ফরিদপুর জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°৩০′০″ উত্তর ৮৯°৪৯′৪৮″ পূর্ব / ২৩.৫০০০০° উত্তর ৮৯.৮৩০০০° পূর্ব / 23.50000; 89.83000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:
|প্রতিষ্ঠার সন = ১৮১৫
|প্রতিষ্ঠার সন = ১৮১৫
|আসনের_ধরন =
|আসনের_ধরন =
|আসন =
|আসন = ৪টি
|নেতার_দল =
|নেতার_দল =
|নেতার_শিরোনাম =
|নেতার_শিরোনাম =

১৪:৪৫, ২৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফরিদপুর
জেলা
বাংলাদেশে ফরিদপুর জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে ফরিদপুর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩০′০″ উত্তর ৮৯°৪৯′৪৮″ পূর্ব / ২৩.৫০০০০° উত্তর ৮৯.৮৩০০০° পূর্ব / 23.50000; 89.83000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
আসন৪টি
আয়তন
 • মোট২,০৭৩ বর্গকিমি (৮০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১৯,৮৮,৬৯৭
 • জনঘনত্ব৯৬০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৪৯%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৭৮০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ২৯
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

ভৌগোলিক সীমানা

আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার, ফরিদপুর জেলা ৮৯.২৯° পূর্ব হতে ৯০.১১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২৩.১৭° উত্তর হতে ২৩.৪০° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত, উত্তরে রাজবাড়ী জেলামানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা জেলানড়াইল জেলা এবং পূর্বে ঢাকা জেলা, মাদারিপুর জেলামুন্সীগঞ্জ জেলা অবস্থিত।

ইতিহাস

ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ-জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ‘‘ফতেহাবাদ’’। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা সন ১৭৮৬ হলেও তখন এটির নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ছিল ঢাকা। ১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে অভিহিত হয় এবং হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে। গোয়ালন্দ, ফরিদপুর সদর, মাদারিপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি মহকুমা সমন্বয়ে ফরিদপুর জেলা পূর্ণাঙ্গতা পায়। বর্তমানে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর এই পাঁচটি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে।

এই এলাকার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে গেরদা মসজিদ (১০১৩ হিজরি), পাথরাইল মসজিদ ও দিঘী (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রি.), সাতৈর মসজিদ (১৫১৯ খ্রি.)। এলাকার অন্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হলো ফতেহাবাদ টাঁকশাল (১৫১৯-৩২ খ্রি.), মথুরাপুরের দেয়াল, জেলা জজ কোর্ট ভবন (১৮৯৯ খ্রি.), এবং ভাঙ্গা মুন্সেফ কোর্ট ভবন (১৮৮৯ খ্রি.), বসুদেব মন্দির ও জগবন্ধু আঙিনা।[২]

তৎকালিন ফরিদপুর এর মাদারিপুর থেকে হাজি শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজি আন্দোলন শুরু করেন। শরীয়তুল্লাহের পুত্র দুদু মিয়ার নেতৃত্বে এখানে নীলকর-বিরোধী আন্দোলন হয়। জেলার প্রধান নীল কুঠিটি ছিলো আলফাডাঙা উপজেলার মীরগঞ্জে, যার ম্যানেজার ছিলেন এসি ডানলপ। এ জেলার ৫২টি নীল কুঠি এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। গড়াই, মধুমতি ও চন্দনা বারাশিয়া নদীর তীরে নীল চাষ হতো।

জেলা শহর বর্তমানে কুমার নদীর তীরে অবস্থিত। ফরিদপুর পৌরসভা সৃষ্টি হয় ১৮৬৯ সালে। ৯টি ওয়ার্ড ৩৫টি মহল্লা নিয়ে জেলা শহর গঠিত। এর আয়াতন ২০.২৩ বর্গ কিলোমিটার।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

ফরিদপুর জেলায় মোট পৌরসভা ৫টি, ওয়ার্ড ৩৬টি, মহল্লা ৯২টি, ইউনিয়ন ৮১টি, গ্রাম ১৮৮৭টি। মোট উপজেলা ৯টি। সেগুলো হচ্ছেঃ

নির্বাচনি এলাকাসমূহ

ফরিদপুর ১ : বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা।

ফরিদপুর ২: নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন।

ফরিদপুর ৩: ফরিদপুর সদর।

ফরিদপুর ৪: ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা (কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ব্যতিত)।

প্রত্নসম্পদ

অর্থনীতি

দেশের প্রধান পাট ফলনশীল জেলা ফরিদপুরে সুস্বাদু ধান, ইক্ষু, গম, পেঁয়াজ, সরিষা সহ নানা ফসল উৎপন্ন হয়। ফরিদপুরের পদ্মার ইলিশ জগৎখ্যাত হয়ে আছে আজও। আকাশ ও উজান থেকে আসা পানির উপযোগিতায় ফরিদপুরে কৃষির সম্প্রসারণ হয়েছে অভাবিত। এখনও কৃষিই এখানকার অর্থনীতির প্রাণ। প্রমত্তা পদ্মা, কোল থেকে ভূবনেশ্বরআড়িয়াল খাঁ, কুমার, মধুমতি, গড়াই, চন্দনা, বারাশিয়া নদী মানুষের হাতে সোনার ফসল ও মাছসহ অনন্য সম্পদ তুলে দিয়েছে।

চিত্তাকর্ষক স্থান

পদ্মার চরে সূর্যাস্ত

জনসংখ্যা

১৭,৪২,৭২০ জন (২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)[১]

  • পুরুষ ৮,৯৩,২৮০ জন
  • মহিলা ৮,৪৯,৪৪০ জন

শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ফরিদপুর জিলা স্কুল(১৮৪০)

এই জেলায় শিক্ষার হার ৪৩.৯৫%[১]। এখানে মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ৪২৪টি; তারমধ্যে:

  • সরকারী কলেজ: ৮টি;
  • বেসরকারী কলেজ: ২৪টি;[১]
  • সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়: ৬টি;[১]
  • বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়: ১৮৯টি;[১]
  • জুনিয়র হাই স্কুল: ৫২টি;[১]
  • মেডিকাল কলেজ: ২টি;
  • মাদরাসা: ১৪১টি;
  • কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: ৯টি।

এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে

প্রধান শস্য

ফরিদপুর জেলায় প্রধান শস্যর তালিকায় রয়েছে, ধান, পাট, আখ, গম, পিঁয়াজ, সরিষা, ডালমরিচ। এর মধ্যে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাট, পিঁঁয়াজ, ডাল, খেজুরের গুড় ইত্যাদি।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

চিত্রশালা

আনুষঙ্গিক নিবন্ধ

তথ্যসূত্র

  1. "এক নজরে ফরিদপুর"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. ফরিদপুর জেলা, বাংলাপিডিয়া

বহিঃসংযোগ