রত্নপাথর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md. Mokther Hossain (আলোচনা | অবদান)
Md. Mokther Hossain-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে নকীব বট-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Cardinal_gems.png|থাম্ব|250x250পিক্সেল| [[হীরক|ডায়মন্ড]],নীলা, রুবি, [[পান্না]] ও নীলা স্ফটিক ক্লাস্টার।]]
[[চিত্র:Cardinal_gems.png|থাম্ব|250x250পিক্সেল| [[হীরক|ডায়মন্ড]],নীলা, রুবি, [[পান্না]] ও নীলা স্ফটিক ক্লাস্টার।]]
'''রত্নপাথর''' ('''জহর''', ''' মণি''', '''রত্ন''', '''বহুমূল্য পাথর''' বা '''আধা মূল্যবান পাথর''' নামেও পরিচিত) একটি খনিজ [[স্ফটিক|ক্রিস্টাল]], যা কেটে পলিশ করে অলংকার তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। যাই হোক কিছু পাথর (যেমন লাপিস লাজুলি ও ওপাল) বা জৈব উপকরণ যা খনিজ নয় যেমন আম্বর, জেট ও মুক্তা ইত্যাদিকে ও অলংকারে ব্যবহার করা হয় এবং রত্নপাথর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অধিকাংশ রত্নপাথর কঠিন প্রকৃতির কিন্তু কিছু নরম খনিজ অলংকারে ব্যবহার করা হয, তাদের দীপ্তি বা বৈশিষ্ট্যের কারণে; যার নান্দনিক মূল্য রয়েছে। দুর্লভতা হচ্ছে রত্নপাথরের আরেকটি বৈশিষ্ট্য, যা এর মূল্য নির্ধারণ করে।
'''রত্নপাথর''' ('''জহর''', ''' মণি''', '''রত্ন''', '''বহুমূল্য পাথর''' বা '''আধা মূল্যবান পাথর''' নামেও পরিচিত) একটি খনিজ [[স্ফটিক|ক্রিস্টাল]] কেটে পালিশ করে অলংকার তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। যাই হোক কিছু পাথর যেমন নীলকান্তমণি বা জৈব উপকরণ যা খনিজ নয় যেমন আম্বর, জেট ও মুক্তা ইত্যাদিকে রত্নপাথর হিসেবে প্রায়শই উল্লেখ করা হয়। অধিকাংশ রত্নপাথর কঠিন প্রকৃতির কিন্তু কিছু নরম খনিজ অলংকারে ব্যবহার করা হয়। কারণ তাদের দীপ্তি বা শারীরিক বৈশিষ্ট্য নান্দনিক মূল্য ফুটিয়ে তোলে। অসাধারণত্ব আরেকটি বৈশিষ্ট্য যা রত্নপাথরের মূল্য নির্ধারণ করে। অলংকার ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে নকশায় এবং ভাস্কর্যে রত্ন পাথর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেমন পেয়ালায় গায়ে রত্ন পাথরের নকশা। রত্নপাথর নির্মাতাকে বলা হয় জহুরী, ল্যাপিডারি বা জেমকাটার। হীরক নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিকে বলা হয় ডায়ম্যান্টায়ার।

অলংকার ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে নকশায় এবং ভাস্কর্যে রত্ন পাথর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেমন পেয়ালায় গায়ে রত্ন পাথরের নকশা। রত্নপাথর নির্মাতাকে বলা হয় জহুরী, ল্যাপিডারি বা জেমকাটার। হীরক নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিকে বলা হয় ডায়ম্যান্টায়ার।


এই ঐতিহ্যে কার্ল ফ্যাবার্জের ভাস্কর্য উল্লেখযোগ্য কাজ।
এই ঐতিহ্যে কার্ল ফ্যাবার্জের ভাস্কর্য উল্লেখযোগ্য কাজ।


== বৈশিষ্ট্য এবং সাইট ==
== বৈশিষ্ট্য এবং সাইট ==
প্রাচ্যের প্রথাগত শ্রেণিভেদ যা প্রাচীন গ্রীকে ফিরিয়ে।নিয়ে যায় যেখানে মূল্যবান এবং অর্ধ মূল্যবান এর মধ্যে আলাদা করা হয়। অন্যান্য সংস্কৃতিতে এরকম শ্রেণীকরণ লক্ষ্য করা যায়। আধুনিককালে ব্যবহৃত মূল্যবান পাথরের মধ্যে আছে [[হীরক|হীরা]], রুবি, নীলকান্তমণি ও [[পান্না]] এবং অন্যান্য সকল অর্ধ মূল্যবান রত্নপাথর। এই পার্থক্য প্রাচীনকালে অসাধারণ পাথর সমূহের মানের পাশাপাশি তাদের দুষ্প্রাপ্যতা ফুটিয়ে তোলে। সব স্বচ্ছ সুক্ষ রঙের পাথর গুলো তাদের বিশুদ্ধতম অবস্থানে থাকে। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম বর্ণহীন হীরক। এরা খুবই কঠিন। কাঠিন্য মাত্রায় এদের কাঠিন্য ৮ থেকে ১০। অন্যান্য পাথরকে তাদের রঙ, স্বচ্ছতা এবং কঠোরতা দিয়ে পৃথকীকরণ করা হয়। ঐতিহ্যবাহী পার্থক্য আধুনিক মূল্যের উপর প্রতিফলিত হয় না। উদাহরণস্বরূপ [[গারনেট]] তুলনামূলকভাবে, সবুজ গারনেটকে বলা হয় স্যাভোরাইট যা মধ্য মানের পান্নার তুলনায় অনেক মূল্যবান। অর্ধ মূল্যবান রত্নপাথরের জন্য শিল্প, ইতিহাস ও [[প্রত্নতত্ত্ব]] ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক টার্ম হার্ডস্টোন ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপটে মূল্যবান এবং আধা মূল্যবান শব্দাবলী ব্যবহার ভুল বার্তা দেয় যে কিছু পাথর অন্যান্য পাথরের তুলনায় খুবই মূল্যবান।
প্রাচ্যের প্রথাগত শ্রেণিভেদ যা প্রাচীন গ্রীকে ফিরিয়ে।নিয়ে যায় যেখানে মূল্যবান এবং অর্ধ মূল্যবান এর মধ্যে আলাদা করা হয়। অন্যান্য সংস্কৃতিতে এরকম শ্রেণীকরণ লক্ষ্য করা যায়। আধুনিককালে ব্যবহৃত মূল্যবান পাথরের মধ্যে আছে [[হীরক|হীরা]], রুবি, নীলকান্ত ও [[পান্না]] এবং অন্যান্য সকল অর্ধ মূল্যবান রত্নপাথর। এই পার্থক্য প্রাচীনকালে অসাধারণ পাথর সমূহের মানের পাশাপাশি তাদের দুষ্প্রাপ্যতা ফুটিয়ে তোলে। সব স্বচ্ছ সুক্ষ রঙের পাথর গুলো তাদের বিশুদ্ধতম অবস্থানে থাকে। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম বর্ণহীন হীরক। এরা খুবই কঠিন। কাঠিন্য মাত্রায় এদের কাঠিন্য ৮ থেকে ১০। অন্যান্য পাথরকে তাদের রঙ, স্বচ্ছতা এবং কঠোরতা দিয়ে পৃথকীকরণ করা হয়। ঐতিহ্যবাহী পার্থক্য আধুনিক মূল্যের উপর প্রতিফলিত হয় না। উদাহরণস্বরূপ [[গারনেট]] তুলনামূলকভাবে, সবুজ গারনেটকে বলা হয় স্যাভোরাইট যা মধ্য মানের পান্নার তুলনায় অনেক মূল্যবান। অর্ধ মূল্যবান রত্নপাথরের জন্য শিল্প, ইতিহাস ও [[প্রত্নতত্ত্ব]] ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক টার্ম হার্ডস্টোন ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপটে মূল্যবান এবং আধা মূল্যবান শব্দাবলী ব্যবহার ভুল বার্তা দেয় যে কিছু পাথর অন্যান্য পাথরের তুলনায় খুবই মূল্যবান।
<!-- অনুবাদ প্রয়োজন, যান্ত্রিক অনুবাদ
<!-- অনুবাদ প্রয়োজন, যান্ত্রিক অনুবাদ
আধুনিক কালে, বহুমূল্য পাথর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, gemologistsযারা বর্ণনা রত্ন এবং তাদের বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে প্রযুক্তিগত পরিভাষা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে gemology. প্রথম চরিত্রগত একটি gemologist ব্যবহার করে চিহ্নিত করতে একটি রত্ন পাথর হয় তার রাসায়নিক রচনা. উদাহরণস্বরূপ, [[হীরক|শাড়ি]] তৈরি হয় [[কার্বন]] (C) এবং অমূল্য এর [[অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড]] (Al<span style="display:inline-block; margin-bottom:-0.3em; vertical-align:-0.4em; line-height:1.2em; font-size:85%; text-align:left;"><br>
আধুনিক কালে, বহুমূল্য পাথর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, gemologistsযারা বর্ণনা রত্ন এবং তাদের বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে প্রযুক্তিগত পরিভাষা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে gemology. প্রথম চরিত্রগত একটি gemologist ব্যবহার করে চিহ্নিত করতে একটি রত্ন পাথর হয় তার রাসায়নিক রচনা. উদাহরণস্বরূপ, [[হীরক|শাড়ি]] তৈরি হয় [[কার্বন]] (C) এবং অমূল্য এর [[অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড]] (Al<span style="display:inline-block; margin-bottom:-0.3em; vertical-align:-0.4em; line-height:1.2em; font-size:85%; text-align:left;"><br>
১২২ নং লাইন: ১২০ নং লাইন:
* Zektzerite দ্বারা আবিষ্কৃত হয় Bart ক্যানন 1968 উপর ক্যাঙ্গারু সেতুবন্ধ কাছাকাছি ওয়াশিংটন পাস Okanogan কাউন্টি, ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র. খনিজ ছিল সম্মানে নামে, গণিতবিদ এবং ভূবিজ্ঞানী জ্যাক Zektzer যারা উপস্থাপন উপাদান অধ্যয়নের জন্য 1976 সালে.
* Zektzerite দ্বারা আবিষ্কৃত হয় Bart ক্যানন 1968 উপর ক্যাঙ্গারু সেতুবন্ধ কাছাকাছি ওয়াশিংটন পাস Okanogan কাউন্টি, ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র. খনিজ ছিল সম্মানে নামে, গণিতবিদ এবং ভূবিজ্ঞানী জ্যাক Zektzer যারা উপস্থাপন উপাদান অধ্যয়নের জন্য 1976 সালে.
-->
-->

== সবচেয়ে দুর্লভ রত্নপাথরের তালিকা ==
== টীকা ==
* [[:en:Painite|পাইনাইটঃ]] পাইনাইট ১৯৫৬ সালে মায়ানমারের সর্বপ্রথম আবিষ্কার করা হয়। এই রত্নপাথরটির নাম ব্রিটিশ রত্ন বিশারদ আর্থার চার্লেস ডেভি পেইনের সম্মানে রাখা হয়। ২০০৫ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের পাতায় পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ রত্নপাথর হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
{{সূত্র তালিকা|colwidth=30em}}
* [[:en:Hibonite|হাইবোনাইটঃ]] হাইবোনাইট ১৯৫৬ সালে প্রথম মাদাগাস্কারে আবিষ্কৃত হয়। এর আবিষ্কারক ফ্রেন্স রত্নবিশারদ পল হিবনের নামানুসারে রত্নপাথরটির নাম রাখা হয়। তবে রত্নমানের হাইবোনাইট শুধুমাত্র মায়ানমারে পাওয়া গিয়েছিল।
* রেড বারিলঃ রেড বারিল বা বিক্সবাইট ১৯০৪ সালে উটাহ-এর বিবারের কাছাকাছি এলাকায় পাওয়া গিয়েছিল এবং এর নাম আমেরিকান খনিজ বিশারদ মেয়নার্ড বিক্সবির নামে রাখা হয়।
* জেরেমেজেভাইটঃ জেরেমেজেভাইট ১৮৮৩ সালে সর্বপ্রথম রাশিয়ায় পাওয়া যায় এবং এর আবিষ্কারক পাওয়েল ব্লাদিমিরোবিচ জেরেমেজেভের (১৮৩০-১৮৯৯) নামানুসারে রাখা হয়।
* চ্যাম্বারসাইটঃ চ্যাম্বারসাইট ১৯৫৭ সালে সর্বপ্রথম চ্যাম্বার কাউন্টি, টেক্সাস, আমেরিকায় পাওয়া গিয়েছিল এবং এর এলাকার নামানুসারে এর নাম রাখা হয়।
* ট্যাফেইটঃ ট্যাফেইট ১৯৪৫ সালে আবিষ্কার হয় যেখানে এর নাম এর আইরিশ আবিষ্কারক ও রত্নবিশারদ কাউন্ট এডয়ার্ড চার্লেস রিচার্ড ট্যাফের নামানুসারে রাখা হয়।
* মুসগ্রাভাইটঃ মুসগ্রাভাইট সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে দক্ষিন অষ্ট্রেলিয়ার মুসগ্র্যাভ পর্বতে আবিষ্কৃত হয়, যা এর এলাকার নামানুসারে রাখা হয়।
* গ্র্যান্ডিডিয়েরাইটঃ গ্র্যান্ডিডিয়েরাইট সর্বপ্রথম ১৯০২ সালে মাদাগাস্কারের টুলির প্রদেশে এন্টইন ফ্রাঙ্কইস আলফ্রেড ল্যাক্রইক্স (১৮৬৩-১৯৪৮) আবিষ্কার করেন। এর নাম ফ্রেঞ্চ প্রাকৃতিক গবেষক আলফ্রেড গ্র্যান্ডিডিয়েরের (১৮৩৬-১৯১২) নামে রাখা হয়।
* পোউড্রেটেইটঃ পোউড্রেটেইট সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে কানাডার পোউড্রেট খনিতে আবিষ্কার হয় যা এর নাম খনির মালিক এবং পরিচালকের নামে রাখা হয়; পোউড্রেট পরিবার।
* সেরেন্ডিবাইটঃ সেরেন্ডিবাইট সর্বপ্রথম ১৯০২ সালে ডানিল পালিথা গুনাসেকারা শ্রীলঙ্কায় আবষ্কার করে। এর নাম সেরেন্দিবের নামানুসারে রাখা হয়; যা ছিলো শ্রীলঙ্কার পুরাতন আরবী নাম।
* যেক্টযেরাইটঃ যেক্টযেরাইট সর্বপ্রথম ১৯৬৮ সালে বার্ট ক্যানন ওকানোগান কাউন্টি, ওয়াশিংটন, আমেরিকায় আবিষ্কার করে। এই খনিজের নাম একজন গণিতবিদের নামানুসারে রাখা হয়।
*


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==
{{Commons|Category:Gemstones}}
{{Commons|Category:Gemstones}}
* [https://gemsbdonline.com/2019/03/26/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a8/ বিশ্বের সবচেয়ে দামী ১০টি রত্নপাথর]
* [http://www.farlang.com/gemstones-diamonds-books অনলাইন লাইব্রেরি]
* [http://www.farlang.com/gemstones-diamonds-books অনলাইন লাইব্রেরি]
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
১৪৬ নং লাইন: ১৩৩ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:খনিজ পদার্থ]]
[[বিষয়শ্রেণী:খনিজ পদার্থ]]
[[বিষয়শ্রেণী:রত্নপাথর]]
[[বিষয়শ্রেণী:রত্নপাথর]]
[[বিষয়শ্রেণী:সবচেয়ে দুর্লভ রত্নপাথরের তালিকা|সবচেয়ে দুর্লভ রত্নপাথরের তালিকা]]

০৯:৩১, ১৩ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ডায়মন্ড,নীলা, রুবি, পান্না ও নীলা স্ফটিক ক্লাস্টার।

রত্নপাথর (জহর, মণি, রত্ন, বহুমূল্য পাথর বা আধা মূল্যবান পাথর নামেও পরিচিত) একটি খনিজ ক্রিস্টাল কেটে পালিশ করে অলংকার তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। যাই হোক কিছু পাথর যেমন নীলকান্তমণি বা জৈব উপকরণ যা খনিজ নয় যেমন আম্বর, জেট ও মুক্তা ইত্যাদিকে রত্নপাথর হিসেবে প্রায়শই উল্লেখ করা হয়। অধিকাংশ রত্নপাথর কঠিন প্রকৃতির কিন্তু কিছু নরম খনিজ অলংকারে ব্যবহার করা হয়। কারণ তাদের দীপ্তি বা শারীরিক বৈশিষ্ট্য নান্দনিক মূল্য ফুটিয়ে তোলে। অসাধারণত্ব আরেকটি বৈশিষ্ট্য যা রত্নপাথরের মূল্য নির্ধারণ করে। অলংকার ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকে নকশায় এবং ভাস্কর্যে রত্ন পাথর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেমন পেয়ালায় গায়ে রত্ন পাথরের নকশা। রত্নপাথর নির্মাতাকে বলা হয় জহুরী, ল্যাপিডারি বা জেমকাটার। হীরক নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিকে বলা হয় ডায়ম্যান্টায়ার।

এই ঐতিহ্যে কার্ল ফ্যাবার্জের ভাস্কর্য উল্লেখযোগ্য কাজ।

বৈশিষ্ট্য এবং সাইট

প্রাচ্যের প্রথাগত শ্রেণিভেদ যা প্রাচীন গ্রীকে ফিরিয়ে।নিয়ে যায় যেখানে মূল্যবান এবং অর্ধ মূল্যবান এর মধ্যে আলাদা করা হয়। অন্যান্য সংস্কৃতিতে এরকম শ্রেণীকরণ লক্ষ্য করা যায়। আধুনিককালে ব্যবহৃত মূল্যবান পাথরের মধ্যে আছে হীরা, রুবি, নীলকান্ত ও পান্না এবং অন্যান্য সকল অর্ধ মূল্যবান রত্নপাথর। এই পার্থক্য প্রাচীনকালে অসাধারণ পাথর সমূহের মানের পাশাপাশি তাদের দুষ্প্রাপ্যতা ফুটিয়ে তোলে। সব স্বচ্ছ সুক্ষ রঙের পাথর গুলো তাদের বিশুদ্ধতম অবস্থানে থাকে। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম বর্ণহীন হীরক। এরা খুবই কঠিন। কাঠিন্য মাত্রায় এদের কাঠিন্য ৮ থেকে ১০। অন্যান্য পাথরকে তাদের রঙ, স্বচ্ছতা এবং কঠোরতা দিয়ে পৃথকীকরণ করা হয়। ঐতিহ্যবাহী পার্থক্য আধুনিক মূল্যের উপর প্রতিফলিত হয় না। উদাহরণস্বরূপ গারনেট তুলনামূলকভাবে, সবুজ গারনেটকে বলা হয় স্যাভোরাইট যা মধ্য মানের পান্নার তুলনায় অনেক মূল্যবান। অর্ধ মূল্যবান রত্নপাথরের জন্য শিল্প, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক টার্ম হার্ডস্টোন ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপটে মূল্যবান এবং আধা মূল্যবান শব্দাবলী ব্যবহার ভুল বার্তা দেয় যে কিছু পাথর অন্যান্য পাথরের তুলনায় খুবই মূল্যবান।

টীকা

বহিঃসংযোগ