বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:৩৬, ১ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
অবস্থান
মানচিত্র

ময়মনসিংহ
,
তথ্য
ধরনসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৭৩
ইআইআইএন১১১৮৪২ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
ওয়েবসাইটhttp://www.vidyamayee.edu.bd/

বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ভারতীয় উপমহাদেশে নারী শিক্ষার উন্নয়নে যে কয়টি বিদ্যালয় অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছিল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তার মধ্যে অন্যতম। ব্রিটিশ স্থাপত্য রীতিতে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত নয়নাভিরাম দোতলা লাল ভবনটি প্রাচীন ঐতিহ্যের আভিজাত্য নিয়ে এখনও দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে সুপরিচিত। বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।

ইতিহাস

জেলায় শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য ১৮৩৫ সালে জনশিক্ষা কমিটির প্রেসিডেন্ট লর্ড মেকলে ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের সুপারিশ করেন। তার সুপারিশে গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের হাত ধরে ধীরে ধীরে শিক্ষাক্ষেত্রে একটা পরিবর্তন আসে। এর জন্যই বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৭৩ সালে আলেকজান্ডার উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় নামে নারী শিক্ষা প্রসারে ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে স্থাপিত হয়।[১] মুক্তাগাছা, গৌরীপুর এবং কৃষ্ণনগরের জমিদারগণের উদার অর্থানুকূল্যে পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়টির নবরূপায়ন ঘটে। এদের মধ্যে মুক্তাগাছার জমিদার রাজা জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরীর বিপুল অর্থদানে এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির সম্পূর্ণ নতুন পটভূমি রচিত হয়। তাঁর পূণ্যময়ী জননী বিদ্যাময়ী দেবীর নামে আলেকজান্ডার বিদ্যালয়টি বিদ্যাময়ী নাম ধারণ করে এখন সেই থেকে স্বমহিমায় বিরাজমান।[২]

স্থাপনের সুদীর্ঘ একষট্টি বছর পর বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয় ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে। বিদ্যালয়ের প্রাথমিক পর্বে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন নবকুমার সমাদ্দার। বিদ্যালয়টি বিদ্যাময়ী নামকরণ করার সময় দায়িত্বে ছিলেন শ্রীমতী ঘোষ।

বিদ্যালয়ের লোহার প্রবেশদ্বারটি পেরোলেই রয়েছে পাকা গোল চত্বর দ্বারা ঘেরা বিশাল রাধাচূড়া বৃক্ষ ও বামপাশের পাকাঘাট নির্মিত বিশাল পুকুর। ১৯১২ সালে এখানে একটি দ্বিতল ছাত্রীনিবাস নির্মিত হয়।[৩] ১৯২৬ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদধূলিতে ধন্য হয় বিদ্যালয়টি। তখন মিস ভেরুলকার নামে একজন বিদেশী এ বিদ্যালয়টির প্রধান ছিলেন। বিদ্যালয়টি ৩.৫৩২১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।

বিদ্যাময়ী স্কুলে রবীদ্রনাথ ঠাকুর

প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা

১৯৯১ সাল থেকে বিদ্যালয়টিতে ডাবল শিফট চালু হলে প্রধান শিক্ষিক, সহকারী প্রধান শিক্ষকাসহ শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩ জন। প্রভাতী শাখা আরম্ভ হয় সকাল ৭.০০ মিনিটে এবং শেষ হয় ১২.০০ মিনিটে। দিবাভাগীয় শাখার কার্যক্রম শুরু হয় দুপুর ১২.১৫ মিনিটে এবং শেষ হয় বিকেল ৫.২৫ মিনিটে।

শিক্ষা সুবিধাসমূহ

দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসহ একটি গ্রন্থাগার, আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, নামাজঘর রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম যেমন বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. শেখ সাবিহা, আলম (৭ নভেম্বর ২০১৯)। "সবকিছুতে এগিয়ে বিদ্যাময়ী"prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২০ 
  2. "প্রতিষ্ঠা ও নামকরণ" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "ইতিহাস" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]