জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৯ নং লাইন: ১৯ নং লাইন:
{{অনুশীলন সমিতি}}
{{অনুশীলন সমিতি}}


'''জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার''' ({{lang-en|Gayanchandra Majumdar}}) ([[১৮৮৯]] - [[অক্টোবর ৩|৩ অক্টোবর]], [[১৯৭০]]) ছিলেন [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন|ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি [[অনুশীলন সমিতি|অনুশীলন সমিতির]] অন্যতম শীর্ষনায়ক ছিলেন। ১৯০৬ সালে এন্ট্রান্স পাস করে [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] পড়ার সময় অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা [[প্রমথনাথ মিত্র|পি. মিত্রের]] সংস্রবে আসেন এবং তিনিই সমিতির সর্বপ্রথম সদস্যরূপে বিধিবদ্ধ শপথ গ্রহণ করেন। ১৯০৬-১০ সনে সমিতির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার বিশেষ ভূমিকা ছিলো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে ঢাকার ব্রাহা রাজনৈতিক ডাকাতির ঘটনা। এই বিপ্লবী কাজের মধ্যেও তিনি ১৯১০ সনে বি.এস.সি. পাস করেন। [[প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়|প্রেসিডেন্সি কলেজে]] এম.এস.সি. পড়ার সময় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পুলিসি তৎপরতার জন্য তার পড়া শেষ হবার আগেই ১৯১৬ সনে তিন ধারা আইনে আটক থাকেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯১৯ সনে ছাড়া পেয়ে [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|কংগ্রেস]] আন্দোলনে যোগ দেন এবং [[ময়মনসিংহ জেলা|ময়মনসিংহ জেলায়]] কংগ্রেস সংগঠন গড়ে তুলে বহু বছর তার সম্পাদক এবং পরে সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫-৩০ সালে তিনি বাংলার প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ১৯৩৮ সনে তিনি তদানীন্তন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বিপক্ষে নেতাজি [[সুভাষচন্দ্র বসু|সুভাষচন্দ্র বসুর]] সঙ্গে মিলিত হয়ে তার মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বহুবার তাকে কারাবরণ করতে হয়। দেশবিভাগের পর ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানে বাস করেন। পাক-গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। কলকাতায় মৃত্যু।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, সংশোধিত ও পরিমার্জিত পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৪-৪৫, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> তিনি [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ রাজের]] জেলে মোট ২৬ বছর বন্দি ছিলেন।<ref name="ত্রৈলোক্যনাথ">[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২১২।</ref>
'''জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার''' ({{lang-en|Gayanchandra Majumdar}}) ([[১৮৮৯]] - [[অক্টোবর ৩|৩ অক্টোবর]], ১৯৭০) ছিলেন [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন|ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি [[অনুশীলন সমিতি|অনুশীলন সমিতির]] অন্যতম শীর্ষনায়ক ছিলেন। ১৯০৬ সালে এন্ট্রান্স পাস করে [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] পড়ার সময় অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা [[প্রমথনাথ মিত্র|পি. মিত্রের]] সংস্রবে আসেন এবং তিনিই সমিতির সর্বপ্রথম সদস্যরূপে বিধিবদ্ধ শপথ গ্রহণ করেন। ১৯০৬-১০ সনে সমিতির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার বিশেষ ভূমিকা ছিলো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে ঢাকার ব্রাহা রাজনৈতিক ডাকাতির ঘটনা। এই বিপ্লবী কাজের মধ্যেও তিনি ১৯১০ সনে বি.এস.সি. পাস করেন। [[প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়|প্রেসিডেন্সি কলেজে]] এম.এস.সি. পড়ার সময় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পুলিসি তৎপরতার জন্য তার পড়া শেষ হবার আগেই ১৯১৬ সনে তিন ধারা আইনে আটক থাকেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯১৯ সনে ছাড়া পেয়ে [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|কংগ্রেস]] আন্দোলনে যোগ দেন এবং [[ময়মনসিংহ জেলা|ময়মনসিংহ জেলায়]] কংগ্রেস সংগঠন গড়ে তুলে বহু বছর তার সম্পাদক এবং পরে সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫-৩০ সালে তিনি বাংলার প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ১৯৩৮ সনে তিনি তদানীন্তন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বিপক্ষে নেতাজি [[সুভাষচন্দ্র বসু|সুভাষচন্দ্র বসুর]] সঙ্গে মিলিত হয়ে তার মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বহুবার তাকে কারাবরণ করতে হয়। দেশবিভাগের পর ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানে বাস করেন। পাক-গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। কলকাতায় মৃত্যু।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, সংশোধিত ও পরিমার্জিত পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৪-৪৫, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> তিনি [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ রাজের]] জেলে মোট ২৬ বছর বন্দি ছিলেন।<ref name="ত্রৈলোক্যনাথ">[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২১২।</ref>


==জন্ম ও শিক্ষা==
==জন্ম ও শিক্ষা==

১৭:৫৮, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার
জন্ম১৮৮৯
মৃত্যু৩ অক্টোবর, ১৯৭০
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারতীয়
পাকিস্তানী
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার (ইংরেজি: Gayanchandra Majumdar) (১৮৮৯ - ৩ অক্টোবর, ১৯৭০) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি অনুশীলন সমিতির অন্যতম শীর্ষনায়ক ছিলেন। ১৯০৬ সালে এন্ট্রান্স পাস করে ঢাকা কলেজে পড়ার সময় অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা পি. মিত্রের সংস্রবে আসেন এবং তিনিই সমিতির সর্বপ্রথম সদস্যরূপে বিধিবদ্ধ শপথ গ্রহণ করেন। ১৯০৬-১০ সনে সমিতির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার বিশেষ ভূমিকা ছিলো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে ঢাকার ব্রাহা রাজনৈতিক ডাকাতির ঘটনা। এই বিপ্লবী কাজের মধ্যেও তিনি ১৯১০ সনে বি.এস.সি. পাস করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে এম.এস.সি. পড়ার সময় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পুলিসি তৎপরতার জন্য তার পড়া শেষ হবার আগেই ১৯১৬ সনে তিন ধারা আইনে আটক থাকেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯১৯ সনে ছাড়া পেয়ে কংগ্রেস আন্দোলনে যোগ দেন এবং ময়মনসিংহ জেলায় কংগ্রেস সংগঠন গড়ে তুলে বহু বছর তার সম্পাদক এবং পরে সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫-৩০ সালে তিনি বাংলার প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ১৯৩৮ সনে তিনি তদানীন্তন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বিপক্ষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে মিলিত হয়ে তার মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বহুবার তাকে কারাবরণ করতে হয়। দেশবিভাগের পর ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানে বাস করেন। পাক-গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। কলকাতায় মৃত্যু।[১] তিনি ব্রিটিশ রাজের জেলে মোট ২৬ বছর বন্দি ছিলেন।[২]

জন্ম ও শিক্ষা

জ্ঞানচন্দ্র মজুমদারের জন্ম নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর গ্রামে। তার পিতার নাম মহেন্দ্রচন্দ্র মজুমদার।[১][৩]

তথ্যসূত্র

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, সংশোধিত ও পরিমার্জিত পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৪-৪৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২১২।
  3. দরজি আবদুল ওয়াহাব, ময়মনসিংহের চরিতাভিধান, ময়মনসিংহ জেলা দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপন কর্তৃপক্ষ, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ, এপ্রিল ১৯৮৯, পৃষ্ঠা ২৫৪।