পূর্ববঙ্গ আইনসভা নির্বাচন, ১৯৫৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
0টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 2টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
A. H. M. Azimul Haque (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র, সম্প্রসারণ, সংশোধন, পরিষ্কারকরণ
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:


== নির্বাচনের ফলাফল ==
== নির্বাচনের ফলাফল ==
১৯৫৪ সালের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২১৫ টি (পরে স্বতন্ত্র থেকে ৮ জন যোগ দিলে আসন সংখ্যা হয় ২২৩ টি) । তন্মধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ, ৪৮টি পেয়েছিল শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামী ইসলাম পার্টি লাভ করেছিল ১৯ গণতন্ত্রী দল লাভ করেছিল ১৩টি । এছাড়াও অন্যান্য দলের মধ্যে খেলাফতে রব্বানী পেয়েছিল ১ ও স্বতন্ত্র থেকে ৩ টি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ সম্পূর্ণরূপে এ নির্বাচনে পরাভূত হয় ; তারা কেবল ৯টি আসন লাভ করতে সমর্থ হয, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ১ জন মুসলিম লীগে যোগ দিলে তাদের সর্বমোট আসনসংখ্যা দাড়ায় ১০।
১৯৫৪ সালের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২১৫ টি (পরে স্বতন্ত্র থেকে ৮ জন যোগ দিলে আসন সংখ্যা হয় ২২৩ টি) । তন্মধ্যে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৪০ টি, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি ৩৪ টি, নেজামী ইসলাম পার্টি ১২ টি, যুবলীগ ১৫ টি, গণতন্ত্রী দল ১০ টি, কমিউনিস্ট পার্টি ৪ টি ও পরে যোগ দেওয়া স্বতন্ত্র ৮ টি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=শেখ মুজিবুর রহমান|শেষাংশ=অসমাপ্ত আত্মজীবনী|প্রথমাংশ=|বছর=২০১২|প্রকাশক=দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড|অবস্থান=৬১ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০|পাতাসমূহ=২৯১|আইএসবিএন=9789845061957}}</ref> । এছাড়াও অন্যান্য দলের মধ্যে খেলাফতে রব্বানী পেয়েছিল ১ ও স্বতন্ত্র থেকে ৩ টি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ সম্পূর্ণরূপে এ নির্বাচনে পরাভূত হয় ; তারা কেবল ৯টি আসন লাভ করতে সমর্থ হয, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ১ জন মুসলিম লীগে যোগ দিলে তাদের সর্বমোট আসনসংখ্যা দাড়ায় ১০। এছাড়াও খিলাফতে রব্বানী ১ টি ও অন্য ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসন লাভ করেন।


এ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য ৭২টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এগুলোর মধ্যে শিডিউল্ড কাস্ট ফাউন্ডেশন ২৭টি, কংগ্রেস লাভ করেছিল ২৪টি আসন, যুক্তফ্রন্ট ১৩, কমিউনিস্ট পার্টি ৪টি, বৌদ্ধ ২, খ্রিস্টান ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন।
এ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য ৭২টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এগুলোর মধ্যে শিডিউল্ড কাস্ট ফাউন্ডেশন ২৭টি, কংগ্রেস লাভ করেছিল ২৪টি আসন, যুক্তফ্রন্ট ১৩, কমিউনিস্ট পার্টি ৪টি, বৌদ্ধ ২, খ্রিস্টান ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন।

০১:১৭, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পূর্ব পাকিস্তান আইন নির্বাচন ১৯৫৪ বা পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচন ১৯৫৪, পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দী দল দুটি ছিল মুসলিম লীগযুক্তফ্রন্ট। তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখে কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দলপাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। তাই এ নির্বাচনকে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনও বলা হয়ে থাকে। সাথে আরো ছিল মৌওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি[১] যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রাদেশিক সরকারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ও গভর্নরের শাসণ চালু করে।[২]

নির্বাচনের ফলাফল

১৯৫৪ সালের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২১৫ টি (পরে স্বতন্ত্র থেকে ৮ জন যোগ দিলে আসন সংখ্যা হয় ২২৩ টি) । তন্মধ্যে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৪০ টি, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি ৩৪ টি, নেজামী ইসলাম পার্টি ১২ টি, যুবলীগ ১৫ টি, গণতন্ত্রী দল ১০ টি, কমিউনিস্ট পার্টি ৪ টি ও পরে যোগ দেওয়া স্বতন্ত্র ৮ টি।[৩] । এছাড়াও অন্যান্য দলের মধ্যে খেলাফতে রব্বানী পেয়েছিল ১ ও স্বতন্ত্র থেকে ৩ টি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ সম্পূর্ণরূপে এ নির্বাচনে পরাভূত হয় ; তারা কেবল ৯টি আসন লাভ করতে সমর্থ হয, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ১ জন মুসলিম লীগে যোগ দিলে তাদের সর্বমোট আসনসংখ্যা দাড়ায় ১০। এছাড়াও খিলাফতে রব্বানী ১ টি ও অন্য ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসন লাভ করেন।

এ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য ৭২টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এগুলোর মধ্যে শিডিউল্ড কাস্ট ফাউন্ডেশন ২৭টি, কংগ্রেস লাভ করেছিল ২৪টি আসন, যুক্তফ্রন্ট ১৩, কমিউনিস্ট পার্টি ৪টি, বৌদ্ধ ২, খ্রিস্টান ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. http://www.azadiserver.com/annan_details.php?cont_id=58[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. http://bangla.irib.ir/index.php?option=com_content&task=view&id=10067&Itemid=79/[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. অসমাপ্ত আত্মজীবনী (২০১২)। শেখ মুজিবুর রহমান। ৬১ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০: দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড। পৃষ্ঠা ২৯১। আইএসবিএন 9789845061957 

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস- সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী ও অন্যান্য