মুসলিম লীগ (পাকিস্তান): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৪০ নং লাইন: | ৪০ নং লাইন: | ||
== দলের ভাঙ্গন == |
== দলের ভাঙ্গন == |
||
১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্বরে [[মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ]] মৃত্যুবরণ করেন এবং ১৯৫১ সালের অক্টোবরে [[লিয়াকত আলি খান|লিয়াকত আলি খান]]কে হত্যা করা হয়। দুই প্রবীণ নেতার মৃত্যুর পর দলটি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯৫৩ সাল নাগাদ লীগের মধ্যে বিভেদ দলের সদস্যদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে পরিচালিত করে। ১৯৫৩ সালের এপ্রিলে [[লিয়াকত আলি খান|লিয়াকত আলি খানের]] স্থলাভিষিক্ত বাঙালি নেতা [[খাজা নাজিমুদ্দিন]]কে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও ১৯৫৫ সালের মে মাসে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে (পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে) [[যুক্তফ্রন্ট|যুক্তফ্রন্টের]] গঠিত রাজনৈতিক জোটের কাছে মুসলিম লীগ পরাজিত হয়। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং [[আইয়ুব খান|জেনারেল আইয়ুব খান]] প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হয়ে সব ধরনের রাজনীতি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরনো মুসলিম লীগের সমাপ্তি ঘটে। |
১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্বরে [[মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ]] মৃত্যুবরণ করেন এবং ১৯৫১ সালের অক্টোবরে [[লিয়াকত আলি খান|লিয়াকত আলি খান]]কে হত্যা করা হয়। দুই প্রবীণ নেতার মৃত্যুর পর দলটি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯৫৩ সাল নাগাদ লীগের মধ্যে বিভেদ দলের সদস্যদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে পরিচালিত করে। ১৯৫৩ সালের এপ্রিলে [[লিয়াকত আলি খান|লিয়াকত আলি খানের]] স্থলাভিষিক্ত বাঙালি নেতা [[খাজা নাজিমুদ্দিন]]কে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও ১৯৫৫ সালের মে মাসে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে (পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে) [[যুক্তফ্রন্ট|যুক্তফ্রন্টের]] গঠিত রাজনৈতিক জোটের কাছে মুসলিম লীগ পরাজিত হয়। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং [[আইয়ুব খান|জেনারেল আইয়ুব খান]] প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হয়ে সব ধরনের রাজনীতি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরনো মুসলিম লীগের সমাপ্তি ঘটে। |
||
== একই নামে অন্যান্য দল == |
|||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
০৭:৪৯, ১০ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৩ বছর আগে MS Sakib (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
ঐতিহাসিক নেতৃবৃন্দ | মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ লিয়াকত আলী খান চৌধুরী খালিকুজ্জামান খাজা নাজিমুদ্দিন ফাতেমা জিন্নাহ |
---|---|
প্রতিষ্ঠা | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৪৭ |
ভাঙ্গন | ২৭ অক্টোবর ১৯৫৮ |
পূর্ববর্তী | নিখিল ভারত মুসলিম লীগ |
পরবর্তী | পাকিস্তান মুসলিম লীগ নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ |
সদর দপ্তর | করাচি |
সংবাদপত্র | ডন |
ভাবাদর্শ | ইসলামি আধুনিকতাবাদ পুঁজিবাদ |
রাজনৈতিক অবস্থান | Big tent |
আনুষ্ঠানিক রঙ | সবুজ |
পাকিস্তানের রাজনীতি |
সংবিধান |
---|
মুসলিম লীগ হচ্ছে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের মূল উত্তরসূরি যা পাকিস্তান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমে ভারতের মুসলিমদের একাংশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিল। পাকিস্তানের মোট পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী এই দলের সাথে যুক্ত ছিলেন। তারা হলেন লিয়াকত আলী খান, খাজা নাজিমউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বগুড়া, চৌধুরী মুহাম্মদ আলি, এবং ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড়। কিন্তু ১৯৫৫ সালের পাকিস্তান গণপরিষদের নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নেতাদের রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগ পরাজিত হয়। তবে সংখ্যালঘু দলের নেতা হিসেবে চৌধুরী মুহাম্মদ আলি এবং ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড়কে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল মুহাম্মদ আইয়ুব খান সামরিক আইন ঘোষণার পর দলটি ভেঙে দেওয়া হয়।[১]
ইতিহাস
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ নতুন দেশের গভর্নর-জেনারেল এবং মুসলিম লীগের সেক্রেটারি জেনারেল লিয়াকত আলী খান প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ভেঙে দেওয়া হয়। এর ফলে মুসলিম লীগ (পাকিস্তান) এবং ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের উত্তরসূরি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৭ই ডিসেম্বরে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং দুই মুসলিম লীগে দুজন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে চৌধুরী খালিকুজ্জামান মুসলিম লীগ (পাকিস্তান)-এর এবং মোঃ ইসমাইল ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মতাদর্শ
দেশ বিভাগের পর প্রথম দিকে দলটি পাকিস্তানের প্রধান শাসকদল ছিল। লিয়াকত আলী খানের প্রধানমন্ত্রীত্বের অধীনে মুসলিম লীগ সরকার সাফল্যের সাথে লক্ষ্য প্রস্তাবের খসড়া পাস করায়। যদিও লিয়াকত আলী খান প্রগতিশীল ছিলেন তবুও তিনি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নীতিমালা অনুসারে সাংবিধানিক সংস্কার চালু করেছিলেন। তবে খাজা নাজিমুদ্দিনের অধীনে দলটি একটি রক্ষণশীল প্ল্যাটফর্ম গ্রহণ করে। খাজা নাজিমুদ্দিন সংখ্যালঘুদের সমধিকারের বিরোধিতা করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে দলটি বেশিরভাগ প্রগতিশীল উচ্চবিত্তদের সমর্থন হারায়। তবে তার নীতিমালা বেশিরভাগই তাঁর মোহাম্মদ আলী বগুড়া এবং চৌধুরী মুহাম্মদ আলির মতো উত্তরসূরিদের দ্বারা বাতিল করা হয়। তারা সব ধরনের মানুষের সাম্য এবং স্বাধীনতায় গুরুত্ব দিতেন।
মুসলিম যুগের অর্থনৈতিক নীতি ছিল পুঁজিবাদী ঘরনার। লিয়াকত আলী খান এবং মোহাম্মদ আলী বগুড়ার মতো প্রধানমন্ত্রীরা পশ্চিমা ধাঁচের অর্থনীতির প্রখর সমর্থক এবং অর্থনৈতিক উদারপন্থী রাজস্ব রক্ষণশীলতার প্রচার করেছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তান সেন্টো এবং সিয়াটো মতো পুঁজিবাদীপন্থী চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। একই সাথে তারা দেশে কম্যুনিস্ট প্রভাবের যে কোনও সম্ভাব্য সম্ভাবনা প্রতিরোধ করে। ইসলামের পক্ষে মুসলিম লীগের সমর্থন সত্ত্বেও, দলটি সুদ প্রদানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
দলের ভাঙ্গন
১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন এবং ১৯৫১ সালের অক্টোবরে লিয়াকত আলি খানকে হত্যা করা হয়। দুই প্রবীণ নেতার মৃত্যুর পর দলটি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯৫৩ সাল নাগাদ লীগের মধ্যে বিভেদ দলের সদস্যদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে পরিচালিত করে। ১৯৫৩ সালের এপ্রিলে লিয়াকত আলি খানের স্থলাভিষিক্ত বাঙালি নেতা খাজা নাজিমুদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও ১৯৫৫ সালের মে মাসে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে (পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে) যুক্তফ্রন্টের গঠিত রাজনৈতিক জোটের কাছে মুসলিম লীগ পরাজিত হয়। ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং জেনারেল আইয়ুব খান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হয়ে সব ধরনের রাজনীতি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরনো মুসলিম লীগের সমাপ্তি ঘটে।
একই নামে অন্যান্য দল
তথ্যসূত্র
- ↑ "Archived copy"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৯।