শোফিল্ড হেই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ সংশোধন (উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ও/বা অন্যান্য) |
|||
৫৬ নং লাইন: | ৫৬ নং লাইন: | ||
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == |
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == |
||
বেরি ব্রো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শোফিল্ড হেই ক্লাব ক্রিকেটে কেইলি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। এরপর ১৮৯৫ সালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] অভিষেক ঘটে |
বেরি ব্রো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শোফিল্ড হেই ক্লাব ক্রিকেটে কেইলি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। এরপর ১৮৯৫ সালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] অভিষেক ঘটে তার। ‘টাইকসে’র পক্ষে ১৯১৩ সাল অবদি খেলে প্রভূতঃ খ্যাতি ও সম্মান কুড়িয়েছেন।<ref name="YB">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook |শেষাংশ=Warner |প্রথমাংশ=David |বছর=2011 |সংস্করণ=113th |প্রকাশক=Great Northern Books |অবস্থান=Ilkley, Yorkshire |আইএসবিএন=978-1-905080-85-4 |পাতা=369 |ইউআরএল= }}</ref> ক্লাবের পক্ষে আঠারোটি মৌসুমে অংশ নিয়েছেন। |
||
১৮৯৫ সাল থেকে [[হেডলি ভেরিটি]] বাদে অন্য যে-কোন সহস্রাধিক উইকেট লাভকারী বোলারের তুলনায় |
১৮৯৫ সাল থেকে [[হেডলি ভেরিটি]] বাদে অন্য যে-কোন সহস্রাধিক উইকেট লাভকারী বোলারের তুলনায় তার বোলিং গড় সর্বনিম্ন পর্যায়ের। এছাড়াও, দৃঢ়প্রত্যয়ী ব্যাটসম্যান হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার। ১৯০৪ সালে সহস্রাধিক রান তুলেছেন। ১৯০১ সালে মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির পূর্বেই সেঞ্চুরি করার কীর্তি রয়েছে তার। দক্ষ [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডার]] ছিলেন তিনি। |
||
অকার্যকর ধীরগতিসম্পন্ন বল নিয়ে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ফাস্ট বোলার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন শোফিল্ড হেই। এর পাশাপাশি খেলায় ফিরিয়ে আনায়ও প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৮৯৬ সালে |
অকার্যকর ধীরগতিসম্পন্ন বল নিয়ে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ফাস্ট বোলার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন শোফিল্ড হেই। এর পাশাপাশি খেলায় ফিরিয়ে আনায়ও প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৮৯৬ সালে তার স্বরূপ তুলে ধরেন। ব্যাটিং উপযোগী পিচেও উইকেট লাভে চমৎকার দক্ষতা প্রদর্শন করেন। মাত্র ১৫-এর অধিক গড়ে ৮৪ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ৮/৭৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। |
||
তবে, পরের বছর |
তবে, পরের বছর তার দ্রুত বোলিং ভঙ্গীমা নিয়ে প্রথমবারের আলোচনায় আসতে থাকে। ১৮.৭৫ গড়ে ৯১ উইকেট লাভের ফলে জাতীয় গড়ে শীর্ষ বিশজনের তালিকায় নাম চলে আসে। তবে, বোলিং উপযোগী পিচে ইয়র্কশায়ারের অন্যান্য বোলারের তুলনায় কমই গুরুত্ব পেতেন। কিন্তু বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে তাকে রুখে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভবের কাতারে আসে। নিজ মাঠে [[সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সারে]] ও ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে তিনি দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। এছাড়াও, পরের বছর লর্ডসে মিডলসেক্সের বিপক্ষে বেশ ভালো খেলেছিলেন। পোঁতানো উইকেটের সাথে তুলনান্তে যা খুব কমই ছিল। এ ধরনের উইকেটে [[Hampshire County Cricket Club|হ্যাম্পশায়ারের]] বিপক্ষে একদিনে ৪৩ রানের বিনিময়ে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।<ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/f/4/f4637.html Schofield Haigh]. Cricketarchive.co.uk</ref> |
||
পরবর্তী সময়গুলোয় হেইয়ের ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটতে থাকে। ১৯০১ সালে ২৬ গড়ে রান তুলেছিলেন। ১৯০০ সালে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে সমূহ পরাজয়বরণ করা থেকে ইয়র্কশায়ারকে রক্ষা করেন। ঐ বছর ১৪-এর অল্প বেশী গড়ে ১৬৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯০২ সালে ৭৯৯ ওভার বোলিং করে ১৫৮ উইকেট দখল করেছিলেন। |
পরবর্তী সময়গুলোয় হেইয়ের ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটতে থাকে। ১৯০১ সালে ২৬ গড়ে রান তুলেছিলেন। ১৯০০ সালে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে সমূহ পরাজয়বরণ করা থেকে ইয়র্কশায়ারকে রক্ষা করেন। ঐ বছর ১৪-এর অল্প বেশী গড়ে ১৬৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯০২ সালে ৭৯৯ ওভার বোলিং করে ১৫৮ উইকেট দখল করেছিলেন। |
||
== টেস্ট ক্রিকেট == |
== টেস্ট ক্রিকেট == |
||
১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে [[মার্টিন হক|লর্ড হকের]] নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে শোফিল্ড হেইয়ের। অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য |
১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে [[মার্টিন হক|লর্ড হকের]] নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে শোফিল্ড হেইয়ের। অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য তাকে কখনো বেছে নেয়া হয়নি। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যাটিং পিচে মাঝারিমানের সফলতা পেয়েছেন যা কাউন্টি খেলাগুলোর তুলনায় কিছুই নয়। |
||
১৯০৫ সালে টেস্ট দলে খেলার জন্য পুণরায় অন্তর্ভূক্ত হন। পোঁতানো উইকেটে প্রত্যাশিত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। ফলে, ১৯০৯ সালের পূর্ব-পর্যন্ত |
১৯০৫ সালে টেস্ট দলে খেলার জন্য পুণরায় অন্তর্ভূক্ত হন। পোঁতানো উইকেটে প্রত্যাশিত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। ফলে, ১৯০৯ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে আর টেস্ট দলে দেখা যায়নি। ১৯১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু তেমন সফলতা পাননি। এ সময় তার বয়স ছিল ৪১। |
||
উপর্যুপরী পাঁচ মৌসুমে জাতীয় গড়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছেন। কেবলমাত্র, ১৯০৭ সালে [[Albert Hallam|আলবার্ট হলামের]] কীর্তির কাছে |
উপর্যুপরী পাঁচ মৌসুমে জাতীয় গড়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছেন। কেবলমাত্র, ১৯০৭ সালে [[Albert Hallam|আলবার্ট হলামের]] কীর্তির কাছে তার সাফল্য ঢাকা পড়ে যায়। ঐ বছর ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে খেলায় মাত্র ৪০ রান দিয়ে ১৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। [[উইলফ্রেড রোডস]] ও [[জর্জ হার্স্ট|জর্জ হার্স্টের]] ন্যায় ইয়র্কশায়ারের বোলারেরা দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতেন। পরবর্তীতে এর সুফল ভোগ করতেন তিনি। ১৯১০ সালে মন্দ সময় কাটানোর পর ১৯১১ ও ১৯১২ সালে খেলার ছন্দে ফিরে আসেন। ১১.৪১ গড়ে ৯৬ উইকেট লাভে [[আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা|ইয়র্কশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে]] প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এ সময় তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশকিছু কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। তবে, বড় অঙ্কের দিকে ধাবিত হতে পারেননি। অন্যদিকে তার বোলিং কার্যতঃ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। |
||
== অবসর == |
== অবসর == |
||
৮১ নং লাইন: | ৮১ নং লাইন: | ||
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯০১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটারের]] সম্মাননায় ভূষিত হন শোফিল্ড হেই। |
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯০১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটারের]] সম্মাননায় ভূষিত হন শোফিল্ড হেই। |
||
ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন স্কোফিল্ড হেই। তবে, এ বোলিংয়ের মাধ্যমেই খুব ধীরগতিতে কিংবা খুব দ্রুততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। পিচের সহযোগিতা পেলে অফের দিক থেকে বলকে স্পিন করাতে পারতেন। হেইয়ের বোলিংয়ের কার্যকারিতা বেশ প্রশংসনীয় ছিল। ৭৪%-এর অধিক [[উইকেট]] অন্য কোন ফিল্ডারের সহযোগিতা ছাড়াই পেয়েছেন। ৫০০ বা তদূর্ধ্ব উইকেট লাভকারী যে-কোন বোলারের তুলনায় এ গড় সর্বোচ্চ। তবে, শারীরিক গড়নের কারণে অধিক সময় ধরে ক্রমাগত বোলিং করতে পারতেন না তিনি। শীর্ষসারির বোলারদের কারণে প্রায়শঃই কম ওভার বোলিং করতেন। এছাড়াও, চমৎকার পিচে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের কাছে |
ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন স্কোফিল্ড হেই। তবে, এ বোলিংয়ের মাধ্যমেই খুব ধীরগতিতে কিংবা খুব দ্রুততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। পিচের সহযোগিতা পেলে অফের দিক থেকে বলকে স্পিন করাতে পারতেন। হেইয়ের বোলিংয়ের কার্যকারিতা বেশ প্রশংসনীয় ছিল। ৭৪%-এর অধিক [[উইকেট]] অন্য কোন ফিল্ডারের সহযোগিতা ছাড়াই পেয়েছেন। ৫০০ বা তদূর্ধ্ব উইকেট লাভকারী যে-কোন বোলারের তুলনায় এ গড় সর্বোচ্চ। তবে, শারীরিক গড়নের কারণে অধিক সময় ধরে ক্রমাগত বোলিং করতে পারতেন না তিনি। শীর্ষসারির বোলারদের কারণে প্রায়শঃই কম ওভার বোলিং করতেন। এছাড়াও, চমৎকার পিচে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের কাছে তার বোলিং বেধড়ক পিটুনি খেতো। |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৩:৪২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | শোফিল্ড হেই | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেরি ব্রো, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৯ মার্চ ১৮৭১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ হাডার্সফিল্ড, ইংল্যান্ড | (বয়স ৪৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১৩) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩১ জুলাই ১৯১২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৫–১৯১৩ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩০ আগস্ট ২০১৮ |
শোফিল্ড হেই (ইংরেজি: Schofield Haigh; জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৮৭১ - মৃত্যু: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১) ইয়র্কশায়ারের বেরি ব্রো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৯ থেকে ১৯১২ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
বেরি ব্রো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শোফিল্ড হেই ক্লাব ক্রিকেটে কেইলি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। এরপর ১৮৯৫ সালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ‘টাইকসে’র পক্ষে ১৯১৩ সাল অবদি খেলে প্রভূতঃ খ্যাতি ও সম্মান কুড়িয়েছেন।[২] ক্লাবের পক্ষে আঠারোটি মৌসুমে অংশ নিয়েছেন।
১৮৯৫ সাল থেকে হেডলি ভেরিটি বাদে অন্য যে-কোন সহস্রাধিক উইকেট লাভকারী বোলারের তুলনায় তার বোলিং গড় সর্বনিম্ন পর্যায়ের। এছাড়াও, দৃঢ়প্রত্যয়ী ব্যাটসম্যান হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার। ১৯০৪ সালে সহস্রাধিক রান তুলেছেন। ১৯০১ সালে মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির পূর্বেই সেঞ্চুরি করার কীর্তি রয়েছে তার। দক্ষ ফিল্ডার ছিলেন তিনি।
অকার্যকর ধীরগতিসম্পন্ন বল নিয়ে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ফাস্ট বোলার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন শোফিল্ড হেই। এর পাশাপাশি খেলায় ফিরিয়ে আনায়ও প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৮৯৬ সালে তার স্বরূপ তুলে ধরেন। ব্যাটিং উপযোগী পিচেও উইকেট লাভে চমৎকার দক্ষতা প্রদর্শন করেন। মাত্র ১৫-এর অধিক গড়ে ৮৪ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ৮/৭৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন।
তবে, পরের বছর তার দ্রুত বোলিং ভঙ্গীমা নিয়ে প্রথমবারের আলোচনায় আসতে থাকে। ১৮.৭৫ গড়ে ৯১ উইকেট লাভের ফলে জাতীয় গড়ে শীর্ষ বিশজনের তালিকায় নাম চলে আসে। তবে, বোলিং উপযোগী পিচে ইয়র্কশায়ারের অন্যান্য বোলারের তুলনায় কমই গুরুত্ব পেতেন। কিন্তু বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে তাকে রুখে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভবের কাতারে আসে। নিজ মাঠে সারে ও ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে তিনি দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। এছাড়াও, পরের বছর লর্ডসে মিডলসেক্সের বিপক্ষে বেশ ভালো খেলেছিলেন। পোঁতানো উইকেটের সাথে তুলনান্তে যা খুব কমই ছিল। এ ধরনের উইকেটে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে একদিনে ৪৩ রানের বিনিময়ে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[৩]
পরবর্তী সময়গুলোয় হেইয়ের ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটতে থাকে। ১৯০১ সালে ২৬ গড়ে রান তুলেছিলেন। ১৯০০ সালে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে সমূহ পরাজয়বরণ করা থেকে ইয়র্কশায়ারকে রক্ষা করেন। ঐ বছর ১৪-এর অল্প বেশী গড়ে ১৬৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯০২ সালে ৭৯৯ ওভার বোলিং করে ১৫৮ উইকেট দখল করেছিলেন।
টেস্ট ক্রিকেট
১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে শোফিল্ড হেইয়ের। অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য তাকে কখনো বেছে নেয়া হয়নি। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যাটিং পিচে মাঝারিমানের সফলতা পেয়েছেন যা কাউন্টি খেলাগুলোর তুলনায় কিছুই নয়।
১৯০৫ সালে টেস্ট দলে খেলার জন্য পুণরায় অন্তর্ভূক্ত হন। পোঁতানো উইকেটে প্রত্যাশিত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। ফলে, ১৯০৯ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে আর টেস্ট দলে দেখা যায়নি। ১৯১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু তেমন সফলতা পাননি। এ সময় তার বয়স ছিল ৪১।
উপর্যুপরী পাঁচ মৌসুমে জাতীয় গড়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছেন। কেবলমাত্র, ১৯০৭ সালে আলবার্ট হলামের কীর্তির কাছে তার সাফল্য ঢাকা পড়ে যায়। ঐ বছর ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে খেলায় মাত্র ৪০ রান দিয়ে ১৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। উইলফ্রেড রোডস ও জর্জ হার্স্টের ন্যায় ইয়র্কশায়ারের বোলারেরা দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতেন। পরবর্তীতে এর সুফল ভোগ করতেন তিনি। ১৯১০ সালে মন্দ সময় কাটানোর পর ১৯১১ ও ১৯১২ সালে খেলার ছন্দে ফিরে আসেন। ১১.৪১ গড়ে ৯৬ উইকেট লাভে ইয়র্কশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এ সময় তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশকিছু কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। তবে, বড় অঙ্কের দিকে ধাবিত হতে পারেননি। অন্যদিকে তার বোলিং কার্যতঃ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
অবসর
বয়সের ভারে ন্যূহ হয়ে পড়ায় ১৯১৩ সাল শেষে কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। উইনচেস্টার স্কুলে উদীয়মান ডগলাস জারদিনের উত্তরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর স্কারবোরা উৎসবে বেশকিছু প্রথম-শ্রেণীর খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১ তারিখে হাডার্সফিল্ডের টেলর হিল এলাকায় মাত্র ৫০ বছর বয়সে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শোফিল্ড হেইয়ের দেহাবসান ঘটে।
খেলার ধরন
ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯০১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন শোফিল্ড হেই।
ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন স্কোফিল্ড হেই। তবে, এ বোলিংয়ের মাধ্যমেই খুব ধীরগতিতে কিংবা খুব দ্রুততার সাথে বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। পিচের সহযোগিতা পেলে অফের দিক থেকে বলকে স্পিন করাতে পারতেন। হেইয়ের বোলিংয়ের কার্যকারিতা বেশ প্রশংসনীয় ছিল। ৭৪%-এর অধিক উইকেট অন্য কোন ফিল্ডারের সহযোগিতা ছাড়াই পেয়েছেন। ৫০০ বা তদূর্ধ্ব উইকেট লাভকারী যে-কোন বোলারের তুলনায় এ গড় সর্বোচ্চ। তবে, শারীরিক গড়নের কারণে অধিক সময় ধরে ক্রমাগত বোলিং করতে পারতেন না তিনি। শীর্ষসারির বোলারদের কারণে প্রায়শঃই কম ওভার বোলিং করতেন। এছাড়াও, চমৎকার পিচে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের কাছে তার বোলিং বেধড়ক পিটুনি খেতো।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Schofield Haigh"। Espncricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১১।
- ↑ Warner, David (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 369। আইএসবিএন 978-1-905080-85-4।
- ↑ Schofield Haigh. Cricketarchive.co.uk
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে শোফিল্ড হেই (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে শোফিল্ড হেই (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- The last resting place of Schofield Haigh[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]