দ্বিপদ নামকরণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
116.58.203.24-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultan-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
বিষয়বস্তু বাদ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''দ্বিপদী নামকরণ''' বলতে বোঝায় দুটি পদের সমন্বয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম করনের পদ্ধতি। এই নামকরণ [[ল্যাটিন]] ভাষায় করা হয় এবং এর দুইটি অংশ থাকে। [[গণ]] নামের শেষে [[প্রজাতি|প্রজাতিক]] পদ যুক্ত করে প্রতিটি জীবের নামকরণের পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। এই নামকে বৈজ্ঞানিক নামও বলা হয়। ''[[Systema Naturae]]'' গ্রন্থের দশম সংস্করণে (১৭৫৮) [[কার্ল লিনিয়াস|ক্যারোলাস লিনিয়াস]] জীবের নামকরণের ক্ষেত্রে দ্বিপদ নামকরণ নীতি প্রবর্তন করেন।
'''দ্বিপদী নামকরণ''' বলতে বোঝায় দুটি পদের সমন্বয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম করনের পদ্ধতি। এই নামকরণ [[ল্যাটিন]] ভাষায় করা হয় এবং এর দুইটি অংশ থাকে। [[গণ]] নামের শেষে [[প্রজাতি|প্রজাতিক]] পদ যুক্ত করে প্রতিটি জীবের নামকরণের পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। এই নামকে বৈজ্ঞানিক নামও বলা হয়.


== দ্বিপদ নামকরণ নীতি<ref name=Text-book-of-Bangladesh>''মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান''(নবম-দশম শ্রেণী) (অধ্যায়-১; পৃষ্ঠা-৭-৮), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা। সংস্করণ: নভেম্বর ২০১২।।</ref> ==
== দ্বিপদ নামকরণ নীতি<ref name=Text-book-of-Bangladesh>''মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান''(নবম-দশম শ্রেণী) (অধ্যায়-১; পৃষ্ঠা-৭-৮), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা। সংস্করণ: নভেম্বর ২০১২।।</ref> ==

০৭:৩০, ১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দ্বিপদী নামকরণ বলতে বোঝায় দুটি পদের সমন্বয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম করনের পদ্ধতি। এই নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় করা হয় এবং এর দুইটি অংশ থাকে। গণ নামের শেষে প্রজাতিক পদ যুক্ত করে প্রতিটি জীবের নামকরণের পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। এই নামকে বৈজ্ঞানিক নামও বলা হয়.

দ্বিপদ নামকরণ নীতি[১]

ক্যারোলাস লিনিয়াস (১৭০৭–১৭৭৮), যিনি জীবের নামকরণের ক্ষেত্রে দ্বিপদ নামকরণ নীতি প্রবর্তন করেন।
  1. নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
  2. বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ(Genus) নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতির(Species) নাম।
  3. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য (unique) হতে হয়। কারণ, একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই।
  4. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে,বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে।
  5. বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে।
  6. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে।
  7. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবকে বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।
  8. যিনি প্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দিবেন তাঁর নাম সনসহ উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের শেষে সংক্ষেপে সংযোজন করতে হবে।

কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম

সাধারণ নাম → বৈজ্ঞানিক নাম

১। গোলআলু Solanum tuberosum
২। পেঁয়াজ Allium cepa
৩। ধান Oryza sativa
৪। জবা Hibiscus rosa-sinensis
৫। পাট Corchorus capsularis
৬। আম Mangifera indica
৭। কাঁঠাল Artocarpus heterophyllus
৮। শাপলা Nymphaea nouchali
৯। রুই মাছ Labeo rohita
১০। কাতলা Catla catla
১১। সিংহ Panthera leo
১২। রয়েল বেঙ্গল টাইগার Panthera tigris
১৩। ম্যালেরিয়া জীবাণু Plasmodium vivax
১৪। আরশোলা Periplaneta americana
১৫। মৌমাছি Apis indica
১৬। ইলিশ Tenualosa ilisha
১৭। কুনোব্যাঙ Bufo/Duttaphrynus melanostictus
১৮। দোয়েল Copsychus saularis
১৯। মানুষ Homo sapiens
২০। কলেরা জীবাণু Vibrio cholerae
২১। গম Triticum aestivum
২২। ভুট্টা Zea mays
২৩। মসুর Lens culinaris
২৪। ছোলা Cicer arietinum
২৫। মোটর Pisum sativum
২৬। সোনামুগ Vigna radiate
২৭। মাসকলাই Vigna mungo
২৮। খেসারী Lathyrus sativus
২৯। সয়াবিন Glycine max
৩০। তিল Sesamum indicum

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান(নবম-দশম শ্রেণী) (অধ্যায়-১; পৃষ্ঠা-৭-৮), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা। সংস্করণ: নভেম্বর ২০১২।।