মেথি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
৩৪ নং লাইন: | ৩৪ নং লাইন: | ||
== ব্যবহার == |
== ব্যবহার == |
||
[[File:Fenugreek seeds(মেথি).JPG|thumb|right|Fenugreek seeds(মেথি)]] |
[[File:Fenugreek seeds(মেথি).JPG|thumb|right|Fenugreek seeds(মেথি)]] |
||
মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটাই বলা চলে। মেথির স্বাদ তিতা ধরনের। এতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি |
মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটাই বলা চলে। মেথির স্বাদ তিতা ধরনের। এতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে, বিশেষত কৃমি মরে, রক্তের চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। গরমে ত্বকে যে ঘা, ফোড়া, গরমজনিত ত্বকের অসুখ হয়, এই অসুখগুলো দূর করে মেথি। বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মেথি। গবেষণা করে দেখা গেছে, যে ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খান, তাদের ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য।<ref name="nccih">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Fenugreek|ইউআরএল=https://nccih.nih.gov/health/fenugreek|অবস্থান=[[National Center for Complementary and Integrative Health]]|সংগ্রহের-তারিখ=6 February 2017|ভাষা=en|তারিখ=September 2016}}</ref><ref> |
||
{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
||
|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/news/158749 |
|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/news/158749 |
১৪:৪০, ৮ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মেথি /Fenugreek | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Magnoliophyta |
শ্রেণী: | Magnoliopsida |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
গণ: | Trigonella |
প্রজাতি: | T. foenum-graecum |
দ্বিপদী নাম | |
Trigonella foenum-graecum L.[১] |
মেথি (বৈজ্ঞানিক নাম: Trigonella foenum-graecum) একটি মৌসুমী গাছ। এর পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয়। মেথি শাক গ্রাম বাংলার মানুষের প্রিয় খাদ্য। ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিধ ব্যবহার হয়। মশলা হিসাবেও এটি প্রচুর ব্যবহার হয়।। এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান। মেথি থেকে ষ্টেরয়েডের উপাদান তৈরি হয়।
বিবরণ
মেথি একটি বর্ষজীবী গাছ। একবার মাত্র ফুল ও ফল হয়। তিনটি করে পাতা একসাথে জন্মায়। ফুলে ও তিনটা করে পাপড়ি থাকে। স্ত্রী এবং পুরুষ দুই ধরনের ফুল হয়। রঙ সাধারণত সাদা ও হলুদ হয়ে থাকে। বাদামি-হলুদ বর্ণের প্রায় চারকোনা আকৃতির বীজ হয়।
ব্যবহার
মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটাই বলা চলে। মেথির স্বাদ তিতা ধরনের। এতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে, বিশেষত কৃমি মরে, রক্তের চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। গরমে ত্বকে যে ঘা, ফোড়া, গরমজনিত ত্বকের অসুখ হয়, এই অসুখগুলো দূর করে মেথি। বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মেথি। গবেষণা করে দেখা গেছে, যে ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খান, তাদের ডায়াবেটিসজনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য।[২][৩]
দেশ
ভেষজ উদ্ভিদ হিসাবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, নেপাল ইত্যাদি দেশে ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Trigonella foenum-graecum information from NPGS/GRIN"। www.ars-grin.gov। ২০০৯-০১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৩।
- ↑ "Fenugreek" (ইংরেজি ভাষায়)। National Center for Complementary and Integrative Health। সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑
"ডায়বেটিক রোগীদের জন্য মেথি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ০১-০৬-২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)