আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
৩৫ নং লাইন: ৩৫ নং লাইন:
}}
}}


'''আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর''' [[বাংলাদেশ]]ের একটি [[অধিদপ্তর]] যা [[বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার|জাতীয় গ্রন্থাগার]] এবং [[বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস|জাতীয় আরকাইভস]] পরিচালনায় নিয়োজিত।<ref name="তবা১">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://nanl.portal.gov.bd/site/page/cc877b85-49b4-4190-b4cb-87acec3a00e3/- |শিরোনাম=আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত |প্রকাশক= মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, [[গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার]] |তারিখ=৩ এপ্রিল ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref> এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় অবস্থিত এবং [[সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়]]ের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত।<ref name="বিডিনি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/career/news/bd/502655.details |শিরোনাম=জনবল নেবে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর |সংবাদপত্র=বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম |তারিখ=১৬ জুলাই ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref> এটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বুক নম্বর সংস্থার প্রতিনিধি।<ref name="ডেস্টা১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Use of fictitious ISBN by Bangladeshi publishers |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/letters/use-fictitious-isbn-bangladeshi-publishers-1306279 |সংগ্রহের-তারিখ=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ |সংবাদপত্র=দ্যা ডেইলি স্টার |তারিখ=30 October 2016 |ভাষা=en}}</ref>
'''আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর''' [[বাংলাদেশ]]ের একটি [[অধিদপ্তর]] যা [[বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার|জাতীয় গ্রন্থাগার]] এবং [[বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস|জাতীয় আরকাইভস]] পরিচালনায় নিয়োজিত।<ref name="তবা১">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://nanl.portal.gov.bd/site/page/cc877b85-49b4-4190-b4cb-87acec3a00e3/- |শিরোনাম=আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত |প্রকাশক= মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, [[গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার]] |তারিখ=৩ এপ্রিল ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref> এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এবং [[সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়]]ের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত।<ref name="বিম">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.bdmorning.com/bn/article/2019/365074 |শিরোনাম=প্রত্নতত্ত্ব, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর পরিদর্শন করলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী |সংবাদপত্র=বিডিমর্নিং.কম |তারিখ=২৯ জানুয়ারি ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref> এটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বুক নম্বর সংস্থার প্রতিনিধি।<ref name="ডেস্টা১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Use of fictitious ISBN by Bangladeshi publishers |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/letters/use-fictitious-isbn-bangladeshi-publishers-1306279 |সংগ্রহের-তারিখ=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ |সংবাদপত্র=দ্যা ডেইলি স্টার |তারিখ=30 October 2016 |ভাষা=en}}</ref>

== ইতিহাস ==
== ইতিহাস ==

১৯৫১ সনের নভেম্বরে তত্‌কালীন [[পাকিস্তান]]ের [[করাচী]]তে ‘‘ডাইরেক্টরেট অব আরকাইভস এন্ড লাইব্রেরিস’’-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল আরকাইভস অব পাকিস্তান’-এর শাখা অফিস ‘‘ডেলিভারী অব বুকস এন্ড নিউজ পেপার শাখা’’ খোলা হয় ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের ভাড়া বাড়িতে; তবে জাতীয় আরকাইভস-এর কোন শাখা তখন পূর্ব পাকিস্তানে ছিল না।<ref name="তবা১"/> বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এটিকে ১০৩, পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের পরিত্যক্ত বাড়ীর দোতলায় স্থানান্তর করা হয়; পরবর্তিতে ৩৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডেও বর্ধিত করা হয় এই অফিসটিকে। পাকিস্তান ডাইরেক্টরেট অব আরকাইভস এণ্ড লাইব্রেরিসের পরিচালক ড. খোন্দকার মাহবুবুল করিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদান করলে ১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর তাকে পরিচালক, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর হিসেবে এডহক দায়িত্ব প্রদান করে [[শেখ মুজিবুর রহমান|জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান]]ের নির্দেশনায় [[শিক্ষা মন্ত্রণালয়]]ের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের অধীনে ‘‘আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর’’ প্রতিষ্ঠা করা হয়; যা ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট জিও জারির মাধ্যমে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।।<ref name="তবা১"/>
১৯৫১ সনের নভেম্বরে তত্‌কালীন [[পাকিস্তান]]ের [[করাচী]]তে ‘‘ডাইরেক্টরেট অব আরকাইভস এন্ড লাইব্রেরিস’’-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল আরকাইভস অব পাকিস্তান’-এর শাখা অফিস ‘‘ডেলিভারী অব বুকস এন্ড নিউজ পেপার শাখা’’ খোলা হয় ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের ভাড়া বাড়িতে; তবে জাতীয় আরকাইভস-এর কোন শাখা তখন পূর্ব পাকিস্তানে ছিল না।<ref name="তবা১"/> বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এটিকে ১০৩, পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের পরিত্যক্ত বাড়ীর দোতলায় স্থানান্তর করা হয়; পরবর্তিতে ৩৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডেও বর্ধিত করা হয় এই অফিসটিকে। পাকিস্তান ডাইরেক্টরেট অব আরকাইভস এণ্ড লাইব্রেরিসের পরিচালক ড. খোন্দকার মাহবুবুল করিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদান করলে ১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর তাকে পরিচালক, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর হিসেবে এডহক দায়িত্ব প্রদান করে [[শেখ মুজিবুর রহমান|জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান]]ের নির্দেশনায় [[শিক্ষা মন্ত্রণালয়]]ের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের অধীনে ‘‘আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর’’ প্রতিষ্ঠা করা হয়; যা ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট জিও জারির মাধ্যমে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।।<ref name="তবা১"/>


== অবস্থান ==
== অবস্থান ==
১৯৭৪ সালের ৩ জানুয়ারি সরকার জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারের জন্য ৩২, বিচারপতি এস.এম. মোর্শেদ সরণি, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর-এ ২ একর করে মোট ৪ একর জমি বরাদ্দ করলে প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনার আওতায় জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট প্রকল্প প্রস্তাব দাখিল করা হয় এবং স্থপতি খন্দকার মাজহারুল ইসলাম নকশায় ১৯৭৮ সালের ২১ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন নির্মাণ শুরু করা হয়।<ref name="তবা১"/> ১৯৮৫ সালের ১ নভেম্বর স্থায়ী ভবনে জাতীয় গ্রন্থাগার স্থানান্তরিত হলে পরবর্তীতে জাতীয় আরকাইভস এখানে সরিয়ে আনা হয়। ১৯৯৫ সালে জাতীয় আরকাইভস ভবন নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০০৬ সালে জাতীয় আরকাইভস তার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করে।<ref name="বিডিনি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/career/news/bd/502655.details |শিরোনাম=জনবল নেবে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর |সংবাদপত্র=বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম |তারিখ=১৬ জুলাই ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref>

১৯৭৪ সালের ৩ জানুয়ারি সরকার জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারের জন্য ৩২, বিচারপতি এস.এম. মোর্শেদ সরণি, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর-এ২ একর করে মোট ৪ একর জমি বরাদ্দ করলে প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনার আওতায় জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট প্রকল্প প্রস্তাব দাখিল করা হয় এবং স্থপতি খন্দকার মাজহারুল ইসলাম নকশায় ১৯৭৮ সালের ২১ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন নির্মাণ শুরু করা হয়।<ref name="তবা১"/> ১৯৮৫ সালের ১ নভেম্বর স্থায়ী ভবনে জাতীয় গ্রন্থাগার স্থানান্তরিত হলে পরবর্তীতে জাতীয় আরকাইভস এখানে সরিয়ে আনা হয়। ১৯৯৫ সালে জাতীয় আরকাইভস ভবন নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০০৬ সালে জাতীয় আরকাইভস তার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করে।<ref name="বিডিনি"/>


== কার্যক্রম ==
== কার্যক্রম ==
== আরও দেখুন ==


এই প্রতিষ্ঠানটি মূল্যবান আরকাইভাল সামগ্রী, যেমন বই, জার্নাল, পত্রিকা, স্মারক প্রভৃতি যাতে বিনষ্ট না-হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।<ref name="বিম"/> এটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বুক নম্বর সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে পুস্তক প্রকাশকদেরকে আইএসবিএন নম্বর প্রদান করে থাকে।<ref name="ডেস্টা১"/> বিভিন্ন সময় প্রকাশিত ও প্রচারিত সরকারি গেজেট, নিয়োগ, নীতিমালা, বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, প্রটোকল, মূল্যবান রেকর্ড, নথিপত্র, রাষ্ট্রীয় জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী আরকাইভাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর।<ref name="দৈই">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.ittefaq.com.bd/capital/51414/রাষ্ট্রের-অস্তিত্ব-রক্ষায়-সহায়ক-ভূমিকা-পালন-করে-আর্কাইভাল-ম্যানেজমেন্ট/print |শিরোনাম=‘রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্ট’ |সংবাদপত্র=দৈনিক ইত্তেফাক |তারিখ=৫ মে ২০১৯ |সংগ্রহের-তারিখ=২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref>
== আরও দেখুন ==
* [[সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়]];
* [[সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়]];
* [[বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস]];
* [[বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস]];

১৯:০৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর
সংক্ষেপেএনএএনএল
গঠিত১৯৭২
ধরনসরকারি
আইনি অবস্থাসক্রিয়
সদরদপ্তর৩২, বিচারপতি এস.এম. মোর্শেদ সরণি, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর
অবস্থান
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
সদস্য
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা ও ইংরেজি
মহাপরিচালক
ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া
ওয়েবসাইটএনএএনএল

আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর বাংলাদেশের একটি অধিদপ্তর যা জাতীয় গ্রন্থাগার এবং জাতীয় আরকাইভস পরিচালনায় নিয়োজিত।[১] এই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত।[২] এটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বুক নম্বর সংস্থার প্রতিনিধি।[৩]

ইতিহাস

১৯৫১ সনের নভেম্বরে তত্‌কালীন পাকিস্তানের করাচীতে ‘‘ডাইরেক্টরেট অব আরকাইভস এন্ড লাইব্রেরিস’’-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল আরকাইভস অব পাকিস্তান’-এর শাখা অফিস ‘‘ডেলিভারী অব বুকস এন্ড নিউজ পেপার শাখা’’ খোলা হয় ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের ভাড়া বাড়িতে; তবে জাতীয় আরকাইভস-এর কোন শাখা তখন পূর্ব পাকিস্তানে ছিল না।[১] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এটিকে ১০৩, পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের পরিত্যক্ত বাড়ীর দোতলায় স্থানান্তর করা হয়; পরবর্তিতে ৩৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডেও বর্ধিত করা হয় এই অফিসটিকে। পাকিস্তান ডাইরেক্টরেট অব আরকাইভস এণ্ড লাইব্রেরিসের পরিচালক ড. খোন্দকার মাহবুবুল করিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদান করলে ১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর তাকে পরিচালক, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর হিসেবে এডহক দায়িত্ব প্রদান করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের অধীনে ‘‘আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তর’’ প্রতিষ্ঠা করা হয়; যা ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট জিও জারির মাধ্যমে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।।[১]

অবস্থান

১৯৭৪ সালের ৩ জানুয়ারি সরকার জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারের জন্য ৩২, বিচারপতি এস.এম. মোর্শেদ সরণি, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর-এ ২ একর করে মোট ৪ একর জমি বরাদ্দ করলে প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনার আওতায় জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগারের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট প্রকল্প প্রস্তাব দাখিল করা হয় এবং স্থপতি খন্দকার মাজহারুল ইসলাম নকশায় ১৯৭৮ সালের ২১ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন নির্মাণ শুরু করা হয়।[১] ১৯৮৫ সালের ১ নভেম্বর স্থায়ী ভবনে জাতীয় গ্রন্থাগার স্থানান্তরিত হলে পরবর্তীতে জাতীয় আরকাইভস এখানে সরিয়ে আনা হয়। ১৯৯৫ সালে জাতীয় আরকাইভস ভবন নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০০৬ সালে জাতীয় আরকাইভস তার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করে।[৪]

কার্যক্রম

এই প্রতিষ্ঠানটি মূল্যবান আরকাইভাল সামগ্রী, যেমন বই, জার্নাল, পত্রিকা, স্মারক প্রভৃতি যাতে বিনষ্ট না-হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।[২] এটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বুক নম্বর সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে পুস্তক প্রকাশকদেরকে আইএসবিএন নম্বর প্রদান করে থাকে।[৩] বিভিন্ন সময় প্রকাশিত ও প্রচারিত সরকারি গেজেট, নিয়োগ, নীতিমালা, বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, প্রটোকল, মূল্যবান রেকর্ড, নথিপত্র, রাষ্ট্রীয় জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী আরকাইভাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর।[৫]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. "প্রত্নতত্ত্ব, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর পরিদর্শন করলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী"বিডিমর্নিং.কম। ২৯ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. "Use of fictitious ISBN by Bangladeshi publishers"দ্যা ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  4. "জনবল নেবে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৬ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  5. "'রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্ট'"দৈনিক ইত্তেফাক। ৫ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ