নিমাই ভট্টাচার্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৯ নং লাইন: ৫৯ নং লাইন:
তিন বছর বয়সে তিনি মাতৃহীন হন। ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর তিনি কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দেশভাগের পর তিনি পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী হন।<ref name=dd/>
তিন বছর বয়সে তিনি মাতৃহীন হন। ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর তিনি কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দেশভাগের পর তিনি পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী হন।<ref name=dd/>


==শিক্ষাজীবন==
==কর্মজীবন==
নিমাই ভট্টাচার্য ভাগ্যের নির্মম অদৃষ্ট সাড়ে তিন বছর বয়সে মাতৃহীন হয়ে ভীষণ কষ্টে পিতার সীমিত আয়ে অত্যন্ত কষ্টে ভর্তি হন কলকাতা কর্পোরেশনের ফ্রি স্কুলে। কলকাতা রিপন কলেজে কিছুদিন পড়ালেখা করার পর যশোরে ফিরে আসেন। ১৯৪১ সালে তিনি যশোরের সম্মিলনী ইন্সটিটউশনে চতুর্থ শ্রেনীতে ভর্তি হন এবং নবম শ্রেনী পর্যন্ত সেখানে পড়াশোনা করেন। নিমাই ভট্টাচার্যের পিতা সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য নিজেও যশোরের সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনের ছাত্র এবং পরবর্তীতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন কলকাতা গমনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। পরবর্তীতে দেশ বিভাগের পর নিমাই ভট্টাচার্য তাঁর পিতার সাথে পুনরায় কলতায় যান এবং সেখানে আবারো রিপন স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং সেখান থেকেই তিনি আই.এ পাস করেন। এবং কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে ১৯৫২ সালে বি.এ পাস করেন।

==কর্মজীবন==
নিমাই সাংবাদিকতার মাধ্যমেই তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে তার লেখা একটি উপন্যাস কলকাতার সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তা ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.rokomari.com/book/author/14353/নিমাই-ভট্টাচার্য|শিরোনাম= নিমাই ভট্টাচার্য |কর্ম=রকমারি.কম |সংগ্রহের-তারিখ=২২ এপ্রিল ২০১৯}}</ref> এরপর, তার চারটি উপন্যাস একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
নিমাই সাংবাদিকতার মাধ্যমেই তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে তার লেখা একটি উপন্যাস কলকাতার সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তা ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.rokomari.com/book/author/14353/নিমাই-ভট্টাচার্য|শিরোনাম= নিমাই ভট্টাচার্য |কর্ম=রকমারি.কম |সংগ্রহের-তারিখ=২২ এপ্রিল ২০১৯}}</ref> এরপর, তার চারটি উপন্যাস একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।



০৬:৩৩, ১২ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নিমাই ভট্টাচার্য
চিত্র:Nimai Bhattacharya.jpg
জন্ম(১৯৩১-০৪-১০)১০ এপ্রিল ১৯৩১ (৮৯ বছর)
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামবাচ্চু
শিক্ষাসুরেন্দ্রনাথ কলেজ
পেশাসাংবাদিক
উল্লেখযোগ্য কর্ম
মেমসাহেব
আদি নিবাসপূর্ববঙ্গ (বর্তমানে বাংলাদেশ)
দাম্পত্য সঙ্গীদীপ্তি ভট্টাচার্য

নিমাই ভট্টাচার্য (জন্ম ১০ এপ্রিল ১৯৩১) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক।

প্রারম্ভিক জীবন

নিমাই ভট্টাচার্য তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার (বর্তমান জেলা) শালিখা থানায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিন বছর বয়সে তিনি মাতৃহীন হন। ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর তিনি কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দেশভাগের পর তিনি পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী হন।[১]

শিক্ষাজীবন

নিমাই ভট্টাচার্য ভাগ্যের নির্মম অদৃষ্ট সাড়ে তিন বছর বয়সে মাতৃহীন হয়ে ভীষণ কষ্টে পিতার সীমিত আয়ে  অত্যন্ত কষ্টে ভর্তি হন কলকাতা কর্পোরেশনের ফ্রি স্কুলে। কলকাতা রিপন কলেজে কিছুদিন পড়ালেখা করার পর যশোরে ফিরে আসেন। ১৯৪১ সালে তিনি যশোরের সম্মিলনী ইন্সটিটউশনে চতুর্থ শ্রেনীতে ভর্তি হন এবং নবম শ্রেনী পর্যন্ত সেখানে পড়াশোনা করেন। নিমাই ভট্টাচার্যের পিতা সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য নিজেও যশোরের  সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনের ছাত্র এবং পরবর্তীতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন কলকাতা গমনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। পরবর্তীতে দেশ বিভাগের পর নিমাই ভট্টাচার্য তাঁর পিতার  সাথে পুনরায় কলতায় যান এবং সেখানে আবারো রিপন স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং সেখান থেকেই তিনি আই.এ পাস করেন।  এবং কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে ১৯৫২ সালে বি.এ পাস করেন। 

কর্মজীবন

নিমাই সাংবাদিকতার মাধ্যমেই তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে তার লেখা একটি উপন্যাস কলকাতার সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তা ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে।[২] এরপর, তার চারটি উপন্যাস একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ

নিমাইয়ের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৫০ -এর অধিক।[৩] বাংলা সাহিত্যে মেমসাহেব উপন্যাসটি তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনা। মেমসাহেব গ্রন্থ অবলম্বনে ১৯৭২ সালে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।[৪] এতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার এবং অপর্ণা সেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলো হল:

  • মেমসাহেব
  • মিনিবাস
  • মাতাল
  • ইনকিলাব
  • ব্যাচেলার
  • ইমনকল্যাণ
  • ডিফেন্স কলোনী
  • প্রবেশ নিষেধ
  • কেরানী
  • ভায়া ডালহৌসী
  • হকার্স কর্নার
  • রাজধানী এক্সপ্রেস
  • নিমন্ত্রণ
  • নাচনী
  • অ্যাংলো ইন্ডিয়ান
  • ডার্লিং
  • ম্যাডাম
  • ওয়ান আপ-টু-ডাউন
  • গোধুলিয়া
  • প্রিয়বরেষু
  • আকাশ ভরা সূর্য তারা
  • মোগল সরাই জংশন
  • ইওর অনার
  • ককটেল
  • অনুরোধের আসর
  • যৌবন নিকুঞ্জে
  • শেষ পরানির কড়ি
  • হরেকৃষ্ণ জুয়েলার্স
  • পথের শেষে

তথ্যসূত্র

  1. "নিমাই ভট্টাচার্য বাংলাদেশেরই সন্তান"একুশে টিভি। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯ 
  2. "নিমাই ভট্টাচার্য"রকমারি.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. "'মেমসাহেব'-এর নিমাই ভট্টাচার্য: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যার পেছনেও মৌলবাদীরা ছিল"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৬ আগস্ট ২০১৮। ২৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৯ 
  4. "8 Tollywood Actors Who Essayed Out Every Facet Of Being A Journalist"Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯