জোঁক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অরণ্য তপু (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
অরণ্য তপু-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে InternetArchiveBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:


বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় এগুলোকে "খেউরা জোঁক" বা " চীনা জোঁক" বলে। স্যাঁতসেতে ভিজেমাটি এদের পছন্দনীয় আবাস্থল। মাঝারি ও ছোট আকারের গবাদিপশু'র রক্তশূন্যতার কারণ এই জোঁক। একটি ছোটবাচ্চাকে যদি তিন/চারটি জোঁক একত্রে ধরে, তবে সেই বাচ্চাটি রক্তশূন্যতার জন্য মারাও যেতে পারে। বগুড়া জেলার দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলোতে এই জোঁক প্রচুর দেখা যায়। আমাদের গাঁড়ল-দুম্বা বা ভেড়ার পায়ের খুর ও ঘাস খাওয়ার সময় নাকের ভেতরে ঢুকে পড়ে এগুলো। ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় পশুপালনের বড় অন্তরায় এই রাবারসদৃশ প্রাণিটি। এদের উৎপত্তি স্থল হলো গণচীন। ধারনা করা হয়, অনেককাল পূর্বে কয়লার মাধ্যমে এই জোঁক বাংলাদেশে আসে।
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় এগুলোকে "খেউরা জোঁক" বা " চীনা জোঁক" বলে। স্যাঁতসেতে ভিজেমাটি এদের পছন্দনীয় আবাস্থল। মাঝারি ও ছোট আকারের গবাদিপশু'র রক্তশূন্যতার কারণ এই জোঁক। একটি ছোটবাচ্চাকে যদি তিন/চারটি জোঁক একত্রে ধরে, তবে সেই বাচ্চাটি রক্তশূন্যতার জন্য মারাও যেতে পারে। বগুড়া জেলার দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলোতে এই জোঁক প্রচুর দেখা যায়। আমাদের গাঁড়ল-দুম্বা বা ভেড়ার পায়ের খুর ও ঘাস খাওয়ার সময় নাকের ভেতরে ঢুকে পড়ে এগুলো। ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় পশুপালনের বড় অন্তরায় এই রাবারসদৃশ প্রাণিটি। এদের উৎপত্তি স্থল হলো গণচীন। ধারনা করা হয়, অনেককাল পূর্বে কয়লার মাধ্যমে এই জোঁক বাংলাদেশে আসে।
([https://www.facebook.com/aranya.topu অরণ্য তপু] কর্তৃক সর্বশেষ সংযোজিত ও সম্পাদিত)


== দেহ থেকে জোঁক অপসারন ==
== দেহ থেকে জোঁক অপসারন ==

১১:৫২, ৫ মে ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জোঁক
Hirudo medicinalis
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: Annelida
শ্রেণী: Clitellata
উপশ্রেণী: Hirudinea
Lamarck, 1818
Infraclasses

Acanthobdellidea
Euhirudinea
(but see below)

রক্ত চুষছে জোঁক
জোঁক

রক্তচোষা জোঁক ও তাদের জাতভাইরা কেঁচোর মত এনিলিডা পর্বের জীব। এরা এনিলিডা পর্বের হিরুডিনিয়া উপপর্ব গঠন করে।

কেঁচোর মত এদেরও ক্লাইটেলাম আছে ও গমনাঙ্গ সিটে (setae)।

আদিকাল থেকে রক্তচোষা জোঁকেদের (যেমন হিরুডো মেডিসিনালিস) রক্ত জমাট বাঁধা (blood cloting) বন্ধ করার জন্য চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে। তঞ্চন বন্ধ করার জন্য রক্তচোষা জোঁকের লালায় হিরুডিন নামক রক্ত জমাট রোধক(anticoagulant) পেপটাইড ক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় এগুলোকে "খেউরা জোঁক" বা " চীনা জোঁক" বলে। স্যাঁতসেতে ভিজেমাটি এদের পছন্দনীয় আবাস্থল। মাঝারি ও ছোট আকারের গবাদিপশু'র রক্তশূন্যতার কারণ এই জোঁক। একটি ছোটবাচ্চাকে যদি তিন/চারটি জোঁক একত্রে ধরে, তবে সেই বাচ্চাটি রক্তশূন্যতার জন্য মারাও যেতে পারে। বগুড়া জেলার দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলোতে এই জোঁক প্রচুর দেখা যায়। আমাদের গাঁড়ল-দুম্বা বা ভেড়ার পায়ের খুর ও ঘাস খাওয়ার সময় নাকের ভেতরে ঢুকে পড়ে এগুলো। ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় পশুপালনের বড় অন্তরায় এই রাবারসদৃশ প্রাণিটি। এদের উৎপত্তি স্থল হলো গণচীন। ধারনা করা হয়, অনেককাল পূর্বে কয়লার মাধ্যমে এই জোঁক বাংলাদেশে আসে।

দেহ থেকে জোঁক অপসারন

দেহ থেকে জোঁক অপসারনের সবচেয়ে ভাল উপায় হল হাতের দুই আঙ্গুল ব্যবহার করে জোঁকের মুখের চোষক অংশের সিল ভেঙে দেওয়া।

জোঁক অপসারনের জন্য সাধারণত এর গায়ে সিগারেটের ছ্যাকা, খাবার লবন, ভিনেগার, সাবান, ক্ষারীয় রাসায়নিক পদার্থ, লেবুর রস বা কিছু কার্বনেট পানীয় ব্যবহৃত হয়। তবে এ সব পদ্ধতি চিকিৎসকরা ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। কারণ এসব ব্যবহার করলে জোঁক তার পাকস্থলীর সব কিছু বমি করে দেয়, যা কিনা মানব দেহের ক্ষতস্থানে রোগের সংক্রমণ করতে পারে।[১] হাত দিয়ে টেনে জোঁক অপসারন করাও ঠিক নয়।

তথ্যসূত্র

  1. Victorian Poisons Information Centre: Leeches Victorian Poisons Information Centre. Retrieved on 2007-07-28.

বহিঃসংযোগ