি।

অনুসর্গ

বাংলা ভাষায় দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, চেয়ে, থেকে, উপরে, পরে, প্রতি, মাঝে, বই, ব্যতীত, অবধি, হেতু, জন্য, কারণ, মতো, তবে ইত্যাদি শব্দ কখনো অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে স্বাধীনভাবে পদরূপে বাক্যে ব্যবহৃত হয় আবার কখনো কখনো শব্দবিভক্তির ন্যায় অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অর্থবৈচিত্র্য ঘটিয়ে থাকে। এদের অনুসর্গ বলা হয়। যেমন : কেবল আমার জন্য তোমার এ দুর্ভোগ।

তথ্যসূত্র

  1. "নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা বাংলা ২য় পত্র"jjdin.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৬ 
  2. "নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা (বাংলা ২য় পত্র)"jjdin.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৬ 
  3. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম দশম শ্রেণী, মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী