শোফিল্ড হেই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Suvray (আলোচনা | অবদান)
হটক্যাটের মাধ্যমে + 5টি বিষয়শ্রেণী
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
| name = শোফিল্ড হেই
| name = শোফিল্ড হেই
| image = Schofield Haigh c1905.jpg
| image = Schofield Haigh c1905.jpg
|caption = আনুমানিক ১৯০৫ সালে শোফিল্ড হেই
|caption = আনুমানিক ১৯০৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে শোফিল্ড হেই
| country = ইংল্যান্ড
| fullname = শোফিল্ড হেই
| fullname = শোফিল্ড হেই

| birth_date = {{জন্ম তারিখ|1871|3|19|df=yes}}
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|1871|3|19|df=yes}}
| birth_place = [[Berry Brow|বেরি ব্রো]], ইয়র্কশায়ার, [[ইংল্যান্ড]]
| birth_place = বেরি ব্রো, ইয়র্কশায়ার, [[ইংল্যান্ড]]
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1921|2|27|1871|3|19|df=yes}}
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1921|2|27|1871|3|19|df=yes}}
| death_place = [[Huddersfield|হাডার্সফিল্ড]], ইংল্যান্ড
| death_place = হাডার্সফিল্ড, ইংল্যান্ড

| batting = ডানহাতি
| batting = ডানহাতি
| bowling = ডানহাতি [[Fast bowling#Categorisation of fast bowling|ফাস্ট-মিডিয়াম]]
| bowling = ডানহাতি [[Fast bowling#Categorisation of fast bowling|ফাস্ট-মিডিয়াম]]

| international = true
| international = true
| country = ইংল্যান্ড
| testdebutdate = ১৪ ফেব্রুয়ারি
| testdebutdate = ১৪ ফেব্রুয়ারি
| testdebutyear = ১৮৯৯
| testdebutyear = ১৮৯৯
১৯ নং লাইন: ২২ নং লাইন:
| lasttestyear = ১৯১২
| lasttestyear = ১৯১২
| lasttestagainst = অস্ট্রেলিয়া
| lasttestagainst = অস্ট্রেলিয়া

| club1 = [[Yorkshire County Cricket Club|ইয়র্কশায়ার]]
| club1 = [[Yorkshire County Cricket Club|ইয়র্কশায়ার]]
| year1 = ১৮৯৫–১৯১৩
| year1 = ১৮৯৫–১৯১৩

| columns = 2
| columns = 2
| column1 = [[Test cricket|টেস্ট]]
| column1 = [[Test cricket|টেস্ট]]
৪৮ নং লাইন: ৫৩ নং লাইন:
| best bowling2 = 9/25
| best bowling2 = 9/25
| catches/stumpings2 = 299/–
| catches/stumpings2 = 299/–

| date = ৩০ আগস্ট
| date = ৩০ আগস্ট
| year = ২০১৮
| year = ২০১৮
| source = http://content-usa.cricinfo.com/england/content/player/13992.html ক্রিকইনফো
| source = http://content-usa.cricinfo.com/england/content/player/13992.html ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম
}}
}}


৮১ নং লাইন: ৮৭ নং লাইন:
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯০১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটারের]] সম্মাননায় ভূষিত হন শোফিল্ড হেই।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯০১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটারের]] সম্মাননায় ভূষিত হন শোফিল্ড হেই।


ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন স্কোফিল্ড হেই। তবে, এ বোলিংয়ের মাধ্যমেই খুব ধীরগতিতে কিংবা খুব দ্রুততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। পিচের সহযোগিতা পেলে অফের দিক থেকে বলকে স্পিন করাতে পারতেন। হেইয়ের বোলিংয়ের কার্যকারিতা বেশ প্রশংসনীয় ছিল। ৭৪%-এর অধিক [[উইকেট]] অন্য কোন ফিল্ডারের সহযোগিতা ছাড়াই পেয়েছেন। ৫০০ বা তদূর্ধ্ব উইকেট লাভকারী যে-কোন বোলারের তুলনায় এ গড় সর্বোচ্চ। তবে, শারীরিক গড়নের কারণে অধিক সময় ধরে ক্রমাগত বোলিং করতে পারতেন না তিনি। শীর্ষসারির বোলারদের কারণে প্রায়শঃই কম ওভার বোলিং করতেন। এছাড়াও, চমৎকার পিচে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের কাছে তার বোলিং বেধড়ক পিটুনি খেতো।
ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন শোফিল্ড হেই। তবে, এ বোলিংয়ের মাধ্যমেই খুব ধীরগতিতে কিংবা খুব দ্রুততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। পিচের সহযোগিতা পেলে অফের দিক থেকে বলকে স্পিন করাতে পারতেন। হেইয়ের বোলিংয়ের কার্যকারিতা বেশ প্রশংসনীয় ছিল। ৭৪%-এর অধিক [[উইকেট]] অন্য কোন ফিল্ডারের সহযোগিতা ছাড়াই পেয়েছেন। ৫০০ বা তদূর্ধ্ব উইকেট লাভকারী যে-কোন বোলারের তুলনায় এ গড় সর্বোচ্চ। তবে, শারীরিক গড়নের কারণে অধিক সময় ধরে ক্রমাগত বোলিং করতে পারতেন না তিনি। শীর্ষসারির বোলারদের কারণে প্রায়শঃই কম ওভার বোলিং করতেন। এছাড়াও, চমৎকার পিচে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের কাছে তার বোলিং বেধড়ক পিটুনি খেতো।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
১০৪ নং লাইন: ১১০ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ইয়র্কশায়ারের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইয়র্কশায়ারের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:নর্থ ভার্সাস সাউথের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্লেয়ার্সের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্লেয়ার্সের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:লর্ড হক একাদশের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:লর্ড লন্ডেসবোরা একাদশের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:হাডার্সফিল্ডের ক্রীড়াব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:সি. আই. থর্নটন একাদশের ক্রিকেটার]]

১৫:০৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শোফিল্ড হেই
আনুমানিক ১৯০৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে শোফিল্ড হেই
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামশোফিল্ড হেই
জন্ম(১৮৭১-০৩-১৯)১৯ মার্চ ১৮৭১
বেরি ব্রো, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২১(1921-02-27) (বয়স ৪৯)
হাডার্সফিল্ড, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১১৩)
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৩১ জুলাই ১৯১২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৯৫–১৯১৩ইয়র্কশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ৫৬১
রানের সংখ্যা ১১৩ ১১,৭১৩
ব্যাটিং গড় ৭.৫৩ ১৮.৬৫
১০০/৫০ ০/০ ৪/৪৭
সর্বোচ্চ রান ২৫ ১৫৯
বল করেছে ১,২৯৪ ৭৮,৮১৭
উইকেট ২৪ ২,০১২
বোলিং গড় ২৫.৯১ ১৫.৯৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩৫
ম্যাচে ১০ উইকেট ৩০
সেরা বোলিং ৬/১১ ৯/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮/– ২৯৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ আগস্ট ২০১৮

শোফিল্ড হেই (ইংরেজি: Schofield Haigh; জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৮৭১ - মৃত্যু: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১) ইয়র্কশায়ারের বেরি ব্রো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৯ থেকে ১৯১২ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

বেরি ব্রো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শোফিল্ড হেই ক্লাব ক্রিকেটে কেইলি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। এরপর ১৮৯৫ সালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ‘টাইকসে’র পক্ষে ১৯১৩ সাল অবদি খেলে প্রভূতঃ খ্যাতি ও সম্মান কুড়িয়েছেন।[২] ক্লাবের পক্ষে আঠারোটি মৌসুমে অংশ নিয়েছেন।

১৮৯৫ সাল থেকে হেডলি ভেরিটি বাদে অন্য যে-কোন সহস্রাধিক উইকেট লাভকারী বোলারের তুলনায় তার বোলিং গড় সর্বনিম্ন পর্যায়ের। এছাড়াও, দৃঢ়প্রত্যয়ী ব্যাটসম্যান হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার। ১৯০৪ সালে সহস্রাধিক রান তুলেছেন। ১৯০১ সালে মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির পূর্বেই সেঞ্চুরি করার কীর্তি রয়েছে তার। দক্ষ ফিল্ডার ছিলেন তিনি।

অকার্যকর ধীরগতিসম্পন্ন বল নিয়ে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ফাস্ট বোলার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন শোফিল্ড হেই। এর পাশাপাশি খেলায় ফিরিয়ে আনায়ও প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৮৯৬ সালে তার স্বরূপ তুলে ধরেন। ব্যাটিং উপযোগী পিচেও উইকেট লাভে চমৎকার দক্ষতা প্রদর্শন করেন। মাত্র ১৫-এর অধিক গড়ে ৮৪ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ৮/৭৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন।

তবে, পরের বছর তার দ্রুত বোলিং ভঙ্গীমা নিয়ে প্রথমবারের আলোচনায় আসতে থাকে। ১৮.৭৫ গড়ে ৯১ উইকেট লাভের ফলে জাতীয় গড়ে শীর্ষ বিশজনের তালিকায় নাম চলে আসে। তবে, বোলিং উপযোগী পিচে ইয়র্কশায়ারের অন্যান্য বোলারের তুলনায় কমই গুরুত্ব পেতেন। কিন্তু বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে তাকে রুখে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভবের কাতারে আসে। নিজ মাঠে সারে ও ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে তিনি দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। এছাড়াও, পরের বছর লর্ডসে মিডলসেক্সের বিপক্ষে বেশ ভালো খেলেছিলেন। পোঁতানো উইকেটের সাথে তুলনান্তে যা খুব কমই ছিল। এ ধরনের উইকেটে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে একদিনে ৪৩ রানের বিনিময়ে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[৩]

পরবর্তী সময়গুলোয় হেইয়ের ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটতে থাকে। ১৯০১ সালে ২৬ গড়ে রান তুলেছিলেন। ১৯০০ সালে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে সমূহ পরাজয়বরণ করা থেকে ইয়র্কশায়ারকে রক্ষা করেন। ঐ বছর ১৪-এর অল্প বেশি গড়ে ১৬৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯০২ সালে ৭৯৯ ওভার বোলিং করে ১৫৮ উইকেট দখল করেছিলেন।

টেস্ট ক্রিকেট

১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে শোফিল্ড হেইয়ের। অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য তাকে কখনো বেছে নেয়া হয়নি। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যাটিং পিচে মাঝারিমানের সফলতা পেয়েছেন যা কাউন্টি খেলাগুলোর তুলনায় কিছুই নয়।

১৯০৫ সালে টেস্ট দলে খেলার জন্য পুণরায় অন্তর্ভূক্ত হন। পোঁতানো উইকেটে প্রত্যাশিত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। ফলে, ১৯০৯ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে আর টেস্ট দলে দেখা যায়নি। ১৯১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু তেমন সফলতা পাননি। এ সময় তার বয়স ছিল ৪১।

উপর্যুপরী পাঁচ মৌসুমে জাতীয় গড়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছেন। কেবলমাত্র, ১৯০৭ সালে আলবার্ট হলামের কীর্তির কাছে তার সাফল্য ঢাকা পড়ে যায়। ঐ বছর ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে খেলায় মাত্র ৪০ রান দিয়ে ১৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। উইলফ্রেড রোডসজর্জ হার্স্টের ন্যায় ইয়র্কশায়ারের বোলারেরা দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতেন। পরবর্তীতে এর সুফল ভোগ করতেন তিনি। ১৯১০ সালে মন্দ সময় কাটানোর পর ১৯১১ ও ১৯১২ সালে খেলার ছন্দে ফিরে আসেন। ১১.৪১ গড়ে ৯৬ উইকেট লাভে ইয়র্কশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এ সময় তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশকিছু কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। তবে, বড় অঙ্কের দিকে ধাবিত হতে পারেননি। অন্যদিকে তার বোলিং কার্যতঃ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

অবসর

বয়সের ভারে ন্যূহ হয়ে পড়ায় ১৯১৩ সাল শেষে কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। উইনচেস্টার স্কুলে উদীয়মান ডগলাস জারদিনের উত্তরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর স্কারবোরা উৎসবে বেশকিছু প্রথম-শ্রেণীর খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন।

২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১ তারিখে হাডার্সফিল্ডের টেলর হিল এলাকায় মাত্র ৫০ বছর বয়সে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শোফিল্ড হেইয়ের দেহাবসান ঘটে।

খেলার ধরন

ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯০১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন শোফিল্ড হেই।

ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন শোফিল্ড হেই। তবে, এ বোলিংয়ের মাধ্যমেই খুব ধীরগতিতে কিংবা খুব দ্রুততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। পিচের সহযোগিতা পেলে অফের দিক থেকে বলকে স্পিন করাতে পারতেন। হেইয়ের বোলিংয়ের কার্যকারিতা বেশ প্রশংসনীয় ছিল। ৭৪%-এর অধিক উইকেট অন্য কোন ফিল্ডারের সহযোগিতা ছাড়াই পেয়েছেন। ৫০০ বা তদূর্ধ্ব উইকেট লাভকারী যে-কোন বোলারের তুলনায় এ গড় সর্বোচ্চ। তবে, শারীরিক গড়নের কারণে অধিক সময় ধরে ক্রমাগত বোলিং করতে পারতেন না তিনি। শীর্ষসারির বোলারদের কারণে প্রায়শঃই কম ওভার বোলিং করতেন। এছাড়াও, চমৎকার পিচে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের কাছে তার বোলিং বেধড়ক পিটুনি খেতো।

তথ্যসূত্র

  1. "Schofield Haigh"। Espncricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১১ 
  2. Warner, David (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 369। আইএসবিএন 978-1-905080-85-4 
  3. Schofield Haigh. Cricketarchive.co.uk

বহিঃসংযোগ