তৈমুর লং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪৪ নং লাইন: ৪৪ নং লাইন:
|ইউআরএল=https://books.google.com/?id=H-k9oc9xsuAC&printsec=frontcover#v=onepage
|ইউআরএল=https://books.google.com/?id=H-k9oc9xsuAC&printsec=frontcover#v=onepage
|আইএসবিএন=9780415966900
|আইএসবিএন=9780415966900
}}</ref> এছাড়াও তার কারণেই [[তৈমুরীয় রাজবংশ]] প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোন না কোনভাবে [[১৮৫৭]] সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি ''তিমুরে ল্যাংগ্‌'' ({{PerB|تیمور لنگ}}) নামেও পরিচিত যার অর্থ '''খোঁড়া তৈমুর'''। তার আসল নাম '''তৈমুর বেগ'''। যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি আহত হন যার ফলে তার একটি পা অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। তিনি উনার পূর্বপুরুষ [[সেলযুক সাম্রাজ্য|মহান সেলযুক সাম্রাজ্যের]] শাসক সুলতান [[তুঘরিল বেগ]] কে অনুপ্রেরণা হিসেবে অনুসরণ করতেন। তিনি [[তুগরিল বেগ]] এর সরাসরি বংশধর না হলেও [[তুঘরিল বেগ]] যে [[অর্ঘুজ]] গোত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই [[অর্গুজ]] গোত্রেই '''তৈমুর লং''' জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনিও আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের মতো বিশ্বজয়ে উনার সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হয়েছিলেন। এ নিয়ে [[বিশ্ব বিজেতা তৈমুর লং]], [[দিগ্বিজয়ী তৈমুর]], [[দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং]] নামের অনেকগুলো বইও রচিত হয়েছে। তার সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক [[তুরস্ক]], [[সিরিয়া]], [[ইরাক]], [[কুয়েত]], [[ইরান]] থেকে [[মধ্য এশিয়া|মধ্য এশিয়ার]] অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে [[কাজাখস্তান]], [[আফগানিস্তান]], [[রাশিয়া]], [[তুর্কমেনিস্তান]], [[উজবেকিস্তান]], [[কিরগিজিস্তান]], [[পাকিস্তান]], [[ভারত|ভারতবর্ষ]] এমনকি [[চীন|চীনের]] [[কাশগর]] পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম [[তুজুক ই তৈমুরী]]।
}}</ref> এছাড়াও তার কারণেই [[তৈমুরীয় রাজবংশ]] প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোন না কোনভাবে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি ''তিমুরে ল্যাংগ্‌'' ({{PerB|تیمور لنگ}}) নামেও পরিচিত যার অর্থ '''খোঁড়া তৈমুর'''। তার আসল নাম '''তৈমুর বেগ'''। যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি আহত হন যার ফলে তার একটি পা অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। তিনি উনার পূর্বপুরুষ [[সেলযুক সাম্রাজ্য|মহান সেলযুক সাম্রাজ্যের]] শাসক সুলতান [[তুঘরিল বেগ]] কে অনুপ্রেরণা হিসেবে অনুসরণ করতেন। তিনি [[তুগরিল বেগ]] এর সরাসরি বংশধর না হলেও [[তুঘরিল বেগ]] যে [[অর্ঘুজ]] গোত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই [[অর্গুজ]] গোত্রেই '''তৈমুর লং''' জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনিও আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের মতো বিশ্বজয়ে উনার সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হয়েছিলেন। এ নিয়ে [[বিশ্ব বিজেতা তৈমুর লং]], [[দিগ্বিজয়ী তৈমুর]], [[দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং]] নামের অনেকগুলো বইও রচিত হয়েছে। তার সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক [[তুরস্ক]], [[সিরিয়া]], [[ইরাক]], [[কুয়েত]], [[ইরান]] থেকে [[মধ্য এশিয়া|মধ্য এশিয়ার]] অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে [[কাজাখস্তান]], [[আফগানিস্তান]], [[রাশিয়া]], [[তুর্কমেনিস্তান]], [[উজবেকিস্তান]], [[কিরগিজিস্তান]], [[পাকিস্তান]], [[ভারত|ভারতবর্ষ]] এমনকি [[চীন|চীনের]] [[কাশগর]] পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম [[তুজুক ই তৈমুরী]]।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

২১:০২, ১১ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

তৈমুর
আমীর
তৈমুরের পুনর্গঠন
রাজত্ব৯ এপ্রিল ১৩৭০ – ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৪০৫
রাজ্যাভিষেক৯ এপ্রিল ১৩৭০ বালখ[১]
পূর্বসূরিআমির হুসাইন
উত্তরসূরিখলিল সুলতান
জন্ম৯ এপ্রিল ১৩৩৬[১]
কিশ, চাগতাই খানাত
মৃত্যু১৯ ফেব্রুয়ারি ১৪০৫(1405-02-19) (বয়স ৬৮)
ওতরার, ফারাব,
সমাধি
দাম্পত্য সঙ্গী
  • Saray Mulk Khanum
  • Chulpan Mulk Agha
  • Aljaz Turkhan Agha
  • Tukal Khanum
  • Dil Shad Agha
  • Touman Agha
  • Other consorts
বংশধর
বিস্তারিত
পূর্ণ নাম
সুজা-উদ্-দীন তৈমুর[২]
প্রাসাদবারলাস তৈমুরদ
পিতাআমীর তারাগাই
মাতাতেকিনা খাতুন
ধর্মইসলাম

তৈমুর বিন তারাগাই বারলাস (চাগাতাই ভাষায়: تیمور - তেমোর্‌, "লোহা") (১৩৩৬ - ফেব্রুয়ারি, ১৪০৫) ১৪শ শতকের একজন তুর্কী-মোঙ্গল সেনাধ্যক্ষ[৩][৪][৫][৬] তিনি পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজ দখলে এনে তৈমুরীয় সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৩৭০ থেকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত নেতৃত্বে আসীন ছিল। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন।[১][৭][৮] এছাড়াও তার কারণেই তৈমুরীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোন না কোনভাবে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি তিমুরে ল্যাংগ্‌ (ফার্সি ভাষায়: تیمور لنگ‎ ​) নামেও পরিচিত যার অর্থ খোঁড়া তৈমুর। তার আসল নাম তৈমুর বেগ। যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি আহত হন যার ফলে তার একটি পা অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। তিনি উনার পূর্বপুরুষ মহান সেলযুক সাম্রাজ্যের শাসক সুলতান তুঘরিল বেগ কে অনুপ্রেরণা হিসেবে অনুসরণ করতেন। তিনি তুগরিল বেগ এর সরাসরি বংশধর না হলেও তুঘরিল বেগ যে অর্ঘুজ গোত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই অর্গুজ গোত্রেই তৈমুর লং জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনিও আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের মতো বিশ্বজয়ে উনার সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হয়েছিলেন। এ নিয়ে বিশ্ব বিজেতা তৈমুর লং, দিগ্বিজয়ী তৈমুর, দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং নামের অনেকগুলো বইও রচিত হয়েছে। তার সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, ইরান থেকে মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজিস্তান, পাকিস্তান, ভারতবর্ষ এমনকি চীনের কাশগর পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম তুজুক ই তৈমুরী

তথ্যসূত্র

  1. Muntakhab-ul-Lubab, Khafi Khan Nizam-ul-Mulk, Vol I, p. 49. Printed in Lahore, 1985
  2. W. M. Thackston, A Century of Princes: Sources on Timurid History and Art, (1989), p.239
  3. বি.এফ. মান্‌জ, "Tīmūr Lang", in এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম, Online Edition, 2006
  4. The Columbia Electronic Encyclopedia, "Timur", 6th ed., Columbia University Press: "... Timur (timoor') or Tamerlane (tăm'urlān), c.1336–1405, মোঙ্গল বিজেতা, b. কেশ, সমরখন্দের নিকটে. ...", (LINK)
  5. "Timur", in ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ: "... [Timur] was a member of the Turkic Barlas clan of Mongols..."
  6. "Baber", in ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ: "... Baber first tried to recover Samarkand, the former capital of the empire founded by his Mongol ancestor Timur Lenk ..."
  7. Marozzi, Justin (২০০৪)। Tamerlane: Sword of Islam, conqueror of the world। HarperCollins। 
  8. Josef W. Meri (২০০৫)। Medieval Islamic Civilization। Routledge। পৃষ্ঠা 812। আইএসবিএন 9780415966900 

বহিঃসংযোগ