কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AmitMandal2019 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪০ নং লাইন: ৪০ নং লাইন:
অন্যদিকে দহি হান্ডি প্রথায় অনেক উঁচুতে মাখনের হাড়ি রাখা হয় এবং অনেক ছেলে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করে সেই হাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। তামিলনাড়ুতে এ প্রথা উড়িয়াদি নামে পরিচিত।
অন্যদিকে দহি হান্ডি প্রথায় অনেক উঁচুতে মাখনের হাড়ি রাখা হয় এবং অনেক ছেলে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করে সেই হাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। তামিলনাড়ুতে এ প্রথা উড়িয়াদি নামে পরিচিত।


এই দিন মানুষ কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করার জন্য অভক্ত থাকে, ধর্মীয় গান গায় এবং উপবাস পালন করে।
এই দিন মানুষ কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করার জন্য অভুক্ত থাকে, ধর্মীয় গান গায় এবং উপবাস পালন করে।


   শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতে মধ্যরাতে তার ছোট ছোট মূর্তি কে স্নান করিয়ে কাপড় দিয়ে মোছা হয় এবং দোলনায় সাজানো হয়। তারপর উপাসক মন্ডলী নিজেদের মধ্যে খাদ্য ও মিষ্টান্ন বিনিময় করে উপবাস ভঙ্গ করে।
   শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতে মধ্যরাতে তার ছোট ছোট মূর্তি কে স্নান করিয়ে কাপড় দিয়ে মোছা হয় এবং দোলনায় সাজানো হয়। তারপর উপাসক মন্ডলী নিজেদের মধ্যে খাদ্য ও মিষ্টান্ন বিনিময় করে উপবাস ভঙ্গ করে।

১৫:০২, ২১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কৃষ্ণজন্মাষ্টমী
জন্মাষ্টমীতে পূজিত কৃষ্ণের বালগোপাল মূর্তি
অন্য নামজন্মাষ্টমী
পালনকারীহিন্দু
ধরনধর্মীয়
উদযাপন২-৮ দিন
পালনউপবাস, পূজা-প্রার্থনা
তারিখভাদ্র কৃষ্ণ পক্ষ অষ্টমী
সম্পর্কিতকৃষ্ণ

জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণজন্মাষ্টমী (দেবনাগরী कृष्ण जन्माष्टमी kṛṣṇa janmāṣṭami) একটি হিন্দু উৎসব। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি।[১]

হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।[২] কৃষ্ণের জীবনের নাটকীয় উপস্থাপন রাসলীলা মথুরা, বৃন্দাবন, মণিপুর ইত্যাদি স্থানে এই উৎসবের সাথে করা হয়।[৩] রাস লীলায় কৃষ্ণের ছোট বয়সের কর্ম-কাণ্ড দেখানো হয়, অন্যদিকে, দহি হাণ্ডি প্রথায় কৃষ্ণের দুষ্ট স্বভাব প্রতিফলিত করা হয় যেখানে কয়েকজন শিশু মিলে উচ্চস্থানে বেঁধে রাখা মাখনের হাড়ি ভাঙতে চেষ্টা করে। এই পরম্পরাকে তামিলনাডুতে উরিয়াদি নামে পালন করা হয়। কৃষ্ণের জন্ম হাওয়ায় নন্দের সকলকে উপহার বিতরণের কাহিনী উদ্‌যাপন করতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর বহু স্থানে নন্দোৎসব পালন করা হয়।[৪]

কিংবদন্তী

Painting of Krishna being carried across the river.
কৃষ্ণকে নদী পার করিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য

কৃষ্ণ দেবকী এবং বাসুদেবের অষ্টম সন্তান ছিলেেন। পুরানো পুঁথির বর্ণনা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা অনুসারে কৃষ্ণের জন্মর তারিখ হল [৫] খ্রীষ্টপূর্ব ৩২২৮ সালের ১৮ জুলাই এবং তাঁর মৃত্যুর দিন খ্রীষ্টপূর্ব ৩১০২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী।[৬][৭] কৃষ্ণ মথুরার যাদববংশের বৃষ্ণি গোত্রের মানুষ ছিলেন।[৮]

শ্রীকৃষ্ণের সংক্ষিপ্ত জীবনী

শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন দেবকি ও বাসুদেব এর সন্তান এবং হিন্দু ধর্মাম্বলীরা তাঁর জন্মদিন জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে।

  শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় চারিদিকে অরাজকতা, নিপীরন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। সেই সময় মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। সর্বত্র ছিল অশুভ শক্তির বিস্তার।

   শ্রীকৃষ্ণের মামা কংস ছিলেন তাঁর জীবনের শত্রু। মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সাথে সাথে সেই রাতে তাঁর বাবা বাসুদেব তাঁকে যমুনা নদী পার করে গোকুলে পালক মাতা পিতা যশোদা ও নন্দ র কাছে রেখে আসেন।[৯]

জন্মাষ্টমী কিভাবে পালন করা হয়

হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশেষত বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব নানা ভাবে উদযাপন করা হয়। যেমন - ভগবত পুরাণ অনুযায়ী নৃত্য, নাটক যাকে বলা হয় রাসলীলা বা কৃষ্ণ লীলা, মধ্যরাত্রি তে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে ধর্মীয় গীত গাওয়া, উপবাস, দহি হান্ডি প্রভৃতি।

রাসলীলা তে মূলত শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হয়।

অন্যদিকে দহি হান্ডি প্রথায় অনেক উঁচুতে মাখনের হাড়ি রাখা হয় এবং অনেক ছেলে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করে সেই হাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। তামিলনাড়ুতে এ প্রথা উড়িয়াদি নামে পরিচিত।

এই দিন মানুষ কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করার জন্য অভুক্ত থাকে, ধর্মীয় গান গায় এবং উপবাস পালন করে।

   শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতে মধ্যরাতে তার ছোট ছোট মূর্তি কে স্নান করিয়ে কাপড় দিয়ে মোছা হয় এবং দোলনায় সাজানো হয়। তারপর উপাসক মন্ডলী নিজেদের মধ্যে খাদ্য ও মিষ্টান্ন বিনিময় করে উপবাস ভঙ্গ করে।

   গৃহস্ত মহিলারা বাড়ির বিভিন্ন দরজার বাইরে, রান্নাঘরে শ্রী কৃষ্ণের পদচিহ্ন এঁকে দেন যা শ্রীকৃষ্ণের যাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১০]

আরও দেখুন

পাদটীকা

  1. "Sri Krishna Janamashtami celebrated in the city"The Hindu। আগস্ট ২৪, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১২ 
  2. Ashtami Rohini 2011 in Kerala – Sri Krishna Jayanti and Janmashtami
  3. "In Pictures: People Celebrating Janmashtami in India"। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১২ 
  4. Packert, Cynthia. The Art of Loving Krishna: Ornamentation and Devotion. Indiana University Press, 2010. Print.
  5. Knott, Kim (২০০০)। Hinduism: A Very Short Introduction। Oxford University Press, USA। পৃষ্ঠা 160। আইএসবিএন 0-19-285387-2 
  6. "Information on Lord Krishna Birth and Death Time"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৫ 
  7. Krishna
  8. Pargiter, F.E. (1972) [1922]. Ancient Indian Historical Tradition, Delhi: Motilal Banarsidass, pp.105–107.
  9. Mandal, Amit; adisikha (আগস্ট ২৩, ২০১৯)। "Janmashtami 2019 : জন্মাষ্টমী সম্পর্কে সব কিছু জেনে নিন"আদি শিখা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৮ 
  10. Adisikha, Amit; Mandal (আগস্ট ২৩, ২০১৯)। "জন্মাষ্টমী 2019 সম্পর্কে সব কিছু জেনে নিন"আদি শিখা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৮ 

বহিঃসংযোগ