খাসান হ্রদের যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৩ নং লাইন: ৪৩ নং লাইন:


== যুদ্ধ ==
== যুদ্ধ ==

জাপানি সৈন‍্যবাহিনীর ১৯তম ডিভিশন ও মাঞ্চুকুয়ো সৈন‍্যবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট সম্মিলিতভাবে [[গ্রিগোরি শ্তার্ন|গ্রিগোরি শ্তার্নের]] নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত ৩৯তম রাইফেল কোরকে আক্রমণ করে। সোভিয়েত ৩৯তম রাইফেল কোর ৩২তম, ৩৯তম ও ৪০তম রাইফেল ডিভিশনত্রয়, ২য় মেকানাইজড ব্রিগেড এবং ২টি ট‍্যাঙ্ক ব‍্যাটালিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল<ref>[[John Erickson (historian)]], The Soviet High Command, MacMillan & Co. Ltd, 1962, pp. 497–8</ref>। এই যুদ্ধে কর্নেল [[কোতোকু সাতো]] জাপানি ৭৫তম পদাতিক রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দেন। তাঁকে সোভিয়েতদেরকে চাংকুফেং থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল<ref>Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 133</ref>।

৩১ জুলাই রাতে সাতোর রেজিমেন্ট সুরক্ষিত পাহাড়টিতে আক্রমণ চালায়। চাংকুফেং সেক্টরে ১,১১৪ জনের একটি জাপানি সৈন‍্যদল ৩০০ জন সৈন‍্যবিশিষ্ট একটি সোভিয়েত সেনানিবাস আক্রমণ করে সোভিয়েত সৈন‍্যদের নিশ্চিহ্ন করে দেয় এবং ১০টি ট‍্যাঙ্ক ধ্বংস করে। জাপানি সৈন‍্যদলটির ৩৪ জন নিহত ও ৯৯ জন আহত হয়। শাচোফেং সেক্টরে ৩৭৯ জনের একটি জাপানি সৈন‍্যদল ৩০০ জনের আরেকটি সোভিয়েত সৈন‍্যদলকে অতর্কিতে আক্রমণ করে বিধ্বস্ত করে দেয় এবং ৭টি ট‍্যাঙ্ক ধ্বংস করে। জাপানি সৈন‍্যদলটির মাত্র ১১ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়<ref>Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 133-134</ref>।


== ফলাফল ==
== ফলাফল ==

০৮:৫১, ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

খাসান হ্রদের যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: সোভিয়েত–জাপান সীমান্ত সংঘর্ষ

যুদ্ধের পর জাওজিয়োরনায়া পাহাড়ের ওপর লেফটেন‍্যান্ট আই. এন. মোশলিয়াক ও দুইজন সোভিয়েত সৈন‍্য[১][২]
তারিখ২৯ জুলাই – ১১ আগস্ট ১৯৩৮
অবস্থান
ফলাফল যুদ্ধবিরতি[৩]
অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন
জাপানি সৈন‍্য প্রত‍্যাহারের পর সোভিয়েতরা চাংকুফেং পুনর্দখল করে নেয়[৪]
তুমেন নদী সোভিয়েত ইউনিয়ন ও জাপানের মধ‍্যবর্তী সীমারেখা হিসেবে চিহ্নিত হয়[৫]
বিবাদমান পক্ষ
সোভিয়েত ইউনিয়ন সোভিয়েত ইউনিয়ন

জাপানের সাম্রাজ্য জাপান

সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাসিলি ব্লিউখার
সোভিয়েত ইউনিয়ন নিকোলাই বেরজারিন
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভসেভলোদ সের্গিয়েভ
সোভিয়েত ইউনিয়ন গ্রিগোরি শ্তার্ন
শক্তি
সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৫,০০০[৬]—২২,৯৫০[৭] জন সৈন‍্য
৩৫৪টি ট‍্যাঙ্ক
১৩টি সেল্ফ-প্রোপেল্ড গান
২৩৭টি কামান
২৫০টি যুদ্ধবিমান (১৮০টি বোমারু বিমানসহ)[৮]
৭,০০০–৭,৩০০ জন সৈন‍্য[৯]
৩৭টি কামান[৮]
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
সোভিয়েত ইউনিয়ন ৭৯২ জন নিহত ও নিখোঁজ
৩,২৭৯ জন আহত[১০]
৪৬–৯৬টি ট‍্যাঙ্ক ধ্বংসপ্রাপ্ত[১১][১২]
৪টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৩]
৫২৬ জন নিহত[১৪]
৯১৩ জন আহত[১৫]

খাসান হ্রদের যুদ্ধ বা চাংকুফেং ঘটনা (রুশ: Хасанские бои খাসানস্কিয়ে বয়, জাপানি: 張鼓峰事件 চোকোহো জিকেন) ছিল ১৯৩৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে জাপানি পুতুল রাষ্ট্র মাঞ্চুকুয়োর আক্রমণের প্রচেষ্টা। জাপানিরা বিশ্বাস করত যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন রুশ সাম্রাজ‍্যচীন সাম্রাজ‍্যের মধ‍্যে স্বাক্ষরিত পিকিং চুক্তি এবং পরবর্তী অতিরিক্ত সীমান্ত চুক্তিগুলোর ভুল ব‍্যাখ‍্যা করেছে। জাপানি সৈন‍্যরা বিতর্কিত অঞ্চলটি দখল করে নেয়, যার ফলে জাপানি ও সোভিয়েত সৈন‍্যদের মধ‍্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। কিন্তু সীমান্ত সমস‍্যাটি কূটনৈতিকভাবে সমাধান হয়ে যাওয়ার পর জাপান দখলকৃত অঞ্চল থেকে সৈন‍্য প্রত‍্যাহার করে নেয়[১৬]

পটভূমি

বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় জুড়ে উত্তর-পূর্ব চীনে রাশিয়া (পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন), চীনজাপানের মধ‍্যে তাদের সীমান্ত বরাবর উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মাঞ্চুরিয়ায় অবস্থিত চীন পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ চীনের সঙ্গে রুশ দূরপ্রাচ‍্যকে সংযুক্ত করেছিল। চীনা পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথের দক্ষিণাংশ দক্ষিণ মাঞ্চুরীয় রেলপথ নামে পরিচিত ছিল। এই রেলপথটি ছিল রুশ–জাপান যুদ্ধ এবং পরবর্তী ঘটনাবলি বিশেষত সোভিয়েত–জাপান সীমান্ত সংঘর্ষ এবং দ্বিতীয় চীন–জাপান যুদ্ধের অন‍্যতম কারণ। খাসান হ্রদের যুদ্ধ এই সংঘাতেরই একটি অংশ।

মাঞ্চুকুয়োর নিকটবর্তী খাসান সীমান্তে সোভিয়েত সৈন‍্য ও সীমান্তরক্ষীরা অতিরিক্ত সৈন‍্য মোতায়েন করলে যুদ্ধটির সূচনা হয়। এর এক মাস আগে তুমেন নদী অঞ্চলের হানচুনে অবস্থানরত সোভিয়েত দূরপ্রাচ‍্যে সোভিয়েত গুপ্ত পুলিশ এনকেভিডির প্রধান জেনারেল গেনরিখ লিউশকভ দলত‍্যাগ করে জাপানিদের পক্ষাবলম্বন করেন। তিনি দূরপ্রাচ‍্যে সোভিয়েত বাহিনীর দুর্বলতা এবং লাল ফৌজে জোসেফ স্তালিনের শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে জাপানিদের সম‍্যকভাবে অবগত করেন। এর ফলে জাপানিরা আক্রমণ চালাতে উৎসাহিত হয়[১৭]

যুদ্ধের প্রস্তুতি

ছদ্মাবরণে ঢাকা সোভিয়েত ট‍্যাঙ্ক

১৯৩৮ সালের ৬ জুলাই জাপানি কোয়ান্টাং সৈন‍্যবাহিনী পোসিয়েত অঞ্চলের সোভিয়েত কমান্ডারের নিকট হতে খাবারোভস্কে সামরিক সদরদপ্তরে প্রেরিত একটি বার্তার পাঠোদ্ধার করে। এই বার্তায় সোভিয়েত সৈন‍্যদের দিয়ে খাসান হ্রদের পশ্চিমের অনধিকৃত উচ্চভূমি বিশেষত বিতর্কিত চাংকুফেং উচ্চভূমি অধিকার করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কারণ এর মাধ‍্যমে সোভিয়েতরা এমন একটি উচ্চভূমিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারত যার ফলে সম্ভাব‍্য যুদ্ধে সোভিয়েতরা কোরীয় বন্দরনগরী রাসোন এবং মাঞ্চুরিয়া ও কোরিয়াকে সংযুক্তকারী কৌশলগতগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রেলপথগুলো সহজে দখল করে নিতে পারত[১৮]। পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ‍্যে সোভিয়েত সীমান্তরক্ষীদের ছোট ছোট দল অঞ্চলটিতে প্রবেশ করে এবং ঘাঁটি, পর্যবেক্ষণ পরিখা, প্রতিবন্ধক ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করার মাধ‍্যমে পাহাড়টিকে সুরক্ষিত করতে শুরু করে।

এই অঞ্চলটি জাপানি কোয়ান্টাং সৈন‍্যবাহিনী এবং জাপানি কোরীয় সৈন‍্যবাহিনী উভয়ের আওতাধীন ছিল। প্রথমদিকে কোরিয়ার প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত জাপানি কোরীয় সৈন‍্যবাহিনী চাংকুফেং অঞ্চলে সোভিয়েত কার্যকলাপকে অগ্রাহ‍্য করে। কিন্তু কোয়ান্টাং সৈন‍্যবাহিনী সোভিয়েতদের কার্যকলাপে সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে এবং কোরীয় সৈন‍্যবাহিনীকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার জন‍্য চাপ দিতে থাকে। এরপর কোরীয় সৈন‍্যবাহিনী ব‍্যাপারটি সম্পর্কে টোকিওকে অবহিত করে এবং সোভিয়েতদের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানোর সুপারিশ করে।

১৫ জুলাই মস্কোয় জাপানি অ‍্যাটাশে খাসান হ্রদের পশ্চিমে অবস্থিত বেজিমিয়ান্নায়া ও জাওজিয়োরনায়া পাহাড়দ্বয় থেকে সোভিয়েত সৈন‍্য প্রত‍্যাহার করে নেয়ার দাবি জানান। সোভিয়েতরা তাঁর দাবি প্রত‍্যাখ‍্যান করে। এর ফলে সংঘাত শুরু হয়।

যুদ্ধ

জাপানি সৈন‍্যবাহিনীর ১৯তম ডিভিশন ও মাঞ্চুকুয়ো সৈন‍্যবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট সম্মিলিতভাবে গ্রিগোরি শ্তার্নের নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত ৩৯তম রাইফেল কোরকে আক্রমণ করে। সোভিয়েত ৩৯তম রাইফেল কোর ৩২তম, ৩৯তম ও ৪০তম রাইফেল ডিভিশনত্রয়, ২য় মেকানাইজড ব্রিগেড এবং ২টি ট‍্যাঙ্ক ব‍্যাটালিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল[১৯]। এই যুদ্ধে কর্নেল কোতোকু সাতো জাপানি ৭৫তম পদাতিক রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দেন। তাঁকে সোভিয়েতদেরকে চাংকুফেং থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল[২০]

৩১ জুলাই রাতে সাতোর রেজিমেন্ট সুরক্ষিত পাহাড়টিতে আক্রমণ চালায়। চাংকুফেং সেক্টরে ১,১১৪ জনের একটি জাপানি সৈন‍্যদল ৩০০ জন সৈন‍্যবিশিষ্ট একটি সোভিয়েত সেনানিবাস আক্রমণ করে সোভিয়েত সৈন‍্যদের নিশ্চিহ্ন করে দেয় এবং ১০টি ট‍্যাঙ্ক ধ্বংস করে। জাপানি সৈন‍্যদলটির ৩৪ জন নিহত ও ৯৯ জন আহত হয়। শাচোফেং সেক্টরে ৩৭৯ জনের একটি জাপানি সৈন‍্যদল ৩০০ জনের আরেকটি সোভিয়েত সৈন‍্যদলকে অতর্কিতে আক্রমণ করে বিধ্বস্ত করে দেয় এবং ৭টি ট‍্যাঙ্ক ধ্বংস করে। জাপানি সৈন‍্যদলটির মাত্র ১১ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়[২১]

ফলাফল

খাসান হ্রদের যুদ্ধের পর লাল ফৌজের সৈন‍্যদের বিজয়োৎসব

আরো দেখুন

তথ‍্যসূত্র

  1. Хасанский конфликт // "Военно-исторический журнал", № 7, 2013 (последняя страница обложки)
  2. "Над Заозёрной - красный флаг Советского Союза... Этот флаг водрузил наш земляк, уроженец Алтайского края И.Н. Мошляк. Вскоре его грудь украсила Золотая Звезда Героя Советского Союза"
    В пламени и славе. Очерки истории Краснознамённого Сибирского военного округа. / редколл., предс. Б. Е. Пьянков. 2-е изд., испр. и доп. Новосибирск, Новосибирское кн. изд-во, 1988. стр.61
  3. Coox, Alvin (১৯৮৫)। Nomonhan: Japan against Russia। Stanford, California: Stanford University Press। পৃষ্ঠা 137। আইএসবিএন 978-0-8047-1835-6 
  4. История Китая с древнейших времён до начала XXI века (в 10 томах). Том VII. Китайская республика (1912 - 1949). колл. авт., гл. ред. С. Л. Тихвинский. М., «Наука - Восточная литература». 2013. стр.395-399
  5. Goldman, Stuart (২০১২)। Nomonhan, 1939: The Red Army's Victory that Shaped World War II। Naval Institute Press। আইএসবিএন 978-1-61-251098-9 
  6. Новиков М. В. У озера Хасан // «Вопросы истории» — 1968. — № 8. — С. 205−208.
  7. General-Lieutenant G.F.KRIVOSHEYEV (১৯৯৩)। "SOVIET ARMED FORCES LOSSES IN WARS,COMBAT OPERATIONS MILITARY CONFLICTS" (পিডিএফ)। MOSCOW MILITARY PUBLISHING HOUSE। পৃষ্ঠা 65। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-২১ 
  8. Millet and Murray (২০১০)। Military Effectiveness। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 26। আইএসবিএন 978-0-52-142589-6 
  9. Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 135
  10. General-Lieutenant G. F. KRIVOSHEYEV (১৯৯৩)। "SOVIET ARMED FORCES LOSSES IN WARS,COMBAT OPERATIONS MILITARY CONFLICTS" (পিডিএফ)। MOSCOW MILITARY PUBLISHING HOUSE। পৃষ্ঠা 65। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-২১ 
  11. Baryatinsky, Mikhail. Legkiy tank T-26 (Light Tank T-26). Modelist-Konstruktor. Special Issue No. 2 (2003), pp. 45–46.
  12. Coox, Alvin (জুলাই ১৯৭৩)। "The Lake Khasan Affair of 1938: Overview and Lessons"। Soviet Studies25 (1): 53। জেস্টোর 150942 
  13. 1 августа (в ряде источников – 6 августа) был сбит СБ лейтенанта Гавриша, 10 августа – сбит И-15 лейтенанта Соловьева; два И-15 потеряны по небоевым причинам. — Котельников В. Бои у озера Хасан // Интернет-сайт «Уголок неба» (www.airwar.ru) 2004
  14. Coox, Alvin (জুলাই ১৯৭৩)। "The Lake Khasan Affair of 1938: Overview and Lessons"। Soviet Studies25 (1): 53। জেস্টোর 150942 
  15. Coox, Alvin (জুলাই ১৯৭৩)। "The Lake Khasan Affair of 1938: Overview and Lessons"। Soviet Studies25 (1): 53। জেস্টোর 150942 
  16. Military History Online Retrieved Sept. 14, 2015
  17. Regional CO-Operation in Northeast Asia The Tumen River Area Development Program, 1990-2000: In Search of a model for regional economic co-operation in Northeast Asia
  18. Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 124
  19. John Erickson (historian), The Soviet High Command, MacMillan & Co. Ltd, 1962, pp. 497–8
  20. Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 133
  21. Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 133-134