ফজলে হাসান আবেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ভূমিকা সম্প্রসারণ
সম্প্রসারণ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{সাম্প্রতিক মৃত্যু}}
{{সাম্প্রতিক মৃত্যু}}
{{তথ্যছক লেখক
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| নাম = ফজলে হাসান আবেদ
| নাম = ফজলে হাসান আবেদ
| চিত্র = Sir Fazle Hasan Abed receives Thomas Francis, Jr. Medal.jpg
| চিত্র = Sir Fazle Hasan Abed receives Thomas Francis, Jr. Medal.jpg
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
| জন্ম_তারিখ = {{জন্ম তারিখ|1936|4|27|df=y}}
| জন্ম_তারিখ = {{জন্ম তারিখ|1936|4|27|df=y}}
| মৃত্যু_তারিখ = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|2019|12|20|1936|04|27|df=y}}
| মৃত্যু_তারিখ = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|2019|12|20|1936|04|27|df=y}}
|মৃত্যু_স্থান=[[অ্যাপোলো হাসপাতাল]] ঢাকা| পেশা = সংগঠক, সমাজকর্মী
| মৃত্যু_স্থান = [[অ্যাপোলো হাসপাতাল]], ঢাকা
| পেশা = সংগঠক, সমাজকর্মী
| বাসস্থান =
| বাসস্থান =
| জাতীয়তা = বাংলাদেশী
| জাতীয়তা = বাংলাদেশী
| শিক্ষা = [[ঢাকা কলেজ]], [[গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়]]
| শিক্ষা = [[ঢাকা কলেজ]], [[গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়]]
| পুরস্কার = নাইটহুড, [[র‌্যামন মাগাসেসে পুরস্কার]] পুরস্কার
| পুরস্কার = নাইটহুড, [[র‌্যামন মাগাসেসে পুরস্কার]]
}}
}}


'''স্যার ফজলে হাসান আবেদ''', কেসিএমজি (২৭ এপ্রিল ১৯৩৬ - ২০ ডিসেম্বর ২০১৯) ছিলেন একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন [[ব্র্যাক|ব্র্যাকের]] প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই |ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/national/2019/12/20/853182?fbclid=IwAR2Gop0MrTBRXOjIavTsZfrlbmY0SlhbQx3r9dYVtDcW0FCf_N_nqST7q64 |সংগ্রহের-তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |কর্ম=[[দৈনিক কালের কণ্ঠ]] |তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |ভাষা=bn}}</ref> সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি [[র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার]], স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল মেরিট, লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক, [[জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা|জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার]] মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং [[গেটস ফাউন্ডেশন|গেটস ফাউন্ডেশনের]] বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের নোবেল বলে খ্যাত [[ইয়াইদান পুরস্কার]] লাভ করেছেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/opinion/article/1617393|শিরোনাম=ফজলে হাসান আবেদ এক আলোকবর্তিকা|ওয়েবসাইট=প্রথম আলো|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-20}}</ref>
'''স্যার ফজলে হাসান আবেদ''', কেসিএমজি (২৭ এপ্রিল ১৯৩৬ - ২০ ডিসেম্বর ২০১৯) ছিলেন একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন [[ব্র্যাক|ব্র্যাকের]] প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই |ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/national/2019/12/20/853182?fbclid=IwAR2Gop0MrTBRXOjIavTsZfrlbmY0SlhbQx3r9dYVtDcW0FCf_N_nqST7q64 |সংগ্রহের-তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |কর্ম=[[দৈনিক কালের কণ্ঠ]] |তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |ভাষা=bn}}</ref> সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি [[র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার]], স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল মেরিট, লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক, [[জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা|জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার]] মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং [[গেটস ফাউন্ডেশন|গেটস ফাউন্ডেশনের]] বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের নোবেল বলে খ্যাত [[ইয়াইদান পুরস্কার]] লাভ করেছেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/opinion/article/1617393|শিরোনাম=ফজলে হাসান আবেদ এক আলোকবর্তিকা|ওয়েবসাইট=প্রথম আলো|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2019-12-20}}</ref>


২০১৪ ও ২০১৭ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনের "বিশ্বের ৫০ সেরা নেতার তালিকা"য় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনি স্বনামধন্য গ্লোবাল একাডেমি ফর সোশ্যাল অন্ট্রপ্রনোরশিপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে সবচেয়ে সম্মানিত অর্ডার অব সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড সেন্ট জর্জের নাইট কমান্ডার উপাধিতে ভূষিত করে।<ref>"Knight Commander of the Most Distinguished Order of St Michael and St George" (KCMG)</ref> তিনি অসংখ্য সম্মানসূচক ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন, তন্মধ্যে রয়েছে [[ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়]] (২০০৭), [[কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] (২০০৮), [[অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়]] (২০০৯) ও [[প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়]] (২০১৪) থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি।
২০১৪ ও ২০১৭ সালে ''ফরচুন'' ম্যাগাজিনের "বিশ্বের ৫০ সেরা নেতার তালিকা"য় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। অশোকা তাকে বৈশ্বিক সেরাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তিনি স্বনামধন্য গ্লোবাল অ্যাকাডেমি ফর সোশ্যাল অন্ট্রপ্রনোরশিপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।<ref name="ব্র্যাক-জীবনবৃত্তান্ত">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Remembering Sir Fazle Hasan Abed KCMG |ইউআরএল=http://www.brac.net/sirfazle/?p=biographybn&fbclid=IwAR1VeO9-oHGHFo7pgvx_lqMA2GG-pAV6iNQB8vRuSja8Ret35k9tGq-o7TM |ওয়েবসাইট=ব্র্যাক |সংগ্রহের-তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |ভাষা=en-US}}</ref> বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে সবচেয়ে সম্মানিত অর্ডার অব সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড সেন্ট জর্জের নাইট কমান্ডার উপাধিতে ভূষিত করে।<ref>"Knight Commander of the Most Distinguished Order of St Michael and St George" (KCMG)</ref> ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডের রাজা তাকে নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করেন।

তিনি অসংখ্য সম্মানসূচক ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন, তন্মধ্যে রয়েছে [[ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টরেট অব হিউমেন লেটার্স (২০০৭), [[কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টর অব লজ (২০০৮), [[অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টর অব লেটার্স (২০০৯) ও [[প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টর অব লজ (২০১৪)।<ref name="ব্র্যাক-জীবনবৃত্তান্ত"/>


== প্রারম্ভিক জীবন ==
== প্রারম্ভিক জীবন ==
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল [[হবিগঞ্জ জেলা|হবিগঞ্জ]] জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। [[হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়|হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে]] তৃতীয় শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দেশভাগের ঠিক আগে তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ে চলে আসেন। [[কুমিল্লা জেলা|কুমিল্লা]] জেলা স্কুলে। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেন। এরপর চাচা জেলা জজ হিসেবে [[পাবনা জেলা|পাবনায়]] বদলি হওয়ায় তিনিও চাচার সাথে [[পাবনা|পাবনায়]] চলে যান এবং পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হোন। তিনি ১৯৫২ সালে [[পাবনা জিলা স্কুল]] থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৪ সালে [[ঢাকা কলেজ]] থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। আবেদ [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি স্কটল্যান্ডের [[গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়|গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে]] নেভাল আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন। দুবছর লেখাপড়া করে কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে [[লন্ডন]] চলে যান এবং সেখানে পরবর্তী কালে তিনি ১৯৬২ সালে লন্ডনের চাটার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে চার বছরের পেশাদার কোর্স সম্পন্ন করেন।<ref name="প্রআলো-জীবনবৃত্তান্ত">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=স্যার ফজলে হাসান আবেদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/we-are/article/842284?fbclid=IwAR0ZyJzAQxiA2gb0XYKkXwdNk7BLtDWYfUakHh1PydzSElbTtoqelebVGc8 |সংগ্রহের-তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=২৭ এপ্রিল ২০১৬}}</ref> এছাড়া তিনি ১৯৯৪ সালে [[কানাডা|কানাডার]] কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব ল' এবং ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব এডুকেশন' ডিগ্রি লাভ করেন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল [[হবিগঞ্জ জেলা|হবিগঞ্জ]] জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। [[হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়|হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে]] তৃতীয় শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দেশভাগের ঠিক আগে তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ে চলে আসেন। [[কুমিল্লা জেলা|কুমিল্লা]] জেলা স্কুলে। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেন। এরপর চাচা জেলা জজ হিসেবে [[পাবনা জেলা|পাবনায়]] বদলি হওয়ায় তিনিও চাচার সাথে [[পাবনা|পাবনায়]] চলে যান এবং পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হোন। তিনি ১৯৫২ সালে [[পাবনা জিলা স্কুল]] থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৪ সালে [[ঢাকা কলেজ]] থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। আবেদ [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি স্কটল্যান্ডের [[গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়|গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে]] নেভাল আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন। দুবছর লেখাপড়া করে কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে [[লন্ডন]] চলে যান এবং সেখানে পরবর্তী কালে তিনি ১৯৬২ সালে লন্ডনের চাটার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টসে চার বছরের পেশাদার কোর্স সম্পন্ন করেন।<ref name="প্রআলো-জীবনবৃত্তান্ত">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=স্যার ফজলে হাসান আবেদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/we-are/article/842284?fbclid=IwAR0ZyJzAQxiA2gb0XYKkXwdNk7BLtDWYfUakHh1PydzSElbTtoqelebVGc8 |সংগ্রহের-তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯ |কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=২৭ এপ্রিল ২০১৬}}</ref> এছাড়া তিনি ১৯৯৪ সালে [[কানাডা|কানাডার]] কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব ল' এবং ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব এডুকেশন' ডিগ্রি লাভ করেন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}


== প্রারম্ভিক কর্মজীবন ==
== প্রারম্ভিক কর্মজীবন ==
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান [[কানাডা]]। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান [[আমেরিকা]]। ১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে তিনি [[শেল অয়েল কোম্পানি|শেল অয়েল কোম্পানিতে]] যোগদান করেন এবং পদোন্নতি লাভ করে ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।<ref name="businessweek">[http://www.businessweek.com/magazine/content/02_27/b3790626.htm THE STARS OF ASIA -- FINANCIERS: Fazle Hasan Abed], BusinessWeek, July 8, 2002.</ref> এখানে চাকরিকালীন ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়। এ সময়ে তিনি 'হেলপ' সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে [[মনপুরা দ্বীপ]]ে গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।<ref name="প্রআলো-জীবনবৃত্তান্ত"/> ১৯৭১ সালে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়, তহবিল সংগ্রহ ও জনমত গঠনের কাজ করেন।<ref name="প্রআলো-জীবনবৃত্তান্ত"/>
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান [[কানাডা]]। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান [[আমেরিকা]]। ১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে তিনি [[শেল অয়েল কোম্পানি|শেল অয়েল কোম্পানিতে]] যোগদান করেন এবং পদোন্নতি লাভ করে ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।<ref name="businessweek">[http://www.businessweek.com/magazine/content/02_27/b3790626.htm THE STARS OF ASIA -- FINANCIERS: Fazle Hasan Abed], BusinessWeek, July 8, 2002.</ref> এখানে চাকরিকালীন ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় [[১৯৭০ ভোলা ঘূর্ণিঝড়|প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়]] হয়। এ সময়ে তিনি 'হেলপ' সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে [[মনপুরা দ্বীপ]]ে গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।<ref name="প্রআলো-জীবনবৃত্তান্ত"/> ১৯৭১ সালে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়, তহবিল সংগ্রহ ও জনমত গঠনের লক্ষ্যে অ্যাকশন বাংলাদেশ এবং হেলপ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name="প্রআলো-জীবনবৃত্তান্ত"/><ref name="ব্র্যাক-জীবনাবসান">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের জীবনাবসান |ইউআরএল=http://www.brac.net.bd/node/597?fbclid=IwAR0bpPK2OCzZXhj7iAfg74aZaaf8-iW2-vGVPWQcayzN9dZ4pc_yhDUKpZY |ওয়েবসাইট=ব্র্যাক |সংগ্রহের-তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০১৯}}</ref>


== ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা ==
== ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা ==

১৯:৫৯, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফজলে হাসান আবেদ

স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি (২৭ এপ্রিল ১৯৩৬ - ২০ ডিসেম্বর ২০১৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।[১] সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল মেরিট, লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের নোবেল বলে খ্যাত ইয়াইদান পুরস্কার লাভ করেছেন। [২]

২০১৪ ও ২০১৭ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনের "বিশ্বের ৫০ সেরা নেতার তালিকা"য় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। অশোকা তাকে বৈশ্বিক সেরাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তিনি স্বনামধন্য গ্লোবাল অ্যাকাডেমি ফর সোশ্যাল অন্ট্রপ্রনোরশিপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[৩] বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে সবচেয়ে সম্মানিত অর্ডার অব সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড সেন্ট জর্জের নাইট কমান্ডার উপাধিতে ভূষিত করে।[৪] ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডের রাজা তাকে নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করেন।

তিনি অসংখ্য সম্মানসূচক ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন, তন্মধ্যে রয়েছে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট অব হিউমেন লেটার্স (২০০৭), কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব লজ (২০০৮), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব লেটার্স (২০০৯) ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব লজ (২০১৪)।[৩]

প্রারম্ভিক জীবন

ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দেশভাগের ঠিক আগে তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ে চলে আসেন। কুমিল্লা জেলা স্কুলে। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেন। এরপর চাচা জেলা জজ হিসেবে পাবনায় বদলি হওয়ায় তিনিও চাচার সাথে পাবনায় চলে যান এবং পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হোন। তিনি ১৯৫২ সালে পাবনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। আবেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন। দুবছর লেখাপড়া করে কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে পরবর্তী কালে তিনি ১৯৬২ সালে লন্ডনের চাটার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টসে চার বছরের পেশাদার কোর্স সম্পন্ন করেন।[৫] এছাড়া তিনি ১৯৯৪ সালে কানাডার কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব ল' এবং ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব এডুকেশন' ডিগ্রি লাভ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

প্রারম্ভিক কর্মজীবন

চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান কানাডা। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান আমেরিকা। ১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে তিনি শেল অয়েল কোম্পানিতে যোগদান করেন এবং পদোন্নতি লাভ করে ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।[৬] এখানে চাকরিকালীন ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়। এ সময়ে তিনি 'হেলপ' সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে মনপুরা দ্বীপে গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।[৫] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়, তহবিল সংগ্রহ ও জনমত গঠনের লক্ষ্যে অ্যাকশন বাংলাদেশ এবং হেলপ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।[৫][৭]

ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা

১৯৭০ সালে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ে আক্রান্ত দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে ত্রাণ কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্র্যাকের জন্ম। যুদ্ধের পর সিলেটেরশাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে গেলেন। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি শাল্লায় কাজ করবেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সবহারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে শুরু করলেন 'Bangladesh Rehabilitation Assistance Committee' সংক্ষেপে যা 'BRAC' নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে সাময়িক ত্রাণকার্যক্রমের গণ্ডি পেরিয়ে ব্র্যাক যখন উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করে, তখন 'BRAC'-এই শব্দসংক্ষেপটির যে ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়, সেটি হল 'Bangladesh Rural Advancement Committee'। বর্তমানে ব্যাখ্যামূলক কোনো শব্দসমষ্টির অপেক্ষা না রেখে এই সংস্থা শুধুই 'BRAC' নামে পরিচিত। কবি বেগম সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কাজী ফজলুর রহমান, আকবর কবীর, ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, এস আর হোসেন এবং ফজলে হাসান আবেদ, এই সাতজনকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ড গঠিত হল। বোর্ড ফজলে হাসান আবেদকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলেন ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারপারসন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।

মৃত্যু

শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দূর্বলতা জনিত কারণে ২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৮ টা ২৮ মিনিটে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৮]

পুরস্কার

  • র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, সামাজিক নেতৃত্বের জন্য (১৯৮০)।[৯]
  • ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫)
  • এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০)
  • ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২)
  • সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১)। "দারিদ্র বিমোচন ও দরিদ্র মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য।" [১০]
  • শোয়াব ফাউন্ডেশন "সামাজিক উদ্যোক্তা" পুরস্কার (২০০২)
  • গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)
  • জাতীয় আইসিএবি (২০০৪)
  • জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার (২০০৪), সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য।[১১]
  • গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪)
  • হেনরি আর. ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭)
  • প্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭) [১২]
  • পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭)
  • ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮)
  • দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে "নাইটহুডে" ভূষিত।[১৩]
  • এন্ট্রাপ্রেনিওর ফর দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯) [১৪]
  • ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১) [১৫]
  • সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩)
  • লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪)
  • বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)
  • ইয়াইদান পুরস্কার (২০১৯)

তথ্যসূত্র

  1. "স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. "ফজলে হাসান আবেদ এক আলোকবর্তিকা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 
  3. "Remembering Sir Fazle Hasan Abed KCMG"ব্র্যাক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  4. "Knight Commander of the Most Distinguished Order of St Michael and St George" (KCMG)
  5. "স্যার ফজলে হাসান আবেদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত"দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  6. THE STARS OF ASIA -- FINANCIERS: Fazle Hasan Abed, BusinessWeek, July 8, 2002.
  7. "ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের জীবনাবসান"ব্র্যাক। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  8. "ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ আর নেই"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 
  9. 1980 Ramon Magsaysay Award for Community Leadership - Fazle Hasan Abed ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ মার্চ ২০০৭ তারিখে, Ramon Magsaysay Foundation.
  10. ওলফ পাম পুরস্কার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে, ওলফ পাম সেন্টার. সুইডিয় ভাষার পুরস্কার সম্মাননায় বলা হয়েছে, Fazle Hasan Abed, Bangladesh, grundare av BRAC (Bangladesh Rural Advancement Committee). För hans arbete med att bekämpa fattigdom och stärka de fattigas, särskilt kvinnornas, makt över sina liv.
  11. Fazle Hasan Abed wins UNDP Award, The Daily Star, 18 October, 2004.
  12. 2007 President Clinton Honors Four Extraordinary Individuals at Inaugural Clinton Global Citizen Awards, Clinton Global Citizen Awards.
  13. Bangladesh NGO head gets UK award
  14. ওয়ার্ল্ড এন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ পুরস্কার দৈনিক প্রথম আলো, ০১ ডিসেম্বর ২০১২.
  15. দৈনিক সকালের খবর

বহিঃসংযোগ