কর্নেল নীলাদ্রি সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
রণি বসু (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
রণি বসু (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Infobox character
{{Infobox character
| colour = #DEDEE2
| colour = #8B4513
| name = কর্নেল নীলাদ্রি সরকার
| name = কর্নেল নীলাদ্রি সরকার
| series = কর্নেল
| series = কর্নেল

২০:৫০, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কর্নেল নীলাদ্রি সরকার
কর্নেল চরিত্র
আরও একডজন কর্নেল বইয়ের প্রচ্ছদ
প্রথম উপস্থিতিছায়া পড়ে
শেষ উপস্থিতিহু-হুম্বা রহস্য
স্রষ্টাসৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
চরিত্রায়ণচিরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়
তথ্য
ডাকনামকর্নেল
বৃদ্ধ ঘুঘু
লিঙ্গপুরুষ
পদবিকর্নেল
দাম্পত্য সঙ্গীঅবিবাহিত
জাতীয়তাভারতীয়
বর্তমান বাসস্থানইলিয়ট রোড, কলকাতা
মাতৃভাষাবাংলা

কর্নেল নীলাদ্রি সরকার একটি জনপ্রিয় বাংলা সাহিত্যের গোয়েন্দা চরিত্র যার স্রষ্টা বাঙালি সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

সৃষ্টি

প্রথমে সিরাজ চরিত্রটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে সৃষ্টি করলেও পরে কিশোরদের জন্যেও প্রচুর কর্নেল কাহিনী লেখেন। প্রথম কর্নেল কাহিনী ১৯৭০ সালে অমৃত পত্রিকায় বের হয়। সেটির নাম ছিল ছায়া পড়েআনন্দমেলা পত্রিকায় কিশোরদের কর্নেল কাহিনী প্রকাশিত হয়। এরপরে নবকল্লোল, কিশোর ভারতী, শুকতারা ইত্যাদি পত্রিকায় তার গল্প নিয়মিত প্রকাশ হতো। কর্নেলের আত্মকথা 'কর্নেলের জার্নাল থেকে' নামে কাহিনীগুলিও গোয়েন্দা গল্প। পাহাড় জঙ্গলে পাখি ও গাছপালার সন্ধানে তিনি বিভিন্ন জায়গায় যান। তাঁর অন্যতম সঙ্গী সাংবাদিক জয়ন্ত। জয়ন্ত বহু ক্ষেত্রে কর্নেলের সঙ্গী হয়। তার কর্মক্ষেত্র দৈনিক সত্যসেবক পত্রিকা। কর্নেলের অন্যতম ভক্ত গোয়েন্দা হালদারমশাই। যার আসল নাম কৃতান্ত কুমার হালদার। তিনি হঠকারী প্রকৃতির মানুষ। বাঙাল ভাষায় কথা বলেন। পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে গোয়েন্দা এজেন্সি খুলেছেন। প্রায়ই কর্নেলের সঙ্গী হন নানা অভিযানে। কর্নেলের আবাসস্থল কলকাতার ইলিয়ট রোড।[১][২]

চরিত্র চিত্রণ

কর্নেল নীলাদ্রি সরকার চরিত্রটি সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ সৃষ্টি করেছিলেন একজন প্রকৃতিপ্রেমিক হিসেবে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্নেল যাঁর নেশা প্রকৃতির ছবি তোলা, পাখি দেখা এবং গাছ-গাছড়ার সন্ধানে খুজে বেড়ানো। তিনি নিজেকে নেচারিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতে ভালবাসেন। পেশায় গোয়েন্দা নন কিন্তু ইচ্ছা এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে রহস্যে জড়িয়ে পড়লে তার সমাধান করেন। যেহেতু তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, তাই দুর্গম এলাকায় যাওয়ার মতো সহিষ্ণু শরীর আর প্রশিক্ষণ দুই-ই তাঁর আছে। ফাদার ক্রিস্টমাসের মতো চেহারা (উচ্চতা, সাদা দাড়ি, টাক), মধুর ব্যবহার, দুর্জয় সাহস, বিপুল শারীরিক শক্তি, দেশে-বিদেশে নানা ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার ফলে ব্যবহারিক উপায়ে লব্ধ বহু ভাষায় জ্ঞান, প্রচুর পড়ার অভ্যাস, আর ছেলেমানুষি কৌতূহলও তাঁর আছে। কর্নেল একজন রসিক মানুষ। তার চাকরের নাম ষষ্ঠীচরন। সে কর্নেলকে বাবামশাই বলে সম্বোধন করে। কর্নেল কফি খেতে ভালবাসেন।[২]

তথ্যসূত্র

  1. সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ (২০০৭)। কিশোর কর্নেল সমগ্র ২। কলকাতা: দেজ পাবলিশিং। 
  2. শান্তি সিংহ। "ব্যতিক্রমী জীবনের কথাশিল্পী সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ"। কালি ও কলম। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭