২৩টি
সম্পাদনা
(0টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 2টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)) |
|||
=== উত্তর আফ্রিকা ===
১৯৪০ এর জুন মাসের শুরুতে ইতালিয়ানরা মাল্টায় তাদের বিমান বাহিনী যোগে আক্রমণ করে এবং ব্রিটিশ উপনিবেশটিকে ঘেরাও করে। সে বছরেরই গ্রীষ্মের শেষ থেকে বসন্তের শুরুর সময়ের ভেতর ইতালিয়ানরা ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড দখল করে নেয় এবং স্থলপথে ব্রিটিশ অধিকৃত মিশরে হামলা চালায়। অক্টবরের দিকে ইতালিয়ানরা গ্রীসে অসফল একটি অভিযান পরিচালনা করে, যেটাতে তাদের পক্ষের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় এবং আঞ্চলিক সীমানাতেও তেমন উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন আসেনি। ইতালিকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে জার্মানীও বলকানে হামলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করল যেখানে তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজরা যাতে সেখানে শক্ত কোন অবস্থান নিতে না পারে (কারণ ইংরেজরা যদি বলকানে দখল নিতে পারত তাহলে রুমানিয়ার তৈলখনিগুলো জার্মান আওতার বাইরে চলে যেত) এবং একই সাথে ভুমধ্যসাগরে ব্রিটিশদের একাধীপত্তের ওপর আঘাত হানা।
১৯৪০ এর ডিসেম্বরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সমরশক্তি মিশর ও ইতালী অধিকৃত পুর্ব আফ্রিকায় ইতালীয় ফ্যাসিস্ট বাহিলীর ওপর অত্যন্ত সফল পালটা হামলা পরিচালনা করে। এই হামলার ফলশ্রুতিতে ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারীর শুরুতেই ইতালী পুর্ব লিবিয়ার দখল হারাল এবং সেই সাথে তাদের বিপুল পরিমাণ সৈনিক বন্দি হল। স্থল শকির সাথে সাথে ইতালীয় নৌশক্তিও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হল। তরান্তোর যুদ্ধে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌ বহরের বিমানবাহী জাহাজের হামলায় তিনটি যুদ্ধজাহাজ অকেজো হয়ে গেল এবং কেইপ মাটাপানের যুদ্ধে আরো কিছু জাহাজ নষ্ট হল।
আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরে ইতালীয় বাহিনীর পরাজয় জার্মানীকে ওই অঞ্চলে একটি অভিযানকারী বাহিনী পাঠাতে বাধ্য করল এবং তার ফলশ্রুতিতে ১৯৪১ সালের মার্চের শেষে মার্শাল রোমেলের আফ্রিকা কর্পস আক্রমণ শুরু করে। মার্শাল রোমেলের বাহিলী কমনওয়েলথ বাহিলীকে পিছু হঠতে বাধ্য করল এবং মাস্খানেকের ভেতর তারা পশ্চিম মিশর পর্যন্ত অগ্রসর হল এবং তব্রুক বন্দর ঘেরাও করল।
== প্রধান নিবন্ধসমূহ ==
|
সম্পাদনা