সুবিমল বসাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Subo Acharya (আলোচনা | অবদান)
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:


== সাহিত্যধারা ==
== সাহিত্যধারা ==
১৯৬৫ সালে তিনি '''ছাতামাথা''' নামে একটি উপন্যাস লেখেন । উপন্যাসটিতে ন্যারেটিভ লিখিত হয় পূর্ব বঙ্গের কথ্য ভাষায় এবং সংলাপ লিখিত হয় কলকাতার কথ্য ভাষায় । বাংলা ভাভায় পূর্ব বঙ্গের ভাষায় লেখা উপন্যাস সম্ভবত এইটিই প্রথম । সেসময়ে সুবিমল বসাক সাহিত্যের ভাষাকে কলুষিত করছেন বলে সমালোচিত হলেও, পরবর্তীকালে, বিশেষ করে পূর্ববঙ্গে এই ভাষায় সাহিত্য রচনা এখন স্বীকৃত । এর পর তিনি ঢাকা শহরের কথ্য ভাষায় একট কাব্যগপন্হ প্রকাশ করেন এবং তার নাম দেন '''হাবিজাবি''' । ন্যারেটিভের মাধ্যম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তিনি হাংরি আন্দোলন ফুরিয়ে যাবার পরও বজায় রেখেছিলেন । তাঁর পরবর্তী উপন্যাস '''প্রত্নবীজ'''-এ তিনি শৈশবের লোদিপুর পাড়ার কথ্য ইনগদির সঙ্গে মিশ্রিত বাংলা, যা ওই অঞ্চলের বাঙালিরা ব্যবহার করেন সেটি প্রয়োগ করেন । পশ্চিমবঙ্গে কালক্রমে একটি মিশ্রিত ভাষায় ন্যারেটিভ তৈরির চল হয়েছে যেটি বহির্বঙ্গীব বাঙালিরা ব্যবহার করেন ।

== ক্ষেত্রসমীক্ষা ==

০০:৩৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সুবিমল বসাক ( জন্ম ১৫.১২.১৯৩৯ ) বাংলা সাহিত্যে হাংরি আন্দোলনের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক । তাঁর জন্ম ও পড়াশুনা বিহারের রাজধানী পাটনায় । তিনি তন্তুবায় পরিবারের সন্তান । তাঁর বাবা তারকনাথ বসাক ছিলেন ঢাকা শহরের আদি-নিবাসী । দেশভাগের সময়ে পরিবারটি পাটনায় স্হানান্তরিত হয় । তারকনাথ সেখানে স্বর্ণকারের পেশা অবলম্বন করেন । গোল্ড কনট্রোল আইন লাগু হবার কারনে তারকনাথ দেউলিয়া হয়ে যান এবং আত্মহত্যা করেন । তিন ভাই ও এক বোনের দায়িত্ব শৈশব থেকে সুবিমল বসাকের ওপর বর্তায় । পরিবারটি পাটনার অপরাধীদের পাড়া হিসাবে কুখ্যাত লোদিপুর অঞ্চলে থাকতে বাধ্য হয় । এই অঞ্চলের ভাষা সুবিমল বসাককে শৈশব থেকে আকৃষ্ট করেছে এবং সাহিত্যে তাঁর প্রবেশ বাংলার সঙ্গে মিশ্রিত এই অঞ্চলের ভাষার কারনে ।

হাংরি আন্দোলন

পাটনা নিবাসী হবার কারণে হাংরি আন্দোলন-এর স্রষ্টা মলব রায়চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় । মলয় রায়চৌধুরী তাঁকে দেবী রায়-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন । এনাদের কার্যকলাপের কারনে অচিরে কলকাতায় এই তিনজন হাংরি ত্রিমূর্তি নামে খ্যাত হন । হাংরি বুলেটিনগুলিতে প্রকাশিত স্কেচগুলি আঁকার দায়িত্ব নেন সুবিমল বসাক । বেশ কিছু হাংরি বুলেটিন এবংহাংরি আন্দোলন-এর পত্রিকার প্রচ্ছদের জন্য তিনি কাঠখোদাই করে দিয়েছিলেন । স্কেচগুলি অশ্লীলতার অভিযোগে আক্রান্ত হয় এবং সুবিমল বসাক সম্পাদকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । হাংরি আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে ১৯৬৪ সালের সেপটেমবরে অন্যান্যদের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল ।

সাহিত্যধারা

১৯৬৫ সালে তিনি ছাতামাথা নামে একটি উপন্যাস লেখেন । উপন্যাসটিতে ন্যারেটিভ লিখিত হয় পূর্ব বঙ্গের কথ্য ভাষায় এবং সংলাপ লিখিত হয় কলকাতার কথ্য ভাষায় । বাংলা ভাভায় পূর্ব বঙ্গের ভাষায় লেখা উপন্যাস সম্ভবত এইটিই প্রথম । সেসময়ে সুবিমল বসাক সাহিত্যের ভাষাকে কলুষিত করছেন বলে সমালোচিত হলেও, পরবর্তীকালে, বিশেষ করে পূর্ববঙ্গে এই ভাষায় সাহিত্য রচনা এখন স্বীকৃত । এর পর তিনি ঢাকা শহরের কথ্য ভাষায় একট কাব্যগপন্হ প্রকাশ করেন এবং তার নাম দেন হাবিজাবি । ন্যারেটিভের মাধ্যম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তিনি হাংরি আন্দোলন ফুরিয়ে যাবার পরও বজায় রেখেছিলেন । তাঁর পরবর্তী উপন্যাস প্রত্নবীজ-এ তিনি শৈশবের লোদিপুর পাড়ার কথ্য ইনগদির সঙ্গে মিশ্রিত বাংলা, যা ওই অঞ্চলের বাঙালিরা ব্যবহার করেন সেটি প্রয়োগ করেন । পশ্চিমবঙ্গে কালক্রমে একটি মিশ্রিত ভাষায় ন্যারেটিভ তৈরির চল হয়েছে যেটি বহির্বঙ্গীব বাঙালিরা ব্যবহার করেন ।

ক্ষেত্রসমীক্ষা