হরচন্দ্র ঘোষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:
| spouse =
| spouse =
}}
}}
'''হরচন্দ্র ঘোষ''' ({{lang-en|'''Hara Chandra Ghosh'''}}) ([[জুলাই ২৩|২৩ জুলাই]], [[১৮০৮]] - [[ডিসেম্বর ৩|৩ ডিসেম্বর]], [[১৮৬৮]]) উনিশ শতকের বাঙালি জজ। তিনি [[হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও|ডিরোজিওর]] শিষ্যরূপে [[হিন্দু কলেজ|হিন্দু কলেজে]] শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। [[লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক]] তাকে গভর্নর জেনারেলের পদ দিতে চাইলে তিনি তা গ্রহণে অসম্মত হন। পরে নতুন সৃষ্ট মুনসেফের পদ পান। এক বছরের মধ্যে বাঁকুড়ার মুনসেফ থেকে হুগলীর সদর আমিন হন। [[১৮৪৪]] সালে প্রধান সদর আমিন হয়ে [[২৪ পরগণা|চব্বিশ পরগণায়]] বদলি হয়ে আসেন। [[১৮৫২]] সালে [[কলকাতা]] পুলিশ কোর্টের জুনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এবং [[১৮৫৪]] সালে কলকাতা ছোট আদালতের জজের পদ পান এবং ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ পদে তিনিই প্রথম বাঙালি।<ref name="সংসদ"/><ref name="Cotton">Cotton, H.E.A., ''Calcutta Old and New'', 1909/1980, pp. 639-40, General Printers and Publishers Pvt. Ltd.</ref> তিনি [[বাঁকুড়া]] ও শুরশুনায় দুটি স্কুল স্থাপন করেন। বেথুন স্কুল কমিটির সভ্য ও 'রায়বাহাদুর' উপাধি ভূষিত ছিলেন। স্মৃতিরক্ষা কমিটি কর্তৃক স্থাপিত (১৮৭৬) তার মর্মরমূর্তি ছোট আদালতের প্রাঙ্গণে বর্তমান আছে। তার পুত্র রায়বাহাদুর জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৮৪১, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref>
'''হরচন্দ্র ঘোষ''' ({{lang-en|'''Hara Chandra Ghosh'''}}) ([[জুলাই ২৩|২৩ জুলাই]], ১৮০৮ - [[ডিসেম্বর ৩|৩ ডিসেম্বর]], ১৮৬৮) উনিশ শতকের বাঙালি জজ। তিনি [[হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও|ডিরোজিওর]] শিষ্যরূপে [[হিন্দু কলেজ|হিন্দু কলেজে]] শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। [[লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক]] তাকে গভর্নর জেনারেলের পদ দিতে চাইলে তিনি তা গ্রহণে অসম্মত হন। পরে নতুন সৃষ্ট মুনসেফের পদ পান। এক বছরের মধ্যে বাঁকুড়ার মুনসেফ থেকে হুগলীর সদর আমিন হন। ১৮৪৪ সালে প্রধান সদর আমিন হয়ে [[২৪ পরগণা|চব্বিশ পরগণায়]] বদলি হয়ে আসেন। ১৮৫২ সালে [[কলকাতা]] পুলিশ কোর্টের জুনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৮৫৪ সালে কলকাতা ছোট আদালতের জজের পদ পান এবং ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ পদে তিনিই প্রথম বাঙালি।<ref name="সংসদ"/><ref name="Cotton">Cotton, H.E.A., ''Calcutta Old and New'', 1909/1980, pp. 639-40, General Printers and Publishers Pvt. Ltd.</ref> তিনি [[বাঁকুড়া]] ও শুরশুনায় দুটি স্কুল স্থাপন করেন। বেথুন স্কুল কমিটির সভ্য ও 'রায়বাহাদুর' উপাধি ভূষিত ছিলেন। স্মৃতিরক্ষা কমিটি কর্তৃক স্থাপিত (১৮৭৬) তার মর্মরমূর্তি ছোট আদালতের প্রাঙ্গণে বর্তমান আছে। তার পুত্র রায়বাহাদুর জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৮৪১, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৮:২৫, ১২ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হরচন্দ্র ঘোষ
Hara Chandra Ghosh
জন্ম২৩ জুলাই ১৮০৮
মৃত্যু৩ ডিসেম্বর ১৮৬৮
পেশাজজ

হরচন্দ্র ঘোষ (ইংরেজি: Hara Chandra Ghosh) (২৩ জুলাই, ১৮০৮ - ৩ ডিসেম্বর, ১৮৬৮) উনিশ শতকের বাঙালি জজ। তিনি ডিরোজিওর শিষ্যরূপে হিন্দু কলেজে শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক তাকে গভর্নর জেনারেলের পদ দিতে চাইলে তিনি তা গ্রহণে অসম্মত হন। পরে নতুন সৃষ্ট মুনসেফের পদ পান। এক বছরের মধ্যে বাঁকুড়ার মুনসেফ থেকে হুগলীর সদর আমিন হন। ১৮৪৪ সালে প্রধান সদর আমিন হয়ে চব্বিশ পরগণায় বদলি হয়ে আসেন। ১৮৫২ সালে কলকাতা পুলিশ কোর্টের জুনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৮৫৪ সালে কলকাতা ছোট আদালতের জজের পদ পান এবং ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ পদে তিনিই প্রথম বাঙালি।[১][২] তিনি বাঁকুড়া ও শুরশুনায় দুটি স্কুল স্থাপন করেন। বেথুন স্কুল কমিটির সভ্য ও 'রায়বাহাদুর' উপাধি ভূষিত ছিলেন। স্মৃতিরক্ষা কমিটি কর্তৃক স্থাপিত (১৮৭৬) তার মর্মরমূর্তি ছোট আদালতের প্রাঙ্গণে বর্তমান আছে। তার পুত্র রায়বাহাদুর জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।[১]

তথ্যসূত্র

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৮৪১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. Cotton, H.E.A., Calcutta Old and New, 1909/1980, pp. 639-40, General Printers and Publishers Pvt. Ltd.

বহিঃসংযোগ