আবদুস সালাম (ভাষা শহীদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৩২ নং লাইন: | ৩২ নং লাইন: | ||
* ২০০০ সালে তার নিজ গ্রাম লক্ষ্মণপুরের নাম পরিবর্তন করে 'সালাম নগর' রাখা হয়। ২০০৯ সালে এটি সরকারি নথিভূক্ত হয়। |
* ২০০০ সালে তার নিজ গ্রাম লক্ষ্মণপুরের নাম পরিবর্তন করে 'সালাম নগর' রাখা হয়। ২০০৯ সালে এটি সরকারি নথিভূক্ত হয়। |
||
* 'ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল' নামে [[নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়|নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] একটি আবাসিক ছাত্র হল প্রতিষ্ঠা করা হয়। |
* 'ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল' নামে [[নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়|নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] একটি আবাসিক ছাত্র হল প্রতিষ্ঠা করা হয়। |
||
* ভাষা শহীদ সালামের নামে দাগনভুঁইয়া উপজেলার সালামনগরে প্রতিষ্ঠা করা হয় '[[ভাষা শহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজ]]'। |
* ভাষা শহীদ সালামের নামে দাগনভুঁইয়া উপজেলার সালামনগরে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় '[[ভাষা শহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজ]]'। |
||
== আরো দেখুন == |
== আরো দেখুন == |
১২:৫৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আবদুস সালাম | |
---|---|
জন্ম | আবদুস সালাম ২৭ নভেম্বর ১৯২৫ |
মৃত্যু | ৭ এপ্রিল ১৯৫২ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান |
পেশা | চাকুরী |
পরিচিতির কারণ | ভাষা শহীদ |
আবদুস সালাম (২৭ নভেম্বর ১৯২৫ — ৭ এপ্রিল ১৯৫২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ভাষা আন্দোলনকর্মী যিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতির দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সৃষ্ট বাংলা ভাষা আন্দোলনে ১৯৫২ সালে নিহত হন। বাংলাদেশে তাকে শহীদ হিসেবে গণ্য করা হয়।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
সালাম ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার নামানুসারে পরবর্তীতে গ্রামের নামকরণ করা হয় সালামনগর। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ফাজেল মিয়া ও মাতার নাম দৌলতের নেছা। ফাজেল মিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ইরাকের বসরায় কর্মরত ছিলেন। সালাম কৃষ্ণরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এরপর তৎকালীন মাতুভূঁই কলিমুল্লাহ মাইনর স্কুলে (বর্তমানে মাতুভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়) অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর আতাতুর্ক মডেল হাই স্কুলে (তৎকালীন দাগনভূঁইয়া আতাতুর্ক হাইস্কুল) ভর্তি হন এবং সেখানে দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। আর্থিক অনটনে পরবর্তীতে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়।
কর্মজীবন
সালাম লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার পর কলকাতা গমন করেন এবং সেখানে মেটিয়াবুরুজে তার বড় বোনের স্বামী আবদুল কাদেরের মাধ্যমে কলকাতা বন্দরে কাজ শুরু করেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং আজিমপুরে (পলাশী ব্যারাক) ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বসবাস শুরু করেন। এ সময় তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের 'পিয়ন' হিসেবে কাজ শুরু করেন।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নোর ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালালে অন্যদের সাথে আবদুস সালামও গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭ এপ্রিল ১৯৫২ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[২] তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
সম্মাননা
- বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অন্যতম যুদ্ধ জাহাজ ‘বি এন এস সালাম’ তার নামে নামকরণ করা হয়।
- বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০০ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রদান করেন।
- ফেনী স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ২০০০ সালে 'ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে' রূপান্তর করা হয়।
- দাগনভূঁইয়া উপজেলা মিলনায়তনকে ২০০৭ সালে 'ভাষা শহীদ সালাম মিলনায়তন' করা হয়।
- ২০০৮ সালে ‘ভাষাশহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ সালাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ২০০০ সালে তার নিজ গ্রাম লক্ষ্মণপুরের নাম পরিবর্তন করে 'সালাম নগর' রাখা হয়। ২০০৯ সালে এটি সরকারি নথিভূক্ত হয়।
- 'ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল' নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আবাসিক ছাত্র হল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- ভাষা শহীদ সালামের নামে দাগনভুঁইয়া উপজেলার সালামনগরে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় 'ভাষা শহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজ'।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "আবদুস সালাম"। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "শহীদ আব্দুস সালাম"। অমর একুশে ডট কম।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]