জগন্নাথ মন্দির, পুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:
| date_built = ১১৬১
| date_built = ১১৬১
| creator =
| creator =
রাজা[[ইন্দ্রদুন্য]] ও রানীগুন্ডিচা।
রাজা[[ইন্দ্রদ্যুম্ন]] ও রানীগুন্ডিচা
একাদশশতাব্দী নাগাদ।
একাদশশতাব্দী নাগাদ।
| website = http://jagannath.nic.in/
| website = http://jagannath.nic.in/

১৫:৪০, ১ মে ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জগন্নাথ মন্দির (পুরি)
The Jagannath Temple at Puri
জগন্নাথ মন্দির, পুরি
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাপুরি
অবস্থান
অবস্থানগ্র্যান্ড রোড, পুরি
রাজ্যউড়িষ্যা
দেশ India
স্থাপত্য
ধরনকলিঙ্গ বৌদ্ধ স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীরাজাইন্দ্রদ্যুম্ন ও রানীগুন্ডিচা একাদশশতাব্দী নাগাদ।
ওয়েবসাইট
http://jagannath.nic.in/

পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Sanskrit: jagannath mandir; ওড়িয়া: ଶ୍ରୀ ଜଗନ୍ନାଥ ମନ୍ଦିର Sri Jagannāth Mandir) একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। এই মন্দিরটি ওড়িশা বা উড়িষ্যার পুরী পূর্ব সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির

এই মন্দিরটি একটি বিখ্যাত হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বিশেষ করে বিষ্ণুকৃষ্ণ উপাসকদের নিকট। এটি চারধামের অন্যতম যেখানে সকল ধার্মিক হিন্দুদের জীবনে অন্তত একবার যেতে চান। [১]

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা

রত্নভাণ্ডার

মন্দিরের গোপন কক্ষে সাতটি ঘর আছে। সেই ঘরগুলিই হল রত্নভাণ্ডার। ৩৪ বছর আগে মাত্র তিনটি ঘরের তালা খুলতে সক্ষম হয়েছিলেন কর্মকর্তারা। বাকি ঘরগুলিতে কী আছে, তা আজও রহস্যই রয়ে গিয়েছে। শ্রীজগন্নাথের ‘ব্রহ্মবস্তু’র মতোই রত্নভাণ্ডারের রহস্য অধরাই রয়ে গিয়েছে। যে কক্ষগুলি খোলা সম্ভব হয়েছিল, সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৮০ রকমের মণিমুক্তো খচিত স্বর্ণ অলঙ্কার। যার মধ্যে আছে মুক্তো, প্রবালের মতো অত্যন্ত দামী পাথর। এছাড়া, ১৪৬ রকমের রৌপ্য অলঙ্কার। তবে, এই সবই ‘ভিতর রত্নভাণ্ডার’-এর কথা। ‘বাহার ভাণ্ডার’-এর চিত্র কিছুটা অন্যরকম। পুরী শ্রীজগন্নাথ মন্দির আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী রেকর্ড জানার অধিকারে ১৯৭৮ সালে তালিকা তৈরি হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী, বাহার ভাণ্ডারে ১৫০ রকমের স্বর্ণ অলঙ্কার আছে। যার মধ্যে তিনটি স্বর্ণহার আছে। যার এক একটির ওজন প্রায় দেড় কেজি। শ্রীজগন্নাথ এবং বলভদ্রের স্বর্ণ শ্রীভুজ ও শ্রীপায়রের ওজন যথাক্রমে সাড়ে ৯ কেজি এবং সাড়ে ৮ কেজি। জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার স্বর্ণ মুকুটের ওজন ৭ কেজি, ৫ কেজি এবং ৩ কেজি। ১৯৭৮ সালের ১৩ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে পুরী মন্দির প্রশাসনের তৈরি হিসেব অনুযায়ী, মণিমুক্তো খচিত ১২০ কেজি ৮৩১ গ্রাম স্বর্ণ অলঙ্কার, ২২০ কেজি ১৫৩ গ্রাম রৌপ্য অলঙ্কার, রুপোর বাসনপত্র সহ বিভিন্ন দামী বস্তু রত্নভাণ্ডারে পাওয়া গিয়েছে। প্রতি বিজয়াদশমী, কার্তিক পূর্ণিমা, পৌষ পূর্ণিমা এবং মাঘী পূর্ণিমার দিন শ্রীক্ষেত্রে ভক্তদের সামনে রাজবেশে দর্শন দেন মহাপ্রভু। তার সেই সজ্জা দেখে ভক্তরা ধন্য ধন্য করেন। যে সব অলঙ্কারে জগন্নাথদেবকে সাজানো হয়, সেগুলি হল, শ্রীচরণে শ্রীপায়র, হাতে শ্রীভুজ, কর্ণে কীরিটি, ওড়না, সূর্যচন্দ্র, কানা, আড়াকানি, ঘাগরা, মালি, কদম্বমালি, তালিকচন্দ্রিকা, অলকাতিলকা, ঘোবা কণ্ঠী, স্বর্ণচন্দ্র, রৌপ্য শঙ্খ, হরিদা, সেবতী মালি। দাদা বলভদ্রের অঙ্গে থাকে শ্রীপায়র, শ্রীভুজ, শ্রীকীরিটি, অধ্যয়নী কুণ্ডর, সূর্যচন্দ্র, আড়াকানি, কদম্বমালি, তিলক চন্দ্রিকা, হল, মুষল, বহড়া মালি। সুভদ্রার অঙ্গে থাকে শ্রীপায়র, শ্রীভুজ, কীরিটি, ওড়না মালি, ঘাগরা মালি, কানা মালি, সূর্যচন্দ্র, আদাকানি, সেবতী মালি তড়াগি ইত্যাদি। [২]

আরও দেখুন

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

তথ্যসুত্র

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫ 
  2. "শ্রীজগন্নাথ ধামের রত্নভাণ্ডারের রহস্য" 

বহিঃসংযোগ