দজলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র+
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
}}
}}
[[File:Haifa street, as seen from the medical city hospital across the tigres.jpg|thumb|[[বাগদাদ]]ে দজলা নদী (২০১৬)]]
[[File:Haifa street, as seen from the medical city hospital across the tigres.jpg|thumb|[[বাগদাদ]]ে দজলা নদী (২০১৬)]]
'''দজলা নদী''' ({{lang-ar|دجلة}}) বা '''দজলা''' দক্ষিণ-পশ্চিম [[এশিয়া|এশিয়ার]] একটি [[নদী]]। নদীটি [[তুরস্ক|তুরস্কে]] উৎপত্তি লাভ করে [[ইরাক|ইরাকের]] ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইউফ্রেটিস নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এবং শাত আল আরব নামে [[পারস্য উপসাগর|পারস্য উপসাগরে]] পড়েছে।
'''দজলা নদী''' ({{lang-ar|دجلة}}) বা '''দজলা''' দক্ষিণ-পশ্চিম [[এশিয়া|এশিয়ার]] একটি [[নদী]]। নদীটি [[তুরস্ক|তুরস্কে]] উৎপত্তি লাভ করে [[ইরাক|ইরাকের]] ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইউফ্রেটিস নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এবং শাত আল আরব নামে [[পারস্য উপসাগর|পারস্য উপসাগরে]] পড়েছে।<ref>[https://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2017/10/07/550899 কালের কণ্ঠ]</ref>


দজলা নদীর দৈর্ঘ্য ১,৯০০ [[কিলোমিটার]] এবং এর নদীবিধৌত অববাহিকার [[আয়তন]] ১,১০,০০০ [[বর্গকিলোমিটার|বর্গকিলোমিটারেরও]] বেশি। নদীটি পূর্ব [[তুরস্ক|তুরস্কের]] পর্বতমালায় উৎপত্তি লাভ করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্বে প্রবাহিত হয়ে কিছু সময়ের জন্য [[সিরিয়া]] ও [[তুরস্ক|তুরস্কের]] সবচেয়ে পূর্বের সীমান্ত গঠন করে [[ইরাক|ইরাকে]] প্রবেশ করেছে। ইরাকের ভেতর দিয়ে এটি সর্পিলাকারে মোটামুটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছে এবং এর উপত্যকা [[সমতল পৃথিবী|সমতল]] ও বিস্তৃত আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ ইরাকে এটি [[ইউফ্রেটিস]] নদীর সাথে মিলিত হয়ে শাত আল আরব [[নদী]] গঠন করেছে, যা আরও [[১৭০]] [[কিলোমিটার]] প্রবাহিত হয়ে [[পারস্য উপসাগর|পারস্য উপসাগরে]] পতিত হয়েছে। প্রাচীনকালে [[ইউফ্রেটিস]] ও দজলার মধ্যবর্তী অববাহিকাতে বিখ্যাত সব [[মেসোপটেমিয়া|মেসোপটেমীয়]] [[সভ্যতা]] বিকাশ লাভ করেছিল। দজলানদীর তীরে প্রাচীন [[আসিরীয়া|আসিরীয় সভ্যতার]] নিনেভেহ শহরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত। এছাড়া সেলেউসিয়া ও তেসিফোনে রঅবশেষও আছে এখানে।
দজলা নদীর দৈর্ঘ্য ১,৯০০ [[কিলোমিটার]] এবং এর নদীবিধৌত অববাহিকার [[আয়তন]] ১,১০,০০০ [[বর্গকিলোমিটার|বর্গকিলোমিটারেরও]] বেশি। নদীটি পূর্ব [[তুরস্ক|তুরস্কের]] পর্বতমালায় উৎপত্তি লাভ করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্বে প্রবাহিত হয়ে কিছু সময়ের জন্য [[সিরিয়া]] ও [[তুরস্ক|তুরস্কের]] সবচেয়ে পূর্বের সীমান্ত গঠন করে [[ইরাক|ইরাকে]] প্রবেশ করেছে। ইরাকের ভেতর দিয়ে এটি সর্পিলাকারে মোটামুটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছে এবং এর উপত্যকা [[সমতল পৃথিবী|সমতল]] ও বিস্তৃত আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ ইরাকে এটি [[ইউফ্রেটিস]] নদীর সাথে মিলিত হয়ে শাত আল আরব [[নদী]] গঠন করেছে, যা আরও [[১৭০]] [[কিলোমিটার]] প্রবাহিত হয়ে [[পারস্য উপসাগর|পারস্য উপসাগরে]] পতিত হয়েছে। প্রাচীনকালে [[ইউফ্রেটিস]] ও দজলার মধ্যবর্তী অববাহিকাতে বিখ্যাত সব [[মেসোপটেমিয়া|মেসোপটেমীয়]] [[সভ্যতা]] বিকাশ লাভ করেছিল। দজলানদীর তীরে প্রাচীন [[আসিরীয়া|আসিরীয় সভ্যতার]] নিনেভেহ শহরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত। এছাড়া সেলেউসিয়া ও তেসিফোনে রঅবশেষও আছে এখানে।

১৮:০৬, ৩১ জুলাই ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দজলা
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
মোহনাশাত আল আরব
বাগদাদে দজলা নদী (২০১৬)

দজলা নদী (আরবি: دجلة) বা দজলা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার একটি নদী। নদীটি তুরস্কে উৎপত্তি লাভ করে ইরাকের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইউফ্রেটিস নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এবং শাত আল আরব নামে পারস্য উপসাগরে পড়েছে।[১]

দজলা নদীর দৈর্ঘ্য ১,৯০০ কিলোমিটার এবং এর নদীবিধৌত অববাহিকার আয়তন ১,১০,০০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। নদীটি পূর্ব তুরস্কের পর্বতমালায় উৎপত্তি লাভ করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্বে প্রবাহিত হয়ে কিছু সময়ের জন্য সিরিয়াতুরস্কের সবচেয়ে পূর্বের সীমান্ত গঠন করে ইরাকে প্রবেশ করেছে। ইরাকের ভেতর দিয়ে এটি সর্পিলাকারে মোটামুটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়েছে এবং এর উপত্যকা সমতল ও বিস্তৃত আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ ইরাকে এটি ইউফ্রেটিস নদীর সাথে মিলিত হয়ে শাত আল আরব নদী গঠন করেছে, যা আরও ১৭০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে পারস্য উপসাগরে পতিত হয়েছে। প্রাচীনকালে ইউফ্রেটিস ও দজলার মধ্যবর্তী অববাহিকাতে বিখ্যাত সব মেসোপটেমীয় সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল। দজলানদীর তীরে প্রাচীন আসিরীয় সভ্যতার নিনেভেহ শহরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত। এছাড়া সেলেউসিয়া ও তেসিফোনে রঅবশেষও আছে এখানে।

দজলার প্রধান প্রধান উপনদী হল বৃহৎ জাব, ক্ষুদ্র জাব, দিয়ালা এবং আল উজায়িম। এগুলি সবই ইরাকের অভ্যন্তরে দজলানদীর সাথে মিলিত হয়েছে। তবে বৃহৎ জাব নদী তুরস্কে এবং ক্ষুদ্র জাব ও দিয়ালা নদী ইরানে উৎপত্তি লাভ করেছে। দজলা নদীর তীরে অবস্থিত প্রধান শহরের মধ্যে আছে তুরস্কের দিয়ারবাকির এবং ইরাকের মোসুল ও বাগদাদ শহর। দজলা নদী অত্যন্ত অগভীর বলে এখানে ছোট নৌকা ছাড়া আর কিছু চালানো যায় না। বিশেষত বাগদাদের পর থেকে নদীটি একাধিক অগভীর শাখার বিভক্ত হয়ে গেছে এবং ঘন জলাভূমির মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

অতীতে উচ্চভূমির শীতকালীন বরফগলা পানি এবং শীতের শেষের বৃষ্টিপাতের ফলে দজলা নদীতে প্রায়ই বন্যার সৃষ্টি হত। ১৯৫০ সালে সামারা বাঁধ নির্মাণ করে দজলার অতিরিক্ত পানি মধ্য ইরাকের থারথার অঞ্চলে প্রবাহিত করা হয়। দজলার বয়ে আনা অতিরিক্ত পলিমাটি কমানোরও ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে এর ফলে দক্ষিণ ইরাকে সুপেয় পানির সরবরাহ হ্রাস পায় এবং দক্ষিণ ইরাকে পারস্য উপসাগরের লবণাক্ত পানি দজলার সুপেয় পানির সাথে মিশে যেতে থাকে। ফলে স্থানীয় [[কৃষিকার্য |কৃষির]] ক্ষতি হয়।

উল্লেখযোগ্য শহর

বাগদাদ

  1. কালের কণ্ঠ