সৌদি আরবে ধর্মবিশ্বাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
৩টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
সংশোধন
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:


== ধর্মীয় স্বাধীনতা ==
== ধর্মীয় স্বাধীনতা ==
সৌদি আরব ইসলাম [[ধর্মতন্ত্র|ধর্মশাসিত]] রাষ্ট্র। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তাদের [[ধর্মীয় স্বাধীনতা|ধর্ম পালনের]] অধিকার নেই। অমুসলিম প্রসারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ইসলাম থেকে অন্য ধর্মে [[ইসলামে ধর্মান্তর|ধর্মান্তরিত]] হওয়া ধর্মত্যাগকারী হিসাবে [[মৃত্যুদণ্ড|মৃত্যুদন্ডে]] দন্ডিত অপরাধ।<ref>Sheen J. ''Freedom of Religion and Belief: A World Report.'' (Routledge, 1997) p.452.</ref> [[বাইবেল]], [[ভগবদগীতা|ভগবদ গীতা]], [[আহ্‌মদীয়া|আহমদী বইয়ের]] মতো অমুসলিম ধর্মীয় উপকরণ বিতরণ সহ অমুসলিমদের দ্বারা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করা অবৈধ। ২০১৪ সালের শেষের দিকে "ইসলাম ছাড়া অন্য যে কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি পক্ষপাত আছে এমন প্রকাশনা" (অমুসলিম ধর্মীয় বই অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হয়েছিল) দেশে আনার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.christianpost.com/news/saudi-arabias-new-law-imposes-death-sentence-for-bible-smugglers-131352/#!|শিরোনাম=Saudi Arabia's New Law Imposes Death Sentence for Bible Smugglers?|ওয়েবসাইট=Christian Post|সংগ্রহের-তারিখ=5 March 2015}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.handsoffcain.info/news/index.php?iddocumento=18309927|শিরোনাম=SAUDI ARABIA IMPOSES DEATH SENTENCE FOR BIBLE SMUGGLING|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160408000107/http://www.handsoffcain.info/news/index.php?iddocumento=18309927|আর্কাইভের-তারিখ=8 April 2016|সংগ্রহের-তারিখ=5 March 2015}}</ref>
সৌদি আরব ইসলাম [[ধর্মতন্ত্র|ধর্মশাসিত]] রাষ্ট্র। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তাদের [[ধর্মীয় স্বাধীনতা|ধর্ম পালনের]] অধিকার নেই। অমুসলিম প্রসারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ইসলাম থেকে অন্য ধর্মে [[ইসলামে ধর্মান্তর|ধর্মান্তরিত]] হওয়া ধর্মত্যাগকারী হিসাবে [[মৃত্যুদণ্ড|মৃত্যুদন্ডে]] দন্ডিত অপরাধ।<ref>Sheen J. ''Freedom of Religion and Belief: A World Report.'' (Routledge, 1997) p.452.</ref> [[বাইবেল]], [[ভগবদগীতা|ভগবদ গীতা]], [[আহ্‌মদীয়া|আহমদী বইয়ের]] মতো অমুসলিম ধর্মীয় উপকরণ বিতরণ সহ অমুসলিমদের দ্বারা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করা অবৈধ। ২০১৪ সালের শেষের দিকে "ইসলাম ছাড়া অন্য যে কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি পক্ষপাত আছে এমন প্রকাশনা" (অমুসলিম ধর্মীয় বই অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হয়েছিল) দেশে আনার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.christianpost.com/news/saudi-arabias-new-law-imposes-death-sentence-for-bible-smugglers-131352/#!|শিরোনাম=Saudi Arabia's New Law Imposes Death Sentence for Bible Smugglers?|ওয়েবসাইট=Christian Post|সংগ্রহের-তারিখ=5 March 2015}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.handsoffcain.info/news/index.php?iddocumento=18309927|শিরোনাম=SAUDI ARABIA IMPOSES DEATH SENTENCE FOR BIBLE SMUGGLING|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160408000107/http://www.handsoffcain.info/news/index.php?iddocumento=18309927|আর্কাইভের-তারিখ=8 April 2016|সংগ্রহের-তারিখ=5 March 2015}}</ref>


[[আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন|আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমিশনের]] (ইউএসসিআইআরএফ) বার্ষিক প্রতিবেদনে সৌদি আরব সহ আরও ১৫ টি দেশকে "পদ্ধতিগত, চলমান, গুরুতর লঙ্ঘন" করার জন্য বা বরদাস্ত করার জন্য "বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.uscirf.gov/sites/default/files/2019USCIRFAnnualReport.pdf|শিরোনাম=ANNUAL REPORTOF THE U.S. COMMISSION ON INTERNATIONAL RELIGIOUS FREEDOM|ওয়েবসাইট=USCIRF|সংগ্রহের-তারিখ=29 April 2019}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.uscirf.gov/news-room/press-releases-statements/uscirf-releases-2019-annual-report-and-recommendations-world-s|শিরোনাম=USCIRF Releases 2019 Annual Report and Recommendations for World’s Most Egregious Violators of Religious Freedom|প্রকাশক=USCIRF|সংগ্রহের-তারিখ=29 April 2019}}</ref>
[[আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন|আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমিশনের]] (ইউএসসিআইআরএফ) বার্ষিক প্রতিবেদনে সৌদি আরব সহ আরও ১৫টি দেশকে "পদ্ধতিগত, চলমান, গুরুতর লঙ্ঘন" করার জন্য বা বরদাস্ত করার জন্য "বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.uscirf.gov/sites/default/files/2019USCIRFAnnualReport.pdf|শিরোনাম=ANNUAL REPORTOF THE U.S. COMMISSION ON INTERNATIONAL RELIGIOUS FREEDOM|ওয়েবসাইট=USCIRF|সংগ্রহের-তারিখ=29 April 2019}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.uscirf.gov/news-room/press-releases-statements/uscirf-releases-2019-annual-report-and-recommendations-world-s|শিরোনাম=USCIRF Releases 2019 Annual Report and Recommendations for World’s Most Egregious Violators of Religious Freedom|প্রকাশক=USCIRF|সংগ্রহের-তারিখ=29 April 2019}}</ref>


== ধর্মীয় গোষ্ঠী ==
== ধর্মীয় গোষ্ঠী ==
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:
সৌদি আরবে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক [[সৌদি আরবে বিদেশী কর্মী|বিদেশী কর্মী]] (মোট ২৭ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ৮ মিলিয়ন প্রবাসী<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=New plan to nab illegals revealed|ইউআরএল=http://www.arabnews.com/news/448234|সংবাদপত্র=[[Arab News]]|তারিখ=16 April 2013|সংগ্রহের-তারিখ=30 April 2013}}</ref>) অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
সৌদি আরবে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক [[সৌদি আরবে বিদেশী কর্মী|বিদেশী কর্মী]] (মোট ২৭ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ৮ মিলিয়ন প্রবাসী<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=New plan to nab illegals revealed|ইউআরএল=http://www.arabnews.com/news/448234|সংবাদপত্র=[[Arab News]]|তারিখ=16 April 2013|সংগ্রহের-তারিখ=30 April 2013}}</ref>) অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।


২০১৩ সালের [[মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের]] আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন অনুসারে, অ-সুন্নি মুসলিম, অমুসলিম এবং ধর্মহীনদের জন্য, "আইনের অধীনে ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত বা সুরক্ষিত নয়" এবং সৌদি "সরকারী নীতিগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে"।<ref name="irf2013">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://2009-2017.state.gov/j/drl/rls/irf/religiousfreedom/index.htm#wrapper |শিরোনাম=Saudi Arabia: International Religious Freedom Report 2013 |প্রকাশক=U.S. State Department |তারিখ=17 November 2013 |সংগ্রহের-তারিখ =14 October 2014}}</ref>
২০১৩ সালের [[মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের]] আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন অনুসারে, অ-সুন্নি মুসলিম, অমুসলিম এবং ধর্মহীনদের জন্য, "আইনের অধীনে ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত বা সুরক্ষিত নয়" এবং সৌদি "সরকারী নীতিগুলো ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে"।<ref name="irf2013">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://2009-2017.state.gov/j/drl/rls/irf/religiousfreedom/index.htm#wrapper |শিরোনাম=Saudi Arabia: International Religious Freedom Report 2013 |প্রকাশক=U.S. State Department |তারিখ=17 November 2013 |সংগ্রহের-তারিখ =14 October 2014}}</ref>


হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘুরা শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা এবং বিশেষত ধর্মীয় স্বাধীনতায় সৌদি আরব সরকারের কাছ থেকে নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্যের সম্মুখীন হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Denied dignity: systematic discrimination and hostility toward Saudi Arabian Shia citizens |শেষাংশ=Human Rights Watch |বছর=2009 |আইএসবিএন=1-56432-535-0 |পাতা=1}}</ref> শিয়াদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয় এবং [[আশুরা|আশুরার]] মতো শিয়া উৎসব ও শিয়া সাম্প্রদায়িক জনসাধারণের উপাসনায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Denied dignity: systematic discrimination and hostility toward Saudi Shia citizens |শেষাংশ=Human Rights Watch |বছর=2009 |আইএসবিএন=1-56432-535-0 |পাতাসমূহ=2, 8–10}}</ref><ref>Islamic Political Culture, Democracy, and Human Rights: A Comparative Study, p 93 Daniel E. Price – 1999</ref>
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘুরা শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা এবং বিশেষত ধর্মীয় স্বাধীনতায় সৌদি আরব সরকারের কাছ থেকে নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্যের সম্মুখীন হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Denied dignity: systematic discrimination and hostility toward Saudi Arabian Shia citizens |শেষাংশ=Human Rights Watch |বছর=2009 |আইএসবিএন=1-56432-535-0 |পাতা=1}}</ref> শিয়াদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয় এবং [[আশুরা|আশুরার]] মতো শিয়া উৎসব ও শিয়া সাম্প্রদায়িক জনসাধারণের উপাসনায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Denied dignity: systematic discrimination and hostility toward Saudi Shia citizens |শেষাংশ=Human Rights Watch |বছর=2009 |আইএসবিএন=1-56432-535-0 |পাতাসমূহ=2, 8–10}}</ref><ref>Islamic Political Culture, Democracy, and Human Rights: A Comparative Study, p 93 Daniel E. Price – 1999</ref>
২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:
এই দেশে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম পালনের অনুমতি নেই, যদিও সৌদি আরবে প্রায় এক মিলিয়ন খ্রিস্টান পাশাপাশি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা - প্রায় সকলেই বিদেশী কর্মী আছে কিন্তু এ দেশে কোনও গীর্জা, মন্দির বা অন্যান্য অমুসলিম উপাসনালয়ের অনুমতি নেই।<ref name="Times">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Saudi Arabia extends hand of friendship to Pope |ইউআরএল=http://www.timesonline.co.uk/tol/news/world/europe/article3571835.ece |সংবাদপত্র=The Times |তারিখ=17 March 2008 |সংগ্রহের-তারিখ=27 July 2011 |অবস্থান=London |প্রথমাংশ=Richard |শেষাংশ=Owen}}</ref><ref name="irf2010">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2010/148843.htm |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20101123103422/http://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2010/148843.htm |url-status=dead |আর্কাইভের-তারিখ=23 November 2010 |শিরোনাম=Saudi Arabia: International Religious Freedom Report 2010 |প্রকাশক=U.S. State Department |তারিখ=17 November 2010 |সংগ্রহের-তারিখ =27 July 2011}}</ref> ব্যক্তিগত প্রার্থনা সেবা দমন করা হয় এবং সৌদি আরবের [[নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটি (সৌদি আরব)|ধর্মীয় পুলিশ]] নিয়মিতভাবে খ্রিস্টানদের বাড়িতে অনুসন্ধান করে বলে জানা যায়। বিদেশী কর্মীদের বড়দিন বা ইস্টার উদযাপন করার অনুমতি নেই।<ref name="Times" /> ২০০৭ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আহমদিয়া ধর্মাবলম্বীদের বিদেশী অনুসারীদের গ্রেপ্তার ও বিতাড়িত করার অভিযান বন্ধ করার জন্য বাদশাহ [[আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ|আবদুল্লাহকে]] অনুরোধ করেছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://www.hrw.org/news/2014/05/15/saudi-arabia-2-years-behind-bars-apostasy-accusation | শিরোনাম=Saudi Arabia: 2 Years Behind Bars on Apostasy Accusation | প্রকাশক=Human Rights Watch| তারিখ=May 15, 2014 | সংগ্রহের-তারিখ=June 4, 2014}}</ref>
এই দেশে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম পালনের অনুমতি নেই, যদিও সৌদি আরবে প্রায় এক মিলিয়ন খ্রিস্টান পাশাপাশি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা - প্রায় সকলেই বিদেশী কর্মী আছে কিন্তু এ দেশে কোনও গীর্জা, মন্দির বা অন্যান্য অমুসলিম উপাসনালয়ের অনুমতি নেই।<ref name="Times">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Saudi Arabia extends hand of friendship to Pope |ইউআরএল=http://www.timesonline.co.uk/tol/news/world/europe/article3571835.ece |সংবাদপত্র=The Times |তারিখ=17 March 2008 |সংগ্রহের-তারিখ=27 July 2011 |অবস্থান=London |প্রথমাংশ=Richard |শেষাংশ=Owen}}</ref><ref name="irf2010">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2010/148843.htm |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20101123103422/http://www.state.gov/g/drl/rls/irf/2010/148843.htm |url-status=dead |আর্কাইভের-তারিখ=23 November 2010 |শিরোনাম=Saudi Arabia: International Religious Freedom Report 2010 |প্রকাশক=U.S. State Department |তারিখ=17 November 2010 |সংগ্রহের-তারিখ =27 July 2011}}</ref> ব্যক্তিগত প্রার্থনা সেবা দমন করা হয় এবং সৌদি আরবের [[নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটি (সৌদি আরব)|ধর্মীয় পুলিশ]] নিয়মিতভাবে খ্রিস্টানদের বাড়িতে অনুসন্ধান করে বলে জানা যায়। বিদেশী কর্মীদের বড়দিন বা ইস্টার উদযাপন করার অনুমতি নেই।<ref name="Times" /> ২০০৭ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আহমদিয়া ধর্মাবলম্বীদের বিদেশী অনুসারীদের গ্রেপ্তার ও বিতাড়িত করার অভিযান বন্ধ করার জন্য বাদশাহ [[আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ|আবদুল্লাহকে]] অনুরোধ করেছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=https://www.hrw.org/news/2014/05/15/saudi-arabia-2-years-behind-bars-apostasy-accusation | শিরোনাম=Saudi Arabia: 2 Years Behind Bars on Apostasy Accusation | প্রকাশক=Human Rights Watch| তারিখ=May 15, 2014 | সংগ্রহের-তারিখ=June 4, 2014}}</ref>


অমুসলিমদের ধর্ম প্রচার করা অবৈধ,<ref name="irf2010" /> এবং মুসলমানদের অন্য ধর্মে [[ইসলামে ধর্মত্যাগ|ধর্মান্তরিত]] হওয়া ([[ধর্মত্যাগ]]) মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ (যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ধর্মত্যাগের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি)।<ref name="irf2010" /> ধর্মীয় বৈষম্য মামলায় আদালতের রায় ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত প্রসারিত। অপরাধ প্রমাণীত হলে, একজন মুসলমান নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের সম্পূর্ণ পরিমান পান, অপরদিকে একজন ইহুদী বা খ্রিস্টান অর্ধেক এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরা ষোল ভাগের এক ভাগ পান।<ref name="Times" /> সৌদি আরব সরকারীভাবে নাস্তিকদের সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে।<ref>[https://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/saudi-arabia-declares-all-atheists-are-terrorists-in-new-law-to-crack-down-on-political-dissidents-9228389.html], Saudi Arabia declares all atheists are terrorists in new law to crack down on political dissidents, The Independent, 04 March 2014</ref> সৌদি আরব বা কোন বিদেশী অধিবাসী "এই দেশটি যে ইসলামিক ধর্মের উপর ভিত্তি করে আছে এ সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ করলে" এর জন্য কমপক্ষে ২০ বছরের জেল হতে পারে।<ref>[http://www.dailymail.co.uk/news/article-2594139/Saudi-Arabia-declares-atheists-terrorists-new-laws.html], Saudi Arabia declares atheists terrorists under new laws targeting citizens who 'call for secular thought in any form', Main Online, 01 April 2014</ref>
অমুসলিমদের ধর্ম প্রচার করা অবৈধ,<ref name="irf2010" /> এবং মুসলমানদের অন্য ধর্মে [[ইসলামে ধর্মত্যাগ|ধর্মান্তরিত]] হওয়া ([[ধর্মত্যাগ]]) মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ (যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মত্যাগের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি)।<ref name="irf2010" /> ধর্মীয় বৈষম্য মামলায় আদালতের রায় ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত প্রসারিত। অপরাধ প্রমাণীত হলে, একজন মুসলমান নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের সম্পূর্ণ পরিমান পান, অপরদিকে একজন ইহুদী বা খ্রিস্টান অর্ধেক এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরা ষোল ভাগের এক ভাগ পান।<ref name="Times" /> সৌদি আরব সরকারীভাবে নাস্তিকদের সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে।<ref>[https://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/saudi-arabia-declares-all-atheists-are-terrorists-in-new-law-to-crack-down-on-political-dissidents-9228389.html], Saudi Arabia declares all atheists are terrorists in new law to crack down on political dissidents, The Independent, 04 March 2014</ref> সৌদি আরব বা কোন বিদেশী অধিবাসী "এই দেশটি যে ইসলামিক ধর্মের উপর ভিত্তি করে আছে এ সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ করলে" এর জন্য কমপক্ষে ২০ বছরের জেল হতে পারে।<ref>[http://www.dailymail.co.uk/news/article-2594139/Saudi-Arabia-declares-atheists-terrorists-new-laws.html], Saudi Arabia declares atheists terrorists under new laws targeting citizens who 'call for secular thought in any form', Main Online, 01 April 2014</ref>


==== বর্জন নীতি ====
==== বর্জন নীতি ====
পণ্ডিত [[বার্নার্ড লুইস|বার্নার্ড লুইসের]] মতে, আরব উপদ্বীপে অমুসলিমদের স্থায়ী বাসস্থান থেকে বাদ দেওয়ার সৌদি নীতি একটি পুরনো এবং ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মুসলিম নীতির ধারাবাহিকতা:
পণ্ডিত [[বার্নার্ড লুইস|বার্নার্ড লুইসের]] মতে, আরব উপদ্বীপে অমুসলিমদের স্থায়ী বাসস্থান থেকে বাদ দেওয়ার সৌদি নীতি একটি পুরনো এবং ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মুসলিম নীতির ধারাবাহিকতা:


<blockquote>চিরায়ত আরবী ঐতিহাসিকরা আমাদের জানান যে [[হিজরত|হিজরতের]] ([[মুহাম্মদ (সাঃ)]] এর [[মক্কা]] থেকে [[মদিনা|মদিনায়]] গমন) ২০ বছর পর  খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারের ৬৪১ সালে খলিফা [[উমর ইবনুল খাত্তাব|উমর]] মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর মৃত্যুশয্যায় উচ্চারিত আজ্ঞা: "আরবে দুটি ধর্ম বিদ্যমান না থাকুক" পূরণ করার জন্য ইহুদি ও খ্রিস্টানদের আরব থেকে অপসারণ করার আদেশ দেন। প্রশ্নবিদ্ধ লোকেরা ছিল উত্তরের খাইবারের মরূদ্যানের ইহুদী এবং দক্ষিণের নাজরানের খ্রিস্টানরা।
<blockquote>চিরায়ত আরবী ঐতিহাসিকরা আমাদের জানান যে [[হিজরত|হিজরতের]] ([[মুহাম্মদ (সাঃ)]] এর [[মক্কা]] থেকে [[মদিনা|মদিনায়]] গমন) ২০ বছর পর খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারের ৬৪১ সালে খলিফা [[উমর ইবনুল খাত্তাব|উমর]] মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর মৃত্যুশয্যায় উচ্চারিত আজ্ঞা: "আরবে দুটি ধর্ম বিদ্যমান না থাকুক" পূরণ করার জন্য ইহুদি ও খ্রিস্টানদের আরব থেকে অপসারণ করার আদেশ দেন। প্রশ্নবিদ্ধ লোকেরা ছিল উত্তরের খাইবারের মরূদ্যানের ইহুদী এবং দক্ষিণের নাজরানের খ্রিস্টানরা।


[হাদীসটি] সাধারণত খাঁটি হিসাবে গৃহীত হয়েছিল এবং উমর এটি কার্যকর করেছিলেন। ইউরোপীয়দের বহিষ্কারের সাথে তুলনা করলে উমরের হুকুম সীমিত ও সহানুভূতিপূর্ণ উভয়ই ছিল। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব আরবকে অন্তর্ভুক্ত করেনি, যা ইসলামের পবিত্র ভূমির অংশ হিসাবে দেখা হয়নি। ... আরবের ইহুদি ও খ্রিস্টানরা তাদের জন্য নির্দিষ্ট ভূমিতে পুনর্বাসিত হয়েছিল - সিরিয়ায় ইহুদী, ইরাকে খ্রিস্টানরা। এই প্রক্রিয়াটি আকস্মিকভাবে না করে ধীরে ধীরে করা হয়েছিল, এবং উমর-এর আদেশের পরেও কিছুকাল [[খাইবার]] ও [[নাজরান|নাজরানে]] ইহুদি ও খ্রিস্টানদের থাকার খবর পাওয়া যায়।
[হাদীসটি] সাধারণত খাঁটি হিসাবে গৃহীত হয়েছিল এবং উমর এটি কার্যকর করেছিলেন। ইউরোপীয়দের বহিষ্কারের সাথে তুলনা করলে উমরের হুকুম সীমিত ও সহানুভূতিপূর্ণ উভয়ই ছিল। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব আরবকে অন্তর্ভুক্ত করেনি, যা ইসলামের পবিত্র ভূমির অংশ হিসাবে দেখা হয়নি। ... আরবের ইহুদি ও খ্রিস্টানরা তাদের জন্য নির্দিষ্ট ভূমিতে পুনর্বাসিত হয়েছিল - সিরিয়ায় ইহুদী, ইরাকে খ্রিস্টানরা। এই প্রক্রিয়াটি আকস্মিকভাবে না করে ধীরে ধীরে করা হয়েছিল, এবং উমর-এর আদেশের পরেও কিছুকাল [[খাইবার]] ও [[নাজরান|নাজরানে]] ইহুদি ও খ্রিস্টানদের থাকার খবর পাওয়া যায়।
৪০ নং লাইন: ৪০ নং লাইন:
মূল নিবন্ধ: [[সৌদি আরবে খ্রিস্টান ধর্ম]]
মূল নিবন্ধ: [[সৌদি আরবে খ্রিস্টান ধর্ম]]


সৌদি আরবে খ্রিস্টানদের সংখ্যার অনুমানের মধ্যে আছে ,৫০০,০০০ (Memri.org)<ref name="memri">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=For First Time Ever, Christian Mass Held Openly In Saudi Arabia (Special dispatch 7795) |ইউআরএল=https://www.memri.org/reports/coptic-bishop-holds-first-ever-mass-in-saudi-arabia |সংগ্রহের-তারিখ=6 December 2018 |এজেন্সি=memri.org |তারিখ=6 December 2018}}</ref> এবং প্রায় ,০০০,০০০ (সাংবাদিক কারেন হাউস)।<ref name=house/> রাজ্যের সকল<ref name="memri"/> বা প্রায় সকল<ref name=house/> খ্রিস্টান বিদেশী কর্মী।<ref name=house>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=House, Karen Elliott|শিরোনাম=[[On Saudi Arabia|On Saudi Arabia: Its People, past, Religion, Fault Lines and Future]]| প্রকাশক=Knopf|বছর=2012|পাতা=235}}</ref> খ্রিস্টানরা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগ করে থাকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে একটি মামলায়, [[জেদ্দা|জেদ্দায়]] কর্মরত ৩৫ জন ইথিওপীয় খ্রিস্টানকে (ছয় পুরুষ এবং ২৯ জন মহিলা যারা সাপ্তাহিক ধর্মপ্রচারক প্রার্থনা সভা করেছিলেন) ব্যক্তিগত প্রার্থনা সমাবেশ করার জন্য রাজ্যের ধর্মীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাদের আটক করেছিল। যদিও সরকারী অভিযোগটি ছিল "বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিশ্রিত হওয়া" - সৌদি আরবে রক্ত সম্পর্কহীন মানুষের সাথে মিলিত হওয়া অপরাধ - অপরাধীরা অভিযোগ করেছিল যে তারা খ্রিস্টান হিসাবে প্রার্থনা করার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিল।<ref name=Shea>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Shea|প্রথমাংশ=Nina|শিরোনাম=Persecuted for Praying to God in Saudi Arabia|ইউআরএল=http://www.nationalreview.com/corner/290616/persecuted-praying-god-saudi-arabia-nina-shea|প্রকাশক=National Review|সংগ্রহের-তারিখ=23 March 2014|তারিখ=February 8, 2012}}</ref> ২০০৬ সালের ''এশিয়া নিউজের'' একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রাজ্যে "কমপক্ষে এক মিলিয়ন" রোমান ক্যাথলিক রয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে তারা "যাজকদের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে ... তাদের বাচ্চাদের সংক্ষিপ্ত ধর্মশিক্ষা - প্রায় ১০০,০০০ - নিষিদ্ধ করা হয়েছে।" এটি ২০০৬ সালে গণসংযোগ করার জন্য একজন ক্যাথলিক পুরোহিতের গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে। "ফ্রাঙ্ক জর্জ [জশুয়া] সবেমাত্র একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে গণ উদযাপন করেছিলেন তখন সাত জন ধর্মীয় পুলিশ (মুত্তোয়া) দুই সাধারণ পুলিশ সদস্যের সাথে বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। পুলিশ যাজক এবং অন্য আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে।"<ref>[http://www.asianews.it/view.php?l=en&art=5869 "Catholic priest arrested and expelled from Riyadh"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150323184717/http://www.asianews.it/view.php?l=en&art=5869 |তারিখ=২৩ মার্চ ২০১৫ }}, ''Asia News'', Italy, 10 April 2006.</ref>
সৌদি আরবে খ্রিস্টানদের সংখ্যার অনুমানের মধ্যে আছে ১৫,০০,০০০ (Memri.org)<ref name="memri">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=For First Time Ever, Christian Mass Held Openly In Saudi Arabia (Special dispatch 7795) |ইউআরএল=https://www.memri.org/reports/coptic-bishop-holds-first-ever-mass-in-saudi-arabia |সংগ্রহের-তারিখ=6 December 2018 |এজেন্সি=memri.org |তারিখ=6 December 2018}}</ref> এবং প্রায় ৩০,০০,০০০ (সাংবাদিক কারেন হাউস)।<ref name=house/> রাজ্যের সকল<ref name="memri"/> বা প্রায় সকল<ref name=house/> খ্রিস্টান বিদেশী কর্মী।<ref name=house>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=House, Karen Elliott|শিরোনাম=[[On Saudi Arabia|On Saudi Arabia: Its People, past, Religion, Fault Lines and Future]]| প্রকাশক=Knopf|বছর=2012|পাতা=235}}</ref> খ্রিস্টানরা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগ করে থাকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে একটি মামলায়, [[জেদ্দা|জেদ্দায়]] কর্মরত ৩৫ জন ইথিওপীয় খ্রিস্টানকে (ছয় পুরুষ এবং ২৯ জন মহিলা যারা সাপ্তাহিক ধর্মপ্রচারক প্রার্থনা সভা করেছিলেন) ব্যক্তিগত প্রার্থনা সমাবেশ করার জন্য রাজ্যের ধর্মীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাদের আটক করেছিল। যদিও সরকারী অভিযোগটি ছিল "বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিশ্রিত হওয়া" - সৌদি আরবে রক্ত সম্পর্কহীন মানুষের সাথে মিলিত হওয়া অপরাধ - অপরাধীরা অভিযোগ করেছিল যে তারা খ্রিস্টান হিসাবে প্রার্থনা করার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিল।<ref name=Shea>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Shea|প্রথমাংশ=Nina|শিরোনাম=Persecuted for Praying to God in Saudi Arabia|ইউআরএল=http://www.nationalreview.com/corner/290616/persecuted-praying-god-saudi-arabia-nina-shea|প্রকাশক=National Review|সংগ্রহের-তারিখ=23 March 2014|তারিখ=February 8, 2012}}</ref> ২০০৬ সালের ''এশিয়া নিউজের'' একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রাজ্যে "কমপক্ষে এক মিলিয়ন" রোমান ক্যাথলিক রয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে তারা "যাজকদের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে ... তাদের বাচ্চাদের সংক্ষিপ্ত ধর্মশিক্ষা - প্রায় ১,০০,০০০ - নিষিদ্ধ করা হয়েছে।" এটি ২০০৬ সালে গণসংযোগ করার জন্য একজন ক্যাথলিক পুরোহিতের গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে। "ফ্রাঙ্ক জর্জ [জশুয়া] সবেমাত্র একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে গণ উদযাপন করেছিলেন তখন সাত জন ধর্মীয় পুলিশ (মুত্তোয়া) দুই সাধারণ পুলিশ সদস্যের সাথে বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। পুলিশ যাজক এবং অন্য আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে।"<ref>[http://www.asianews.it/view.php?l=en&art=5869 "Catholic priest arrested and expelled from Riyadh"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150323184717/http://www.asianews.it/view.php?l=en&art=5869 |তারিখ=২৩ মার্চ ২০১৫ }}, ''Asia News'', Italy, 10 April 2006.</ref>


[[দ্য ইকোনমিস্ট]] ম্যাগাজিনের মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক নিকোলাস পেলহামের মতে, এই রাজ্যে "সম্ভবত মধ্য প্রাচ্যের বৃহত্তম এবং দ্রুত বর্ধমান খ্রিস্টান সম্প্রদায়" রয়েছে এবং কঠোর ধর্মীয় আইন - যেমন মক্কা এবং মদিনা থেকে খ্রিস্টানদের নিষিদ্ধ করার মত  - সর্বদা প্রয়োগ করা হয় না:<ref name="pelham-NYRB-10-13-2016">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Pelham|প্রথমাংশ১=Nicolas|শিরোনাম=In Saudi Arabia: Can It Really Change?|সাময়িকী=New York Review of Books|তারিখ=13 October 2016|ইউআরএল=http://www.nybooks.com/articles/2016/10/13/saudi-arabia-can-it-really-change/}}</ref>
[[দ্য ইকোনমিস্ট]] ম্যাগাজিনের মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক নিকোলাস পেলহামের মতে, এই রাজ্যে "সম্ভবত মধ্য প্রাচ্যের বৃহত্তম এবং দ্রুত বর্ধমান খ্রিস্টান সম্প্রদায়" রয়েছে এবং কঠোর ধর্মীয় আইন - যেমন মক্কা এবং মদিনা থেকে খ্রিস্টানদের নিষিদ্ধ করার মত - সর্বদা প্রয়োগ করা হয় না:<ref name="pelham-NYRB-10-13-2016">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Pelham|প্রথমাংশ১=Nicolas|শিরোনাম=In Saudi Arabia: Can It Really Change?|সাময়িকী=New York Review of Books|তারিখ=13 October 2016|ইউআরএল=http://www.nybooks.com/articles/2016/10/13/saudi-arabia-can-it-really-change/}}</ref>


<blockquote>যদিও খ্রিস্টানদের প্রকাশ্যে উপাসনা করতে নিষেধ করা হয়েছে, বিদেশী প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক প্রার্থনা সভার সংখ্যা কয়েকশো হতে পারে।<ref name="pelham-NYRB-10-13-2016"/></blockquote>
<blockquote>যদিও খ্রিস্টানদের প্রকাশ্যে উপাসনা করতে নিষেধ করা হয়েছে, বিদেশী প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক প্রার্থনা সভার সংখ্যা কয়েকশো হতে পারে।<ref name="pelham-NYRB-10-13-2016"/></blockquote>


২০১৮ সালের প্রতিবেদনে জানা যায় যে [[নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটি (সৌদি আরব)|ধর্মীয় পুলিশ]] প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগতভাবে যে কোনও জায়গায় খ্রিস্টানদের ধর্মীয় সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং প্রথমবারের মতো একটি "নথিভুক্ত খ্রিস্টান সেবা" প্রকাশ্যে পরিচালিত হয়। ১ ডিসেম্বর ২০১৮ এর কিছু আগে, সৌদি আরব সফরকালে (মিশরীয় এবং অন্যান্য আরব মিডিয়া অনুসারে) মিশরের শোভরা আল-খিমারের [[মিশরের কিবতি|কপটিক]] বিশপ আভা মোরকোস রিয়াদ শহরে একটি কপটিক গণ পরিবেশনা করেছিলেন।<ref name="memri"/><ref>Coptstoday.com, December 1, 2018.</ref> আভা মোরকোসকে মূলত সৌদি আরবে আমন্ত্রিত করেছিলেন ক্রাউন প্রিন্স [[মুহাম্মদ বিন সালমান|মোহাম্মদ বিন সালমান]] ২০১৮ সালের মার্চ মাসে।<ref name="memri"/>
২০১৮ সালের প্রতিবেদনে জানা যায় যে [[নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটি (সৌদি আরব)|ধর্মীয় পুলিশ]] প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগতভাবে যে কোনও জায়গায় খ্রিস্টানদের ধর্মীয় সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং প্রথমবারের মতো একটি "নথিভুক্ত খ্রিস্টান সেবা" প্রকাশ্যে পরিচালিত হয়। ১ ডিসেম্বর ২০১৮-এর কিছু আগে, সৌদি আরব সফরকালে (মিশরীয় এবং অন্যান্য আরব মিডিয়া অনুসারে) মিশরের শোভরা আল-খিমারের [[মিশরের কিবতি|কপটিক]] বিশপ আভা মোরকোস রিয়াদ শহরে একটি কপটিক গণ পরিবেশনা করেছিলেন।<ref name="memri"/><ref>Coptstoday.com, December 1, 2018.</ref> ২০১৮ সালের মার্চ মাসে আভা মোরকোসকে ক্রাউন প্রিন্স [[মুহাম্মদ বিন সালমান|মোহাম্মদ বিন সালমান]] সৌদি আরবে আমন্ত্রিত করেছেন।<ref name="memri"/>


==== হিন্দুধর্ম ====
==== হিন্দুধর্ম ====
মূল নিবন্ধ: [[সৌদি আরব ও আরব রাষ্ট্রে হিন্দু ধর্ম]]
মূল নিবন্ধ: [[সৌদি আরব ও আরব রাষ্ট্রে হিন্দু ধর্ম]]


২০০১ সালের হিসাব অনুসারে, সৌদি আরবে আনুমানিক ,৫০০,০০০ ভারতীয় নাগরিক ছিল,<ref name=ID>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Report of the High Level Committee on the Indian Diaspora. Countries of the Gulf Region |ইউআরএল=http://indiandiaspora.nic.in/diasporapdf/chapter4.pdf |সংগ্রহের-তারিখ=২০১৯-১১-১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150616033959/http://indiandiaspora.nic.in/diasporapdf/chapter4.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৫-০৬-১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> তাদের বেশিরভাগই মুসলমান, তবে কিছু [[হিন্দু]] ছিল। অন্যান্য অমুসলিমদের মতো হিন্দুদেরও সৌদি আরবে প্রকাশ্যে উপাসনা করার অনুমতি নেই। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের হিন্দু ধর্মীয় জিনিসপত্র ধ্বংস করার কিছু অভিযোগও এসেছে।<ref>On 24 March 2005, [[Government of Saudi Arabia|Saudi Arabian authorities]] destroyed religious items found in a raid on a makeshift Hindu shrine found in an apartment in [[Riyadh]]. (source: Marshall, Paul. ''[https://web.archive.org/web/20060522223359/http://www.freedomhouse.org/religion/news/bn2005/bn-2005-00-16.htm Saudi Arabia's Religious Police Crack Down]''. Freedom House)</ref><ref>[http://www.beliefnet.com/Faiths/Hinduism/2001/06/Hindus-In-The-Middle-East.aspx# Hindus in the Middle East]| BY: Gautam Raja(June 2001) Belief Net</ref>
২০০১ সালের হিসাব অনুসারে, সৌদি আরবে আনুমানিক ১৫,০০,০০০ ভারতীয় নাগরিক ছিল,<ref name=ID>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Report of the High Level Committee on the Indian Diaspora. Countries of the Gulf Region |ইউআরএল=http://indiandiaspora.nic.in/diasporapdf/chapter4.pdf |সংগ্রহের-তারিখ=২০১৯-১১-১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150616033959/http://indiandiaspora.nic.in/diasporapdf/chapter4.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৫-০৬-১৬ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> তাদের বেশিরভাগই মুসলমান, তবে কিছু [[হিন্দু]] ছিল। অন্যান্য অমুসলিমদের মতো হিন্দুদেরও সৌদি আরবে প্রকাশ্যে উপাসনা করার অনুমতি নেই। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের হিন্দু ধর্মীয় জিনিসপত্র ধ্বংস করার কিছু অভিযোগও এসেছে।<ref>On 24 March 2005, [[Government of Saudi Arabia|Saudi Arabian authorities]] destroyed religious items found in a raid on a makeshift Hindu shrine found in an apartment in [[Riyadh]]. (source: Marshall, Paul. ''[https://web.archive.org/web/20060522223359/http://www.freedomhouse.org/religion/news/bn2005/bn-2005-00-16.htm Saudi Arabia's Religious Police Crack Down]''. Freedom House)</ref><ref>[http://www.beliefnet.com/Faiths/Hinduism/2001/06/Hindus-In-The-Middle-East.aspx# Hindus in the Middle East]| BY: Gautam Raja(June 2001) Belief Net</ref>


=== ধর্মহীনতা ===
=== ধর্মহীনতা ===
৬১ নং লাইন: ৬১ নং লাইন:
*[[রাইফ বাদাউয়ি]] (ফ্রি সৌদি লিবারালস ওয়েবসাইটের সম্পাদক) তিনি তার ওয়েবসাইট ও টেলিভিশনে ইসলাম অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৪ সালে তাকে ১০০০ চাবুকাঘাত, দশ বছরের কারাদণ্ড এবং এক মিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২৬৭,০০০ ডলারের সমান) জরিমানা করা হয়। ২০১৩ সালে আসল সাজাটি ছিল সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৬০০ চাবুকাঘাত, তবে আপিলের ফলে তা পরিবর্তন করা হয়।<ref name=Justice14Badawi>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://edition.cnn.com/2014/05/07/world/meast/saudi-activist-sentenced/|শিরোনাম=Saudi activist sentenced to 10 years, 1,000 lashes for insulting Islam|শেষাংশ=Jamjoom|প্রথমাংশ=Mohammed|তারিখ=May 7, 2014|প্রকাশক=CNN International|সংগ্রহের-তারিখ=8 May 2014}}</ref><ref name=Justice13Badawi>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://edition.cnn.com/2014/05/07/world/meast/saudi-activist-sentenced/|শিরোনাম=Saudi activist receives 7-year sentence, 600 lashes for insulting Islam|শেষাংশ১=Jamjoom|প্রথমাংশ১=Mohammed|শেষাংশ২=Payne|প্রথমাংশ২=Ed|তারিখ=1 August 2013|প্রকাশক=CNN International|সংগ্রহের-তারিখ=31 May 2016}}</ref>
*[[রাইফ বাদাউয়ি]] (ফ্রি সৌদি লিবারালস ওয়েবসাইটের সম্পাদক) তিনি তার ওয়েবসাইট ও টেলিভিশনে ইসলাম অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৪ সালে তাকে ১০০০ চাবুকাঘাত, দশ বছরের কারাদণ্ড এবং এক মিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২৬৭,০০০ ডলারের সমান) জরিমানা করা হয়। ২০১৩ সালে আসল সাজাটি ছিল সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৬০০ চাবুকাঘাত, তবে আপিলের ফলে তা পরিবর্তন করা হয়।<ref name=Justice14Badawi>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://edition.cnn.com/2014/05/07/world/meast/saudi-activist-sentenced/|শিরোনাম=Saudi activist sentenced to 10 years, 1,000 lashes for insulting Islam|শেষাংশ=Jamjoom|প্রথমাংশ=Mohammed|তারিখ=May 7, 2014|প্রকাশক=CNN International|সংগ্রহের-তারিখ=8 May 2014}}</ref><ref name=Justice13Badawi>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://edition.cnn.com/2014/05/07/world/meast/saudi-activist-sentenced/|শিরোনাম=Saudi activist receives 7-year sentence, 600 lashes for insulting Islam|শেষাংশ১=Jamjoom|প্রথমাংশ১=Mohammed|শেষাংশ২=Payne|প্রথমাংশ২=Ed|তারিখ=1 August 2013|প্রকাশক=CNN International|সংগ্রহের-তারিখ=31 May 2016}}</ref>


২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে সন্ত্রাসবিরোধী নতুন কয়েকটি আইন পাস করা হয়। আইনের ১ নং অনুচ্ছেদে নাস্তিকতা ও ধর্মীয় মতবিরোধকেও মিশ্রিত করেছে, "যে কোন রূপে নাস্তিকতাকে আহ্বান জানানো, বা ইসলাম ধর্মের মূলসূত্রগুলি যা এই দেশটির ভিত্তি তা প্রশ্নবিদ্ধ করা", নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।<ref name=withnall-atheist>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Withnall|প্রথমাংশ১=Adam|শিরোনাম=Saudi Arabia declares all atheists are terrorists in new law to crack down on political dissidents|ইউআরএল=https://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/saudi-arabia-declares-all-atheists-are-terrorists-in-new-law-to-crack-down-on-political-dissidents-9228389.html|সংগ্রহের-তারিখ=26 November 2014|এজেন্সি=The Independent|তারিখ=1 April 2014}}</ref><ref name=hrw-atheism>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Saudi Arabia: New Terrorism Regulations Assault Rights|ইউআরএল=https://www.hrw.org/news/2014/03/20/saudi-arabia-new-terrorism-regulations-assault-rights|প্রকাশক=Human Rights Watch|সংগ্রহের-তারিখ=26 November 2014|তারিখ=March 20, 2014}}</ref>
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে সন্ত্রাসবিরোধী নতুন কয়েকটি আইন পাস করা হয়। আইনের ১ নং অনুচ্ছেদে নাস্তিকতা ও ধর্মীয় মতবিরোধকেও মিশ্রিত করেছে, "যে কোন রূপে নাস্তিকতাকে আহ্বান জানানো, বা ইসলাম ধর্মের মূলসূত্রগুলো যা এই দেশটির ভিত্তি তা প্রশ্নবিদ্ধ করা", নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।<ref name=withnall-atheist>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Withnall|প্রথমাংশ১=Adam|শিরোনাম=Saudi Arabia declares all atheists are terrorists in new law to crack down on political dissidents|ইউআরএল=https://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/saudi-arabia-declares-all-atheists-are-terrorists-in-new-law-to-crack-down-on-political-dissidents-9228389.html|সংগ্রহের-তারিখ=26 November 2014|এজেন্সি=The Independent|তারিখ=1 April 2014}}</ref><ref name=hrw-atheism>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Saudi Arabia: New Terrorism Regulations Assault Rights|ইউআরএল=https://www.hrw.org/news/2014/03/20/saudi-arabia-new-terrorism-regulations-assault-rights|প্রকাশক=Human Rights Watch|সংগ্রহের-তারিখ=26 November 2014|তারিখ=March 20, 2014}}</ref>


"উপাখ্যানীয়, তবে অবিচলিত" লক্ষণ অনুসারে, ২০১০ সালের দিক থেকে রাজ্যে নাস্তিকদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।<ref name=murphy-2014>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Murphy|প্রথমাংশ১=Caryle|শিরোনাম=Atheism explodes in Saudi Arabia, despite state-enforced ban|সাময়িকী=GlobalPost|তারিখ=June 12, 2014|ইউআরএল=http://www.salon.com/2014/06/12/atheism_explodes_in_saudi_arabia_where_just_talking_about_atheism_is_illegal_partner/|সংগ্রহের-তারিখ=26 November 2014}}</ref> কিছু অনুমান অনুসারে, সৌদি আরবে আরব বিশ্বে সর্বাধিক হারে নাস্তিক রয়েছে বলে দাবি করা হয় এবং এটিই প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেখানে এর নাস্তিক জনসংখ্যা পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।<ref>el-Sayyed, Alaaeddin [http://www.sasapost.com/atheists-in-saudi-arabia/ الإلحاد في السعودية هو الأعلى عربيًّا]. (in [[Arabic]]). Retrieved September 5, 2014.</ref><ref>al-Sarami, Nasser [http://www.alarabiya.net/ar/saudi-today/2013/06/04/%D8%A7%D9%84%D8%A5%D9%84%D8%AD%D8%A7%D8%AF-%D9%81%D9%8A-%D8%A7%D9%84%D8%B3%D8%B9%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9-%D9%87%D9%84-%D9%8A%D8%B9%D9%82%D9%84-%D9%87%D8%B0%D8%A7-%D8%9F-.html الإلحاد في السعودية.. هل يعقل هذا..؟! ]. [[Al Arabiya]]. June 4, 2013. Retrieved September 5, 2014.</ref> [[আলহুররা]],<ref>[https://www.youtube.com/watch?v=7l0wzbppqIA &lrm;(in Arabic) نسبة الملحدين في السعودية تتراوح بين 5 و 9 بالمئة]. [[Alhurra]]. April 9, 2014. Retrieved August 24, 2014.</ref> সাউরেস<ref>[http://www.sauress.com/anbacom/1020386 "الإلحاد معنا" &lrm;(in Arabic)]. Sauress. April 14, 2014. Retrieved August 24, 2014</ref> এবং আমেরিকান পারফরম্যান্স-ম্যানেজমেন্ট পরামর্শ সংস্থা গ্যালাপের<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sauress.com/anbacom/24512|শিরোনাম=سعورس : فرانس 24: نسبة الإلحاد مرتفعة في السعودية والسلطات تعتبره إرهابا|কর্ম=سعورس|সংগ্রহের-তারিখ=5 March 2015}}</ref> মতো সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে সৌদি নাগরিকদের মধ্যে ৫-৯% নাস্তিক। যদি ৫% সংখ্যাটি বিবেচনায় নেওয়া হয় তবে সংখ্যার পরিমাণটি বোঝায় যে 'প্রায় এক মিলিয়ন' সৌদি নাস্তিক বা সঠিক সংখ্যা ৯৩৫,৩৭৮।<ref>Al-Durais, Khalid Mansoor [http://www.al-madina.com/node/459782 هل اقترب عدد الملحدين السعوديين من «المليون»؟]. (in [[Arabic]]) August 14, 2014. Retrieved September 5, 2014</ref> কারো কারো মতে, রাজ্যে নাস্তিকতা ও ধর্মদ্রোহিতা বৃদ্ধি ব্যাখ্যা করতে পারে যে কেন সৌদি সরকার সন্ত্রাসবাদের সাথে নাস্তিকতাকে সমীকরণ করার আদেশ জারি করেছিল এবং নাস্তিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সহ সন্ত্রাসবাদের জন্য নির্ধারিত শাস্তির বিধান রেখেছিল।<ref>[http://www.france24.com/ar/20140407-%D8%A7%D9%84%D8%B3%D8%B9%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9-%D8%AF%D9%8A%D8%A7%D9%86%D8%A9-%D8%A5%D9%84%D8%AD%D8%A7%D8%AF-%D8%AA%D9%88%D9%8A%D8%AA%D8%B1-%D9%81%D9%8A%D8%B3-%D8%A8%D9%88%D9%83-%D8%AA%D9%82%D8%B1%D9%8A%D8%B1 نسبة الإلحاد مرتفعة في السعودية والسلطات تعتبره إرهابا (in Arabic). [[France 24]]. April 7, 2014. Retrieved August 24, 2014]/</ref><ref>[http://www.globalpost.com/dispatches/globalpost-blogs/belief/atheism-saudi-arabia-illegal "The rise of atheism in Saudi Arabia, where talking about atheism is illegal"]. [[Global Post]]. June 10, 2014. Retrieved August 24, 2014</ref><ref>[http://guardianlv.com/2014/04/saudi-arabia-labels-atheists-equivalent-with-terrorists/ GuardianLv] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140826120956/http://guardianlv.com/2014/04/saudi-arabia-labels-atheists-equivalent-with-terrorists/ |তারিখ=২৬ আগস্ট ২০১৪ }}. April 2, 2014. Retrieved August 24, 2014.</ref>
"উপাখ্যানীয়, তবে অবিচলিত" লক্ষণ অনুসারে, ২০১০ সালের দিক থেকে রাজ্যে নাস্তিকদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।<ref name=murphy-2014>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Murphy|প্রথমাংশ১=Caryle|শিরোনাম=Atheism explodes in Saudi Arabia, despite state-enforced ban|সাময়িকী=GlobalPost|তারিখ=June 12, 2014|ইউআরএল=http://www.salon.com/2014/06/12/atheism_explodes_in_saudi_arabia_where_just_talking_about_atheism_is_illegal_partner/|সংগ্রহের-তারিখ=26 November 2014}}</ref> কিছু অনুমান অনুসারে, সৌদি আরবে আরব বিশ্বে সর্বাধিক হারে নাস্তিক রয়েছে বলে দাবি করা হয় এবং এটিই প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেখানে এর নাস্তিক জনসংখ্যা পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।<ref>el-Sayyed, Alaaeddin [http://www.sasapost.com/atheists-in-saudi-arabia/ الإلحاد في السعودية هو الأعلى عربيًّا]. (in [[Arabic]]). Retrieved September 5, 2014.</ref><ref>al-Sarami, Nasser [http://www.alarabiya.net/ar/saudi-today/2013/06/04/%D8%A7%D9%84%D8%A5%D9%84%D8%AD%D8%A7%D8%AF-%D9%81%D9%8A-%D8%A7%D9%84%D8%B3%D8%B9%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9-%D9%87%D9%84-%D9%8A%D8%B9%D9%82%D9%84-%D9%87%D8%B0%D8%A7-%D8%9F-.html الإلحاد في السعودية.. هل يعقل هذا..؟! ]. [[Al Arabiya]]. June 4, 2013. Retrieved September 5, 2014.</ref> [[আলহুররা]],<ref>[https://www.youtube.com/watch?v=7l0wzbppqIA &lrm;(in Arabic) نسبة الملحدين في السعودية تتراوح بين 5 و 9 بالمئة]. [[Alhurra]]. April 9, 2014. Retrieved August 24, 2014.</ref> সাউরেস<ref>[http://www.sauress.com/anbacom/1020386 "الإلحاد معنا" &lrm;(in Arabic)]. Sauress. April 14, 2014. Retrieved August 24, 2014</ref> এবং আমেরিকান পারফরম্যান্স-ম্যানেজমেন্ট পরামর্শ সংস্থা গ্যালাপের<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sauress.com/anbacom/24512|শিরোনাম=سعورس : فرانس 24: نسبة الإلحاد مرتفعة في السعودية والسلطات تعتبره إرهابا|কর্ম=سعورس|সংগ্রহের-তারিখ=5 March 2015}}</ref> মতো সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে সৌদি নাগরিকদের মধ্যে ৫-৯% নাস্তিক। যদি ৫% সংখ্যাটি বিবেচনায় নেওয়া হয় তবে সংখ্যার পরিমাণটি বোঝায় যে 'প্রায় এক মিলিয়ন' সৌদি নাস্তিক বা সঠিক সংখ্যা ৯,৩৫,৩৭৮।<ref>Al-Durais, Khalid Mansoor [http://www.al-madina.com/node/459782 هل اقترب عدد الملحدين السعوديين من «المليون»؟]. (in [[Arabic]]) August 14, 2014. Retrieved September 5, 2014</ref> কারো কারো মতে, রাজ্যে নাস্তিকতা ও ধর্মদ্রোহিতা বৃদ্ধি ব্যাখ্যা করতে পারে যে কেন সৌদি সরকার সন্ত্রাসবাদের সাথে নাস্তিকতাকে সমীকরণ করার আদেশ জারি করেছিল এবং নাস্তিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সহ সন্ত্রাসবাদের জন্য নির্ধারিত শাস্তির বিধান রেখেছিল।<ref>[http://www.france24.com/ar/20140407-%D8%A7%D9%84%D8%B3%D8%B9%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9-%D8%AF%D9%8A%D8%A7%D9%86%D8%A9-%D8%A5%D9%84%D8%AD%D8%A7%D8%AF-%D8%AA%D9%88%D9%8A%D8%AA%D8%B1-%D9%81%D9%8A%D8%B3-%D8%A8%D9%88%D9%83-%D8%AA%D9%82%D8%B1%D9%8A%D8%B1 نسبة الإلحاد مرتفعة في السعودية والسلطات تعتبره إرهابا (in Arabic). [[France 24]]. April 7, 2014. Retrieved August 24, 2014]/</ref><ref>[http://www.globalpost.com/dispatches/globalpost-blogs/belief/atheism-saudi-arabia-illegal "The rise of atheism in Saudi Arabia, where talking about atheism is illegal"]. [[Global Post]]. June 10, 2014. Retrieved August 24, 2014</ref><ref>[http://guardianlv.com/2014/04/saudi-arabia-labels-atheists-equivalent-with-terrorists/ GuardianLv] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140826120956/http://guardianlv.com/2014/04/saudi-arabia-labels-atheists-equivalent-with-terrorists/ |তারিখ=২৬ আগস্ট ২০১৪ }}. April 2, 2014. Retrieved August 24, 2014.</ref>


রাজ্যে পরিচালিত 'সাইবার অপরাধীদের' মোকাবেলায় ২০১৪ সালে [[নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটি (সৌদি আরব)|নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটির]] গঠন করা একটি কমিশন সৌদি আরবে পরিচালিত সাইটগুলির বিরুদ্ধে ২,৭৩৪ টি মামলা পেয়েছে যারা নাস্তিক মনোভাব প্রচার করে।<ref>[http://gulfnews.com/news/gulf/saudi-arabia/call-to-arrest-atheist-bloggers-1.1373110 "Call to arrest atheist bloggers"]. Gulf News. August 17, 2014. Retrieved August 24, 2014.</ref> একই বছর একজন সরকারী কর্মকর্তা ঘোষণা করেন যে  ১৬ মাসের ব্যবধানে দেশে  ৮৫০ টি ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ পেইজকে স্বতন্ত্রভাবে 'নাস্তিক' বলে গণ্য করা হয়  এবং বন্ধ করা হয়েছে।<ref>[http://al-seyassah.com/%D8%A7%D9%84%D8%B3%D8%B9%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9-%D8%A5%D8%BA%D9%84%D8%A7%D9%82-850-%D9%85%D9%88%D9%82%D8%B9%D8%A7%D9%8B-%D8%A5%D9%84%D8%AD%D8%A7%D8%AF%D9%8A%D8%A7%D9%8B-%D8%AE%D9%84%D8%A7%D9%84-16/#sthash.UMuhF2No.dpbs " السعودية: إغلاق 850 موقعاً إلحادياً خلال 16 شهراً"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161008032522/http://al-seyassah.com/%D8%A7%D9%84%D8%B3%D8%B9%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9-%D8%A5%D8%BA%D9%84%D8%A7%D9%82-850-%D9%85%D9%88%D9%82%D8%B9%D8%A7%D9%8B-%D8%A5%D9%84%D8%AD%D8%A7%D8%AF%D9%8A%D8%A7%D9%8B-%D8%AE%D9%84%D8%A7%D9%84-16/#sthash.UMuhF2No.dpbs |তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৬ }} (in Arabic). ''Al-Seyassah'' August 14, 2014. Retrieved August 24, 2014.</ref>
রাজ্যে পরিচালিত 'সাইবার অপরাধীদের' মোকাবেলায় ২০১৪ সালে [[নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটি (সৌদি আরব)|নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটির]] গঠন করা একটি কমিশন সৌদি আরবে পরিচালিত সাইটগুলোর বিরুদ্ধে ২,৭৩৪টি মামলা পেয়েছে যারা নাস্তিক মনোভাব প্রচার করে।<ref>[http://gulfnews.com/news/gulf/saudi-arabia/call-to-arrest-atheist-bloggers-1.1373110 "Call to arrest atheist bloggers"]. Gulf News. August 17, 2014. Retrieved August 24, 2014.</ref> একই বছর একজন সরকারী কর্মকর্তা ঘোষণা করেন যে ১৬ মাসের ব্যবধানে দেশে ৮৫০টি ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ পেইজকে স্বতন্ত্রভাবে 'নাস্তিক' বলে গণ্য করা হয় এবং বন্ধ করা হয়েছে।<ref>[http://al-seyassah.com/%D8%A7%D9%84%D8%B3%D8%B9%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9-%D8%A5%D8%BA%D9%84%D8%A7%D9%82-850-%D9%85%D9%88%D9%82%D8%B9%D8%A7%D9%8B-%D8%A5%D9%84%D8%AD%D8%A7%D8%AF%D9%8A%D8%A7%D9%8B-%D8%AE%D9%84%D8%A7%D9%84-16/#sthash.UMuhF2No.dpbs " السعودية: إغلاق 850 موقعاً إلحادياً خلال 16 شهراً"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161008032522/http://al-seyassah.com/%D8%A7%D9%84%D8%B3%D8%B9%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9-%D8%A5%D8%BA%D9%84%D8%A7%D9%82-850-%D9%85%D9%88%D9%82%D8%B9%D8%A7%D9%8B-%D8%A5%D9%84%D8%AD%D8%A7%D8%AF%D9%8A%D8%A7%D9%8B-%D8%AE%D9%84%D8%A7%D9%84-16/#sthash.UMuhF2No.dpbs |তারিখ=৮ অক্টোবর ২০১৬ }} (in Arabic). ''Al-Seyassah'' August 14, 2014. Retrieved August 24, 2014.</ref>


=== পরিসংখ্যান ===
=== পরিসংখ্যান ===

০৮:৪৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইসলাম সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ধর্ম এবং এর আইনে সৌদির সকল নাগরিককে মুসলমান হতে হবে।[১] ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রকাশ্য উপাসনা নিষিদ্ধ।[২][৩] সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পেতে হলে কোন অমুসলিমকে অবশ্যই ইসলাম গ্রহণ করতে হবে।[৪] তদুপরি, ইসলামকে ওয়াহাবীবাদে সংকুচিত করা হয়েছে এবং সুন্নিবাদের অভ্যন্তরে অন্যান্য সূত্রগুলোও সীমাবদ্ধ।[৫] সৌদি আরব ইসলামী আইন প্রয়োগ এবং এর মানবাধিকারের জন্য সমালোচিত হয়।[৬][৭]

ধর্মীয় স্বাধীনতা

সৌদি আরব ইসলাম ধর্মশাসিত রাষ্ট্র। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তাদের ধর্ম পালনের অধিকার নেই। অমুসলিম প্রসারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ইসলাম থেকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ধর্মত্যাগকারী হিসাবে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত অপরাধ।[৮] বাইবেল, ভগবদ গীতা, আহমদী বইয়ের মতো অমুসলিম ধর্মীয় উপকরণ বিতরণ সহ অমুসলিমদের দ্বারা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করা অবৈধ। ২০১৪ সালের শেষের দিকে "ইসলাম ছাড়া অন্য যে কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি পক্ষপাত আছে এমন প্রকাশনা" (অমুসলিম ধর্মীয় বই অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হয়েছিল) দেশে আনার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন করা হয়।[৯][১০]

আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) বার্ষিক প্রতিবেদনে সৌদি আরব সহ আরও ১৫টি দেশকে "পদ্ধতিগত, চলমান, গুরুতর লঙ্ঘন" করার জন্য বা বরদাস্ত করার জন্য "বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।[১১][১২]

ধর্মীয় গোষ্ঠী

ইসলাম

মূল নিবন্ধ: সৌদি আরবে ইসলাম

অমুসলিমদের পবিত্র শহর মক্কামদিনায় প্রবেশ নিষিদ্ধ।[১৩][১৪]

ইসলামের সরকারি রূপ হাম্বলি সম্প্রদায়ভুক্ত সুন্নির সালাফি সংস্করণ।[৫] সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সৌদি আরবের ৭৫-৮৫% নাগরিক হলেন সুন্নি মুসলিম, ১০-১৫% শিয়া। (জনসংখ্যার ৩০% এরও বেশি বিদেশী শ্রমিক নিয়ে গঠিত[১৫] যারা মূলত পুরোপুরি মুসলিম নয়।) দেশে কতজন আহমদি আছে তা অজানা।[১৬] ইসলামের পবিত্রতম দুটি শহর মক্কা এবং মদীনা সৌদি আরবে অবস্থিত। বহু কারণে অ-মুসলিমদের পবিত্র শহরে প্রবেশের অনুমতি নেই যদিও কিছু পশ্চিমা অমুসলিম মুসলমানের ছদ্মবেশে প্রবেশ করতে পেরেছে।[১৭][১৮]

অমুসলিম

সৌদি আরবে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক বিদেশী কর্মী (মোট ২৭ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ৮ মিলিয়ন প্রবাসী[১৯]) অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।

২০১৩ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন অনুসারে, অ-সুন্নি মুসলিম, অমুসলিম এবং ধর্মহীনদের জন্য, "আইনের অধীনে ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত বা সুরক্ষিত নয়" এবং সৌদি "সরকারী নীতিগুলো ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে"।[২০]

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘুরা শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা এবং বিশেষত ধর্মীয় স্বাধীনতায় সৌদি আরব সরকারের কাছ থেকে নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্যের সম্মুখীন হয়।[২১] শিয়াদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয় এবং আশুরার মতো শিয়া উৎসব ও শিয়া সাম্প্রদায়িক জনসাধারণের উপাসনায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।[২২][২৩]

এই দেশে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম পালনের অনুমতি নেই, যদিও সৌদি আরবে প্রায় এক মিলিয়ন খ্রিস্টান পাশাপাশি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা - প্রায় সকলেই বিদেশী কর্মী আছে কিন্তু এ দেশে কোনও গীর্জা, মন্দির বা অন্যান্য অমুসলিম উপাসনালয়ের অনুমতি নেই।[২৪][২৫] ব্যক্তিগত প্রার্থনা সেবা দমন করা হয় এবং সৌদি আরবের ধর্মীয় পুলিশ নিয়মিতভাবে খ্রিস্টানদের বাড়িতে অনুসন্ধান করে বলে জানা যায়। বিদেশী কর্মীদের বড়দিন বা ইস্টার উদযাপন করার অনুমতি নেই।[২৪] ২০০৭ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আহমদিয়া ধর্মাবলম্বীদের বিদেশী অনুসারীদের গ্রেপ্তার ও বিতাড়িত করার অভিযান বন্ধ করার জন্য বাদশাহ আবদুল্লাহকে অনুরোধ করেছিল।[২৬]

অমুসলিমদের ধর্ম প্রচার করা অবৈধ,[২৫] এবং মুসলমানদের অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া (ধর্মত্যাগ) মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ (যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মত্যাগের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি)।[২৫] ধর্মীয় বৈষম্য মামলায় আদালতের রায় ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত প্রসারিত। অপরাধ প্রমাণীত হলে, একজন মুসলমান নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের সম্পূর্ণ পরিমান পান, অপরদিকে একজন ইহুদী বা খ্রিস্টান অর্ধেক এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরা ষোল ভাগের এক ভাগ পান।[২৪] সৌদি আরব সরকারীভাবে নাস্তিকদের সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে।[২৭] সৌদি আরব বা কোন বিদেশী অধিবাসী "এই দেশটি যে ইসলামিক ধর্মের উপর ভিত্তি করে আছে এ সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ করলে" এর জন্য কমপক্ষে ২০ বছরের জেল হতে পারে।[২৮]

বর্জন নীতি

পণ্ডিত বার্নার্ড লুইসের মতে, আরব উপদ্বীপে অমুসলিমদের স্থায়ী বাসস্থান থেকে বাদ দেওয়ার সৌদি নীতি একটি পুরনো এবং ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মুসলিম নীতির ধারাবাহিকতা:

চিরায়ত আরবী ঐতিহাসিকরা আমাদের জানান যে হিজরতের (মুহাম্মদ (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় গমন) ২০ বছর পর খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারের ৬৪১ সালে খলিফা উমর মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর মৃত্যুশয্যায় উচ্চারিত আজ্ঞা: "আরবে দুটি ধর্ম বিদ্যমান না থাকুক" পূরণ করার জন্য ইহুদি ও খ্রিস্টানদের আরব থেকে অপসারণ করার আদেশ দেন। প্রশ্নবিদ্ধ লোকেরা ছিল উত্তরের খাইবারের মরূদ্যানের ইহুদী এবং দক্ষিণের নাজরানের খ্রিস্টানরা।

[হাদীসটি] সাধারণত খাঁটি হিসাবে গৃহীত হয়েছিল এবং উমর এটি কার্যকর করেছিলেন। ইউরোপীয়দের বহিষ্কারের সাথে তুলনা করলে উমরের হুকুম সীমিত ও সহানুভূতিপূর্ণ উভয়ই ছিল। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব আরবকে অন্তর্ভুক্ত করেনি, যা ইসলামের পবিত্র ভূমির অংশ হিসাবে দেখা হয়নি। ... আরবের ইহুদি ও খ্রিস্টানরা তাদের জন্য নির্দিষ্ট ভূমিতে পুনর্বাসিত হয়েছিল - সিরিয়ায় ইহুদী, ইরাকে খ্রিস্টানরা। এই প্রক্রিয়াটি আকস্মিকভাবে না করে ধীরে ধীরে করা হয়েছিল, এবং উমর-এর আদেশের পরেও কিছুকাল খাইবারনাজরানে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের থাকার খবর পাওয়া যায়।

তবে ফরমানটি চূড়ান্ত এবং অপরিবর্তনীয় ছিল এবং তখন থেকে আজ অবধি হিজাজের পবিত্র ভূমি অমুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ অঞ্চল হিসাবে বিদ্যমান আছে। সৌদি আরব এবং ঘোষণার স্বাক্ষরকারীদের উভয় দ্বারা স্বীকৃত ইসলামী আইনশাস্ত্রের হাম্বলি সম্প্রদায়ের মতানুসারে, একজন অমুসলিমের এমনকি পবিত্র ভূমিতে পা রাখাও বড় অপরাধ। রাজ্যের বাকী অংশে অমুসলিমদের অস্থায়ী দর্শনার্থী হিসাবে প্রবেশ করতে পারলেও তাদের বাসস্থান স্থাপন বা ধর্ম পালনের অনুমতি নেই।[২৯]

যদিও সৌদি আরব অমুসলিমদের সৌদি আরবে কাজ করার অনুমতি দেয় তবে তারা প্রকাশ্যে ধর্ম পালন করতে পারে না। যুক্তরাজ্য সরকারের মতে:

ইসলাম ব্যতীত যে কোনও ধরণের ধর্মের প্রকাশ্য চর্চা অবৈধ; অন্যদের ধর্মান্তরিত করার অভিপ্রায় হিসাবে। তবে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ ইসলাম ব্যতীত অন্যান্য ধর্মের লোকদের ব্যক্তিগতভাবে ধর্মপালনের অনুমতি দেয় এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বাইবেল এ দেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়। এর চেয়ে বেশি বহন করলে গুরুতর জরিমানা হতে পারে।[৩০]

খ্রীষ্টধর্ম

মূল নিবন্ধ: সৌদি আরবে খ্রিস্টান ধর্ম

সৌদি আরবে খ্রিস্টানদের সংখ্যার অনুমানের মধ্যে আছে ১৫,০০,০০০ (Memri.org)[৩১] এবং প্রায় ৩০,০০,০০০ (সাংবাদিক কারেন হাউস)।[৩২] রাজ্যের সকল[৩১] বা প্রায় সকল[৩২] খ্রিস্টান বিদেশী কর্মী।[৩২] খ্রিস্টানরা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগ করে থাকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে একটি মামলায়, জেদ্দায় কর্মরত ৩৫ জন ইথিওপীয় খ্রিস্টানকে (ছয় পুরুষ এবং ২৯ জন মহিলা যারা সাপ্তাহিক ধর্মপ্রচারক প্রার্থনা সভা করেছিলেন) ব্যক্তিগত প্রার্থনা সমাবেশ করার জন্য রাজ্যের ধর্মীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাদের আটক করেছিল। যদিও সরকারী অভিযোগটি ছিল "বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিশ্রিত হওয়া" - সৌদি আরবে রক্ত সম্পর্কহীন মানুষের সাথে মিলিত হওয়া অপরাধ - অপরাধীরা অভিযোগ করেছিল যে তারা খ্রিস্টান হিসাবে প্রার্থনা করার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিল।[৩৩] ২০০৬ সালের এশিয়া নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রাজ্যে "কমপক্ষে এক মিলিয়ন" রোমান ক্যাথলিক রয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে তারা "যাজকদের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে ... তাদের বাচ্চাদের সংক্ষিপ্ত ধর্মশিক্ষা - প্রায় ১,০০,০০০ - নিষিদ্ধ করা হয়েছে।" এটি ২০০৬ সালে গণসংযোগ করার জন্য একজন ক্যাথলিক পুরোহিতের গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে। "ফ্রাঙ্ক জর্জ [জশুয়া] সবেমাত্র একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে গণ উদযাপন করেছিলেন তখন সাত জন ধর্মীয় পুলিশ (মুত্তোয়া) দুই সাধারণ পুলিশ সদস্যের সাথে বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। পুলিশ যাজক এবং অন্য আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে।"[৩৪]

দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক নিকোলাস পেলহামের মতে, এই রাজ্যে "সম্ভবত মধ্য প্রাচ্যের বৃহত্তম এবং দ্রুত বর্ধমান খ্রিস্টান সম্প্রদায়" রয়েছে এবং কঠোর ধর্মীয় আইন - যেমন মক্কা এবং মদিনা থেকে খ্রিস্টানদের নিষিদ্ধ করার মত - সর্বদা প্রয়োগ করা হয় না:[৩৫]

যদিও খ্রিস্টানদের প্রকাশ্যে উপাসনা করতে নিষেধ করা হয়েছে, বিদেশী প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক প্রার্থনা সভার সংখ্যা কয়েকশো হতে পারে।[৩৫]

২০১৮ সালের প্রতিবেদনে জানা যায় যে ধর্মীয় পুলিশ প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগতভাবে যে কোনও জায়গায় খ্রিস্টানদের ধর্মীয় সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং প্রথমবারের মতো একটি "নথিভুক্ত খ্রিস্টান সেবা" প্রকাশ্যে পরিচালিত হয়। ১ ডিসেম্বর ২০১৮-এর কিছু আগে, সৌদি আরব সফরকালে (মিশরীয় এবং অন্যান্য আরব মিডিয়া অনুসারে) মিশরের শোভরা আল-খিমারের কপটিক বিশপ আভা মোরকোস রিয়াদ শহরে একটি কপটিক গণ পরিবেশনা করেছিলেন।[৩১][৩৬] ২০১৮ সালের মার্চ মাসে আভা মোরকোসকে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবে আমন্ত্রিত করেছেন।[৩১]

হিন্দুধর্ম

মূল নিবন্ধ: সৌদি আরব ও আরব রাষ্ট্রে হিন্দু ধর্ম

২০০১ সালের হিসাব অনুসারে, সৌদি আরবে আনুমানিক ১৫,০০,০০০ ভারতীয় নাগরিক ছিল,[৩৭] তাদের বেশিরভাগই মুসলমান, তবে কিছু হিন্দু ছিল। অন্যান্য অমুসলিমদের মতো হিন্দুদেরও সৌদি আরবে প্রকাশ্যে উপাসনা করার অনুমতি নেই। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের হিন্দু ধর্মীয় জিনিসপত্র ধ্বংস করার কিছু অভিযোগও এসেছে।[৩৮][৩৯]

ধর্মহীনতা

মূল নিবন্ধ: সৌদি আরবে ধর্মহীনতা

ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বাস রাজ্যে প্রধান অপরাধ।[৪০] ঐতিহ্যগতভাবে, প্রভাবশালী রক্ষণশীল আলেমরা ‘নাস্তিক’ লেবেলটি প্রয়োগ করেছেন যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে বিশ্বাস করে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না, তবে "যারা তাদের ইসলামিক ধর্মগ্রন্থের কঠোর ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে বা সন্দেহ প্রকাশ করে" ওয়াহাবীবাদ সম্পর্কে তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন।[৪০] এত নিন্দিতদের (তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নয়) উদাহরণ হলো

  • হামজা কাশগরী, যিনি মুহম্মদ সম্পর্কে কিছু অপ্রচলিত ধারণা টুইট করার পরে ২০ মাসের জন্য কারাগারে বন্দী ছিলেন, "যার কোনটিতেই তিনি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেননি"।[৪০]
  • রাইফ বাদাউয়ি (ফ্রি সৌদি লিবারালস ওয়েবসাইটের সম্পাদক) তিনি তার ওয়েবসাইট ও টেলিভিশনে ইসলাম অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৪ সালে তাকে ১০০০ চাবুকাঘাত, দশ বছরের কারাদণ্ড এবং এক মিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২৬৭,০০০ ডলারের সমান) জরিমানা করা হয়। ২০১৩ সালে আসল সাজাটি ছিল সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৬০০ চাবুকাঘাত, তবে আপিলের ফলে তা পরিবর্তন করা হয়।[৪১][৪২]

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে সন্ত্রাসবিরোধী নতুন কয়েকটি আইন পাস করা হয়। আইনের ১ নং অনুচ্ছেদে নাস্তিকতা ও ধর্মীয় মতবিরোধকেও মিশ্রিত করেছে, "যে কোন রূপে নাস্তিকতাকে আহ্বান জানানো, বা ইসলাম ধর্মের মূলসূত্রগুলো যা এই দেশটির ভিত্তি তা প্রশ্নবিদ্ধ করা", নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[৪৩][৪৪]

"উপাখ্যানীয়, তবে অবিচলিত" লক্ষণ অনুসারে, ২০১০ সালের দিক থেকে রাজ্যে নাস্তিকদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।[৪০] কিছু অনুমান অনুসারে, সৌদি আরবে আরব বিশ্বে সর্বাধিক হারে নাস্তিক রয়েছে বলে দাবি করা হয় এবং এটিই প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেখানে এর নাস্তিক জনসংখ্যা পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।[৪৫][৪৬] আলহুররা,[৪৭] সাউরেস[৪৮] এবং আমেরিকান পারফরম্যান্স-ম্যানেজমেন্ট পরামর্শ সংস্থা গ্যালাপের[৪৯] মতো সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে সৌদি নাগরিকদের মধ্যে ৫-৯% নাস্তিক। যদি ৫% সংখ্যাটি বিবেচনায় নেওয়া হয় তবে সংখ্যার পরিমাণটি বোঝায় যে 'প্রায় এক মিলিয়ন' সৌদি নাস্তিক বা সঠিক সংখ্যা ৯,৩৫,৩৭৮।[৫০] কারো কারো মতে, রাজ্যে নাস্তিকতা ও ধর্মদ্রোহিতা বৃদ্ধি ব্যাখ্যা করতে পারে যে কেন সৌদি সরকার সন্ত্রাসবাদের সাথে নাস্তিকতাকে সমীকরণ করার আদেশ জারি করেছিল এবং নাস্তিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সহ সন্ত্রাসবাদের জন্য নির্ধারিত শাস্তির বিধান রেখেছিল।[৫১][৫২][৫৩]

রাজ্যে পরিচালিত 'সাইবার অপরাধীদের' মোকাবেলায় ২০১৪ সালে নৈতিক উৎকর্ষতা প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটির গঠন করা একটি কমিশন সৌদি আরবে পরিচালিত সাইটগুলোর বিরুদ্ধে ২,৭৩৪টি মামলা পেয়েছে যারা নাস্তিক মনোভাব প্রচার করে।[৫৪] একই বছর একজন সরকারী কর্মকর্তা ঘোষণা করেন যে ১৬ মাসের ব্যবধানে দেশে ৮৫০টি ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ পেইজকে স্বতন্ত্রভাবে 'নাস্তিক' বলে গণ্য করা হয় এবং বন্ধ করা হয়েছে।[৫৫]

পরিসংখ্যান

সৌদি আরবে ধর্মবিশ্বাস

  হিন্দু (১.৫%)
  বৌদ্ধ (০.২১%)
  অন্যান্য ধর্মাবলম্বী (০.৫%)

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "International Religious Freedom Report 2004"। US Department of State। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  2. "World Report 2015: Saudi Arabia"human rights watch। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. World Report 2018: Saudi Arabia. Retrieved February 3, 2018.
  4. http://www.moi.gov.sa/wps/wcm/connect/121c03004d4bb7c98e2cdfbed7ca8368/EN_saudi_nationality_system.pdf?MOD=AJPERES&CACHEID=121c03004d4bb7c98e2cdfbed7ca8368 Ministry of the Interior| dead link
  5. Robert Murray Thomas Religion in Schools: Controversies Around the World Greenwood Publishing Group 2006 আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৭৫-৯৯০৬১-৯ page 180
  6. Human Rights Watch, World Report 2013. Saudi Arabia.] Freedom of Expression, Belief, and Assembly.
  7. Amnesty International, Annual Report 2013, Saudi Arabia, Discrimination – Shi’a minority
  8. Sheen J. Freedom of Religion and Belief: A World Report. (Routledge, 1997) p.452.
  9. "Saudi Arabia's New Law Imposes Death Sentence for Bible Smugglers?"Christian Post। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  10. "SAUDI ARABIA IMPOSES DEATH SENTENCE FOR BIBLE SMUGGLING"। ৮ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  11. "ANNUAL REPORTOF THE U.S. COMMISSION ON INTERNATIONAL RELIGIOUS FREEDOM" (পিডিএফ)USCIRF। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৯ 
  12. "USCIRF Releases 2019 Annual Report and Recommendations for World's Most Egregious Violators of Religious Freedom"। USCIRF। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৯ 
  13. "Saudi Arabia's New Law Imposes Death Sentence for Bible Smugglers?"Christian Post। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৬ 
  14. "Pilgrimage presents massive logistical challenge for Saudi Arabia"CNN। ২০০১। ২০০৮-০৩-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-২৭ 
  15. "The World Factbook"2012। Central Intelligence Agency। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৪ 
  16. "Saudi Arabia: 2 Years Behind Bars on Apostasy Accusation"। Human Rights Watch। মে ১৫, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ জুন ২, ২০১৪ 
  17. (Sir Richard Burton in 1853) The Highly Civilized Man: Richard Burton and the Victorian world| By Dane KENNEDY, Dane Keith Kennedy| Harvard University Press|
  18. (Ludovico di Barthema in 1503) The Arabian Nights: The Book of the Thousand Nights and a Night (1001 Nights ...) edited by Richard F. Burton
  19. "New plan to nab illegals revealed"Arab News। ১৬ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৩ 
  20. "Saudi Arabia: International Religious Freedom Report 2013"। U.S. State Department। ১৭ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৪ 
  21. Human Rights Watch (২০০৯)। Denied dignity: systematic discrimination and hostility toward Saudi Arabian Shia citizens। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 1-56432-535-0 
  22. Human Rights Watch (২০০৯)। Denied dignity: systematic discrimination and hostility toward Saudi Shia citizens। পৃষ্ঠা 2, 8–10। আইএসবিএন 1-56432-535-0 
  23. Islamic Political Culture, Democracy, and Human Rights: A Comparative Study, p 93 Daniel E. Price – 1999
  24. Owen, Richard (১৭ মার্চ ২০০৮)। "Saudi Arabia extends hand of friendship to Pope"The Times। London। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১১ 
  25. "Saudi Arabia: International Religious Freedom Report 2010"। U.S. State Department। ১৭ নভেম্বর ২০১০। ২৩ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১১ 
  26. "Saudi Arabia: 2 Years Behind Bars on Apostasy Accusation"। Human Rights Watch। মে ১৫, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ জুন ৪, ২০১৪ 
  27. [১], Saudi Arabia declares all atheists are terrorists in new law to crack down on political dissidents, The Independent, 04 March 2014
  28. [২], Saudi Arabia declares atheists terrorists under new laws targeting citizens who 'call for secular thought in any form', Main Online, 01 April 2014
  29. Lewis, Bernard (নভেম্বর–ডিসেম্বর ১৯৯৮)। "License to Kill: Usama bin Ladin's Declaration of Jihad"Foreign Affairs। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৪ 
  30. "Foreign travel advice. Saudi Arabia.Local laws and customs"। Gov.UK। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৪ 
  31. "For First Time Ever, Christian Mass Held Openly In Saudi Arabia (Special dispatch 7795)"। memri.org। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  32. House, Karen Elliott (২০১২)। On Saudi Arabia: Its People, past, Religion, Fault Lines and Future। Knopf। পৃষ্ঠা 235। 
  33. Shea, Nina (ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১২)। "Persecuted for Praying to God in Saudi Arabia"। National Review। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৪ 
  34. "Catholic priest arrested and expelled from Riyadh" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে, Asia News, Italy, 10 April 2006.
  35. Pelham, Nicolas (১৩ অক্টোবর ২০১৬)। "In Saudi Arabia: Can It Really Change?"New York Review of Books 
  36. Coptstoday.com, December 1, 2018.
  37. "Report of the High Level Committee on the Indian Diaspora. Countries of the Gulf Region" (পিডিএফ)। ২০১৫-০৬-১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  38. On 24 March 2005, Saudi Arabian authorities destroyed religious items found in a raid on a makeshift Hindu shrine found in an apartment in Riyadh. (source: Marshall, Paul. Saudi Arabia's Religious Police Crack Down. Freedom House)
  39. Hindus in the Middle East| BY: Gautam Raja(June 2001) Belief Net
  40. Murphy, Caryle (জুন ১২, ২০১৪)। "Atheism explodes in Saudi Arabia, despite state-enforced ban"GlobalPost। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  41. Jamjoom, Mohammed (মে ৭, ২০১৪)। "Saudi activist sentenced to 10 years, 1,000 lashes for insulting Islam"। CNN International। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৪ 
  42. Jamjoom, Mohammed; Payne, Ed (১ আগস্ট ২০১৩)। "Saudi activist receives 7-year sentence, 600 lashes for insulting Islam"। CNN International। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৬ 
  43. Withnall, Adam (১ এপ্রিল ২০১৪)। "Saudi Arabia declares all atheists are terrorists in new law to crack down on political dissidents"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  44. "Saudi Arabia: New Terrorism Regulations Assault Rights"। Human Rights Watch। মার্চ ২০, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  45. el-Sayyed, Alaaeddin الإلحاد في السعودية هو الأعلى عربيًّا. (in Arabic). Retrieved September 5, 2014.
  46. al-Sarami, Nasser الإلحاد في السعودية.. هل يعقل هذا..؟! . Al Arabiya. June 4, 2013. Retrieved September 5, 2014.
  47. ‎(in Arabic) نسبة الملحدين في السعودية تتراوح بين 5 و 9 بالمئة. Alhurra. April 9, 2014. Retrieved August 24, 2014.
  48. "الإلحاد معنا" ‎(in Arabic). Sauress. April 14, 2014. Retrieved August 24, 2014
  49. "سعورس : فرانس 24: نسبة الإلحاد مرتفعة في السعودية والسلطات تعتبره إرهابا"سعورس। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫ 
  50. Al-Durais, Khalid Mansoor هل اقترب عدد الملحدين السعوديين من «المليون»؟. (in Arabic) August 14, 2014. Retrieved September 5, 2014
  51. نسبة الإلحاد مرتفعة في السعودية والسلطات تعتبره إرهابا (in Arabic). France 24. April 7, 2014. Retrieved August 24, 2014/
  52. "The rise of atheism in Saudi Arabia, where talking about atheism is illegal". Global Post. June 10, 2014. Retrieved August 24, 2014
  53. GuardianLv ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে. April 2, 2014. Retrieved August 24, 2014.
  54. "Call to arrest atheist bloggers". Gulf News. August 17, 2014. Retrieved August 24, 2014.
  55. " السعودية: إغلاق 850 موقعاً إلحادياً خلال 16 شهراً" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে (in Arabic). Al-Seyassah August 14, 2014. Retrieved August 24, 2014.