শাবজ মসজিদ, বলখ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Ahm masum সবুজ মসজিদ, বলখ কে শাবজ মসজিদ, বলখ শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন: স্থানীয় ফার্সী উচ্চারণ ( سَبز)
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:২৬, ৭ মে ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সবুজ মসজিদ
ফার্সি: مَسجد سَبز, প্রতিবর্ণীকৃত: Masjid Sabz
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
নেতৃত্বশাহ রুখ
অবস্থান
অবস্থানবলখ, আফগানিস্তান[১]
স্থাপত্য
স্থপতিঅজানা
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীতৈমুরীয় স্থাপত্য
ভূমি খনন১৪১৯
সম্পূর্ণ হয়১৪২১
বিনির্দেশ
মিনার
উপাদানসমূহনীলকান্তমণি, ইট, পাথর

সবুজ মসজিদ (ফার্সি: مَسجد سَبز, প্রতিবর্ণীকৃত: মাসজিদ Masjid Sabz) আফগানিস্তানের বলখ শহরের একটি মসজিদ। [১] এটি পূর্ব তৈমুরীয় সাম্রাজ্যের তৎকালীন শাসক শাহ রুখ অথবা তাঁর স্ত্রী গওহর শাদ-এর অনুদানে নির্মিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।

ইতহাস

১৪০৫ সালে তৈমুর লং-এর মৃত্যুর পরে বিভিন্ন উপজাতি এবং যুদ্ধবাজদের আধিপত্যের প্রতিযোগিতা করার ফলে তাঁর সাম্রাজ্য ভেঙ্গে গিয়েছিল। ১৪১০ সালে কারা কুইনলু বা কৃষ্ণ ভেড়া তুর্কমেন বাগদাদ আক্রমণের সময় তৈমুরের সাম্রাজ্যের পশ্চিমাংশ নিজের দখলে নিয়ে যায়। তবে ১৪০৯ সাল থেকে তৈমুরের পুত্র শাহ রুখ পারস্য এবং ট্রান্সঅক্সানিয়ার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ পেতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁর সাম্রাজ্য কিংবদন্তিতূল্য সিল্ক রোড সহ পূর্ব ও পশ্চিমের প্রধান বাণিজ্য পথগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতো। তার ফলে তিনি এবং তাঁর অঞ্চল প্রচুর ধনী হয়ে ওঠে। একটি অঞ্চল হিসাবে তিনি প্রচুর ধনী হয়ে ওঠেন। তিনি এত ধনী হন সে তার সমগ্র রাজত্বকালে নির্মিত অনেক মসজিদগুলোতে স্থানীয় রীতি এবং অনেক রকমের স্থাপত্যরীতির সামঞ্জস্য রাখতে পেরেছিলেন। তাজমহলের পূর্বসূরী হিসেবে এই সবুজ মসজিদটির সাথে তাজমহলের অনেক সাদৃশ্য দেখা যায়।

স্থাপত্য

মূল মসজিদ ভবনটি তৈমুরীয় স্থাপত্যরীতির একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। তবে, সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধের বিভিন্ন যুদ্ধমান পক্ষের হামলা এবং বর্তমানে অনাদর ও অবহেলার কারণে বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তুমি মসজিদটির অনেকাংশ ধ্বংস হলেও এর মূল প্রাঙ্গণটি সংরক্ষণ করা হয়েছে যাতে লোকেরা খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করতে পারে। যদিও বর্তমানে ভবনের পেছনের দিকের রাস্তা এবং ছোট ছোট উদ্যান গুলোর সামান্য যত্ন নেয়া হচ্ছে। সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধের সময় কমিউনিস্টদের আগ্রাসনের ফলে বয়সের ভারে মসজিদের মিনার ধসে পড়েছে। মসজিদের টাইলস গুলোর বেশির ভাগ কাজই অদৃশ্য হয়ে গেছে। এর কাঠের দরজা গুলোও মেরামত প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র

  1. "11 of the Most Ancient and Continually Occupied Cities in the World"Ancient Origins। ২০১৮-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-১৫