আগাছা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rakibul Islam khan Plabon (আলোচনা | অবদান)
তথ্য সংযোজন
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Praxidicae (আলোচনা | অবদান)
Rakibul Islam khan Plabon-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Ahmad Kanik-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
আগাছাকে সরুপাতা বা প্রশস্ত পাতাবিশিষ্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটা এদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন ধরনের ঘাস অত্যন্ত সাধারণ সরু পাতাবিশিষ্ট আগাছা যা একবীজপত্রীর অন্তর্ভুক্ত। প্রশস্ত পাতাবিশিষ্ট আগাছা অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ যা দ্বিবীজপত্রীভুক্ত। আগাছা জলজ, স্থলজ, আরোহী ও উভচর ইত্যাদি শ্রেণির হয়ে থাকে। প্রায় সকল আগাছাই স্বভোজী তবে কিছু পরজীবী আগাছাও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় ও ক্ষেত্রবিশেষে আগাছাকে সাধারণভাবে অবাঞ্চিত হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এগুলি ঔষধ, শাকসবজি, পশুখাদ্য ও জ্বালানি হিসেবে এবং জমির জৈব পদার্থ আবর্তনে ব্যবহৃত হতে পারে। বাংলাদেশে আবাদকৃত জমির আগাছা হিসেবে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উল্লেখ পাওয়া গেছে। একটি স্থানের প্রজাতির সংখ্যা ভূমির ব্যবহারের ধরন ও এর বাস্তসংস্থানিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল।
আগাছাকে সরুপাতা বা প্রশস্ত পাতাবিশিষ্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটা এদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন ধরনের ঘাস অত্যন্ত সাধারণ সরু পাতাবিশিষ্ট আগাছা যা একবীজপত্রীর অন্তর্ভুক্ত। প্রশস্ত পাতাবিশিষ্ট আগাছা অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ যা দ্বিবীজপত্রীভুক্ত। আগাছা জলজ, স্থলজ, আরোহী ও উভচর ইত্যাদি শ্রেণির হয়ে থাকে। প্রায় সকল আগাছাই স্বভোজী তবে কিছু পরজীবী আগাছাও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় ও ক্ষেত্রবিশেষে আগাছাকে সাধারণভাবে অবাঞ্চিত হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এগুলি ঔষধ, শাকসবজি, পশুখাদ্য ও জ্বালানি হিসেবে এবং জমির জৈব পদার্থ আবর্তনে ব্যবহৃত হতে পারে। বাংলাদেশে আবাদকৃত জমির আগাছা হিসেবে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উল্লেখ পাওয়া গেছে। একটি স্থানের প্রজাতির সংখ্যা ভূমির ব্যবহারের ধরন ও এর বাস্তসংস্থানিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল।
==প্রকারভেদ==
==প্রকারভেদ==
আগাছা প্রজাইর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ একবীজপত্রী উদ্ভিদ আর বাকি গুলো দ্বিবীজপত্রী। সাধারণ [https://greeniculture.com/some-common-weeds-of-bd/ আগাছাসমূহ] Poaceae, Cyperaceae, Leguminosae, Asteraceae, Euphorbiaceae, Scrophulariaceae, Amaranthaceae, Solanaceae ও Acanthaceae ইত্যাদি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। Cyperus, Lindernia, Eragrostis, Panicum, Cynodon, Hygropylla, Euphorbia, Phyllanthus, Leucas, Scoparia, Croton, Celosia, Alternanthera ও Solanum হচ্ছে অত্যন্ত সফল ও সাধারণ গণ। জলজ পরিবেশে Eichornia, Potamogeton, Pistia ও Monochoria গণের প্রজাতিসমূহ গভীর পানির শস্যক্ষেতের সাধারণ আগাছা। ফার্নের তিনটি প্রজাতি Marselia, Ceratopteris ও Salvinia কে বৃষ্টিনির্ভর ধানের জমির আগাছা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান আগাছা উদ্ভিদসমূহের প্রায় ২০% স্থানীয় পরিবেশে খাপ খাওয়ানো বিদেশি আগাছা হিসেবে চিহ্নিত। এদের মধ্যে Argemone maxicana, Alternanthera philoxeroides, Croton bonplandianum, Nicotiana plumbaginifolia, Lathyrus aphaca, Celosia argentea এবং Vicia angustifolia এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
আগাছা প্রজাইর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ একবীজপত্রী উদ্ভিদ আর বাকি গুলো দ্বিবীজপত্রী। সাধারণ আগাছাসমূহ Poaceae, Cyperaceae, Leguminosae, Asteraceae, Euphorbiaceae, Scrophulariaceae, Amaranthaceae, Solanaceae ও Acanthaceae ইত্যাদি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। Cyperus, Lindernia, Eragrostis, Panicum, Cynodon, Hygropylla, Euphorbia, Phyllanthus, Leucas, Scoparia, Croton, Celosia, Alternanthera ও Solanum হচ্ছে অত্যন্ত সফল ও সাধারণ গণ। জলজ পরিবেশে Eichornia, Potamogeton, Pistia ও Monochoria গণের প্রজাতিসমূহ গভীর পানির শস্যক্ষেতের সাধারণ আগাছা। ফার্নের তিনটি প্রজাতি Marselia, Ceratopteris ও Salvinia কে বৃষ্টিনির্ভর ধানের জমির আগাছা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান আগাছা উদ্ভিদসমূহের প্রায় ২০% স্থানীয় পরিবেশে খাপ খাওয়ানো বিদেশি আগাছা হিসেবে চিহ্নিত। এদের মধ্যে Argemone maxicana, Alternanthera philoxeroides, Croton bonplandianum, Nicotiana plumbaginifolia, Lathyrus aphaca, Celosia argentea এবং Vicia angustifolia এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
===জলজ আগাছা===
===জলজ আগাছা===
জলজ আগাছা আংশিক বা সম্পূর্ণ জলজ কোনো প্রজাতি যা জলজ বাস্ত্তসংস্থানের ওপর বিরূপ ভৌত, রাসায়নিক বা জৈব প্রভাব বিস্তার করে এবং অর্থনৈতিক ও নান্দনিক ক্ষতি ঘটায়। এসব জলজ উদ্ভিদ বিভিন্ন বর্গভুক্ত, যেমন শৈবাল, ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও গুপ্তবীজ যারা বিভিন্ন বাস্ত্তসংস্থানিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে অভিযোজিত। এগুলি বদ্ধ, বহমান, ক্ষারীয়, অম্লীয়, স্বাদু বা লবণাক্ত পানিতে জন্মাতে পারে এবং অভিযোজনার ধরন অনুযায়ী প্লাঙ্কটনিক, ভাসমান, তলজীবী (benthic), নিমজ্জিত বা উদগত (emergent) হতে পারে।
জলজ আগাছা আংশিক বা সম্পূর্ণ জলজ কোনো প্রজাতি যা জলজ বাস্ত্তসংস্থানের ওপর বিরূপ ভৌত, রাসায়নিক বা জৈব প্রভাব বিস্তার করে এবং অর্থনৈতিক ও নান্দনিক ক্ষতি ঘটায়। এসব জলজ উদ্ভিদ বিভিন্ন বর্গভুক্ত, যেমন শৈবাল, ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও গুপ্তবীজ যারা বিভিন্ন বাস্ত্তসংস্থানিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে অভিযোজিত। এগুলি বদ্ধ, বহমান, ক্ষারীয়, অম্লীয়, স্বাদু বা লবণাক্ত পানিতে জন্মাতে পারে এবং অভিযোজনার ধরন অনুযায়ী প্লাঙ্কটনিক, ভাসমান, তলজীবী (benthic), নিমজ্জিত বা উদগত (emergent) হতে পারে।

১৭:২৪, ৩১ জুলাই ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আগাছা হচ্ছে অবাঞ্চিত, সমস্যা সৃষ্টিকারী বা অনিষ্টকারী উদ্ভিদ যা বপন বা লাগানো ছাড়াই অতিমাত্রায় নিজে থেকে জন্মে।[১] আগাছা সাধারণত প্রতিযোগী ও অদম্য স্বভাবের এবং অধিক বংশবিস্তারে সক্ষম। এদের জীবনচক্র স্বল্প মেয়াদের। তবে আগাছা নগন্য উদ্ভিদ হলেও এর কোন কোনটি ভেষজগুণসম্পন্ন হয়ে থাকে। [২]

বৈশিষ্ট্য

আগাছাকে সরুপাতা বা প্রশস্ত পাতাবিশিষ্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটা এদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন ধরনের ঘাস অত্যন্ত সাধারণ সরু পাতাবিশিষ্ট আগাছা যা একবীজপত্রীর অন্তর্ভুক্ত। প্রশস্ত পাতাবিশিষ্ট আগাছা অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ যা দ্বিবীজপত্রীভুক্ত। আগাছা জলজ, স্থলজ, আরোহী ও উভচর ইত্যাদি শ্রেণির হয়ে থাকে। প্রায় সকল আগাছাই স্বভোজী তবে কিছু পরজীবী আগাছাও রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় ও ক্ষেত্রবিশেষে আগাছাকে সাধারণভাবে অবাঞ্চিত হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এগুলি ঔষধ, শাকসবজি, পশুখাদ্য ও জ্বালানি হিসেবে এবং জমির জৈব পদার্থ আবর্তনে ব্যবহৃত হতে পারে। বাংলাদেশে আবাদকৃত জমির আগাছা হিসেবে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উল্লেখ পাওয়া গেছে। একটি স্থানের প্রজাতির সংখ্যা ভূমির ব্যবহারের ধরন ও এর বাস্তসংস্থানিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল।

প্রকারভেদ

আগাছা প্রজাইর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ একবীজপত্রী উদ্ভিদ আর বাকি গুলো দ্বিবীজপত্রী। সাধারণ আগাছাসমূহ Poaceae, Cyperaceae, Leguminosae, Asteraceae, Euphorbiaceae, Scrophulariaceae, Amaranthaceae, Solanaceae ও Acanthaceae ইত্যাদি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। Cyperus, Lindernia, Eragrostis, Panicum, Cynodon, Hygropylla, Euphorbia, Phyllanthus, Leucas, Scoparia, Croton, Celosia, Alternanthera ও Solanum হচ্ছে অত্যন্ত সফল ও সাধারণ গণ। জলজ পরিবেশে Eichornia, Potamogeton, Pistia ও Monochoria গণের প্রজাতিসমূহ গভীর পানির শস্যক্ষেতের সাধারণ আগাছা। ফার্নের তিনটি প্রজাতি Marselia, Ceratopteris ও Salvinia কে বৃষ্টিনির্ভর ধানের জমির আগাছা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান আগাছা উদ্ভিদসমূহের প্রায় ২০% স্থানীয় পরিবেশে খাপ খাওয়ানো বিদেশি আগাছা হিসেবে চিহ্নিত। এদের মধ্যে Argemone maxicana, Alternanthera philoxeroides, Croton bonplandianum, Nicotiana plumbaginifolia, Lathyrus aphaca, Celosia argentea এবং Vicia angustifolia এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।

জলজ আগাছা

জলজ আগাছা আংশিক বা সম্পূর্ণ জলজ কোনো প্রজাতি যা জলজ বাস্ত্তসংস্থানের ওপর বিরূপ ভৌত, রাসায়নিক বা জৈব প্রভাব বিস্তার করে এবং অর্থনৈতিক ও নান্দনিক ক্ষতি ঘটায়। এসব জলজ উদ্ভিদ বিভিন্ন বর্গভুক্ত, যেমন শৈবাল, ব্রায়োফাইট, টেরিডোফাইট ও গুপ্তবীজ যারা বিভিন্ন বাস্ত্তসংস্থানিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে অভিযোজিত। এগুলি বদ্ধ, বহমান, ক্ষারীয়, অম্লীয়, স্বাদু বা লবণাক্ত পানিতে জন্মাতে পারে এবং অভিযোজনার ধরন অনুযায়ী প্লাঙ্কটনিক, ভাসমান, তলজীবী (benthic), নিমজ্জিত বা উদগত (emergent) হতে পারে।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ