বারডেম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্প্রসারণ
৩২ নং লাইন: ৩২ নং লাইন:
==ইতিহাস==
==ইতিহাস==


১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের (তখন পাকিস্তান ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের নামকরণ করা হয়) গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন নয়টি পৃথক সংস্থা। পাকিস্তান সময়কালে, সেগুনবাগিচায় হাসপাতালের জন্য সমিতির কিছু জমি দেওয়া হয়। [[১৯৮০]] সালে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮২ সালে বারডেম বহুমূত্র প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কম্যুনিটিভিত্তিক কর্মসূচি গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কেন্দ্র হিসেবে দায়িত্ব লাভ করে। ইউরোপের বাইরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এটাই প্রথম। [[১৯৮৬]] সাল থেকে বি. এস. এম. ইউ. এর আওতায় [[ডিপ্লোমা]], [[এম ফিল]], [[পি এইচ ডি]], [[এম ডি]] প্রভৃতির উপর পাঠদান করে আসছে। [[মোহাম্মদ ইব্রাহিম (চিকিৎসক)|অধ্যাপক মুহাম্মদ ইব্রাহিম]] এসোসিয়েশন ব্যবহার করার জন্য ঢাকার সেগুনবাগিচায় তার বাড়ির নিম্ন ঘর একটি চেম্বার করেন। বাড়িতে, তিনি ডায়াবেটিস জন্য বহিঃবিভাগ শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শাহবাগস্থ ডায়াবেটিস কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয় ‘''ইব্রাহিম মেমোরিয়াল ডায়াবেটিস সেন্টার''’। ২০১৩ সালে সেগুনবাগিচায় বারডেম-২ চালু হয়।<ref name=":0" /><ref name=":1" />
১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের (তখন পাকিস্তান ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের নামকরণ করা হয়) গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন নয়টি পৃথক সংস্থা। পাকিস্তান সময়কালে, সেগুনবাগিচায় হাসপাতালের জন্য সমিতির কিছু জমি দেওয়া হয়। [[১৯৮০]] সালে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮২ সালে বারডেম বহুমূত্র প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কম্যুনিটিভিত্তিক কর্মসূচি গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কেন্দ্র হিসেবে দায়িত্ব লাভ করে। ইউরোপের বাইরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এটাই প্রথম। [[১৯৮৬]] সাল থেকে বি. এস. এম. ইউ. এর আওতায় [[ডিপ্লোমা]], [[এম ফিল]], [[পি এইচ ডি]], [[এম ডি]] প্রভৃতির উপর পাঠদান করে আসছে। [[মোহাম্মদ ইব্রাহিম (চিকিৎসক)|অধ্যাপক মুহাম্মদ ইব্রাহিম]] এসোসিয়েশন ব্যবহার করার জন্য ঢাকার সেগুনবাগিচায় তার বাড়ির নিম্ন ঘর একটি চেম্বার করেন। বাড়িতে, তিনি ডায়াবেটিস জন্য বহিঃবিভাগ শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শাহবাগস্থ ডায়াবেটিস কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয় ‘''ইব্রাহিম মেমোরিয়াল ডায়াবেটিস সেন্টার''’। ২০১৩ সালে সেগুনবাগিচায় বারডেম-২ চালু হয়। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস চিকিৎসা হয় জনগনের এমন ধারণা পাল্টাতে সম্প্রতি হাসপাতাল অংশের নামকরণ হয়েছে' ‘বারডেম জেনারেল হাসপাতাল’। <ref name=":0" /><ref name=":1" />


'''বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন নয়টি পৃথক সংস্থা'''<ref name=":1" />
'''বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন নয়টি পৃথক সংস্থা'''<ref name=":1" />

০৯:৫৭, ৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
স্থাপিত১৯৮০ (1980)
অবস্থান১২২/ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ধরণবেসরকারী
বেড সংখ্যা৫৪২
বর্তমান পরিচালকমহাপরিচালক
ডাকনামবারডেম
অফিশিয়া ওয়েবসাইটwww.birdem-bd.org
নিবন্ধ দেখুন

বারডেম জেনারেল হাসপাতাল বাংলাদেশের ঢাকা শহরের শাহবাগ ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ন বেসরকারী ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরপ্রান্তে এই হাসপাতালটি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠাতা ডা: মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পরিচালিত হয় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির তত্ত্বাবধানে। সমিতির প্রধান কার্যালয় ও এখানে।[১][২][৩]

বর্ননা

বহুতল বিশিষ্ট তিনটি ভবনে বিভক্ত এই হাসপাতালটি। উত্তর পার্শ্বের ভবনটি ১৬তলা, দক্ষিণ পার্শ্বের ভবনটি ৮ তলা এবং মাঝের ভবনটি ৫ তলা বিশিষ্ট। বারডেম জেনারেল হাসপাতালটির কয়েকটি ফটক ও প্রত্যেক ভবনে পর্যাপ্ত লিফট ব্যবস্থা রয়েছে।[১][৩]

চিকিৎসার ধরণ

আন্ত: বিভাগ ও বহির্বিভাগে রোগীদের সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে এখানে। বহির্বিভাগে রোগী দেখাতে হলে সকালে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। ফি ৯০০/৭০০ টাকা। ১০৩টি কেবিন এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক ৭৪৭টি সিট আছে। ওয়ার্ডের সিট ভাড়া প্রতিদিন ৮৫০ টাকা এবং কেবিনের ভাড়া ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। ৪৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে। ১১টি রোগের সেবা দিয়ে থাকে। প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নার্স ৩০০ জন।[৩]

অপারেশন সুবিধা[৩]

  • ওপেন হার্ট সার্জারী
  • বাইপাস সার্জারী
  • কিডনী ট্রান্সপ্লান্টটেশন
  • বাল্ব রিপলেসমেন্ট
  • ইউরটরী লিটোটমি
  • গ্যাস্ট্রো স্ট্রুমি
  • হেপাটোলপি
  • জেনারেল সার্জারী
  • ইউরোটোলজি
  • ল্যাপারোকোলি

চিত্রশালা

ইতিহাস

১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের (তখন পাকিস্তান ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের নামকরণ করা হয়) গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন নয়টি পৃথক সংস্থা। পাকিস্তান সময়কালে, সেগুনবাগিচায় হাসপাতালের জন্য সমিতির কিছু জমি দেওয়া হয়। ১৯৮০ সালে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮২ সালে বারডেম বহুমূত্র প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কম্যুনিটিভিত্তিক কর্মসূচি গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কেন্দ্র হিসেবে দায়িত্ব লাভ করে। ইউরোপের বাইরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এটাই প্রথম। ১৯৮৬ সাল থেকে বি. এস. এম. ইউ. এর আওতায় ডিপ্লোমা, এম ফিল, পি এইচ ডি, এম ডি প্রভৃতির উপর পাঠদান করে আসছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইব্রাহিম এসোসিয়েশন ব্যবহার করার জন্য ঢাকার সেগুনবাগিচায় তার বাড়ির নিম্ন ঘর একটি চেম্বার করেন। বাড়িতে, তিনি ডায়াবেটিস জন্য বহিঃবিভাগ শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শাহবাগস্থ ডায়াবেটিস কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয় ‘ইব্রাহিম মেমোরিয়াল ডায়াবেটিস সেন্টার’। ২০১৩ সালে সেগুনবাগিচায় বারডেম-২ চালু হয়। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস চিকিৎসা হয় জনগনের এমন ধারণা পাল্টাতে সম্প্রতি হাসপাতাল অংশের নামকরণ হয়েছে' ‘বারডেম জেনারেল হাসপাতাল’। [১][৩]

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন নয়টি পৃথক সংস্থা[৩]

  • বারডেম (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াবেটিসস
  • এন্ডোক্রাইন অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডার্স রিস্যাবিলিটিশন
  • এন্ডোক্রাইন অ্যান্ড মেটাবলিক ডিসঅর্ডারস)
  • পুনর্বাসন ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
  • জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক
  • ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্র
  • ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস
  • বারডেম নার্সিং কলেজ
  • বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্প

তথ্যসূত্র

  1. "বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৩ 
  2. "বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীরা বছরে কত খরচ করে?" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৩ 
  3. "Diabetic Association of Bangladesh"www.dab-bd.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৩ 

বহিঃসংযোগ