খিদিরপুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Subhajitcu4848 (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: বিষয়বস্তু যোগ ।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Subhajitcu4848 (আলোচনা | অবদান)
→‎তথ্যসূত্র: বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৪ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:


[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতার অঞ্চল]]
[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতার অঞ্চল]]
[[itihasanusondhan.blogspot.]]

১৯:০৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

খিদিরপুর হল কলকাতা পৌরসংস্থার অন্তর্গত একটি আঞ্চল। এই অঞ্চলের পূর্বে আলিপুর, দক্ষিণে মমিনপুর, দক্ষিণ-পশ্চিমে গার্ডেনরিচ ও মেটিয়াবুরুজ ,পশ্চিমে গঙ্গা ও উত্তর দিকে রয়েছে হিস্টিং অঞ্চল। খিদিরপুর অঞ্চলটি কলকাতার মধ্য-পশ্চিম ভাগে অবস্থিত।

ভূগোল

খিদিরপুর এলাকাটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এর অবস্থান ২২.৫৩ উত্তর ও ৮৮.৩২ পূর্ব। এই এলাকাটি হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত।

ইতিহাস

খিদিরপুর ব্রিটিশ ভারত এর সূচনা কাল থেকেই গুরুত্ব পেয়ে আসচ্ছে। ব্রিটিশরা এখানে একটি আধুনিক সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলে। এর পর এলাকাটির দ্রুত উন্নয়ন ঘটে ও কর্ম ব্যবস্থ হয়ে ওঠে। এখনও এই বন্দরটি চালু রয়েছে কলকাতা বন্দর নামে। এই অঞ্চলে কাজের খোজে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ চলে আসে। ফলে এই অঞ্চলটিতে অবাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানে হিন্দি ভাষা বহুলপ্রচলিত।

ভূ-কৈলাশ রাজবাড়ি মহারাজা বাহাদুর জয়নারায়ণ ঘোষাল 200 বিঘা জমির উপরে ভূকৈলাশ রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন । এই " ভূ-কৈলাশ " নামটি সাধক রামপ্রসাদের দেওয়া, তিনি এই স্থান পরিদর্শন কালে জায়গাটির নাম দেন " ভূ-কৈলাশ " । সুরধুনী কাব্যে ভূ-কৈলাশ রাজবাড়ির বর্ণনা দিয়েছিলেন দীনবন্ধু মিত্র এই ভাবে - " ভুবনে কৈলাশ-শোভা ভূ-কৈলাশ ধাম, সত্যের আলয় শুভ সত্য সব নাম " । এই বিশাল ভূ-ভাগের মধ্যে আছে মূল তিনটি মন্দির এবং 300 বছরের পুরানো জরাজীর্ণ ইটভাটা । খিদিরপুর ডক সংলগ্ন ট্রামডিপো থেকে হাটা পথে 10 থেকে 15 মিনিট, যদিও আমি সাইকেলে গিয়েছিলাম, ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে এই বাংলার প্রাচীনতম ও অবশ্যই ধনী ঐতিহ্যবাহী সম্পত্তিগুলির মধ্যে ভূকৈলাশ রাজবাড়ি অন্যতম একটি । তবে বর্তমানে রাজবাড়ির সেই রাজকীয় বৈভব নেই, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে রাজবাড়ির অংশবিশেষ, আধুনিকতার ছোয়া লেগে সংরক্ষণের বদলে তাকে পুনরায় বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে । বর্তমানে এই স্থানে রাজপরিবারের সদস্যরা ও প্রজারা ছাড়াও পরবর্তীকালে আগত বহু স্মরণার্থী থাকার জন্যে এই স্থানটিকে বেছে নিয়েছেন, তাদেরই উত্তরপুরুষ আজও এই জনপদে বসবাস করছে । জয়নারায়ণ ঘোষাল (1752 - 1821) গোবিন্দপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি সংস্কৃত, হিন্দি, বাংলা, আরবি, ফার্সি ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীলতার সাথে দক্ষ ছিলেন । একটি তথ্য অনুযায়ী তিনি নবাব মোবারক দৌলতের দ্বারা পাটনা, মুর্শিদাবাদ, ছোটোনাগপুর, ও বর্ধমানের প্রাদেশিক পরিষদের দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত হন । এছাড়াও তিনি দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় আকবরের কাছ থেকে রাজকীয় অনুদান পেয়েছিলেন ও মহারাজা ও বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন, ওয়ারেন হেস্টিংস তার কাজে খুশী হয়ে দিল্লীর দরবার থেকে তাঁকে তিন হাজারী মানসবদারি পাইয়ে দেন, যার স্মৃতি বহনকারী হিসেবে আজও দুটি কামান এই রাজবাড়ি তে দেখতে পাওয়া যায় । অন্য একটি তথ্যে জানানো হয় তিনি পুলিস সুপার জন শেক্সপিয়ারের সময় কালে এক জন সুপারিনটেন্ডন্ট পদ ও অলংকরণ করেছিলেন । এবং রাজা রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগরের সাথে বহু সংস্কারমূলক কাজেও জড়িত ছিলেন । জয়নারায়ণ ঘোষাল তার 200 বিঘা এস্টেটের মধ্যে " শিবগঙ্গা " নামে একটি পুকুর খনন করেন, অতঃপর এই পুকুরের একদিকে 1781 সালে দুটি শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যার মধ্যে আজও পূজিত হচ্ছেন 11 ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট কালোকোষ্টি পাথরের দুটি শিবলিঙ্গ । পরবর্তিকালে দুটি শিবলিঙ্গের নামকরণ করা হয়, " রক্তকমলেশ্বর " ও " কৃষ্ণচন্দ্রেশ্বর " । কলকাতার নিমতলা অঞ্চলের হাটখোলা দত্তবাড়ির " দুর্গেশ্বর " ছাড়া এত বড় শিবলিঙ্গ কলকাতার আর কোথাও নেই । রক্তকমলেশ্বর শিবের আটচালা মন্দিরের গায়ের এক স্থানে লিপিবদ্ধ আছে -" চৈত্রেঙ্ক পক্ষ গনিতেহনি পূর্ণিমায়াং:

শাকেহক্ষি শূন্য জলধীন্দুমিতে গৃ

হেহস্মিন । শ্রীযুক্ত রক্তকমলেশ্বর

নাথ লিঙ্গং বারে রবে : পশু

পতে : কৃপয়াবিরাসীত ।

শকাব্দ : 1702 । " এর ঠিক পরের বছর (1782) মহারাজা জয়নারায়ণ প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর কুলদেবী'র " মা পতিত পাবনি " অন্যত্র একটি মন্দিরের গর্ভগৃহে তিনি পূজিত হয়ে আসছেন । এই মন্দিরে মায়ের অষ্টধাতুর মূর্তি আছে । এছাড়াও মূল মন্দিরের চারিদিকে অন্য চারটি মন্দির বিদ্যমান, তা যথাক্রমে " মাকর বাহিনী গঙ্গা ", "পঞ্চানন দেব " , " জয় কাল ভৈরব " , ও " রাজেশ্বর মহালিঙ্গ " এই ধর্মীয় পরিমণ্ডল এক সম্প্রীতির বাতাবরণ প্রস্তুত করেছে, যার একটি ঐতিহাসিক পটভূমি আছে । কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন 6 ই সেপ্টেম্বর 1996 সালে এই রাজবাড়িকে HERITAGE OF KOLKATA বলে ঘোষণা করেছে । বিস্তারিত জানতে নিম্নে উল্লিখিত লিংকটি দেখুন (শুভজিৎ দে)

বন্দর

খিদারপুরে কলকাতা বন্দর এর দুটি ডক অবস্থিত। এই ডক দুটি হল খিদিরপুর ডক ও নেতাজি সুভাষ ডক।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

খিদিরপুর কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এসপ্ল্যানেড থেকে প্রচুর বাস আছে তাছাড়া মিনিবাস ট্রাম এবং ট্রেনে আসা যায়। খিদিরপুর নামে একটি রেলস্টেশন আছে। শিয়ালদা স্টেশন থেকে বি বা দী বাগ গামী ট্রেনে খিদিরপুর স্টেশনে আসা যায়। বা দমদম থেকে চক্ররেলের ট্রেনে খিদিরপুর স্টেশনে নামা যায়।

অর্থনীতি

কলকাতার অন্যান্য জায়গার তুলনায় অর্থনীতি উন্নত, ব্যবসার সুযোগ ভালো - বহু লোক খিদিরপুরে বন্দরে কাজের খোঁজে আসে।

শিক্ষাব্যবস্থা

কলকাতার অন্যান্য জায়গার মতই। অনেক স্কুল আছে প্রধানতঃ বাংলা মাধ্যম, তাছাড়া তিনটি ইংরেজী মাধ্যম স্কুল আছে। এছাড়া হিন্দী মাধ্যমের স্কুলও আছে। কলেজ মাত্র এক্টাই "খিদিরপুর কলেজ"।

তথ্যসূত্র

itihasanusondhan.blogspot.