বাংলা একাডেমি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
St.teresa (আলোচনা | অবদান)
শৈলী শোধন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
কলামের তালিকা ও/বা div col টেমপ্লেট সংশোধন
৫৯ নং লাইন: ৫৯ নং লাইন:
যুক্তফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী বর্ধমান হাউজের বদলে অপেক্ষাকৃত কম বিলাসের বাড়িতে বাসস্থান নির্দিষ্ট করিবেন এবং বর্ধমান হাউজকে আপাতত ছাত্রাবাস ও পরে বাংলাভাষার গবেষণাগারে পরিণত করা হইবে।
যুক্তফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী বর্ধমান হাউজের বদলে অপেক্ষাকৃত কম বিলাসের বাড়িতে বাসস্থান নির্দিষ্ট করিবেন এবং বর্ধমান হাউজকে আপাতত ছাত্রাবাস ও পরে বাংলাভাষার গবেষণাগারে পরিণত করা হইবে।


অবশেষে ১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী [[আবু হোসেন সরকার]] উদ্বোধন করেন "বাংলা একাডেমি"-র। বাংলা একাডেমির প্রথম সচিব মুহম্মদ বরকতুল্লাহ। তার পদবী ছিল "স্পেশাল অফিসার"।<ref name="banglapedia.org" /> ১৯৫৬ সালে একাডেমির প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন অধ্যাপক মুহম্মদ এনামুল হক। বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশিত বই [[আহমদ শরীফ]] সম্পাদিত [[দৌলত উজির বাহরাম খান]] রচিত [[লায়লী-মজনু|"লায়লী-মজনু]]"। স্বাধীনতার পর থেকে একাডেমি চত্বরে স্বল্প পরিসরে [[অমর একুশে গ্রন্থমেলা|বইমেলা]] শুরু হয় এবং ১৯৭৪ সাল থেকে বড় আকার ধারণ করে।<ref name="174.120.99.127" /> ২০০৯-২০১১ খ্রিষ্টাব্দে একাডেমির বর্ধমান হাউজ ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।<br />
অবশেষে ১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী [[আবু হোসেন সরকার]] উদ্বোধন করেন "বাংলা একাডেমি"-র। বাংলা একাডেমির প্রথম সচিব মুহম্মদ বরকতুল্লাহ। তার পদবী ছিল "স্পেশাল অফিসার"।<ref name="banglapedia.org" /> ১৯৫৬ সালে একাডেমির প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন অধ্যাপক মুহম্মদ এনামুল হক। বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশিত বই [[আহমদ শরীফ]] সম্পাদিত [[দৌলত উজির বাহরাম খান]] রচিত [[লায়লী-মজনু|"লায়লী-মজনু]]"। স্বাধীনতার পর থেকে একাডেমি চত্বরে স্বল্প পরিসরে [[অমর একুশে গ্রন্থমেলা|বইমেলা]] শুরু হয় এবং ১৯৭৪ সাল থেকে বড় আকার ধারণ করে।<ref name="174.120.99.127" /> ২০০৯-২০১১ খ্রিষ্টাব্দে একাডেমির বর্ধমান হাউজ ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।


== লক্ষ্য ও আদর্শ ==
== লক্ষ্য ও আদর্শ ==
১২০ নং লাইন: ১২০ নং লাইন:
== বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ ==
== বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ ==
এ পর্যন্ত যারা বাংলা একডেমি ফেলোশিপ পেয়েছেন তাঁরা হলেনঃ
এ পর্যন্ত যারা বাংলা একডেমি ফেলোশিপ পেয়েছেন তাঁরা হলেনঃ
{{div col| 4}}
{{div col|colwidth=18em}}
# [[মোহাম্মদ আকরম খাঁ|মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ]],
# [[মোহাম্মদ আকরম খাঁ|মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ]],
# [[মুহম্মদ শহীদুল্লাহ|ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্]],
# [[মুহম্মদ শহীদুল্লাহ|ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্]],

০০:৫৪, ১৪ মে ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাংলা একাডেমি
চিত্র:বাংলা একাডেমির লোগো.jpg
বাংলা একাডেমির লোগো
ধরনস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান
উদ্দেশ্যবাংলা ভাষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণা
সদরদপ্তরবর্ধমান হাউজ
অবস্থান
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটwww.banglaacademy.org.bd
প্রাক্তন নাম
বাংলা একাডেমী

বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা ভাষাসাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) এই একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন-পরবর্তী কালের প্রেক্ষাপটে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন "বর্ধমান হাউজ"-এ এই একাডেমির সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। একাডেমির "বর্ধমান হাউজে" একটি "ভাষা আন্দোলন জাদুঘর" আছে।

ইতিহাস

বাংলা একাডেমির প্রধান ভবন বর্ধমান হাউজ

বশীর আল-হেলালের মতে, বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও সংগঠনের চিন্তা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রথম করেন।[১] ড. শহীদুল্লাহ ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ এ পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে ভাষা সংক্রান্ত একটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি করেন।[২] এছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকা বাংলা একাডেমি গঠনে জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ১৯৫২ সালের ২৯ এপ্রিল পত্রিকাটি "বাংলা একাডেমী" প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে এ প্রসঙ্গে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সময় কিছু প্রচেষ্টা নেয়।[২][৩] ১৯৫৪ সালে এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন হয়নি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলে শিক্ষামন্ত্রী সৈয়দ আজিজুল হক নির্দেশ দেন,[৩]

যুক্তফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী বর্ধমান হাউজের বদলে অপেক্ষাকৃত কম বিলাসের বাড়িতে বাসস্থান নির্দিষ্ট করিবেন এবং বর্ধমান হাউজকে আপাতত ছাত্রাবাস ও পরে বাংলাভাষার গবেষণাগারে পরিণত করা হইবে।

অবশেষে ১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার উদ্বোধন করেন "বাংলা একাডেমি"-র। বাংলা একাডেমির প্রথম সচিব মুহম্মদ বরকতুল্লাহ। তার পদবী ছিল "স্পেশাল অফিসার"।[২] ১৯৫৬ সালে একাডেমির প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন অধ্যাপক মুহম্মদ এনামুল হক। বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশিত বই আহমদ শরীফ সম্পাদিত দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত "লায়লী-মজনু"। স্বাধীনতার পর থেকে একাডেমি চত্বরে স্বল্প পরিসরে বইমেলা শুরু হয় এবং ১৯৭৪ সাল থেকে বড় আকার ধারণ করে।[৩] ২০০৯-২০১১ খ্রিষ্টাব্দে একাডেমির বর্ধমান হাউজ ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।

লক্ষ্য ও আদর্শ

দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন।[৪]

সাংগঠনিক কাঠামো

বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলা একাডেমি একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। একাডেমির কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন মহাপরিচালক। এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন প্রফেসর মযহারুল ইসলাম, যিনি ২ জুন ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ তারিখ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী[৫] তিনি ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে দায়িত্বগ্রহণ করেন।

আভ্যন্তরীক কাঠামো

বাংলা একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ৪টি বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলো হচ্ছে:

  • গবেষণা, সংকলন ও ফোকলোর বিভাগ
  • ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ
  • পাঠ্যপুস্তক বিভাগ
  • প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ

কার্যক্রম

ভাষাশহিদদের স্মরণে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে স্থাপিত মোদের গরব ভাস্কর্য।

গ্রন্থমেলা

গ্রন্থমেলায় আগ্রহী কথাসাহিত্যিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সরদার জয়েনউদ্দীন আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ উপলক্ষে ১৯৭২ সালে ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। সেই থেকেই বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা।[৬] দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা একাডেমির একুশের অনুষ্ঠানে কোনো বইমেলা হয়নি। তবে বাংলা একাডেমির দেয়ালের বাইরে স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনীর কিছু বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন। তাঁর দেখাদেখি মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহা এবং বর্ণমিছিলের তাজুল ইসলামও ওভাবেই তাঁদের বই নিয়ে বসে যান। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একটি বিশাল জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মেলার উদ্বোধন করেন। সে উপলক্ষে নিজামী, চিত্তবাবু এবং বর্ণমিছিলসহ সাত-আটজন প্রকাশক একাডেমির ভেতরে পূর্ব দিকের দেয়ালঘেঁষে বই সাজিয়ে বসে যান। সে বছরই প্রথম বাংলা একাডেমির বইয়েরও বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে একটি স্টলে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।[৬]

অমর একুশে গ্রন্থমেলা

প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বাংলা একাডেমি একটি জাতীয় বই মেলার আয়োজন করে যা অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামে আখ্যায়িত। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে করুণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই মাসে আয়োজিত এই বইমেলার নামকরণ করা হয় "অমর একুশে গ্রন্থমেলা"। ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলাকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামকরণ করা হয়।[৬]

গবেষণা

গ্রন্থাগার

পুস্তক প্রকাশনা

বাংলা একাডেমি থেকে জানুয়ারী ২০১৩ সাল পর্যন্ত মোট ৪৯৬৫ টি পুস্তক ও পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে রয়েছে কথা সাহিত্য, কবিতা, সাধারণ অভিধান, পরিভাষা অভিধান, বিভিন্ন লেখক-কবির রচনাবলী, সাহিত্য গবেষণা, সাহিত্য সমালোচনা, দর্শন, ইতিহাস ,ভূগোল, গণিত, বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, ভাষা-আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, শিশু-কিশোর সাহিত্য, অনুবাদ, ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনী ইত্যাদি বিষয়ের গ্রন্থাবলী।

পত্র-পত্রিকা প্রকাশনা

বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশনা “বাংলা একাডেমি পত্রিকা” প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৫৭-র জানুয়ারি মাসে।

  • উত্তরাধিকার - সৃজনশীল মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এটি ১৯৭৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। দশ বছর পত্রিকাটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে চালু থাকলেও ১৯৮৩ সাল থেকে ত্রৈমাসিকে রূপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তবে, ২০০৯ সালের জুলাই থেকে মাসিক হিসেবে এটি প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।
  • বাংলা একডেমি পত্রিকা - গবেষণামুলক ত্রৈমাসিকপত্রিকা।
  • বাংলা একাডেমি বার্তা - বাংলা একাডেমির ত্রৈমাসিক মুখপত্র লেখা ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ‘বাংলা একাডেমি বার্তা’ নামে প্রকাশ করা হচ্ছে।
  • বাংলা একডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা - ষাণ্মাসিক বিজ্ঞান পত্রিকা।
  • ধানশালিকের দেশ - কিশোরদের জন্য প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা।

বিভিন্ন বিশেষ প্রকল্প

মুদ্রণ

বাংলা একাডেমির একটি নিজস্ব মুদ্রণ ব্যবস্থা রয়েছে।

পুরস্কার প্রদান

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাংলা ভাষার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরষ্কার। এটি ছাড়াও বাংলা একাডেমি কয়েকটি পুরষ্কার প্রদান করে থাকে। এগুলো হল:

  • রবীন্দ্র পুরস্কার।
  • চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কারঃ - ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-এর প্রবর্তক চিত্তরঞ্জন সাহার নামে একটি পদক প্রবর্তন করা হয়েছে। পূর্ববর্তী বছরে প্রকাশিত বইয়ের গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
  • সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কারঃ - অমর একুশে গ্রন্থমেলায় স্টল ও অঙ্গসজ্জার জন্য দেয়া হয় 'সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার'।
  • পলান সরকার স্মৃতি পুরস্কারঃ - অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সর্বাধিক গ্রন্থ ক্রয়ের জন্য সেরা ক্রেতাকে দেয়া হয় 'পলান সরকার পুরস্কার'।[৪]
  • মোহাম্মদ নুরুল হক গ্রন্থ–সুহৃদ পুরস্কার।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬০ সালে প্রবর্তন করা হয়। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন শাখায় বছরে ৯ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে বছরে ২ জনকে এই পুরস্কার প্রদানের নিয়ম করা হয়। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে চারটি শাখায় পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।

স্বীকৃতি

শিল্পচর্চায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৭][৮][৯] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে।[১০]

সমালোচনা

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ঢাকা লিট ফেস্ট আয়োজনের অনুমতি দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।[১১] কেননা এই উৎসব আয়োজন বিভিন্ন কারণে বাংলা একাডেমির আদর্শ-নীতি-উদেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক।[১১] বর্তমানে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিছু উচ্চবিত্ত-বিশেষ শ্রেণি ও দেশি-বিদেশি সংস্থা দ্বারা অবহেলিত- অপমানিত ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, সেই পরিস্থিতিতে এই আয়োজনে বাংলা একাডেমিরর প্রতি বাংলা ভাষাভাষী লেখক-সংস্কৃতি কর্মী ও মানুষের যে আস্থা বা ইমেজ রয়েছে, সূক্ষ্ণভাবে তাতে ধ্স নেমেছে![১১] বাংলা একাডেমি কারো ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নয়- এটা বিবেচনায় থাকা উচিত। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও স্বার্থের নিরিখে বাংলা একাডেমি ব্যবহৃত হোক-তা কারও কাম্য নয়।[১১]

বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ

এ পর্যন্ত যারা বাংলা একডেমি ফেলোশিপ পেয়েছেন তাঁরা হলেনঃ

  1. মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ,
  2. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্,
  3. কবি গোলাম মোস্তফা,
  4. কবি জসীমউদ্দীন,
  5. শামসুন নাহার মাহমুদ,
  6. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন,
  7. খান বাহাদুর আহ‌্ছানউল্লা,
  8. শেখ রেয়াজউদ্দীন আহমদ,
  9. শেখ হবিবর রহমান সাহিত্যরত্ন,
  10. নুরন্নেছা খাতুন বিদ্যাবিনোদিনী,
  11. মোজাম্মেল হক,
  12. খোদাবক্স সাঁই,
  13. আরজ আলী মাতুব্বর,
  14. মজিবর রহমান বিশ্বাস,
  15. মাহবুবুল আলম চৌধুরী,
  16. মনীন্দ্র নাথ সমাজদার,
  17. লুৎফর রহমান খান,
  18. প্রফেসর কামালুদ্দীন আহমদ,
  19. শিল্পী সফিউদ্দীন আহমদ,
  20. শিল্পী কামরুল হাসান,
  21. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী,
  22. আবদুল আহাদ,
  23. প্রফেসর আজিজুর রহমান মল্লিক,
  24. প্রফেসর শাহ ফজলুর রহমান,
  25. প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক,
  26. প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইব্রাহীম,
  27. প্রফেসর মুহম্মদ শামস-উল হক,
  28. প্রফেসর মোহাম্মদ নূরুল হক,
  29. দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ,
  30. আ.ফ.মু. আবদুল হক ফরিদী,
  31. মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন,
  32. ফিরোজা বেগম,
  33. কলিম শরাফী,
  34. প্রফেসর খান সারওয়ার মুরশিদ,
  35. আ.ন.ম. গাজীউল হক,
  36. প্রফেসর এ. এফ. সালাহ্উদ্দীন আহমদ,
  37. বারীণ মজুমদার,
  38. লুৎফর রহমান সরকার,
  39. আবদুল লতিফ,
  40. নূরজাহান বেগম,
  41. ওয়াহিদুল হক,
  42. প্রফেসর রেহমান সোবহান,
  43. শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী,
  44. মোহাম্মদ সাইদুর,
  45. আবদুল হালিম বয়াতী,
  46. আবদুল মতিন,
  47. অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমদ,
  48. প্রফেসর বেগজাদী মাহমুদা নাসির,
  49. প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম,
  50. মোহাম্মদ ফেরদাউস খান,
  51. প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ,
  52. ফেরদৌসী রহমান,
  53. প্রফেসর ডাঃ নূরুল ইসলাম,
  54. প্রফেসর ইকবাল মাহমুদ,
  55. রাহিজা খানম ঝুনু,
  56. প্রফেসর ড. এম শমশের আলী,
  57. প্রফেসর এম এইচ খান,
  58. ডা. এম কিউ কে তালুকদার,
  59. শ্রীমৎ শুদ্ধানন্দ মহাথের,
  60. ড. উইলিয়ম রাদিচে,
  61. কাজী আজহার আলী,
  62. অধ্যাপক কাজী আবদুল ফাত্তাহ্,
  63. অধ্যাপক ডা. টি. এ. চৌধুরী,
  64. অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী,
  65. প্রফেসর ড. এম ইন্নাস আলী,
  66. প্রফেসর ড. এ. এম. হারম্নন অর রশীদ,
  67. প্রফেসর ড. মোজাফ্ফর আহমদ,
  68. শিল্পী মু. আবুল হাশেম খান,
  69. শিল্পী সোহরাব হোসেন,
  70. প্রকৌশলী ড. নূরম্নদ্দীন আহমদ,
  71. প্রকৌশলী ড. মোঃ কামরম্নল ইসলাম,
  72. অধ্যাপক মুশার্রফ হোসেন,
  73. শিল্পী সুধীন দাশ,
  74. অধ্যাপক অজয় রায়,
  75. অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম,
  76. অধ্যাপক সোহ্রাবউদ্দিন আহ্মদ,
  77. প্রফেসর নজরম্নল ইসলাম,
  78. শিল্পী রফিকুন নবী,
  79. অধ্যাপক অমলেশ চন্দ্র মন্ডল,
  80. নূরম্নল ইসলাম কাব্যবিনোদ,
  81. আমানুল হক,
  82. শিল্পী ইমদাদ হোসেন,
  83. রওশন আরা বাচ্চু,
  84. এ বি এম মূসা,
  85. আতাউস সামাদ,
  86. আবুল মাল আবদুল মুহিত,
  87. ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম,
  88. প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান,
  89. অধ্যাপক এ. বি. এম. আবদুল লতিফ মিয়া,
  90. ড. আকবর আলী খান,
  91. ফেরদৌসী মজুমদার,
  92. বিবি রাসেল,
  93. মুহাম্মদ হাবিবুলস্নাহ পাঠান,
  94. মোঃ আবদুস সামাদ মন্ডল,
  95. প্রফেসর কাজুও আজুমা,
  96. ক্লিনটন বুথ সিলি,
  97. আতিকুল হক চৌধুরী,
  98. প্রফেসর এ.বি.এম. হোসেন,
  99. কামাল লোহানী,
  100. জামিল চৌধুরী,
  101. ড. এনামুল হক,
  102. প্রফেসর সাহানারা হোসেন,
  103. মুসত্মাফা জামান আববাসী,
  104. রশীদ তালুকদার,
  105. রামেন্দু মজুমদার,
  106. লায়লা হাসান,
  107. ফরিদা পারভীন

[১২] এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেনকে এই সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।[১৩]

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক সংবাদের নিবন্ধ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. বাংলা_একাডেমী বাংলাপিডিয়ার ভুক্তি
  3. http://174.120.99.127/~thedaily/details.php?news=27&action=main&option=all&menu_type=&pub_no=118[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "আমাদের-লক্ষ্য – বাংলা একাডেমি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২০ 
  5. "বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হলেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী"। সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২০ 
  6. বইমেলার ইতিহাস ও নতুন আঙ্গিকে বইমেলা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], শামসুজ্জামান খান।
  7. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। 
  8. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  9. "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  10. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  11. "'ঢাকা লিট ফেস্ট'-এর পৃষ্ঠপোষকতা ও ইংরেজিকে 'লিডিং' অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা! | মতামত"মতামত-বিশ্লেষণ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৯ 
  12. [১] বাংলা একডেমি ওয়েবসাইট
  13. অমর্ত্য সেনকে বাংলা একাডেমীর সম্মানসূচক ফেলোশিপ - ডয়চে ভেলে, সংগ্রহঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ইং

বহিঃসংযোগ