বার্ট ওল্ডফিল্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারিত রূপ!
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬৪ নং লাইন: ৬৪ নং লাইন:
১৫শ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সে কর্পোরাল হিসেবে প্রথম অস্ট্রেলীয় রাজকীয় বাহিনীতে চাকুরী করেন। ১৯১৭ সালে পায়ে গুলি লাগলে আহত হন তিনি। যুদ্ধ শেষ হলে [[Australian Imperial Forces cricket team|অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্সেস ক্রিকেট দলের]] সদস্য মনোনীত হন। দলটি ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ২৮টি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] অংশ নেয়।
১৫শ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সে কর্পোরাল হিসেবে প্রথম অস্ট্রেলীয় রাজকীয় বাহিনীতে চাকুরী করেন। ১৯১৭ সালে পায়ে গুলি লাগলে আহত হন তিনি। যুদ্ধ শেষ হলে [[Australian Imperial Forces cricket team|অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্সেস ক্রিকেট দলের]] সদস্য মনোনীত হন। দলটি ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ২৮টি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] অংশ নেয়।


১৯১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। ১৯২০-২১ মৌসুমে নিজ শহর সিডনিতে সফরকারী [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে তিনি তাঁর প্রথম টেস্টে অংশ নেন। পরবর্তী বেশ কয়েকবছর দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু উইকেট-রক্ষক হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে [[English cricket team in Australia in 1924–25|১৯২৪-২৫]] মৌসুমের [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন।
১৯১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯২০-২১ মৌসুমে নিজ শহর সিডনিতে সফরকারী [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে তিনি তার প্রথম টেস্টে অংশ নেন। পরবর্তী বেশ কয়েকবছর দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু উইকেট-রক্ষক হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে [[English cricket team in Australia in 1924–25|১৯২৪-২৫]] মৌসুমের [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন।


== বডিলাইন সিরিজ ==
== বডিলাইন সিরিজ ==
এরপর তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে আরও একটি টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। [[English cricket team in Australia in 1932–33|১৯৩২-৩৩]] মৌসুমের কুখ্যাত [[বডিলাইন]] সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। [[অ্যাডিলেড ওভাল|অ্যাডিলেডের]] প্রসিদ্ধ [[Third Test, 1932–33 Ashes series|তৃতীয় টেস্টে]] ইংরেজদের বডিলাইন কৌশলের প্রয়োগ ঘটে। ইংরেজ বোলাররা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের শরীর লক্ষ্য করে বোলিং করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু [[ফাস্ট বোলিং|ফাস্ট বোলার]] [[হ্যারল্ড লারউড|হ্যারল্ড লারউডের]] ছোঁড়া বল অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁর মাথায় আঘাত করলে সর্বাপেক্ষা নাটকীয় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে।<ref>Haigh and Frith, p. 73.</ref> ফলশ্রুতিতে [[বিল উডফুল|উডফুলের]] সহায়তায় তাঁকে মাঠ ত্যাগ করে ড্রেসিং রুমে পাঠানো হয়।<ref>Frith, pp. 216–18.</ref><ref>Piesse, p. 128.</ref> এরফলে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি ও অস্ট্রেলিয়া ১৯৩ রানে অল আউট হয়।<ref name=o>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম=Player Oracle WM Woodfull|ইউআরএল=http://www.cricketarchive.com/cgi-bin/player_oracle_reveals_results2.cgi?playernumber=452&opponentmatch=exact&playername=Meckiff&resulttype=All&matchtype=All&teammatch=exact&startwicket=&homeawaytype=All&opponent=&endwicket=&wicketkeeper=&searchtype=InningsList&endscore=&playermatch=contains&branding=cricketarchive&captain=&endseason=&startscore=&team=&startseason= |সংগ্রহের-তারিখ=14 May 2009 |প্রকাশক=[[CricketArchive]]}}</ref> পরবর্তীতে বডিলাইন ক্রীড়ার বিষয়ে [[ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া|অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড]] আনুষ্ঠানিকভাবে [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|ইংরেজ প্রশাসনের]] কাছে অভিযোগ প্রেরণ করে।<ref name="pbody">Perry, pp. 144–146.</ref> ১৯৩৭ সালে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] সর্বশেষবারের মতো অংশ নেন।
এরপর তার খেলোয়াড়ী জীবনে আরও একটি টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। [[English cricket team in Australia in 1932–33|১৯৩২-৩৩]] মৌসুমের কুখ্যাত [[বডিলাইন]] সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। [[অ্যাডিলেড ওভাল|অ্যাডিলেডের]] প্রসিদ্ধ [[Third Test, 1932–33 Ashes series|তৃতীয় টেস্টে]] ইংরেজদের বডিলাইন কৌশলের প্রয়োগ ঘটে। ইংরেজ বোলাররা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের শরীর লক্ষ্য করে বোলিং করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু [[ফাস্ট বোলিং|ফাস্ট বোলার]] [[হ্যারল্ড লারউড|হ্যারল্ড লারউডের]] ছোঁড়া বল অপ্রত্যাশিতভাবে তার মাথায় আঘাত করলে সর্বাপেক্ষা নাটকীয় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে।<ref>Haigh and Frith, p. 73.</ref> ফলশ্রুতিতে [[বিল উডফুল|উডফুলের]] সহায়তায় তাকে মাঠ ত্যাগ করে ড্রেসিং রুমে পাঠানো হয়।<ref>Frith, pp. 216–18.</ref><ref>Piesse, p. 128.</ref> এরফলে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি ও অস্ট্রেলিয়া ১৯৩ রানে অল আউট হয়।<ref name=o>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম=Player Oracle WM Woodfull|ইউআরএল=http://www.cricketarchive.com/cgi-bin/player_oracle_reveals_results2.cgi?playernumber=452&opponentmatch=exact&playername=Meckiff&resulttype=All&matchtype=All&teammatch=exact&startwicket=&homeawaytype=All&opponent=&endwicket=&wicketkeeper=&searchtype=InningsList&endscore=&playermatch=contains&branding=cricketarchive&captain=&endseason=&startscore=&team=&startseason= |সংগ্রহের-তারিখ=14 May 2009 |প্রকাশক=[[CricketArchive]]}}</ref> পরবর্তীতে বডিলাইন ক্রীড়ার বিষয়ে [[ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া|অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড]] আনুষ্ঠানিকভাবে [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|ইংরেজ প্রশাসনের]] কাছে অভিযোগ প্রেরণ করে।<ref name="pbody">Perry, pp. 144–146.</ref> ১৯৩৭ সালে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] সর্বশেষবারের মতো অংশ নেন।


== সম্মাননা ==
== সম্মাননা ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৫৪ টেস্টে অংশ নিয়ে ২২.৬৫ গড়ে ১,৪২৭ রান তুলেছেন। এছাড়াও ৭৮ ক্যাচ ও ৫২ স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি। টেস্টে ৫২ স্ট্যাম্পিং অদ্যাবধি বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৪৫ খেলায় ৬,১৩৫ রান করেছেন ২৩.৭৭ গড়ে। পাশাপাশি ৩৯৯ ক্যাচ ও ২৬৩ স্ট্যাম্পিং করেছেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৫৪ টেস্টে অংশ নিয়ে ২২.৬৫ গড়ে ১,৪২৭ রান তুলেছেন। এছাড়াও ৭৮ ক্যাচ ও ৫২ স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি। টেস্টে ৫২ স্ট্যাম্পিং অদ্যাবধি বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৪৫ খেলায় ৬,১৩৫ রান করেছেন ২৩.৭৭ গড়ে। পাশাপাশি ৩৯৯ ক্যাচ ও ২৬৩ স্ট্যাম্পিং করেছেন তিনি।


১৯২৭ সালে উইজডেন কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত হন তিনি।<ref>[http://www.espncricinfo.com/ci/content/story/209422.html Full List of Wisden cricketer of the year on Cricinfo]</ref> তাঁর সম্মানার্থে সিডনির কাছাকাছি কিলারায় একটি ওভালের নামকরণ হয়েছে। ১০ আগস্ট, ১৯৭৬ তারিখে ৮১ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের কিলারা এলাকায় বার্ট ওল্ডফিল্ডের দেহাবসান ঘটে।
১৯২৭ সালে উইজডেন কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত হন তিনি।<ref>[http://www.espncricinfo.com/ci/content/story/209422.html Full List of Wisden cricketer of the year on Cricinfo]</ref> তার সম্মানার্থে সিডনির কাছাকাছি কিলারায় একটি ওভালের নামকরণ হয়েছে। ১০ আগস্ট, ১৯৭৬ তারিখে ৮১ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের কিলারা এলাকায় বার্ট ওল্ডফিল্ডের দেহাবসান ঘটে।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

২০:১২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বার্ট ওল্ডফিল্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামউইলিয়াম আলবার্ট স্ট্যানলি ওল্ডফিল্ড
জন্ম(১৮৯৪-০৯-০৯)৯ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪
আলেকজান্দ্রিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১০ আগস্ট ১৯৭৬(1976-08-10) (বয়স ৮১)
কিলারা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১০৯)
১৭ ডিসেম্বর ১৯২০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩ মার্চ ১৯৩৭ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯১৯-১৯৩৮নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৫৪ ২৪৫
রানের সংখ্যা ১,৪২৭ ৬,১৩৫
ব্যাটিং গড় ২২.৬৫ ২৩.৭৭
১০০/৫০ ০/৪ ৬/২১
সর্বোচ্চ রান ৬৫* ১৩৭
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭৮/৫২ ৩৯৯/২৬৩
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ জুলাই ২০১৭

উইলিয়াম আলবার্ট স্ট্যানলি বার্ট ওল্ডফিল্ড (ইংরেজি: Bert Oldfield; জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ - মৃত্যু: ১০ আগস্ট, ১৯৭৬) নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন বার্ট ওল্ডফিল্ড। ১৯২০ থেকে ১৯৩৭ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

১৫শ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সে কর্পোরাল হিসেবে প্রথম অস্ট্রেলীয় রাজকীয় বাহিনীতে চাকুরী করেন। ১৯১৭ সালে পায়ে গুলি লাগলে আহত হন তিনি। যুদ্ধ শেষ হলে অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্সেস ক্রিকেট দলের সদস্য মনোনীত হন। দলটি ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ২৮টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয়।

১৯১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯২০-২১ মৌসুমে নিজ শহর সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি তার প্রথম টেস্টে অংশ নেন। পরবর্তী বেশ কয়েকবছর দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু উইকেট-রক্ষক হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৯২৪-২৫ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন।

বডিলাইন সিরিজ

এরপর তার খেলোয়াড়ী জীবনে আরও একটি টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ১৯৩২-৩৩ মৌসুমের কুখ্যাত বডিলাইন সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। অ্যাডিলেডের প্রসিদ্ধ তৃতীয় টেস্টে ইংরেজদের বডিলাইন কৌশলের প্রয়োগ ঘটে। ইংরেজ বোলাররা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের শরীর লক্ষ্য করে বোলিং করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু ফাস্ট বোলার হ্যারল্ড লারউডের ছোঁড়া বল অপ্রত্যাশিতভাবে তার মাথায় আঘাত করলে সর্বাপেক্ষা নাটকীয় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে।[২] ফলশ্রুতিতে উডফুলের সহায়তায় তাকে মাঠ ত্যাগ করে ড্রেসিং রুমে পাঠানো হয়।[৩][৪] এরফলে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি ও অস্ট্রেলিয়া ১৯৩ রানে অল আউট হয়।[৫] পরবর্তীতে বডিলাইন ক্রীড়ার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ইংরেজ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ প্রেরণ করে।[৬] ১৯৩৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বশেষবারের মতো অংশ নেন।

সম্মাননা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৫৪ টেস্টে অংশ নিয়ে ২২.৬৫ গড়ে ১,৪২৭ রান তুলেছেন। এছাড়াও ৭৮ ক্যাচ ও ৫২ স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি। টেস্টে ৫২ স্ট্যাম্পিং অদ্যাবধি বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৪৫ খেলায় ৬,১৩৫ রান করেছেন ২৩.৭৭ গড়ে। পাশাপাশি ৩৯৯ ক্যাচ ও ২৬৩ স্ট্যাম্পিং করেছেন তিনি।

১৯২৭ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন তিনি।[৭] তার সম্মানার্থে সিডনির কাছাকাছি কিলারায় একটি ওভালের নামকরণ হয়েছে। ১০ আগস্ট, ১৯৭৬ তারিখে ৮১ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের কিলারা এলাকায় বার্ট ওল্ডফিল্ডের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

  1. "Bert Oldfield's Cricinfo Profile"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৬ 
  2. Haigh and Frith, p. 73.
  3. Frith, pp. 216–18.
  4. Piesse, p. 128.
  5. "Player Oracle WM Woodfull"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০০৯ 
  6. Perry, pp. 144–146.
  7. Full List of Wisden cricketer of the year on Cricinfo

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ