বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
৩৩ নং লাইন: | ৩৩ নং লাইন: | ||
তিনি বহু গ্রামে পুঁথির সন্ধান করে সারা জীবনে প্রায় ৮০০ পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সেগুলি [[বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ|বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদকে]] দান করেছিলেন । তিনি [[বিষ্ণুপুর|বিষ্ণুপুরের]] কাছে কালিয়া গ্রামের নিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়াল ঘরের মাচা থেকে ১৩১৬ বঙ্গাব্দে [[বড়ু চণ্ডীদাস|বড়ু চণ্ডীদাসের]] [[শ্রীকৃষ্ণকীর্তন]] পুঁথি আবিষ্কার করেন ।<ref name="ReferenceA" /> এটি ছিল তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি । <ref name="ss"/> চর্যাপদের পরে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নিদর্শন। |
তিনি বহু গ্রামে পুঁথির সন্ধান করে সারা জীবনে প্রায় ৮০০ পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সেগুলি [[বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ|বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদকে]] দান করেছিলেন । তিনি [[বিষ্ণুপুর|বিষ্ণুপুরের]] কাছে কালিয়া গ্রামের নিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়াল ঘরের মাচা থেকে ১৩১৬ বঙ্গাব্দে [[বড়ু চণ্ডীদাস|বড়ু চণ্ডীদাসের]] [[শ্রীকৃষ্ণকীর্তন]] পুঁথি আবিষ্কার করেন ।<ref name="ReferenceA" /> এটি ছিল তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি । <ref name="ss"/> চর্যাপদের পরে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নিদর্শন। |
||
১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি ''বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ লিটারেচারের'' সদস্য ছিলেন । পরে এই সংস্থার নাম ''সাহিত্য পরিষদ'' হলে প্রথম থেকেই তিনি এর সদস্য হন । [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] বাংলা বিভাগ খোলা হলে [[আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (শিক্ষাবিদ)|স্যার আশুতোষ]] তাকে অধ্যাপক মনোনীত করেন । ১৯১৯ থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি অধ্যাপনা করেন এবং এরপর সাহিত্য পরিষদের কাজে আত্মনিয়োগ করেন । |
|||
==উপাধি== |
==উপাধি== |
১০:৫৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ | |
---|---|
জন্ম | ১৮৬৫ |
মৃত্যু | ৯ নভেম্বর, ১৯৫২ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | সাহিত্য |
বসন্তরঞ্জন রায় (জন্ম: ১৮৬৫ - মৃত্যু: ৯ নভেম্বর ১৯৫২) একজন বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ, ভাষাতাত্ত্বিক এবং গবেষক ।
জন্ম ও পরিবার
বসন্তরঞ্জন রায় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে এক অভিজাত ও বিদ্যানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তার বাবার নাম রামনারায়ন রায় । শিল্পী যামিনী রায় তার জ্ঞাতি ভ্রাতা।[১]
শিক্ষাজীবন
তিনি পুরুলিয়া জেলা স্কুল অধ্যয়ন করেন। প্রবেশিকা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন।[২]
সাহিত্যকর্ম
তিনি বহু গ্রামে পুঁথির সন্ধান করে সারা জীবনে প্রায় ৮০০ পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সেগুলি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদকে দান করেছিলেন । তিনি বিষ্ণুপুরের কাছে কালিয়া গ্রামের নিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়াল ঘরের মাচা থেকে ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথি আবিষ্কার করেন ।[১] এটি ছিল তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি । [২] চর্যাপদের পরে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নিদর্শন।
১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ লিটারেচারের সদস্য ছিলেন । পরে এই সংস্থার নাম সাহিত্য পরিষদ হলে প্রথম থেকেই তিনি এর সদস্য হন । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ খোলা হলে স্যার আশুতোষ তাকে অধ্যাপক মনোনীত করেন । ১৯১৯ থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি অধ্যাপনা করেন এবং এরপর সাহিত্য পরিষদের কাজে আত্মনিয়োগ করেন ।
উপাধি
বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভকে তার কাজের জন্য বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ 'বিদ্বদ্বল্লভ' উপাধি দিয়েছিলেন।[১][২]
মৃত্যু
তিনি ৯ নভেম্বর ১৯৫২ সালে মারা যান।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; দ্বিতীয় সংস্করণ: ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা: ২৪৫, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৩৫৪-৬
- ↑ ক খ গ সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - প্রথম খণ্ড - সাহিত্য সংসদ আইএসবিএন ৮১-৮৫৬২৬-৬৫-০