যৌনসঙ্গম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
[[চিত্র:Édouard-Henri Avril (13).jpg|280px|thumb|[[মিশনারি আসন|মিশনারি আসনে]] যৌনসঙ্গম, সবচেয়ে প্রচলিত মানব [[sex position|যৌনাসন]],<ref name="Roberts">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Sex|প্রকাশক=Lotus Press|বছর=2006|পাতা=145|আইএসবিএন = 8189093592|সংগ্রহের-তারিখ=August 17, 2012|ইউআরএল=http://books.google.com/?id=zDS9kC03x2IC&pg=PA145&lpg=PA145|লেখক=Keath Roberts|ভাষা=ইংরেজি|ভাষা=ইংরেজি}}</ref><ref name="Weiten, 2008">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Psychology Applied to Modern Life: Adjustment in the 21st Century|আইএসবিএন = 0495553395|প্রকাশক=[[Cengage Learning]]|বছর=2008|পাতাসমূহ=422–423|সংগ্রহের-তারিখ=January 5, 2012|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=Y6QRJb40C84C&pg=PA422&lpg=PA422|লেখক=Wayne Weiten, Margaret A. Lloyd, Dana S. Dunn, Elizabeth Yost Hammer|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> [[Édouard-Henri Avril|এদুয়ার্দ-অঁরি আভরিল]] কর্তৃক অঙ্কিত।]]
[[চিত্র:Édouard-Henri Avril (13).jpg|280px|thumb|[[মিশনারি আসন|মিশনারি আসনে]] যৌনসঙ্গম, সবচেয়ে প্রচলিত মানব [[sex position|যৌনাসন]],<ref name="Roberts">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Sex|প্রকাশক=Lotus Press|বছর=2006|পাতা=145|আইএসবিএন = 8189093592|সংগ্রহের-তারিখ=August 17, 2012|ইউআরএল=http://books.google.com/?id=zDS9kC03x2IC&pg=PA145&lpg=PA145|লেখক=Keath Roberts|ভাষা=ইংরেজি|ভাষা=ইংরেজি}}</ref><ref name="Weiten, 2008">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Psychology Applied to Modern Life: Adjustment in the 21st Century|আইএসবিএন = 0495553395|প্রকাশক=[[Cengage Learning]]|বছর=2008|পাতাসমূহ=422–423|সংগ্রহের-তারিখ=January 5, 2012|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=Y6QRJb40C84C&pg=PA422&lpg=PA422|লেখক=Wayne Weiten, Margaret A. Lloyd, Dana S. Dunn, Elizabeth Yost Hammer|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> [[Édouard-Henri Avril|এদুয়ার্দ-অঁরি আভরিল]] কর্তৃক অঙ্কিত।]]


'''যৌনসঙ্গম''' ('''যৌনমিলন''', '''সঙ্গম''', '''মৈথুন''', '''রতিক্রিয়া''', '''রতিমিলন'''; '''যৌন সংসর্গ''', '''যৌন সহবাস''', '''সহবাস''' ইত্যাদি) হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা মূলত যৌনআনন্দ বা প্রজনন বা উভয় ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত [[শিশ্ন]] একজন নারীর [[যোনি|যোনিপথে]] [[যৌন অনুপ্রবেশ|অনুপ্রবেশ]] করানো ও [[শ্রোণিচাক্রিক সঞ্চালনা|সঞ্চালনা]] করাকে বোঝায়।<ref name="Weiner2">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক =Irving B. Weiner |লেখক২ =George Stricker |লেখক৩ =Thomas A. Widiger|শিরোনাম =Handbook of Psychology, Clinical Psychology| প্রকাশক = [[John Wiley & Sons]] | বছর = 2012|সংগ্রহের-তারিখ=October 22, 2013| পাতাসমূহ = 172–175|আইএসবিএন = 1118404432|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=A_NaK3cwQSsC&pg=PA172}}</ref><ref name="Ferri">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Fred F. Ferri|শিরোনাম=Ferri's Clinical Advisor 2013,5 Books in 1, Expert Consult&nbsp;— Online and Print,1: Ferri's Clinical Advisor 2013|প্রকাশক=[[Elsevier Health Sciences]]|আইএসবিএন=0323083730|বছর=2012|পাতা=1134|সংগ্রহের-তারিখ=November 29, 2014|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=OR3VERnvzzEC&pg=PA1134}}</ref> অন্যান্য [[অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গম|অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের]] মধ্যে রয়েছে [[পায়ুসঙ্গম]] (লিঙ্গ দ্বারা মলদ্বার অনুপ্রবেশ), [[মুখমৈথুন]], [[অঙ্গুলিসঞ্চালন (যৌন ক্রিয়া)|অঙ্গুলিসঞ্চালন]] (আঙ্গুল দ্বারা যৌন অনুপ্রবেশ), যৌনখেলনা ব্যবহার দ্বারা অনুপ্রবেশ ([[বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন]])।<ref name="health.discovery.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম= Sexual Intercourse | প্রকাশক=[[Discovery Channel|Discovery.com]]| সংগ্রহের-তারিখ=January 12, 2008 | ইউআরএল=http://health.discovery.com/centers/sex/sexpedia/intercourse.html |আর্কাইভের-ইউআরএল =https://web.archive.org/web/20080822040701/http://health.discovery.com/centers/sex/sexpedia/intercourse.html|আর্কাইভের-তারিখ = August 22, 2008}}</ref><ref name="Kar">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=Nilamadhab Kar |লেখক২=Gopal Chandra Kar| শিরোনাম = Comprehensive Textbook of Sexual Medicine | প্রকাশক = [[Jaypee Brothers| Jaypee Brothers Publishers]]|পাতাসমূহ=107–112| আইএসবিএন = 8180614050|বছর=2005| সংগ্রহের-তারিখ = September 4, 2012 | ইউআরএল =https://books.google.com/books?id=YxcjMPbGHQIC&pg=PA107}}</ref><ref name="Rutter and Pepper">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Virginia Rutter|লেখক২=Pepper Schwartz| শিরোনাম = The Gender of Sexuality: Exploring Sexual Possibilities| বছর = 2011 | প্রকাশক = [[Rowman & Littlefield|Rowman & Littlefield Publishers]] |পাতা=76 | আইএসবিএন = 0742570053|ইউআরএল= https://books.google.com/books?id=Gorf-_nueAoC&pg=PA76|সংগ্রহের-তারিখ= October 21, 2015}}</ref> এই সকল কার্যক্রম মূলত মানবজাতি কর্তৃক [[দলগত যৌনকর্ম|দুই বা ততোধিকের]] মধ্যেকার [[শারীরিক অন্তরঙ্গতা|শারীরিক]] ও [[আবেগীয় অন্তরঙ্গতা|মানসিক]] অন্তরঙ্গতা জনিত পরিতোষ লাভের জন্য এবং সাধারণত [[মানব বন্ধন|মানব বন্ধনে]] ভূমিকা রাখতে সম্পাদিত হয়ে থাকে।<ref name=health.discovery.com/><ref name="Diamond">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Diamond|প্রথমাংশ=Jared|লেখক-সংযোগ = Jared Diamond| শিরোনাম = The Rise and Fall of the Third Chimpanzee| বছর = 1991 | প্রকাশক = Radius | পাতাসমূহ = 360 pages<!-- Various pages in the book discuss all of these matters.-->|আইএসবিএন = 0091742684|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=PQVFAQAAIAAJ|ভাষা=ইংরেজি|ভাষা=ইংরেজি}}</ref>
'''যৌনসঙ্গম''' ('''যৌনমিলন''', '''সঙ্গম''', '''মৈথুন''', '''রতিক্রিয়া''', '''রতিমিলন'''; '''যৌন সংসর্গ''', '''যৌন সহবাস''', '''সহবাস''' ইত্যাদি) হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা মূলত যৌনআনন্দ বা প্রজনন বা উভয় ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত [[শিশ্ন]] একজন নারীর [[যোনি|যোনিপথে]] [[যৌন অনুপ্রবেশ|অনুপ্রবেশ]] করানো ও [[শ্রোণিচাক্রিক সঞ্চালনা|সঞ্চালনা]] করাকে বোঝায়।<ref name="Weiner2">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক =Irving B. Weiner |লেখক২ =George Stricker |লেখক৩ =Thomas A. Widiger|শিরোনাম =Handbook of Psychology, Clinical Psychology| প্রকাশক = [[John Wiley & Sons]] | বছর = 2012|সংগ্রহের-তারিখ=October 22, 2013| পাতাসমূহ = 172–175|আইএসবিএন = 1118404432|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=A_NaK3cwQSsC&pg=PA172}}</ref><ref name="Ferri">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Fred F. Ferri|শিরোনাম=Ferri's Clinical Advisor 2013,5 Books in 1, Expert Consult&nbsp;— Online and Print,1: Ferri's Clinical Advisor 2013|প্রকাশক=[[Elsevier Health Sciences]]|আইএসবিএন=0323083730|বছর=2012|পাতা=1134|সংগ্রহের-তারিখ=November 29, 2014|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=OR3VERnvzzEC&pg=PA1134}}</ref> অন্যান্য [[অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গম|অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের]] মধ্যে রয়েছে [[পায়ুসঙ্গম]] (লিঙ্গ দ্বারা মলদ্বার অনুপ্রবেশ), [[মুখমৈথুন]] অর্থাৎ মুখ দ্্ব্বারা শিশ্ন চেটে বা নংকায় তাপের সৃষ্টিকরে শুক্্র্রাশয় থেকে বীর্য বের করে তা খেয়ে মেয়েরা খেয়ে গর্ভবতী হয় ও এজন্য তারা পুংলিঙ্গ কে সজোরে মর্দন করে! এতে তারা যৌন অানন্দ পায়! [[অঙ্গুলিসঞ্চালন (যৌন ক্রিয়া)|অঙ্গুলিসঞ্চালন অাংগুল দিয়ে নুনুর উপরিস্থ চামড়া অপসারণ]] (আঙ্গুল দ্বারা যৌন অনুপ্রবেশ), যৌনখেলনা ব্যবহার দ্বারা অনুপ্রবেশ ([[বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন]])।<ref name="health.discovery.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম= Sexual Intercourse | প্রকাশক=[[Discovery Channel|Discovery.com]]| সংগ্রহের-তারিখ=January 12, 2008 | ইউআরএল=http://health.discovery.com/centers/sex/sexpedia/intercourse.html |আর্কাইভের-ইউআরএল =https://web.archive.org/web/20080822040701/http://health.discovery.com/centers/sex/sexpedia/intercourse.html|আর্কাইভের-তারিখ = August 22, 2008}}</ref><ref name="Kar">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=Nilamadhab Kar |লেখক২=Gopal Chandra Kar| শিরোনাম = Comprehensive Textbook of Sexual Medicine | প্রকাশক = [[Jaypee Brothers| Jaypee Brothers Publishers]]|পাতাসমূহ=107–112| আইএসবিএন = 8180614050|বছর=2005| সংগ্রহের-তারিখ = September 4, 2012 | ইউআরএল =https://books.google.com/books?id=YxcjMPbGHQIC&pg=PA107}}</ref><ref name="Rutter and Pepper">{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Virginia Rutter|লেখক২=Pepper Schwartz| শিরোনাম = The Gender of Sexuality: Exploring Sexual Possibilities| বছর = 2011 | প্রকাশক = [[Rowman & Littlefield|Rowman & Littlefield Publishers]] |পাতা=76 | আইএসবিএন = 0742570053|ইউআরএল= https://books.google.com/books?id=Gorf-_nueAoC&pg=PA76|সংগ্রহের-তারিখ= October 21, 2015}}</ref> এই সকল কার্যক্রম মূলত মানবজাতি কর্তৃক [[দলগত যৌনকর্ম|দুই বা ততোধিকের]] মধ্যেকার [[শারীরিক অন্তরঙ্গতা|শারীরিক]] ও [[আবেগীয় অন্তরঙ্গতা|মানসিক]] অন্তরঙ্গতা জনিত পরিতোষ লাভের জন্য এবং সাধারণত [[মানব বন্ধন|মানব বন্ধনে]] ভূমিকা রাখতে সম্পাদিত হয়ে থাকে।<ref name=health.discovery.com/><ref name="Diamond">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Diamond|প্রথমাংশ=Jared|লেখক-সংযোগ = Jared Diamond| শিরোনাম = The Rise and Fall of the Third Chimpanzee| বছর = 1991 | প্রকাশক = Radius | পাতাসমূহ = 360 pages<!-- Various pages in the book discuss all of these matters.-->|আইএসবিএন = 0091742684|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=PQVFAQAAIAAJ|ভাষা=ইংরেজি|ভাষা=ইংরেজি}}</ref>


যৌনসঙ্গম বা অপরাপর [[মানব যৌনাচার|যৌনকর্ম]] কীভাবে সংজ্ঞায়িত হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে,<ref name="Lerner">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Handbook of Adolescent Psychology | প্রকাশক = [[John Wiley & Sons]] | বছর = 2004 | পাতাসমূহ = 193–196 | সংগ্রহের-তারিখ = April 29, 2013 |আইএসবিএন = 0471690449| ইউআরএল = https://books.google.com/books?id=_wXasY1HyAYC&pg=PA193|উক্তি=When researchers use the term ''sex'', they nearly always mean sexual intercourse&nbsp;– more specifically, penile–vaginal intercourse... The widespread, unquestioned equation of penile–vaginal intercourse with sex reflects a failure to examine systematically 'whether the respondent's understanding of the question matches what the researcher had in mind.'| লেখক = Richard M. Lerner| লেখক-সংযোগ = Richard M. Lerner| লেখক২ = Laurence Steinberg| author2-link = Laurence Steinberg}}</ref><ref name="Carpenter">See [https://books.google.com/books?id=6qNCeI2AcY4C&pg=PT11&lpg=PT11 page 11 onwards] and [https://books.google.com/books?id=pXXZn_qSoDoC&pg=PA48 pages 47–49] for views on what constitutes virginity loss and therefore sexual intercourse or other sexual activity; source discusses how gay and lesbian individuals define virginity loss, and how the majority of researchers and heterosexuals define virginity loss/"technical virginity" by whether or not a person has engaged in penile–vaginal sex. {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Laura M. Carpenter|শিরোনাম=Virginity Lost: An Intimate Portrait of First Sexual Experiences|প্রকাশক=[[New York University|NYU Press]]|বছর = 2005|সংগ্রহের-তারিখ=October 9, 2011|পাতাসমূহ=295 pages |আইএসবিএন=0-8147-1652-0|ইউআরএল=https://books.google.com/?id=pXXZn_qSoDoC}}</ref> যা [[যৌনস্বাস্থ্য]] বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিগুলোর উপর প্রভাব রাখতে পারে।<ref name="WHO, Sex">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Defining sexual health: Report of a technical consultation on sexual health|প্রকাশক=[[World Health Organization]]|তারিখ=January 2002|সংগ্রহের-তারিখ=September 5, 2012|পাতা=4|ইউআরএল=http://www.who.int/reproductivehealth/topics/gender_rights/defining_sexual_health.pdf|উক্তি=In English, the term 'sex' is often used to mean 'sexual activity' and can cover a range of behaviours. Other languages and cultures use different terms, with slightly different meanings.}}</ref> যদিও ''যৌনসঙ্গম'', নির্দিষ্টভাবে ''মৈথুন'' বলতে সাধারণত শিশ্ন-জরায়ুজ অনুপ্রবেশ ও সন্তান উৎপাদনের সম্ভাব্যতাকে নির্দেশ করা হয়,<ref name="Most common"/> এর দ্বারা সাধারণভাবে অন্তর্ভেদী মুখমৈথুন ও বিশেষত শিশ্ন-পায়ুজ সঙ্গমকেও নির্দেশ করা হয়।<ref name="Oral and anal">
যৌনসঙ্গম বা অপরাপর [[মানব যৌনাচার|যৌনকর্ম]] কীভাবে সংজ্ঞায়িত হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে,<ref name="Lerner">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Handbook of Adolescent Psychology | প্রকাশক = [[John Wiley & Sons]] | বছর = 2004 | পাতাসমূহ = 193–196 | সংগ্রহের-তারিখ = April 29, 2013 |আইএসবিএন = 0471690449| ইউআরএল = https://books.google.com/books?id=_wXasY1HyAYC&pg=PA193|উক্তি=When researchers use the term ''sex'', they nearly always mean sexual intercourse&nbsp;– more specifically, penile–vaginal intercourse... The widespread, unquestioned equation of penile–vaginal intercourse with sex reflects a failure to examine systematically 'whether the respondent's understanding of the question matches what the researcher had in mind.'| লেখক = Richard M. Lerner| লেখক-সংযোগ = Richard M. Lerner| লেখক২ = Laurence Steinberg| author2-link = Laurence Steinberg}}</ref><ref name="Carpenter">See [https://books.google.com/books?id=6qNCeI2AcY4C&pg=PT11&lpg=PT11 page 11 onwards] and [https://books.google.com/books?id=pXXZn_qSoDoC&pg=PA48 pages 47–49] for views on what constitutes virginity loss and therefore sexual intercourse or other sexual activity; source discusses how gay and lesbian individuals define virginity loss, and how the majority of researchers and heterosexuals define virginity loss/"technical virginity" by whether or not a person has engaged in penile–vaginal sex. {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Laura M. Carpenter|শিরোনাম=Virginity Lost: An Intimate Portrait of First Sexual Experiences|প্রকাশক=[[New York University|NYU Press]]|বছর = 2005|সংগ্রহের-তারিখ=October 9, 2011|পাতাসমূহ=295 pages |আইএসবিএন=0-8147-1652-0|ইউআরএল=https://books.google.com/?id=pXXZn_qSoDoC}}</ref> যা [[যৌনস্বাস্থ্য]] বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিগুলোর উপর প্রভাব রাখতে পারে।<ref name="WHO, Sex">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Defining sexual health: Report of a technical consultation on sexual health|প্রকাশক=[[World Health Organization]]|তারিখ=January 2002|সংগ্রহের-তারিখ=September 5, 2012|পাতা=4|ইউআরএল=http://www.who.int/reproductivehealth/topics/gender_rights/defining_sexual_health.pdf|উক্তি=In English, the term 'sex' is often used to mean 'sexual activity' and can cover a range of behaviours. Other languages and cultures use different terms, with slightly different meanings.}}</ref> যদিও ''যৌনসঙ্গম'', নির্দিষ্টভাবে ''মৈথুন'' বলতে সাধারণত শিশ্ন-জরায়ুজ অনুপ্রবেশ ও সন্তান উৎপাদনের সম্ভাব্যতাকে নির্দেশ করা হয়,<ref name="Most common"/> এর দ্বারা সাধারণভাবে অন্তর্ভেদী মুখমৈথুন ও বিশেষত শিশ্ন-পায়ুজ সঙ্গমকেও নির্দেশ করা হয়।<ref name="Oral and anal">

১৮:৩৮, ৩১ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মিশনারি আসনে যৌনসঙ্গম, সবচেয়ে প্রচলিত মানব যৌনাসন,[১][২] এদুয়ার্দ-অঁরি আভরিল কর্তৃক অঙ্কিত।

যৌনসঙ্গম (যৌনমিলন, সঙ্গম, মৈথুন, রতিক্রিয়া, রতিমিলন; যৌন সংসর্গ, যৌন সহবাস, সহবাস ইত্যাদি) হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা মূলত যৌনআনন্দ বা প্রজনন বা উভয় ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত শিশ্ন একজন নারীর যোনিপথে অনুপ্রবেশ করানো ও সঞ্চালনা করাকে বোঝায়।[৩][৪] অন্যান্য অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের মধ্যে রয়েছে পায়ুসঙ্গম (লিঙ্গ দ্বারা মলদ্বার অনুপ্রবেশ), মুখমৈথুন অর্থাৎ মুখ দ্্ব্বারা শিশ্ন চেটে বা নংকায় তাপের সৃষ্টিকরে শুক্্র্রাশয় থেকে বীর্য বের করে তা খেয়ে মেয়েরা খেয়ে গর্ভবতী হয় ও এজন্য তারা পুংলিঙ্গ কে সজোরে মর্দন করে! এতে তারা যৌন অানন্দ পায়! অঙ্গুলিসঞ্চালন অাংগুল দিয়ে নুনুর উপরিস্থ চামড়া অপসারণ (আঙ্গুল দ্বারা যৌন অনুপ্রবেশ), যৌনখেলনা ব্যবহার দ্বারা অনুপ্রবেশ (বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন)।[৫][৬][৭] এই সকল কার্যক্রম মূলত মানবজাতি কর্তৃক দুই বা ততোধিকের মধ্যেকার শারীরিকমানসিক অন্তরঙ্গতা জনিত পরিতোষ লাভের জন্য এবং সাধারণত মানব বন্ধনে ভূমিকা রাখতে সম্পাদিত হয়ে থাকে।[৫][৮]

যৌনসঙ্গম বা অপরাপর যৌনকর্ম কীভাবে সংজ্ঞায়িত হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে,[৯][১০] যা যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিগুলোর উপর প্রভাব রাখতে পারে।[১১] যদিও যৌনসঙ্গম, নির্দিষ্টভাবে মৈথুন বলতে সাধারণত শিশ্ন-জরায়ুজ অনুপ্রবেশ ও সন্তান উৎপাদনের সম্ভাব্যতাকে নির্দেশ করা হয়,[১২] এর দ্বারা সাধারণভাবে অন্তর্ভেদী মুখমৈথুন ও বিশেষত শিশ্ন-পায়ুজ সঙ্গমকেও নির্দেশ করা হয়।[১৩] এটি সাধারণত যৌন অনুপ্রবেশকে নির্দেশ করে, যেখানে অননুপ্রবেশকারী যৌনতাকে "বহির্সঙ্গম" নামে নামকরণ করা হয়,[১৪] কিন্তু অনুপ্রবেশকারী যৌনকর্মকে যৌনসঙ্গম হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।[৫][১৫] যৌনতা বা ইংরেজি ভাষায় সেক্স, প্রায়শই যৌনসঙ্গমের একটি সংক্ষিপ্ত ব্যবহৃত রূপ, যা দ্বারা যে কোন প্রকারের যৌনক্রিয়াকে বোঝানো হতে পারে।[১১][১৬] যেহেতু এসকল যৌনকর্মের সময়ে মানুষ যৌনবাহিত সংক্রমণের সংস্পর্শের ঝুঁকিতে থাকতে পারে,[১৭][১৮] নিরাপদ যৌনচর্চার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে,[১৭] যদিও অনাভেদী যৌনতায় সংক্রমণ ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়ে থাকে।[১৯][২০]

বিভিন্ন আইনি বিধিমালা যৌনসঙ্গমমের সামাজিক অনুমতিপ্রদানের জন্য বিভিন্ন আইন ও রীতিনীতির মাধ্যমে বৈবাহিক রীতির প্রবর্তন, প্রচলন ও সমর্থন করেছে এবং বেশ কিছু যৌনকর্মের বিপরীতে নিষেধাজ্ঞামূলক আইনকে স্থান দিয়েছে, যেমন বিবাহপূর্ব ব্যভিচার ও বিবাহপরবর্তী পরকীয়া, পায়ুকাম, পশুকাম, ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তি, অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যৌনচর্চা ও অজাচার। ধর্মীয় বিশ্বাসও যৌনসঙ্গমসহ অন্যান্য যৌনাচার বিষয়ক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে অন্যতম ভূমিকা পালন করে, যেমন কুমারীত্ব বিষয়ক সিদ্ধান্ত,[১০][২১] অথবা আইনি বা সরকারী নীতিমালা সম্পর্কিত বিষয়াবলি। বিভিন্ন ধর্মভেদে ও একই ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণীভেদে যৌনতা সম্পর্কিত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও কিছু বিষয়ে অভিন্নতা রয়েছে, যেমন ব্যভিচারের নিষেধাজ্ঞা।

অমানব প্রানিদের মধ্যকার প্রাজননিক যৌনসঙ্গমকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌনমিলন বা কপুলেশন (ইংরেজি: copulation) বলা হয়, এবং প্রাণিদের মাঝে অ-জরায়ুজ পন্থায়ও নারীর প্রজনন নালীপথে শুক্রাণু প্রদান করা হতে পারে, যেমন অবসারনীয় যৌনমিলন বা ক্লোয়াকাল কপুলেশন। অধিকাংশ অমানব স্তন্যপায়ীতেই, সঙ্গী নির্বাচন ও যৌনমিলন ঘটে থাকে রজঃচক্রের সময়ে (নারীর প্রজনন চক্রের সবচেয়ে উর্বর সময়কাল), যা অন্তঃনিষেকের মাধ্যমে সফল গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায়।[২২][২৩] তবে, বনবো, ডলফিনশিম্পাঞ্জিরা নারীদের রজঃকালকে ধর্তব্য না রেখে যৌনসঙ্গম করার জন্য এবং সমলিঙ্গের সঙ্গীদের সঙ্গে যৌনকর্মে অংশ নেওয়ার জন্য সুবিদিত।[২৪] মানুষের কাছে যৌনকর্মে অংশ নেওয়া উদ্দেশ্য হল প্রথমত আনন্দলাভ,[৮] উপরোক্ত প্রাণিকুলে এই আচরণও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে বলে মনে করা হয়,[২৫] এবং একে তাদের সামাজিক বন্ধনসমূহ সুদৃঢ় করার একটি নিবেদিত উপাদান বলে মনে করা হয়।[৮]

সংজ্ঞায়ন

যৌনসঙ্গম শব্দটি বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত হতে পারে, তাছাড়া এটার বিভিন্ন নাম, উপনাম এবং বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবহৃত বিভিন্ন স্থানীয় নামও আছে। ইংরেজি শব্দ coitus ল্যাটিন শব্দ coitio অথবা coire থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে 'একসাথে আসা' বা 'একসাথে যোগদান করা' অথবা 'একসাথে যাওয়া', এবং শব্দদুটি প্রাচীন ল্যাটিন ভাষায় ব্যবহৃত হত বিভিন্ন প্রকারের যৌনকর্ম বোঝাতে, তবে মূলত শিশ্নের যোনিতে অনুপ্রবেশ বোঝাতেই শব্দদুটি ব্যবহৃত হত।[২৬] এই কাজটিকে মাঝেমধ্যেই যোনিজ অনুপ্রবেশ বা যোনিজ অন্তর্ভেদীকরণ বলা হয়ে থাকে।[২৭] যোনিজ অনুপ্রবেশ শব্দটি শুধু শিশ্নগ্রহণের ক্ষেত্রেই নয় সমকামিনীদের স্ট্র্যাপ-অন ডিলডো ব্যবহারও বোঝাতে পারে কারণ ওখানেও যোনির ভেতরে শিশ্নের অনুরূপ একটি জিনিস ঢুকে থাকে।[২৮][২৯] বাংলা মৈথুন শব্দটি মূলত মানবদের জন্য ব্যবহৃত হলেও এটি অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয় সেটি হতে পারে বিষমকামিতা বা সমকামিতা[৩০] কিংবা বাচ্চা জন্মদানের ক্ষেত্রে বা এমনি যৌনতার ক্ষেত্রে।[৩০][৩১][৩২]

যদিও মানবসভ্যতায় অনেক আগে থেকেই 'যৌনসঙ্গম' বলতে নারী-পুরুষের যোনি-শিশ্ন এর মিলন বোঝায়,[৩৩] কিন্তু তারপরেও যৌনসঙ্গম বলতে নগ্ন হয়ে নারী-পুরুষের বা নারী-নারীর বা দু'জন পুরুষের চুম্বন বা লেহন বা মর্দনও বোঝাতে পারে (অন্তর্ভেদী কাজ ছাড়াই), যদিও এটি আধুনিক ধ্যান-ধ্যারণা।[১১][৩৪] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌনসঙ্গমের সংজ্ঞা সম্বন্ধে বলে যে, "এর কোনো চূড়ান্ত সংজ্ঞা বা অর্থ নেই কারণ আজকাল আর শব্দটি সন্তান জন্মদানের জন্য ব্যবহৃত হয়না।"[১১] অন্যদিকে একসঙ্গে ঘুমানো বা শুয়ে থাকাও একপ্রকারের যৌনসঙ্গমের ইঙ্গিত বোঝায়।[৩৫][৩৬][৩৭]

যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ ছাড়াও আজকাল পায়ুকাম, মুখমৈথুন এবং অন্যান্য সব অভেদক যৌনকর্ম 'যৌনসঙ্গম' হিসেবে বিবেচিত হয়।[৩৮] যোনি-শিশ্নের মিলন ছাড়া অন্যান্য যৌনসঙ্গমগুলোকে বাহ্যিক যৌনসঙ্গম বলা যেতে পারে।[৩৯] যোনি-শিশ্নের মিলনে সতীত্বের হরণ হয় বিধায় একে সতীত্বছেদক যৌনতাও বলা হয়, অপরদিকে পায়ুকাম বা অন্য কোনো অভেদক যৌনসঙ্গমকে এরূপ বলা হয়না।[৩৯] এরপরও বিশ্বের সকল দেশে এখনো 'যৌনসঙ্গম' বলতে প্রধানত 'শিশ্ন-যোনির মিলন' বোঝানো হয়, একে সত্যিকারের বা 'প্রকৃত' যৌনসঙ্গমও বলা হয়ে থাকে।[৩৪][৪০][৪১]

উদ্দেশ্য

উনিশ শতকের আঁকা একটি চিত্রে প্রেম এবং যোনিজ মিলন, চিত্রকরঃ এ্যাশিল দেভেরিয়া (ফরাসী)

যৌন উত্তেজনা আসা মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা সমূহের একটি। তবে যৌনক্রিয়া ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন এবং আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।[৪২][৪৩] একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করে এবং যৌনতায় লিপ্ত হতে আগ্রহী হয়। একই ভাবে একজন নারী একজন পুরুষের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করে এবং যৌনতায় লিপ্ত হতে ইচ্ছুক হয়। নারী-পুরুষের পারস্পরিক আসক্তি যৌনসঙ্গমে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে এবং যৌনসুখের সৃষ্টি হয়। যৌনসুখ লাভের আকাঙ্ক্ষা নারী ও পুরুষের স্বাভাবিক জৈবিক চাহিদা। যৌনসুখ লাভের এ প্রক্রিয়ার পরিণতিতে নারীর গর্ভধারণ করতে এবং সন্তান দিতে সক্ষম হয়। সন্তানের জন্ম দিতে বা বংশ বিস্তারে (অর্থাৎ প্রজননে) আগ্রহী নারী ও পুরুষ সাধারণতঃ বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয় কেননা বিবাহ যৌনসঙ্গমের ধর্মীয়, সামাজিক ও আইনি অনুমোদন প্রদান করে।[৪৪][৪৫][৪৬]

যদিও বর্তমান যুগের সব যুগল যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য বিয়ে করেনা।[৪৭] মার্কিন নারী যৌনবিদ লরা ফ্রেবার্গ তার ২০০৯ সালের বই ডিসকভারিং বায়োলজিক্যাল সাইকোলজি এ বলেন,[৫][৪৮]

যৌনমিলনের উদ্দেশ্য বর্তমানে আর শুধু বাচ্চা জন্মদান নয়, এটা হতে পারে দু'জন বিপরীত লিঙ্গের বা সম-লিঙ্গের মানুষের মধ্যে সংঘটিত প্রেম-ভালোবাসার মাধ্যম বা বহিঃপ্রকাশ, এবং যৌনমিলনে সব যুগলই যে অন্তর্ভেদী ক্রিয়ায় জড়াবে সেটা নয়।

প্রজনন

ডিম্বধারণের উপর নির্রভশীল রজঃচক্রের দিন-অনুযায়ী নিষেকের সম্ভাবনা।[৪৯]

যৌনসঙ্গম সম্ভবত ৩৮.৫ কোটি বছরের পুরোনো, এবং সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন চোয়ালবিশিষ্ট মাছ ছিল যৌনমিলনের মাধ্যমে প্রজনন-সম্পন্নকারী প্রাণী। [৫০] মানব প্রজনন সাধারণত শিশ্ন-জরায়ুজ অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ঘটে থাকে। [৫১] পৃথিবীর সকল প্রাণীই তার প্রজনন কর্ম সম্পাদন করে। প্রজননের ফল হচ্ছে শারিরিক সুখ এবং বংশ বৃদ্ধি করা। যৌনক্রিয়ার কেন্দ্রীয় অংশ হলো "যৌনসঙ্গম" বা স্ত্রী-অঙ্গে পুরুষাঙ্গের প্রবেশ এবং বীর্যপাত। এই প্রজনন প্রক্রিয়ার ফল স্বরুপ প্রাণী তার বংশ বিস্তার করে থাকে। বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্নভাবে তার প্রজনন চালিয়ে থাকে। যেমন মানুষ তার প্রজনন চালায় স্বীয় নারী/পুরুষ দ্বারা। প্রজননের উদ্দেশ্যে সঙ্গম করলে স্ত্রীর যোনীর ভেতর শিশ্ন থাকা অবস্থায়ই পুরুষের বীর্যস্খলন করতে হয়। এতে বীর্যের মধ্যে থাকা শুক্রাণু স্ত্রীর দেহে ইতিমধ্যে থাকা ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পায়। শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের (নিষেকের) মাধ্যমে সৃষ্ট জাইগোটই সন্তান উৎপাদনের পথে প্রথম ধাপ। কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে স্ত্রীদেহের ভেতরেই সন্তান বেড়ে ওঠে এবং একসময় তার যোনীপথ দিয়েই সন্তানকে বের করে আনা যায়। তবে মাছের মত প্রাণীদের ক্ষেত্রে স্ত্রী ডিমটি আগেই বের করে দেয় যা ফুটে এক সময় বাচ্চা বের হয়। সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীই যৌনসঙ্গম করে থাকে।[৫২][৫৩][৫৪]

বন্ধন গঠন

যৌনমিলন একটি বিশুদ্ধ প্রাজননিক কর্ম থেকে শুরু করে একপ্রকার আবেগীয় বন্ধন হিসেবেও পরিগণিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যৌনসঙ্গম ও সাধারণ যৌন কর্মকাণ্ড প্রায়শই মানব বন্ধন গঠনে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।[৮] বিভিন্ন সামাজিকতায়, দম্পতিদের জন্য আনন্দ ভাগাভাগি ও যৌনকর্মের মাধ্যমে আবেগীয় বন্ধন দৃঢ় করার উদ্দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিসমূহের সহায়তায় যৌনসঙ্গমে অংশ নেওয়া খুবই স্বাভাবিক, এমনকি যদি তারা ক্রমাগত বারবার গর্ভধারণকে এড়িয়ে যায় তবুও।[৮]

মানুষ ও বনবোদের মাঝে, স্ত্রী প্রানিরা অপেক্ষাকৃত সুপ্ত ডিম্বস্ফুটন (concealed ovulation) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, ফলে স্ত্রী ও পুরুষ সঙ্গী জানতে পারে না যে স্ত্রী তাৎক্ষনিকভাবে সন্তান ধারণের জন্য উর্বর অবস্থায় আছে কি না। উক্ত বিরল জৈবিক বৈশিষ্ট্যের একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যৌনসঙ্গীদের মাঝে শক্তিশালী আবেগীয় বন্ধন গঠন করা যা সামাজিক আন্তঃপ্রতিক্রিয়া ও মানুষের ক্ষেত্রে, তাৎক্ষনিক যৌন প্রজননের পরিবর্তে দীর্ঘকালীন অংশীদারত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।[৮][৫৫] প্রধানত মানুষে, সামাজিক সমবায়ী আচরণ, ও একইভাবে যৌন কর্মকাণ্ড ব্যক্তিদের মাঝে সামাজিক বন্ধনকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে এবং তা সামাজিক কাঠামোকে আরও বিস্তৃত করতে পারে। এই প্রাপ্ত সমবায় আচরণ সমষ্টিগত দীর্ঘস্থায়ী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করে, যা গোষ্ঠীর প্রতিটি সদসস্যের বেচে থাকাকে মূল্যবান করে তোলে।[২৪]

দৈহিক আনন্দ

শীর্ষে নারী যৌনাসনে সহবাস, এদুয়ার্দ-অঁরি আভরিল কর্তৃক অঙ্কিত।

মৈথুনের মাধ্যমে দু'জন মানুষ পরস্পর শারীরিকভাবে সর্বোচ্চ নৈকট্য লাভ করে, তাই মৈথুনকে অনেকসময় সবচেয়ে অন্তরঙ্গ মিলন বা মিথস্ক্রিয়া বলা হয়ে থাকে। অনেকের জন্য এটি দৈহিক আনন্দের সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম এবং প্রেমভালোবাসার সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ।[৫৬][৫৭] মানুষ বিভিন্নভাবে যৌনসুখ পেতে পারে। তবে যৌনসুখের প্রধান অবলম্বন আরেকটি দেহ। একজন নারী বা পুরুষ তার বিপরীত জনকে দিয়েই সাধারণত: শারীরিক সুখ লাভ করে। শারীরিক সুখ বলতে এখানে শুধুই দেহভিত্তিক লালসা বা আনন্দকে বুঝিয়েছে। এক্ষেত্রে মানুষ চরম সুখ পেয়ে থাকে।[৫৮]

যৌনসঙ্গমের বিভিন্ন পর্যায়

মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী। সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো মানুষের ক্ষেত্রেও সাধারণত প্রথমে পুরুষ এবং স্ত্রী পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং কামাসক্ত হয়। এরপর পুরুষ ও নারী বিবস্ত্র হয়ে নিকটবর্তী হয়ে পরস্পরকে স্পর্শ করে এবং পুরুষ তার সঙ্গিনীকে বিভিন্নভাবে আলিঙ্গন করে। পুরুষ এবং স্ত্রী পরস্পরের কামোদ্দীপক অঙ্গগুলি স্পর্শ করে যৌন বাসনাকে বর্ধিত করে। এরপর পুরুষ তার শিশ্নটি (পুং জননাঙ্গ) স্ত্রীর যোনিপথে প্রবেশ করিয়ে অঙ্গচালনা করে। অঙ্গচালনার এক পর্যায়ে পুরুষের বীর্যস্খলন হয়। এই ভাবে পুরুষ স্ত্রীযৌনাঙ্গে বীর্যদান করে। এই বীর্যের মধ্যে থাকে শুক্রানু যেটি স্ত্রী শরীরে ডিম্বানুর সঙ্গে মিলিত হয়ে নিষিক্ত হয় এবং এর ফলে স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার হয়।

উদ্দীপনা

যৌনসঙ্গম বা অন্যান্য যৌন কর্মকাণ্ড বিভিন্ন যৌন উদ্দীপক উপাদান (শারীরিক উদ্দীপক বা মানসিক উদ্দীপক) দ্বারা পরিবেষ্টিত হতে পারে, যার মধ্যে বিভিন্ন যৌন অবস্থান বা যৌন আসন বা বিভিন্ন যৌন-সহায়ক খেলনা অন্তর্গত।[২][৬][৫৯] কিছু যৌন কর্মকাণ্ডে পূর্বরাগ অগ্রগামী হতে পারে, যা প্রায়শই সঙ্গীদেরকে যৌন উত্থানের দিকে পরিচালিত করে, যার ফলস্বরূপ লিঙ্গত্থান ঘটে বা যোনির প্রাকৃতিক সিক্ততা ঘটে।[৬০] এছাড়াও মানুষকে সাধারণত যৌনসঙ্গমে চুম্বন, যৌন উদ্দীপক স্পর্শ, বা আলিঙ্গনের মাধ্যমে সন্তুষ্ট বা পরিতৃপ্ত হতে দেখা যায়।[৬১]

অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রানিতে, প্রজনন অঙ্গসমুহ ও স্নায়ুব্যবস্থার কিছুসংখ্যক বর্তনী বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে যৌনমিলনের জন্য বিশেষভাবে সংগঠিত হয়ে থাকে। যৌনমিলন কিছু সহজাত যৌন স্বয়ংক্রিয় ও অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়ার একটি সফল ফলাফল হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেঃ এগুলো হলঃ শিশ্নত্থান, জরায়ুজ সিক্ততা, লর্ডোসিস আচরণ, নিশ্চলতা, অনুপ্রবেশ, পেল্ভিক সঞ্চালন ও বীর্যপাত। এই মিলনাত্মক স্বয়ংক্রিয় ও অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়াগুলো হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং যৌন ফেরোমোনের সহায়তায় পরিচালিত হয়।[৬২] মানুষসহ প্রাইমেট-বর্গের সকল প্রানিতে, বেশ কিছু জৈবিক উপাদান যেগুলো যৌনমিলন নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলো বিশেষভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।[৬৩] যৌনমিলনের স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণের এই পরিবর্তনগুলো হোমিনিডি গণের নারী প্রজাতির মাঝে বিশেষভাবে প্রত্যক্ষ করা যায়। অ-প্রাইমেট নারী প্রজাতিরা তাদের রজঃকালীন সময়ই শুধুমাত্র মিলন করে থাকে,[৬৪] কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে নারীদের রজঃচক্রের যে কোন সময়ই যৌনসঙ্গম সঙ্ঘটন সম্ভব।[৫৫][৬৫] যৌন ফেরোমোনসমূহ সঙ্গমের স্বয়ংক্রিয় ও অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়ায় সহায়তা করে,[৬৬] কিন্ত মানুষের ক্ষেত্রে, ফেরোমোন সনাক্তকরণের ক্ষমতা অকার্যকর হয়ে থাকে,[৬৭][৬৮] এবং শুধুমাত্র বাদবাকি প্রতিক্রিয়াগুলো তাদের ক্ষেত্রে কার্যকর থাকে।[৬৯] অ-প্রাইমেট নারী প্রানিরা নিজেদের অন্তর্ভেদী লর্ডোসিস আসনে রেখে নিশ্চল অবস্থায় বিদ্যমান থাকে, কিন্তু এই মিলনাত্মক স্বয়ংক্রিয় ও অনৈচ্ছিক মোটর প্রতিক্রিয়াগুলো মানব নারীদের ক্ষেত্রে আর কার্যকর থাকে না।[৬৪] স্তন্যপায়ীদের হরমোন ও ফেরোমোন নিয়ন্ত্রিত অনৈচ্ছিক যৌনমিলনের বিপরীতে, মানব যৌনসংগম প্রায় পুরোটাই একটি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ও শিখন-অর্জিত কর্মকাণ্ড যা যৌন পুরস্কার প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে (উদাহরণঃ আনন্দ বা বংশবৃদ্ধি) সঙ্ঘটিত হয়।[৬৩][৭০]


শৃঙ্গার

যোনিতে লিঙ্গ প্রবিষ্টকরণের পূর্বে কামোদ্দীপক কার্যকলাপকে বলা হয় শৃঙ্গার বা পূর্বরাগ। আলিঙ্গন, চুম্বন, অঙ্গমর্দন, লেহন, দংশন প্রভৃতি স্বাভাবিক শৃঙ্গার হিসেবে পরিগণিত। বাৎসায়নের কামসূত্রে ৬৪টি কলার কথা উল্লিখিত আছে যা শৃঙ্গারের অন্তর্ভূত। এছাড়া মুখমৈথুন, যোনি বা পায়ুপথে আঙ্গুলি চালনা ইত্যাদিও শৃঙ্গারের অন্তর্ভূত।[৭১]

আসন

নারী ও পুরুষের যৌনসঙ্গম। বাৎস্যায়নের কামসূত্র গ্রন্থে বর্ণীত একটি আসন চিত্রায়িত হয়েছে এখানে

যৌনসঙ্গম কালে নারী-পুরুষের পারস্পরিক অবস্থানকে বলা হয় আসন।[৭২] যৌনাসন একজন মানুষ তার বা তার নিজের সঙ্গীর পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করে নেয়।[৭৩]

অনুপ্রবেশ ও সঞ্চালন

প্রবিষ্টকরণের জন্য প্রয়োজন পুরুষের দৃঢ়ভাবে উত্থিত পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ। প্রবিষ্টকরণের সুবিধার্থে উত্তেজিত লিঙ্গাগ্র থেকে কামরস নির্গত হয়। একইভাবে নারীরে যোনী অভ্যন্তরে পিচ্ছিলকারক ক্ষরণ হয়। পুরূষ বা নারী সঙ্গীর পেলভিস অঞ্চল অগ্রপশ্চাৎ পরিচালনার মাধ্যমে বারবার অঙ্গ চালনা অর্থাৎ যোনী অভ্যন্তরে পুরুষাঙ্গের পুনঃপৌণিক যাতায়াত বা সঞ্চালনা করা হয় যাকে পেলভিক থ্রাস্ট বা শ্রোণিচাক্রিক সঞ্চালনা বলা হয়। যৌনাঙ্গদ্বয়ের পারস্পারিক ঘর্ষণক্রমে স্নায়বিক তীব্র উদ্দীপনা বা সুখানুভূতির সৃষ্টি হয়। এক সময় রাগমোচন হয় বা চরমানন্দ লাভ হয়। এসময়ের পুরুষের বীর্যস্খলন ঘটে।

চরমানন্দ বা রাগমোচন

যৌনসঙ্গমের শেষ পরিণতি চরমানন্দ লাভ। মৈথুনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সর্বোচ্চ উদ্দীপনা লাভ হয়ে থাকে যাকে রাগমোচন বা চরমানন্দ বলা হয়, যাতে মনোদৈহিক আনন্দ ও শৈথিল্য পরস্পর মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। রাগমোচনের সময় পুরুষের ঘটে। পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যপাত বা বীর্যক্ষরণ বা বীর্যস্খলনের মাধ্যমে রাগমোচন ঘটে। চরমানন্দ লাভ হয়। স্ত্রীর ক্ষেত্রে বীর্যপাতের ন্যায় বিশেষ ক্ষরণ বা নিঃসরণ হয়।[৭৪][৭৫] পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যস্খলনের সময়ই রাগমোচন লাভ হয়, এর পাশাপাশি তা ধীরে ধীরে দৃঢ় অবস্থা হতে স্বাভাবিক শিথিল অবস্থায় ফিরে আসে। অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই রাগমোচনের অব্যবহিত পরেই পুনর্বার মৈথুন করা সম্ভব না, কেননা বীর্যপাতের সঙ্গে সঙ্গে শিশ্নের উত্থান রহিত হয়ে যায়। শিশ্নের পুনরুত্থান ক্ষমতা পুনরায় সক্রিয় হওয়ার জন্য কিছুটা সময় লাগে। স্ত্রীর ক্ষেত্রে ইউটেরিন ও যোনির দেয়ালের পেশীগুলোর মুহুর্মুহু সংকোচনের মাধ্যমে রাগমোচন ঘটে। নারীর রাগমোচন স্বল্প থেকে দীর্ঘ সময় (কতিপয় সেকন্ড হতে কয়েক মিনিট) যাবৎ বিদ্যমান থাকতে পারে। এটি ক্ষেত্রবিশেষে একসাথে কয়েকবার হতে পারে আবার সামান্য সময়ের ব্যবধানে হতে পারে। অনেক স্ত্রীর ক্ষেত্রে পুরো দেহব্যাপী অনেকক্ষণের জন্য রাগমোচন ঘটতে পারে। পুরুষদের চেয়ে নারীদের রাগমোচন দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।

নিরাপদ যৌনতা ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ

যৌনসঙ্গম কালে স্ত্রী যোনিতে পুরুষের বীর্য নিক্ষেপের ফলে গর্ভসঞ্চারের সম্ভাবনা থাকে। এই সম্ভাবনা দূরীকরণের জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যেমন কনডম, জন্ম নিরোধক বড়ি ইত্যাদি। প্রজননের ইচ্ছা না থাকলে, পুরুষ স্ত্রীর যোনির ভেতর বীর্য প্রবেশ করতে দেয় না। এর নানাবিধ উপায় রয়েছে: যেমন, বীর্যস্খলনের ঠিক আগে আগে শিশ্ন স্ত্রীর জননাঙ্গ থেকে বের করে আনা। তবে মানুষ কেবল আনন্দ ও সুখের জন্য যৌনসঙ্গমের আরও কিছু উপায় উদ্ভাবন করেছে, যেমন, পুরুষের জননাঙ্গে কনডম ব্যবহার, যাতে যোনীর ভেতর শিশ্ন থাকা অবস্থায় রাগমোচন ঘটলেও বীর্য স্ত্রীযোনিতে মিশতে না পারে। তাছাড়া স্ত্রী যদি নিয়মিত জন্মনিরোধক বড়ি বা পিল গ্রহণ করে তাহলে তার যোনিতে বীর্য মিশলেও সন্তানের জন্ম হয় না।[৭৬]

ব্যাপকতা

কয়েশন অব এ হেমিসেক্টেড ম্যান অ্যান্ড ওম্যান (আনুমানিক. ১৪৯২) হল চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কর্তৃক অঙ্কিত একটি চিত্রকর্ম, যেখানে সঙ্গমের সময় মানব দেহাভ্যন্তরে কি ঘটে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

শিশ্ন–জরায়ুজ অনুপ্রবেশ হল যৌনসঙ্গমের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।[২৭][৭৭] গবেষণায় দেখা যায় যে, অধিকাংশ বিষমকামী যুগল প্রায় প্রত্যেক যৌন সাক্ষাতের সময় জরায়ুজ সঙ্গমে অংশ নিয়ে থাকে।[২৭]


স্বাস্থ্যগত প্রভাব

উপকারিতা

টৈকুইনাম সেইন্টাটিস নামক সুস্বাস্থ্য-বিষয়ক মধ্যযুগীয় পুস্তিকা হতে অঙ্কিত-চিত্র।

মানব প্রজাতিতে, যৌনসঙ্গম ও সাধারণ যৌনাচারসমূহের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে বলে বিবৃত করা হয়, যেমন শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপাদন বৃদ্ধি ও রক্তচাপ হ্রাস করার মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা,[৭৮][৭৯] এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করা।[৭৮] যৌন অন্তরঙ্গতা ও উত্তেজনা অক্সিটোসিন হরমোনের (যা "ভালোবাসার হরমোন" নামেও পরিচিত) মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা মানুষের মাঝে বন্ধন তৈরিতে ও আস্থা সৃষ্টিতে সহায়তা করতে পারে।[৭৯][৮০] অক্সিটোসিন পুরুষদের তুলনায় নারীদের মাঝে অধিক উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখে বলে বিশ্বাস করা হয়, হয়তো এ কারণেই নারীদের যৌন আকর্ষণ বা যৌন কর্মকাণ্ডে পুরুষদের তুলনায় অধিক প্রেম ও ভালোবাসা উপস্থিত থাকে। [৪৮] ক্লিনিক্যাল স্নায়ু-মনস্তত্ত্ববিদ ডেভিড উইকস ১৮ থেকে ১০২ বছর বয়সী ৩,৫০০ মানুষের একটি দীর্ঘকালীন সময়ের গবেষণামূলক নিরীক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ফটোগ্রাফের নিরপেক্ষ রেটিং-এর ভিত্তিতে ইঙ্গিত করেন যে, একটি নিয়মমাফিক যৌনতা মানুষকে সময়ের সাথে সাথে লক্ষণীয়ভাবে তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।[৮১]

ঝুঁকি

যৌনবাহিত সংক্রমণসমূহ (STI) হল ব্যাক্টিরিয়া, ভাইরাসপরজীবীসমূহ, যেগুলো যৌন সংস্পর্শের সময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবাহিত হয়, বিশেষকরে অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের সময়। এইচআইভিসিফিলিসের মত কিছু বিশেষ রোগ আবার অন্যান্য মাধ্যমেও ছড়ায়, যেমন গর্ভাবস্থায় ও প্রসবকালে মা থেকে সন্তানে, রক্ত বিনিময়ের মাধ্যমে, এবং একই সুচ বা সিরিঞ্জ পারস্পারিক ব্যবহারের মাধ্যমে।[৮২] গনেরিয়া বা ক্ল্যামিডিয়া সংক্রমণে প্রায়শই কোন লক্ষণ ধরা পড়ে না। ক্ল্যামিডিয়া সংক্রমণের চিকিৎসা করা না হলে নারীদের বন্ধ্যাত্ব বা জরায়ু বহির্ভূত গর্ভধারণ (ectopic pregnancy) হতে পারে। মানব প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে যৌনাঙ্গের বা জরায়ুমুখী ক্যান্সার হতে পারে। সিফিলিসের ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত বা নবজাতকের আকস্মিক মৃত্যু ঘটতে পারে। গনেরিয়া সংক্রমনের চিকিৎসা না করা হলে অকাল গর্ভপাত (misscarriage) নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব (preterm birth) বা জন্মের পরপরই সন্তানের মৃত্যু (perinatal death) হতে পারে। গনেরিয়া ও ক্ল্যামিডিয়া নিরাময় না হওয়া মায়েদের নবজাতক সন্তানদের জন্মের পরপরই চোখ উঠা রোগ বা কনজাংটিভাইটিস (neonatal conjunctivitis) হতে পারে, যার ফলে সন্তান অন্ধ হয়ে যেতে পারে।[৮২] যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি রোগের সংক্রমণও ঘটতে পারে।[৮৩] বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ দীর্ঘস্থায়ী মেয়াদে হেপাটাইটিস বি'র জীবাণু বহন করে চলেছেন।[৮৪]


নৈতিক, ধর্মীয় ও আইনগত দৃষ্টিভঙ্গি

সাধারণ

যেহেতু যৌনসঙ্গম হল মানব প্রজাতির জন্য বংশবৃদ্ধির একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, তাই, মানুষ যৌনসংগমের চর্চা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিস্তৃত নৈতিক ও শাস্ত্রীয় নির্দেশাবলী অনুসরণ করে থাকে, যাতে ধর্ম ও সরকারি আইন অনুযায়ী অনুযায়ী পার্থক্য থাকে। এছাড়াও কিছু সরকার ও ধর্মে সঠিক ও ভুল যৌন আচরণের কঠোর সংজ্ঞা নির্ধারিত থাকে, যাতে বৈধ যৌনাচারসমূহেও বিধিনিষেধ অন্তর্ভুক্ত থাকে। ঐতিহাসিকভাবে একটি নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত যৌনাচার হল পায়ুসঙ্গম।[৮৫][৮৬]

যৌন অপরাধ

কোন ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে, বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌনসঙ্গম করা হল ধর্ষণ, কিন্তু একে যৌন অপরাধ হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে; অধিকাংশ দেশেই এটি একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।[৮৭][৮৮] ধর্ষণ ভুক্তভোগীদের মাঝে ৯০% এরও অধিক হল নারী, ৯৯% ধর্ষক হল পুরুষ, এবং মাত্র ৫% ধর্ষক হল ভুক্তভোগীদের অপরিচিত লোকজন।[৮৮]

প্রেমের সম্পর্ক

লরেন্স আলমা-টাডেমার প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবের চিত্রায়ন।

বিয়ে ও সম্পর্ক

যৌনসঙ্গম ঐতিহ্যগতভাবে বিয়ের একটি আবশ্যকীয় অংশ হিসেবে বিবেচিত, এবং অনেক ধর্মীয় রীতিতেই বিয়েতে স্ত্রী সম্ভোগ আবশ্যক, এবং এসব ধর্ম ও ঐতিহ্যে বিয়েকে যৌন প্রজনন বা বংশবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সংঘ বলে উল্লেখ করা হয়।[৮৯]

ব্যভিচার (বৈবাহিক সঙ্গী ব্যতীত অন্য কারও সঙ্গে যৌনসঙ্গমে জড়িত হওয়া) একটি অপরাধমূলক কর্ম হিসেবে কিছু আইনবিধিতে পূর্ব থেকে বিদ্যমান আছে।[৯০][৯১] অবিবাহিতদ সঙ্গীদের মাঝে যৌনসঙ্গম ও অবিবাহিত দম্পতির একসঙ্গে বসবাসও কিছু আইনবিধিতে অবৈধ।[৯২][৯৩] বিপরীতভাবে, কিছু দেশে যৌনসঙ্গম কিংবা বংশবৃদ্ধি করার জন্য সামাজিকভাবে বা আইনগতভাবে বিয়ের প্রয়োজন পড়ে না,(উদাহরণস্বরুপ, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিবাহবহির্ভূত সন্তান জন্ম হয় আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, বুলগেরিয়া, ইসতোনিয়া, স্লোভেনিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম)।[৯৪]


ধর্মীয় ব্যাখ্যা

বিবাহ অন্তর্ভুক্ত বা বহির্ভূত যৌনসঙ্গম সম্পর্কিত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিগুলোতে বিস্তর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়:

  • ইসলাম বৈবাহিক যৌনতাকে আনন্দময় একটি আধ্যাত্মিক কর্ম ও একটি কর্তব্য হিসেবে দেখে থাকে।[৯৫][৯৬][৯৭] মুস্লিম পুরুষরা, শিয়া ও সুন্নি উভয়ে, চারটি পর্যন্ত স্থায়ী বিবাহের অনুমতি পেয়ে থাকে। শিয়া ইসলামে পুরুষরা অগণিত অস্থায়ী বিয়ের অনুমতি পেয়ে থাকে, যার চুক্তি সঙ্গমের অনুমতিতে কয়েক মিনিট থকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সুন্নি নারীরা স্থায়ীভাবে এককালীন একটিমাত্র বিয়েতে অংশ নেয়ার অনুমতি পায়, অপরদিকে শিয়া নারীরাও এককালীন একটি বিয়ের সম্পর্কে অংশ নেওয়ার অনুমতি পায়, কিন্তু তা স্থায়ী বা অস্থায়ী উভয়ই হতে পারে। বিবাহ ও বৈধ উপপত্নিত্ব‌ বহির্ভূ‌ত যৌন সম্পর্ক‌ ও যৌনাচার নিষিদ্ধ।
  • হিন্দুধর্মে যৌনতা সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, কিন্তু সাধারণ হিন্দু সমাজে বিবাহবহির্ভূত যৌনতা অনৈতিক ও লজ্জাজনক বলে পরিগণিত হয়।[৯৫]

অন্যান্য প্রাণী

সিংহ এবং সিংহী
মিলনরত অবস্থায় হাউজফ্লাই

জীববিজ্ঞান-এর পরিভাষায়, যৌনমিলন বলতে প্রায়শই নারীদেহে পুরুষের শুক্রাণু প্রদানের প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়, বিশেষত সরাসরি নারীর প্রজনন এলাকায় শুক্রাণু পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়া। [২২][৯৮] মাকড়সাদের পৃথক নারী ও পুরুষ যৌনতা রয়েছে। মিলনের পূর্বে, পুরুষ মাকড়সা একটি ছোট জাল বুনে তাতে বীর্যপাত করে, এবং এরপর তা তার বৃহৎ পেডিপাল্পের সংরক্ষণ থলিতে জমা করে, সেখান থেকেই সে তার শুক্রাণু নারী মাকড়সার জননাঙ্গে স্থানান্তর করে। নারী মাকড়সা অনির্দিষ্টকালের জন্য শুক্রাণু সংরক্ষণ করতে পারে।[৯৯]

পানিতে বসবাসকারী বহু প্রাণী বহিঃনিষেক প্রক্রিয়ায় নিষেক ঘটায়, অন্যদিকে অরডোভিসিয়ান যুগের পরবর্তী সময়ের উন্নত প্রাণীদের ক্ষেত্রে কোন তরল মাধ্যমে গ্যামেট রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা থেকে অন্তঃনিষেক প্রক্রিয়া বিস্তার-লাভ করেছে। সরীসৃপ, কিছু মাছ এবং অধিকাংশ পাখিসহ বহু মেরুদণ্ডী প্রাণী ক্লোয়াকা নামক অবসারনী ছিদ্র বা জননছিদ্রের মাধ্যমে অন্তঃনিষেক ঘটায়, যেখানে স্তন্যপায়ীরা তা ঘটায় জরায়ুপথের মাধ্যমে, এবং বহু আদিম মেরুদণ্ডী বহিঃনিষেক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যৌন প্রজনন করে থাকে।[১০০][১০১]

আদি পতঙ্গদের ক্ষেত্রে, পুরুষ প্রাণী নির্দিষ্ট স্থানে স্পারমাটোজোয়া জমা করে, নারী প্রজাতির সঙ্গে অন্তরঙ্গতার ফলে নারী প্রাণী তার প্রজননপথে সেই স্পার্ম নিয়ে নেয়, কিন্তু প্রকৃত অর্থে এখানে কোন মিলন ঘটে না।[১০২][১০৩]

প্রাইমেট বর্গের পূর্ববর্তী সকল প্রাণির জন্য যৌনসঙ্গম একটি সহজাত প্রবৃত্তি, যা জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হয়, তবে প্রাইমেট বর্গের প্রাণিসমূহে তা বিবর্তিত হয়ে স্বাধীন ক্রিয়ায় রূপলাভ করেছে।[১০৪] বনবো, সিপ্পাঞ্জি, ডলফিন হল সেসব প্রজাতি যেগুলো বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে যৌনসঙ্গমে অংশ নেয়ার জন্য সুপরিচিত, এমনকি নারী প্রাণীটি যদি প্রজননের জন্য সঙ্গম দশায় না থাকে তবুও। এসব প্রজাতিকে সমলিঙ্গীয় যৌন আচরণে অংশ নিতেও দেখা যায়।[২৪] লক্ষণীয়ভাবে, এ সকল প্রাণীর ক্ষেত্রে যৌনসঙ্গমের আচরণ প্রজননের চাহিদার ব্যাপ্তি অতিক্রম করে আনুসাঙ্গিক সামাজিক কার্যক্রম (সম্পর্ক) ব্যবস্থাপনার জন্য বিবর্তিত হয়েছে।[৮]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Keath Roberts (২০০৬)। Sex (ইংরেজি ভাষায়)। Lotus Press। পৃষ্ঠা 145। আইএসবিএন 8189093592। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৭, ২০১২ 
  2. Wayne Weiten, Margaret A. Lloyd, Dana S. Dunn, Elizabeth Yost Hammer (২০০৮)। Psychology Applied to Modern Life: Adjustment in the 21st Century (ইংরেজি ভাষায়)। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 422–423। আইএসবিএন 0495553395। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১২ 
  3. Irving B. Weiner; George Stricker; Thomas A. Widiger (২০১২)। Handbook of Psychology, Clinical PsychologyJohn Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 172–175। আইএসবিএন 1118404432। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২২, ২০১৩ 
  4. Fred F. Ferri (২০১২)। Ferri's Clinical Advisor 2013,5 Books in 1, Expert Consult — Online and Print,1: Ferri's Clinical Advisor 2013Elsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 1134। আইএসবিএন 0323083730। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৯, ২০১৪ 
  5. "Sexual Intercourse"Discovery.com। আগস্ট ২২, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১২, ২০০৮ 
  6. Nilamadhab Kar; Gopal Chandra Kar (২০০৫)। Comprehensive Textbook of Sexual Medicine Jaypee Brothers Publishers। পৃষ্ঠা 107–112। আইএসবিএন 8180614050। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৪, ২০১২ 
  7. Virginia Rutter; Pepper Schwartz (২০১১)। The Gender of Sexuality: Exploring Sexual PossibilitiesRowman & Littlefield Publishers। পৃষ্ঠা 76। আইএসবিএন 0742570053। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০১৫ 
  8. Diamond, Jared (১৯৯১)। The Rise and Fall of the Third Chimpanzee (ইংরেজি ভাষায়)। Radius। পৃষ্ঠা 360 pages। আইএসবিএন 0091742684  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Diamond" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  9. Richard M. Lerner; Laurence Steinberg (২০০৪)। Handbook of Adolescent PsychologyJohn Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 193–196। আইএসবিএন 0471690449। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৯, ২০১৩When researchers use the term sex, they nearly always mean sexual intercourse – more specifically, penile–vaginal intercourse... The widespread, unquestioned equation of penile–vaginal intercourse with sex reflects a failure to examine systematically 'whether the respondent's understanding of the question matches what the researcher had in mind.' 
  10. See page 11 onwards and pages 47–49 for views on what constitutes virginity loss and therefore sexual intercourse or other sexual activity; source discusses how gay and lesbian individuals define virginity loss, and how the majority of researchers and heterosexuals define virginity loss/"technical virginity" by whether or not a person has engaged in penile–vaginal sex. Laura M. Carpenter (২০০৫)। Virginity Lost: An Intimate Portrait of First Sexual ExperiencesNYU Press। পৃষ্ঠা 295 pages। আইএসবিএন 0-8147-1652-0। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১১ 
  11. "Defining sexual health: Report of a technical consultation on sexual health" (পিডিএফ)World Health Organization। জানুয়ারি ২০০২। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৫, ২০১২In English, the term 'sex' is often used to mean 'sexual activity' and can cover a range of behaviours. Other languages and cultures use different terms, with slightly different meanings.  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "WHO, Sex" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  12. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Most common নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  13. Ada P. Kahn; Jan Fawcett (২০০৮)। The Encyclopedia of Mental HealthInfobase Publishing। পৃষ্ঠা 111। আইএসবিএন 0816064547। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৫, ২০১২ 
  14. Randall, H. E. & Byers, S. E. (২০০৩)। "What is sex? Students' definitions of having sex, sexual partner, and unfaithful sexual behaviour"The Canadian Journal of Human Sexuality12: 87–96। Recently, researchers in the United States, the United Kingdom, and Australia have investigated university students' definitions of having sex. These studies found that students differ in their opinions of what sexual behaviours constitute having sex (Pitts & Rahman, 2001; Richters & Song, 1999; Sanders & Reinisch, 1999). While the vast majority of respondents (more than 97%) in these three studies included penile–vaginal intercourse in their definition of sex, fewer (between 70% and 90%) respondents considered penile–anal intercourse to constitute having sex. Oral-genital behaviours were defined as sex by between 32% and 58% of respondents. 
  15. "Global strategy for the prevention and control of sexually transmitted infections: 2006–2015. Breaking the chain of transmission" (পিডিএফ)World Health Organization। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৬, ২০১১ 
  16. "Sexually Transmitted Disease Surveillance" (পিডিএফ)Centers for Disease Control and Prevention (CDC)। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৬, ২০১১  Also see Fact Sheet
  17. Dianne Hales (২০০৮)। An Invitation to Health Brief 2010–2011Cengage Learning। পৃষ্ঠা 269–271। আইএসবিএন 0495391921। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৯, ২০১৩ 
  18. Bhushan Kumar; Somesh Gupta (২০১৪)। Sexually Transmitted InfectionsElsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 237। আইএসবিএন 8131229785। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৬, ২০১৪ 
  19. Bryan Strong; Christine DeVault; Theodore F. Cohen (২০১০)। The Marriage and Family Experience: Intimate Relationship in a Changing SocietyCengage Learning। পৃষ্ঠা 186। আইএসবিএন 0-534-62425-1। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৮, ২০১১Most people agree that we maintain virginity as long as we refrain from sexual (vaginal) intercourse. But occasionally we hear people speak of 'technical virginity' [...] Data indicate that 'a very significant proportion of teens ha[ve] had experience with oral sex, even if they haven't had sexual intercourse, and may think of themselves as virgins' [...] Other research, especially research looking into virginity loss, reports that 35% of virgins, defined as people who have never engaged in vaginal intercourse, have nonetheless engaged in one or more other forms of heterosexual sexual activity (e.g., oral sex, anal sex, or mutual masturbation). 
  20. Michael Kent (২০০০)। Advanced biologyOxford University Press। পৃষ্ঠা 250–253। আইএসবিএন 0199141959। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০১৫  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Kent" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  21. Showick Thorpe; Edgar Thorpe (২০০৯)। The Pearson General Studies Manual 2009, 1/ePearson Education India। পৃষ্ঠা 1.79। আইএসবিএন 8131721337। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০১৫ 
  22. Balcombe, Jonathan (২০০৬)। Pleasurable Kingdom: Animals and the Nature of Feeling GoodPalgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 106–118। আইএসবিএন 0230552277। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০১৫ 
  23. See page 302 for orgasm information, and pages 285–286 for definitions, prevalence and length of sexual intercourse. Janell L. Carroll (২০১২)। Discovery Series: Human Sexuality (ইংরেজি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 656 pages। আইএসবিএন 1111841896। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৫, ২০১৩ 
  24. Harvey B. Milkman; Kenneth W. Wanberg (২০০৪)। Pathways to Self-Discovery and Change: Criminal Conduct and Substance Abuse Treatment for Adolescents (ইংরেজি ভাষায়)। SAGE। পৃষ্ঠা 254–255। আইএসবিএন 1412906148। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৩ 
  25. Human Kinetics (২০০৯)। Health and Wellness for Life (ইংরেজি ভাষায়)। Human Kinetics। পৃষ্ঠা 207। আইএসবিএন 0736068503। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১১, ২০১৩ 
  26. Edward M. Barrows (২০১১)। Animal Behavior Desk Reference: A Dictionary of Animal Behavior, Ecology, and Evolution (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 122–124। আইএসবিএন 1439836515। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৫, ২০১৩ 
  27. "Copulation" (ইংরেজি ভাষায়)। Dorland's Medical Dictionary for Health Consumers, 2007/TheFreeDictionary.com for various dictionary definitions। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১২ 
  28. "Copulation" (ইংরেজি ভাষায়)। The American Heritage Dictionary of the English Language, Fifth Edition। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৩, ২০১৩ 
  29. Cox, Lauren (মার্চ ৮, ২০১০)। "Study: Adults Can't Agree What 'Sex' Means" (ইংরেজি ভাষায়)। ABC.com। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৫, ২০১২ 
  30. "Fuck" (ইংরেজি ভাষায়)। Merriam-Webster। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩০, ২০১৩ 
  31. "Shag" (ইংরেজি ভাষায়)। Merriam-Webster। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩০, ২০১৩ 
  32. "Sleep together" (ইংরেজি ভাষায়)। TheFreeDictionary.com। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩০, ২০১৩ 
  33. Michael R Kauth (২০০০)। True Nature: A Theory of Sexual Attraction (ইংরেজি ভাষায়)। Springer। পৃষ্ঠা 74। আইএসবিএন 0306463903। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩০, ২০১২ 
  34. Jayson, Sharon (অক্টোবর ১৯, ২০০৫)। "'Technical virginity' becomes part of teens' equation" (ইংরেজি ভাষায়)। USA Today। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৭, ২০০৯ 
  35. George P. Murdock. "On the universals of culture". In: Linton (ed), The Science of Man in the World Crisis (1945).
  36. Gary Laderman (৪ নভেম্বর ২০১৩)। "Some Thoughts on Religion and Sexuality"huffingtonpost.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  37. Louis and Melissa McBurney (২০০৮)। "Christian Sex Rules:A guide to what's allowed in the bedroom"todayschristianwoman.com (ইংরেজি ভাষায়)। 
  38. "Judaism and Sexuality"myjewishlearning.com (ইংরেজি ভাষায়)। 
  39. "Sexual Etiquette in Islam"al-islam.org (ইংরেজি ভাষায়)। 
  40. ucg.org outside of marriage what’s the big deal https://www.ucg.org/the-good-news/sex-outside-of-marriage-whats-the-big-dealtitle=sex outside of marriage what’s the big deal |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  41. Laura Freberg (২০০৯)। Discovering Biological PsychologyCengage Learning। পৃষ্ঠা 308–310। আইএসবিএন 0547177798। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৯, ২০১৬ 
  42. Dunson, D.B.; Baird, D.D.; Wilcox, A.J.; Weinberg, C.R. (১৯৯৯)। "Day-specific probabilities of clinical pregnancy based on two studies with imperfect measures of ovulation"। Human Reproduction14 (7): 1835–1839। আইএসএসএন 1460-2350ডিওআই:10.1093/humrep/14.7.1835 
  43. Pappas, Stephanie (অক্টোবর ২২, ২০১৪)। "Sex Is 385 Million Years Old, and It Looked Like Square Dancing"Live Science। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৭, ২০১৪ 
  44. Richard Evan Jones; Kristin H. López (২০০৬)। Human Reproductive BiologyAcademic Press। পৃষ্ঠা 604 pages। আইএসবিএন 0120884658। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৮, ২০১২ 
  45. Sexual Intercourse, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা
  46. http://www.askmen.com/dating/vanessa/28_love_secrets.html
  47. http://everydayfeminism.com/2012/11/top-5-questions-about-the-female-orgasm-answered/
  48. Harry T. Reis; Susan Sprecher; Susan K. Sprecher (২০০৯)। Encyclopedia of Human Relationships1SAGE। পৃষ্ঠা 541–543। আইএসবিএন 1412958466 
  49. Sexual Intercourse, Sexual Health Center, Discovery Health
  50. http://www.sexuality.org/l/transgen/tsorg.html[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  51. http://health.howstuffworks.com/sexual-health/sexuality/anal-sex-dictionary.htm
  52. Taormino, Tristan (২০০৯)। The Big Book of Sex Toys। Quiver। পৃষ্ঠা 52। আইএসবিএন 978-1-59233-355-4। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৪ 
  53. Wayne Weiten; Dana S. Dunn; Elizabeth Yost Hammer (২০১১)। Psychology Applied to Modern Life: Adjustment in the 21st CenturyCengage Learning। পৃষ্ঠা 384–386। আইএসবিএন 1-111-18663-4। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১২ 
  54. Sandra Alters; Wendy Schiff (২০১১)। Essential Concepts for Healthy Living UpdateJones & Bartlett Publishers। পৃষ্ঠা 154। আইএসবিএন 144965374X। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০১৪ 
  55. Plant T., Zeleznik A. (2015). Knobil and Neill's Physiology of Reproduction. Academic Press, 4th edition.
  56. Wunsch S. (2017) Phylogenesis of mammal sexuality. Analysis of the evolution of proximal factors. Sexologies, 26(1):e1-e10.
  57. Pfaus J.G., Flanagan-Cato L.M., Blaustein J.D. (2015) Female sexual behavior. in Plant T., Zeleznik A. (Eds). Knobil and Neill's Physiology of Reproduction. Academic Press, 4th edition
  58. Dixson A.F. (2012) Primate sexuality: Comparative studies of the Prosimians, Monkeys, Apes, and Human Beings. Oxford University Press, 2nd edition.
  59. Keller M., Bakker J. (২০০৯)। "Pheromonal communication in higher vertebrates and its implication for reproductive function"Behavioural Brain Research200 (2): 237–358। ডিওআই:10.1016/j.bbr.2009.02.003পিএমআইডি 19374009পিএমসি 2909619অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  60. Nei M, Niimura Y, Nozawa M (২০০৮)। "The evolution of animal chemosensory receptor gene repertoires: roles of chance and necessity"। Nat. Rev. Genet.9 (12): 951–963। ডিওআই:10.1038/nrg2480 
  61. Zhang J., Webb D.M. (২০০৩)। "Evolutionary deterioration of the vomeronasal pheromone transduction pathway in catarrhine primates"Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America100 (14): 8337–8341। ডিওআই:10.1073/pnas.1331721100পিএমসি 166230অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  62. Doty R.L. (2014) Human Pheromones: Do They Exist? in Mucignat-Caretta C. (Ed). Neurobiology of Chemical Communication. Boca Raton (FL): CRC Press, (19).
  63. Georgiadis JR, Kringelbach ML, Pfaus JG (২০১২)। "Sex for fun: a synthesis of human and animal neurobiology"। Nat. Rev. Urol.9 (9): 486–498। ডিওআই:10.1038/nrurol.2012.151 
  64. Van Lysebeth, Andre (২০০২)। Tantra: the cult of the feminineআইএসবিএন 978-81-208-1759-3 
  65. http://www.menshealth.com/health/your-dirty-sexy-belly-button
  66. Rogiere, Jean, " The little bit naughty book of sex". Ulysses Press. 2001. আইএসবিএন ১৫৬৯৭৫৩০৫৯
  67. /http://www.everydayhealth.com/sexual-health/dr-laura-berman-truth-about-female-ejaculation.aspx
  68. http://www.luckymojo.com/tkclitoris.html
  69. Trussell, James (২০১১)। "Contraceptive efficacy"। Hatcher, Robert A.; Trussell, James; Nelson, Anita L.; Cates, Willard Jr.; Kowal, Deborah; Policar, Michael S. (eds.)। Contraceptive technology (পিডিএফ) (20th revised সংস্করণ)। New York: Ardent Media। পৃষ্ঠা 779–863। আইএসএসএন 0091-9721আইএসবিএন 978-1-59708-004-0ওসিএলসি 781956734। ২০১৩-১১-১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  70. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Alters নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  71. Andrew Steptoe; Kenneth Freedland; J. Richard Jennings; Maria M. Llabre; Stephen B Manuck; Elizabeth J. Susman (২০১০)। Handbook of Behavioral Medicine: Methods and ApplicationsSpringer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 60–61। আইএসবিএন 0387094881। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৭, ২০১৪ 
  72. Theresa Hornstein; Jeri Schwerin (২০১২)। Biology of WomenCengage Learning। পৃষ্ঠা 205। আইএসবিএন 1285401026। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৭, ২০১৪ 
  73. Carol Sigelman; Elizabeth Rider (২০১১)। Life-Span Human DevelopmentCengage Learning। পৃষ্ঠা 452। আইএসবিএন 1111342733। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৭, ২০১৪ 
  74. Northrup, Christiane (২০১০)। Women's Bodies, Women's Wisdom: Creating Physical and Emotional Health and Healing। Bantam। পৃষ্ঠা 232। আইএসবিএন 978-0-553-80793-6। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০১৫ 
  75. "Sexually transmitted infections (STIs)"। World Health Organization। সংগ্রহের তারিখ জুন ২০, ২০১৫ 
  76. CDC Hepatitis B Information for Health Professionals Accessed May 27, 2010
  77. "Hepatitis B"World Health Organization। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১২ 
  78. William N. Eskridge Jr. Dishonorable Passions: Sodomy Laws in America, 1861–2003. (2008) Viking Adult. আইএসবিএন ০-৬৭০-০১৮৬২-৭
  79. Noelle N. R. Quenivet. Sexual Offenses in Armed Conflict & International Law. (2005) Hotei Publishing. আইএসবিএন ১-৫৭১০৫-৩৪১-৭
  80. Marshall Cavendish Corporation (২০১০)। Sex and SocietyMarshall Cavendish Corporation। পৃষ্ঠা 143–144। আইএসবিএন 0-7614-7906-6। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৫, ২০১৩ 
  81. Jerrold S. Greenberg; Clint E. Bruess; Sarah C. Conklin (২০১০)। Exploring the Dimensions of Human SexualityJones & Bartlett Learning। পৃষ্ঠা 515। আইএসবিএন 0-7637-7660-2। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৫, ২০১৩ 
  82. Margaret Monahan Hogan (২০০২)। Marriage as a Relationship: Real and RationalMarquette University Press। পৃষ্ঠা 88। আইএসবিএন 0874626579। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫ 
  83. James A. Brundage (২০০৯)। Law, Sex, and Christian Society in Medieval EuropeUniversity of Chicago Press। পৃষ্ঠা 609–611। আইএসবিএন 0226077896। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৫ 
  84. Philip Carlan; Lisa S. Nored; Ragan A. Downey (২০১১)। An Introduction to Criminal LawJones & Bartlett Publishers। পৃষ্ঠা 139। আইএসবিএন 1449647219। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৫ 
  85. "Can Iran 'control' its cohabiting couples?"। BBC News। ডিসেম্বর ১০, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৫ 
  86. "Amnesty International Report 2014/15"amnesty.org। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৫ 
  87. "Share of live births outside marriage"europa.eu। মার্চ ২, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৫ 
  88. Don S. Browning, Martha Christian Green, John Witte. Sex, marriage, and family in world religions. (2006) Columbia University Press. আইএসবিএন ০-২৩১-১৩১১৬-X

বহিঃসংযোগ