দ্বিতীয় ইবরাহিম খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৩৩ নং লাইন: | ৩৩ নং লাইন: | ||
তার সময়ে বেশকিছু ইংরেজ এবং ফ্রান্স ব্যবসায়ীদের [[বাংলা]]য় ব্যবসায়ীক লেনদেন করার অনুমতি দেওয়া হয়। ১৬৯৫-১৬৯৬ সালের দিকে তিনি চন্দ্রকোনা জমিদারের বিদ্রোহ ঠেকাতে ব্যার্থ হন। এরপর ১৯৯৭ সালে [[আওরঙ্গজেব|আওরঙ্গজেবের]] নিজের নাতি [[আজিম-উস-শান]]কে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। |
তার সময়ে বেশকিছু ইংরেজ এবং ফ্রান্স ব্যবসায়ীদের [[বাংলা]]য় ব্যবসায়ীক লেনদেন করার অনুমতি দেওয়া হয়। ১৬৯৫-১৬৯৬ সালের দিকে তিনি চন্দ্রকোনা জমিদারের বিদ্রোহ ঠেকাতে ব্যার্থ হন। এরপর ১৯৯৭ সালে [[আওরঙ্গজেব|আওরঙ্গজেবের]] নিজের নাতি [[আজিম-উস-শান]]কে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। |
||
==ঐতিহাসিক সাক্ষী== |
==ঐতিহাসিক সাক্ষী== |
||
সম্রাট শাহজাহানের শেষ বয়সে, যখন তার উত্তরাধিকার নিয়ে পুত্রদের মধ্যে বিদ্রোহ বেধে যায় তখন তিনি যুদ্ধের সময়য় দারার পক্ষ নিয়েছিলেন। দারার পতন ঘটলে তিনি মুরাদের অধীনে চাকরি নেন এবং এরপর তিনি [[আওরঙ্গজেব|আওরঙ্গজেবের]] সভায় চাকরিতে যোগ দেন। তিনি এরপর গভর্নরের আদেশে কাশ্মীর, লাহোর ও বিহারের সুবাহদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাঁর পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ হাজারি মনসবে উন্নীত হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি তার পদ পাঁচ হাজারি মনসব থেকে পদত্যাগ করেন এবং তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে তিনি পুনরায় কাশ্মীরের সুবাহদার হিসেবে যোগ দেন। ১৬৮৩ সালে তার পুত্র ফিদাই খানের সাহায্যে তিনি তিব্বত যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সম্রাট তার এই কাজে খুশি হয়ে তার জন্য প্রশংসাসংবলিত চিঠি পাঠান এবং তার সাথে উপহারস্বরুপ বিশেষ পদমর্যাদাসূচক এক প্রস্থ পোশাক, সাত হাজার টাকা মূল্যের ইলাকা মুক্তাসহ রত্নখচিত একটি ফুলকাটারা তরবারি, দুই শত মোহর মূল্যের একটি স্বর্ণসজ্জিত আরবীয় [[ঘোড়া]] এবং সম্রাটের নিজের হাতিশালা থেকে পনেরো হাজার টাকা মূল্যের একটি [[হাতি]] উপহার দেন। |
সম্রাট শাহজাহানের শেষ বয়সে, যখন তার উত্তরাধিকার নিয়ে পুত্রদের মধ্যে বিদ্রোহ বেধে যায় তখন তিনি যুদ্ধের সময়য় দারার পক্ষ নিয়েছিলেন। দারার পতন ঘটলে তিনি মুরাদের অধীনে চাকরি নেন এবং এরপর তিনি [[আওরঙ্গজেব|আওরঙ্গজেবের]] সভায় চাকরিতে যোগ দেন। তিনি এরপর গভর্নরের আদেশে কাশ্মীর, লাহোর ও বিহারের সুবাহদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাঁর পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ হাজারি মনসবে উন্নীত হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি তার পদ পাঁচ হাজারি মনসব থেকে পদত্যাগ করেন এবং তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে তিনি পুনরায় কাশ্মীরের সুবাহদার হিসেবে যোগ দেন। ১৬৮৩ সালে তার পুত্র ফিদাই খানের সাহায্যে তিনি তিব্বত যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সম্রাট তার এই কাজে খুশি হয়ে তার জন্য প্রশংসাসংবলিত চিঠি পাঠান এবং তার সাথে উপহারস্বরুপ বিশেষ পদমর্যাদাসূচক এক প্রস্থ পোশাক, সাত হাজার টাকা মূল্যের ইলাকা মুক্তাসহ রত্নখচিত একটি ফুলকাটারা তরবারি, দুই শত মোহর মূল্যের একটি স্বর্ণসজ্জিত আরবীয় [[ঘোড়া]] এবং সম্রাটের নিজের হাতিশালা থেকে পনেরো হাজার টাকা মূল্যের একটি [[হাতি]] উপহার দেন।<ref name=bpedia/> |
||
==আরও দেখুন== |
==আরও দেখুন== |
১৮:০১, ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৩ বছর আগে Foysalur Rahman Shuvo (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
ইবরাহিম খান (সময়কাল: ১৬৮৯-১৬৯৭) (মৃত্যু-১৭০১) হলেন আওরঙ্গজেব এর রাজত্বে বাংলার শেষ সুবেদার। তার একমাত্র পুত্রের নাম ওয়াজির ইব্রাহিম খান(১৬৫৪-১৭১৩) জাহানদার শাহ এর সম্রাজ্যে দিওয়ান ছিলেন। ফররুখসিয়ার এর আদেশে তাকে হত্যা করা হয়।
ইবরাহিম খান | |
---|---|
আজিম-উস-শান | |
রাজত্ব | ১৬৮৯ - ১৬৯৭ |
পূর্বসূরি | খান জাহান বাহাদুর |
উত্তরসূরি | আজিম-উস-শান |
মৃত্যু | ১৭০১ |
পিতা | আমীর আলি মর্দান খান জিগ |
ধর্ম | ইসলাম |
তিনি ছিলেন সম্রাট শাহজাহান এর দরবারের পারস্য দেশিয় বিখ্যাত আমীর আলী মর্দান খান জিগের জ্যেষ্ঠ পুত্র। পিতার মৃত্যুর ইবরাহিম খানকে চার হাজার মনসেব প্রধান করা হয়।
প্রাথমিক জীবন
তিনি আলি মার্দান খান এর বড় ছেলে। আলি মর্দান খান অভিজাত পার্সিয়ান বংশের সন্তান ছিলেন।[১] পূর্বে তিনি বাংলার গভর্নর এর আদেশে কাশ্মীর, লাহোর এবং বিহারে সুবেদার এর দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] যবরদস্ত খান নামে তার একটি পুত্র ছিলো।[১]
সময়কাল
তার সময়ে বেশকিছু ইংরেজ এবং ফ্রান্স ব্যবসায়ীদের বাংলায় ব্যবসায়ীক লেনদেন করার অনুমতি দেওয়া হয়। ১৬৯৫-১৬৯৬ সালের দিকে তিনি চন্দ্রকোনা জমিদারের বিদ্রোহ ঠেকাতে ব্যার্থ হন। এরপর ১৯৯৭ সালে আওরঙ্গজেবের নিজের নাতি আজিম-উস-শানকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন।
ঐতিহাসিক সাক্ষী
সম্রাট শাহজাহানের শেষ বয়সে, যখন তার উত্তরাধিকার নিয়ে পুত্রদের মধ্যে বিদ্রোহ বেধে যায় তখন তিনি যুদ্ধের সময়য় দারার পক্ষ নিয়েছিলেন। দারার পতন ঘটলে তিনি মুরাদের অধীনে চাকরি নেন এবং এরপর তিনি আওরঙ্গজেবের সভায় চাকরিতে যোগ দেন। তিনি এরপর গভর্নরের আদেশে কাশ্মীর, লাহোর ও বিহারের সুবাহদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাঁর পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ হাজারি মনসবে উন্নীত হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি তার পদ পাঁচ হাজারি মনসব থেকে পদত্যাগ করেন এবং তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে তিনি পুনরায় কাশ্মীরের সুবাহদার হিসেবে যোগ দেন। ১৬৮৩ সালে তার পুত্র ফিদাই খানের সাহায্যে তিনি তিব্বত যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সম্রাট তার এই কাজে খুশি হয়ে তার জন্য প্রশংসাসংবলিত চিঠি পাঠান এবং তার সাথে উপহারস্বরুপ বিশেষ পদমর্যাদাসূচক এক প্রস্থ পোশাক, সাত হাজার টাকা মূল্যের ইলাকা মুক্তাসহ রত্নখচিত একটি ফুলকাটারা তরবারি, দুই শত মোহর মূল্যের একটি স্বর্ণসজ্জিত আরবীয় ঘোড়া এবং সম্রাটের নিজের হাতিশালা থেকে পনেরো হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতি উপহার দেন।[১]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ Chatterjee, Anjali (২০১২)। "Ibrahim Khan"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।
পূর্বসূরী খান জাহান বাহাদুর |
বাংলার সুবেদার ১৬৮৯-১৬৯৭ |
উত্তরসূরী আজিম-উস-শান |