পুয়েন্তে মোচো (গুয়াদালিমার): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎বিবরণ: সম্প্রসারণ
চিত্রযোগ
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:


==বিবরণ==
==বিবরণ==
[[চিত্র:Uno de los ojos del puente Mocho.JPG|thumb|250px|পুয়েন্তো মোচো সেতুর একটি আর্চ]]
সেতুটি লম্বায় ১০০ মিটার ও তার প্রস্থ ৪.৫ মিটার। উনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত স্পেনীয় পরিসংখ্যানবিদ পাসকুয়াল মাদোথ তাঁর ''দিকথিওনারিও খেওগ্রাফিকো, এসতাদিস্তিকো ই ইস্তোরিকো দে এস্পানিয়া, ই সুস পোসেসিওনেস দে উলত্রামার'' (''Diccionario geográfico, estadístico y histórico de España, y sus posesiones de Ultramar'', মাদ্রিদ, ১৮৪৫-৫০)-এ এই সেতুর বিবরণ প্রসঙ্গে বলেছেন যে সেতুটি ২০০ পা লম্ব, ১৫ পা চওড়া ও তার উচ্চতা ৬০ হাত।<ref> [Diccionario geográfico-estadístico-historico de España y sus posesiones de ultramar (1845-1850) - Madoz, Pascual, 1806-1870 https://bibliotecadigital.jcyl.es/es/consulta/registro.cmd?id=16877] (স্পেনীয় ভাষা) ''Biblioteca Digital de Castilla y León'', সংগৃহীত ১৭ জানুয়ারি, ২০২০।</ref> এর খিলানগুলি মোট ছটি অর্ধবৃত্তাকার আর্চ তৈরি করেছে, যার উপর সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে। এই আর্চ ও খিলানগুলি মূলত প্রস্তরনির্মিত আর তার বাইরের দিকের দেওয়াল চূনাপাথরের। খিলানের ভিতরের অংশটি মূলত চুন ও পাথর দিয়ে ভর্তি করা। অন্যদিকে আর্চগুলি বেশি শক্ত ও সহনশীল অ্যাসলার পাথরে তৈরি। আবার সেতুটির বাইরের দিকের দেওয়াল তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী পাথরের টুকরো গেঁথে তৈরি করা হয়েছে। এই সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অকুস্থলে নদীখাতে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে যথেষ্ট দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন - নদীখাতের মধ্যেই অবস্থিত পাথরের প্রাকৃতিক স্তূপের উপরই সেতুর একাধিক পিলারের ভিত স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে এই পাথরের স্তূপ যেহেতু নদীর স্রোতকে অকুস্থলে একটি বড় ও একটি ছোট খাতে ভাগ করেছে, সেই অনুযায়ী সেতুটি নির্মিত হওয়ায় সেতুটিও কিছুটা অসম আকার ধারণ করেছে। ফলে দেখে মনে হয়, নদীখাতের মাঝামাঝি অবস্থিত পাথরের স্তূপের উপরে স্থাপিত খিলানের উপরে যেন দুটি পৃথক সেতুকে জোড়া লাগানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাঝের এই অংশটির উচ্চতাও বাকি অংশের চেয়ে কিছু বেশি। অর্থাৎ, সাধারণভাবে একটি সেতুর উপরের অংশে সর্বত্র যেমন একটি রৈখিক উচ্চতা বজায় রাখা হয়, এক্ষেত্রে তা পরিলক্ষিত হয় না।
সেতুটি লম্বায় ১০০ মিটার ও তার প্রস্থ ৪.৫ মিটার। উনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত স্পেনীয় পরিসংখ্যানবিদ পাসকুয়াল মাদোথ তাঁর ''দিকথিওনারিও খেওগ্রাফিকো, এসতাদিস্তিকো ই ইস্তোরিকো দে এস্পানিয়া, ই সুস পোসেসিওনেস দে উলত্রামার'' (''Diccionario geográfico, estadístico y histórico de España, y sus posesiones de Ultramar'', মাদ্রিদ, ১৮৪৫-৫০) গ্রন্থে এই সেতুর বিবরণ প্রসঙ্গে বলেছেন যে সেতুটি ২০০ পা লম্ব, ১৫ পা চওড়া ও তার উচ্চতা ৬০ হাত।<ref> [Diccionario geográfico-estadístico-historico de España y sus posesiones de ultramar (1845-1850) - Madoz, Pascual, 1806-1870 https://bibliotecadigital.jcyl.es/es/consulta/registro.cmd?id=16877] (স্পেনীয় ভাষা) ''Biblioteca Digital de Castilla y León'', সংগৃহীত ১৭ জানুয়ারি, ২০২০।</ref> এর খিলানগুলি মোট ছটি অর্ধবৃত্তাকার আর্চ তৈরি করেছে, যার উপর সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে। এই আর্চ ও খিলানগুলি মূলত প্রস্তরনির্মিত আর তার বাইরের দিকের দেওয়াল চূনাপাথরের। খিলানের ভিতরের অংশটি মূলত চুন ও পাথর দিয়ে ভর্তি করা। অন্যদিকে আর্চগুলি বেশি শক্ত ও সহনশীল অ্যাসলার পাথরে তৈরি। আবার সেতুটির বাইরের দিকের দেওয়াল তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী পাথরের টুকরো গেঁথে তৈরি করা হয়েছে। এই সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অকুস্থলে নদীখাতে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে যথেষ্ট দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন - নদীখাতের মধ্যেই অবস্থিত পাথরের প্রাকৃতিক স্তূপের উপরই সেতুর একাধিক পিলারের ভিত স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে এই পাথরের স্তূপ যেহেতু নদীর স্রোতকে অকুস্থলে একটি বড় ও একটি ছোট খাতে ভাগ করেছে, সেই অনুযায়ী সেতুটি নির্মিত হওয়ায় সেতুটিও কিছুটা অসম আকার ধারণ করেছে। ফলে দেখে মনে হয়, নদীখাতের মাঝামাঝি অবস্থিত পাথরের স্তূপের উপরে স্থাপিত খিলানের উপরে যেন দুটি পৃথক সেতুকে জোড়া লাগানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাঝের এই অংশটির উচ্চতাও বাকি অংশের চেয়ে কিছু বেশি। অর্থাৎ, সাধারণভাবে একটি সেতুর উপরের অংশে সর্বত্র যেমন একটি রৈখিক উচ্চতা বজায় রাখা হয়, এক্ষেত্রে তা পরিলক্ষিত হয় না।


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৩:২৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গুয়াদালিমার নদীর উপর প্রাচীন রোমান সেতু পুয়েন্তে মোচো

পুয়েন্তে মোচো বা মোচো সেতু (স্পেনীয় - Puente Mocho) হল দক্ষিণ স্পেনের আন্দালুসিয়া স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলের অন্তর্গত খায়েন প্রদেশে গুয়াদালিমার নদীর উপর নির্মিত একটি প্রাচীন রোমান সেতু। বেয়াস দে সেগুরা পৌর অঞ্চল থেকে চিক্লানা দে সেগুরা পৌর অঞ্চলে যাওয়ার পথে এই প্রাচীন সেতুটি দেখতে পাওয়া যায়। ২০১১ সালে সেতুটি স্পেনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের (Bien de Interés Cultural) অন্তর্গত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।[১]

বিবরণ

পুয়েন্তো মোচো সেতুর একটি আর্চ

সেতুটি লম্বায় ১০০ মিটার ও তার প্রস্থ ৪.৫ মিটার। উনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত স্পেনীয় পরিসংখ্যানবিদ পাসকুয়াল মাদোথ তাঁর দিকথিওনারিও খেওগ্রাফিকো, এসতাদিস্তিকো ই ইস্তোরিকো দে এস্পানিয়া, ই সুস পোসেসিওনেস দে উলত্রামার (Diccionario geográfico, estadístico y histórico de España, y sus posesiones de Ultramar, মাদ্রিদ, ১৮৪৫-৫০) গ্রন্থে এই সেতুর বিবরণ প্রসঙ্গে বলেছেন যে সেতুটি ২০০ পা লম্ব, ১৫ পা চওড়া ও তার উচ্চতা ৬০ হাত।[২] এর খিলানগুলি মোট ছটি অর্ধবৃত্তাকার আর্চ তৈরি করেছে, যার উপর সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে। এই আর্চ ও খিলানগুলি মূলত প্রস্তরনির্মিত আর তার বাইরের দিকের দেওয়াল চূনাপাথরের। খিলানের ভিতরের অংশটি মূলত চুন ও পাথর দিয়ে ভর্তি করা। অন্যদিকে আর্চগুলি বেশি শক্ত ও সহনশীল অ্যাসলার পাথরে তৈরি। আবার সেতুটির বাইরের দিকের দেওয়াল তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী পাথরের টুকরো গেঁথে তৈরি করা হয়েছে। এই সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অকুস্থলে নদীখাতে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে যথেষ্ট দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন - নদীখাতের মধ্যেই অবস্থিত পাথরের প্রাকৃতিক স্তূপের উপরই সেতুর একাধিক পিলারের ভিত স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে এই পাথরের স্তূপ যেহেতু নদীর স্রোতকে অকুস্থলে একটি বড় ও একটি ছোট খাতে ভাগ করেছে, সেই অনুযায়ী সেতুটি নির্মিত হওয়ায় সেতুটিও কিছুটা অসম আকার ধারণ করেছে। ফলে দেখে মনে হয়, নদীখাতের মাঝামাঝি অবস্থিত পাথরের স্তূপের উপরে স্থাপিত খিলানের উপরে যেন দুটি পৃথক সেতুকে জোড়া লাগানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাঝের এই অংশটির উচ্চতাও বাকি অংশের চেয়ে কিছু বেশি। অর্থাৎ, সাধারণভাবে একটি সেতুর উপরের অংশে সর্বত্র যেমন একটি রৈখিক উচ্চতা বজায় রাখা হয়, এক্ষেত্রে তা পরিলক্ষিত হয় না।

তথ্যসূত্র

  1. Puente Mocho Lista Verde. 2019 Lista Roja del Patrimonio. সংগৃহীত ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯।
  2. [Diccionario geográfico-estadístico-historico de España y sus posesiones de ultramar (1845-1850) - Madoz, Pascual, 1806-1870 https://bibliotecadigital.jcyl.es/es/consulta/registro.cmd?id=16877] (স্পেনীয় ভাষা) Biblioteca Digital de Castilla y León, সংগৃহীত ১৭ জানুয়ারি, ২০২০।

৩৮°১৬′৪৭.৬″ উত্তর ২°৫৭′৪৮.২″ পশ্চিম / ৩৮.২৭৯৮৮৯° উত্তর ২.৯৬৩৩৮৯° পশ্চিম / 38.279889; -2.963389