বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°২৬′ উত্তর ৯০°১৪′ পূর্ব / ২৩.৪৩° উত্তর ৯০.২৪° পূর্ব / 23.43; 90.24
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nmbd1 (আলোচনা | অবদান)
Nmbd1 বায়তুল মোকাররম পাতাটিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ শিরোনামে পুনির্নির্দেশনার মাধ্যমে স্থানান্তর করেছেন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল নাম অনুসারে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন স্থানান্তর ও সংশোধিত
Nmbd1 (আলোচনা | অবদান)
ত্রুটি সংশোধন। বাংলাপিডিয়ার তথ্য ভুল রয়েছে। তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। তথ্যসূত্র সংযোজিত হয়েছে। পরিবর্তন করবেন না।
৩৫ নং লাইন: ৩৫ নং লাইন:
| renovations =
| renovations =
| website =
| website =
|senior imam=হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান|chief muazzin=ক্বারী মাওলানা কাজী মাসুদুর রহমান|2 imam=হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক|1 imam=হাফেজ মাওলানা মুফতি মহিবুল্লাহিল বাকী নাদভী|3 imam=হাফেজ মাওলানা মুফতি মহিউদ্দীন কাসেমী|1 muazzin=ক্বারী মাওলানা হাবীবুর রহমান মেশকাত|2 muazzin=ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক
|senior imam=হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান|chief muazzin=ক্বারী মাওলানা কাজী মাসুদুর রহমান|2 imam=হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক|1 imam=হাফেজ মাওলানা মুফতি মহিবুল্লাহিল বাকী নাদভী|3 imam=হাফেজ মাওলানা মুফতি মহিউদ্দীন কাসেমী|1 muazzin=ক্বারী মাওলানা হাবীবুর রহমান মেশকাত|2 muazzin=ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক}}
}}
'''বায়তুল মোকাররম''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] জাতীয় মসজিদ।<ref>[http://www.bangladesh.com/blog/baitul-mukarram-the-national-mosque-of-bangladesh বায়তুল মোকাররম - বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ]</ref> মসজিদটি [[ঢাকা]]র তোপখানা রোডে অবস্থিত। ১৯৬৮ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। তৎকালীন পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে এই মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহীত হয়। মসজিদে একসাথে ৩০,০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে, ফলে ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম মসজিদ। তবে মসজিদটিতে জুমার নামাজ ছাড়াও বিশেষত রমজানের সময় অত্যাধিক মুসল্লির সমাগম হয় বিধায়, বাংলাদেশ সরকার মসজিদের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজারে উন্নিত করে।


{{এশিয়ার মসজিদ}}
== ইতিহাস ==
আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি প্রথম ঢাকাতে বিপুল ধারণক্ষমতাসহ একটি বৃহত্তর মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। ১৯৫৯ সালে ‘বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার মিলনস্থলে মসজিদটির জন্য ৮.৩০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। স্থানটি নগরীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র থেকেও ছিল নিকটবর্তী। সেই সময় মসজিদের অবস্থানে একটি বড় পুকুর ছিল। যা 'পল্টন পুকুর' নামে পরিচিত ছিল। পুকুরটি ভরাট করে ২৭ জানুয়ারী ১৯৬০ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান মসজিদের কাজের উদ্ভোধন করেন।


'''বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ'''<ref>{{citation |url=http://www.dscc.gov.bd/site/photogallery/514a79b1-8aff-4c7e-91f1-515f32d0a2e9/ |title=বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ|first= |last= |publisher=ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন|date=১৬ মে ২০১৮ |accessdate=2016-05-18}}</ref><ref name="জাতীয় মসজিদ">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জাতীয় মসজিদ: (সূচীপত্র সিরিয়াল নং-০৭)|শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=২০১৬ |প্রকাশক= ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের অতীত ও বর্তমান |অবস্থান= |আইএসবিএন= |পাতা= ২৬|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref> ({{lang-ar|'''بيت المكرَّم الوطني مسجد'''}}) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] জাতীয় মসজিদ।<ref>[http://www.bangladesh.com/blog/baitul-mukarram-the-national-mosque-of-bangladesh বায়তুল মোকাররম - বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ]</ref><ref name="বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ">{{citation |url=http://www.parjatan.gov.bd/site/page/891113fb-9c74-495e-b1c6-fbde9d8717d7/বায়তুল-মোকাররম-জাতীয়-মসজিদ|title=বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ: বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ|first= |last= |publisher=গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পর্যটন মন্ত্রণালয়|date=০১ ডিসেম্বর ২০১৪ |accessdate=2014-12-01}}</ref> মসজিদটি [[ঢাকা|ঢাকায়]] অবস্থিত। এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে এই মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহীত হয়।
স্থপতি [[আব্দুলহুসেন এম. থারিয়ানি]]কে মসজিদ কমপ্লেক্সটির নকশার জন্য নিযুক্ত করা হয়। পুরো কমপ্লেক্স নকশার মধ্যে দোকান, অফিস, গ্রন্থাগার ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়। মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবার পর শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ১৯৬৩ সালে প্রথমবারের জন্য এখানে নামাজ পড়া হয়।


== স্থাপত্যশৈলী ==
১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান [[ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ]] এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। বর্তমানে বায়তুল মোকাররম মসজিদটি আটতলা। নিচতলায় রয়েছে বিপণিবিতান ও গুদামঘর। দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত প্রতি তলায় নামাজ পড়া হয়।
[[চিত্র:Baitul Mukarram (Arabic, بيت المكرّم; Bengali, বায়তুল মুকাররম; The Holy House).jpg|alt= বায়তুল মুকাররম এর অবকাঠামো মক্কা শরীফ এর কাবা এর মত|none|thumb|বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এর অবকাঠামো মক্কা শরীফ এর '''[[কাবা]]''' এর মত]]


২০০৮ সালে সৌদি সরকারের দানের সহায়তায় মসজিদটিকে সম্প্রসারিত করা হয়। বর্তমানে এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

== স্থাপত্যশৈলী ==
[[চিত্র:Baitul Mukarram (Arabic, بيت المكرّم; Bengali, বায়তুল মুকাররম; The Holy House).jpg|alt= বায়তুল মুকাররমের অবকাঠামো মক্কা শরীফের কাবার মত|thumb|বাম|বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের অবকাঠামো মক্কা শরীফের '''[[কাবা]]''' মত]]
[[File:Friday Prayer at Baitul Mukarram Mosque 03.jpg|thumb|left|মসজিদের ভিতর]]
এই মসজিদটিতে মুগল স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি বেশ কিছু আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শনও রয়েছে। মক্কাতে অবস্থিত কাবার অনুরূপে তৈরিকৃত বায়তুল মোকাররমের বৃহৎ ঘনক্ষেত্রটি একে বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যমন্ডিত করেছে। যা এই মসজিদটিকে বাংলাদেশের অন্য যেকোন মসজিদ থেকে আলদা করেছে।
এই মসজিদটিতে মুগল স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি বেশ কিছু আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শনও রয়েছে। মক্কাতে অবস্থিত কাবার অনুরূপে তৈরিকৃত বায়তুল মোকাররমের বৃহৎ ঘনক্ষেত্রটি একে বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যমন্ডিত করেছে। যা এই মসজিদটিকে বাংলাদেশের অন্য যেকোন মসজিদ থেকে আলদা করেছে।


== ইতিহাস ==
===বহিঃনকশা===
আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি প্রথম ঢাকাতে বিপুল ধারণক্ষমতাসহ একটি গ্র্যান্ড মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। ১৯৫৯ সালে ‘বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার মিলনস্থলে মসজিদটির জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। স্থানটি নগরীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র থেকেও ছিল নিকটবর্তী। বিশিষ্ট স্থপতি টি. আব্দুল হুসেন থারিয়ানিকে মসজিদ কমপ্লেক্সটির নকশার জন্য নিযুক্ত করা হয়। পুরো কমপ্লেক্স নকশার মধ্যে দোকান, অফিস, লাইব্রেরি ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের প্রধান কক্ষটি তিন দিকে বারান্দা দিয়ে ঘেরা। মিহরাবটি অর্ধ-বৃত্তাকারের পরিবর্তে আয়তাকার। আধুনিক স্থাপত্যে কম অলংকরণই একটি বৈশিষ্ট্য-যা এই মসজিদে লক্ষনীয়। এর অবয়ব অনেকটা পবিত্র কাবা শরিফের মতো হওয়ায় মুসলমানদের হৃদয়ে এই মসজিদটি আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।<ref name="বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ"/>
মসজিদটি খুব উঁচু, মসজিদের প্রধান ভবনটি আট তলা এবং মাটি থেকে ৩০.১৮ মিটার বা ৯৯ ফুট উঁচু। প্রধান ভবনটির রং সাদা। মূল নকশা অনুযায়ী, মসজিদের প্রধান প্রবেশপথ পূর্ব দিকে হওয়ার কথা। পূর্ব দিকের সাহানটি ২৬৯৪.১৯ বর্গ মিটারের। এর দক্ষিণ ও উত্তর পার্শ্বে ওযু করার জন্য জায়গা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকে, মসজিদে প্রবেশ করার বারান্দার উপর দুটি ছোট গম্বুজ নির্মাণের মাধ্যমে প্রধান ভবনের উপর গম্বুজ না থাকার অভাবকে ঘোচানো হয়েছে।

===অভ্যন্তরীণ নকশা===
মসজিদে প্রবেশ করার বারান্দাগুলিতে তিনটি অশ্বখুরাকৃতি খিলানপথ রয়েছে, যার মাঝেরটি পার্শ্ববর্তী দুটি অপেক্ষা বড়। দুটি উন্মুক্ত অঙ্গন (ছাদহীন ভিতরের আঙ্গিনা) প্রধান নামাজ কক্ষে আলো ও বাতাসের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। তিন দিকে বারান্দা দ্বারা ঘেরা প্রধান নামাজ কক্ষের মিহরাবটির আকৃতি আয়তাকার, যার আয়তন ২৪৬৩.৫১ বর্গ মিটার। সমগ্র মসজিদ জুড়েই অলংকরণের আধিক্যকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

===বাগান===
মসজিদের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে বাগান। বাগানটি মুঘল শৈলীতে স্থাপন করা। তবে এখানে বাগানের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকার কারণে বাগানটি মুঘল চার-বাগানের শৈলীতে করা হয়নি।
{{clear}}
==মসজিদ ভবন==
বায়তুল মোকাররম মসজিদটি ৮ তলা। নীচতলায় রয়েছে বিপণী বিতান ও গুদামঘর। দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত প্রতি তলায় নামাজ পড়া হয়। ১ম তলার আয়তন ২৬,৫১৭ বর্গফুট, দ্বিতীয় তলার আয়তন ১০,৬৬০ বর্গফুট, তৃতীয় তলার আয়তন ১০,৭২৩ বর্গফুট, চতুর্থ তলার আয়তন ৭৩৭০ বর্গফুট, পঞ্চম তলার আয়তন ৬,৯২৫ বর্গফুট এবং ষষ্ঠ তলার আয়তন ৭৪৩৮ বর্গফুট। জুম্মা ও ঈদের সময় বাড়তি ৩৯,৮৯৯ বর্গফুটে নামাজ পড়া হয়। মহিলাদের ৬,৩৮২ বর্গফুটের নামাজের জায়গা রয়েছে, যা মসজিদের তিনতলার উত্তর পাশে অবস্থিত। পুরুষদের ওজুখানার জন্য ব্যবহৃত হয় ৬,৪২৫ বর্গফুট। মহিলাদের ওজুখানার জন্য ব্যবহৃত হয় ৮৮০ বর্গফুট। মসজিদের প্রবেশ পথটি রাস্তা হতে ৯৯ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে দেশের বৃহত্তম মসজিদ বায়তুল মুকাররম |ইউআরএল=http://www.dailysangram.com/post/336091-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B0%E0%A6%AE |ওয়েবসাইট=দৈনিক সংগ্রাম |তারিখ=১ জুলাই ২০১৮}}</ref>


== খতিব ==
== খতিব ==
৯২ নং লাইন: ৭৬ নং লাইন:


== চিত্রশালা ==
== চিত্রশালা ==
<gallery mode="packed">
<gallery>
চিত্র:New ceiling.JPG|নতুন সম্প্রসারিত অংশে নির্মিত ছাদ
চিত্র:New ceiling.JPG|সদ্য নির্মিত ছাদ
চিত্র:Tree Inside the Masjid.JPG|মসজিদ অভ্যন্তরে গাছ
চিত্র:Tree Inside the Masjid.JPG|মসজিদ অভ্যন্তরে গাছ
চিত্র:New extension of Masjid.JPG|মসজিদ নতুন সংযোজিত অংশ
চিত্র:New extension of Masjid.JPG|মসজিদ নতুন সংযোজিত অংশ
চিত্র:New Minner of masjid.JPG|মসজিদ নতুন সংযোজিত অংশ
চিত্র:New Minner of masjid.JPG|মসজিদ নতুন সংযোজিত অংশ
চিত্র:বায়তুল মোকাররম.jpg|বায়তুল মোকাররমের অভ্যন্তর
চিত্র:বায়তুল মোকাররম.jpg|বায়তুল মোকাররমের অভ্যন্তর
চিত্র:Friday Prayer at Baitul Mukarram Mosque 03.jpg|নামাজরত মুসল্লি
File:Baitul_Mukarram_National_Mosque%27s_prayer_place_for_the_Imam_(left_side_of_the_minbar).jpg |ইমামের জন্য নামাজের স্থান (মিম্বারের বাম দিকে)
File:Baitul_Mukarram_National_Mosque_Interior_(mehrab_%26_mimbar).jpg|মসজিদের অভ্যন্তর ([[মিহরাব]] এবং [[মিম্বর]]
</gallery>
</gallery>


১১০ নং লাইন: ৯৩ নং লাইন:


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.parjatan.gov.bd/site/page/891113fb-9c74-495e-b1c6-fbde9d8717d7/বায়তুল-মোকাররম-জাতীয়-মসজিদ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ]
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী}}
* [https://www.facebook.com/National.Mosque.Bangladesh/ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম]
* {{বাংলাপিডিয়া}}


{{বাংলাদেশের মসজিদ}}
{{বাংলাদেশের মসজিদ}}
১২০ নং লাইন: ১০৩ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকার মসজিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকার মসজিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা জেলার মসজিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা জেলার মসজিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক]]

০২:৫৮, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ

বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ২৩°২৬′ উত্তর ৯০°১৪′ পূর্ব / ২৩.৪৩° উত্তর ৯০.২৪° পূর্ব / 23.43; 90.24
অবস্থান বাংলাদেশ ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠিত ১৯৬০
প্রশাসন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার
মালিকানা সরকারি
পরিচালনা সিনিয়র ইমাম:
হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান

ইমাম:
হাফেজ মাওলানা মুফতি মহিবুল্লাহিল বাকী নাদভী
ইমাম:
হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক
ইমাম:
হাফেজ মাওলানা মুফতি মহিউদ্দীন কাসেমী

প্রধান মুয়াযযিন:
ক্বারী মাওলানা কাজী মাসুদুর রহমান
মুয়াযযিন:
ক্বারী মাওলানা হাবীবুর রহমান মেশকাত
মুয়াযযিন:
ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক


স্থাপত্য তথ্য
নির্মাতা টি আব্দুল হুসেন থারিয়ানি
ধরন ইসলামিক স্থাপত্য
ধারণক্ষমতা ৪০,০০০
আয়তন ২৬৯৪.১৯ বর্গ মিটার
উচ্চতা (সর্বোচ্চ) ৩০.১৮ মিটার

একটি সিরিজের অংশ
মসজিদ

স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলী
মসজিদের তালিকা
অন্যান্য


বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ[১][২] (আরবি: بيت المكرَّم الوطني مسجد) বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ।[৩][৪] মসজিদটি ঢাকায় অবস্থিত। এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে এই মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহীত হয়।

স্থাপত্যশৈলী

বায়তুল মুকাররম এর অবকাঠামো মক্কা শরীফ এর কাবা এর মত
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এর অবকাঠামো মক্কা শরীফ এর কাবা এর মত

এই মসজিদটিতে মুগল স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি বেশ কিছু আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শনও রয়েছে। মক্কাতে অবস্থিত কাবার অনুরূপে তৈরিকৃত বায়তুল মোকাররমের বৃহৎ ঘনক্ষেত্রটি একে বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যমন্ডিত করেছে। যা এই মসজিদটিকে বাংলাদেশের অন্য যেকোন মসজিদ থেকে আলদা করেছে।

ইতিহাস

আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি প্রথম ঢাকাতে বিপুল ধারণক্ষমতাসহ একটি গ্র্যান্ড মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। ১৯৫৯ সালে ‘বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার মিলনস্থলে মসজিদটির জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। স্থানটি নগরীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র থেকেও ছিল নিকটবর্তী। বিশিষ্ট স্থপতি টি. আব্দুল হুসেন থারিয়ানিকে মসজিদ কমপ্লেক্সটির নকশার জন্য নিযুক্ত করা হয়। পুরো কমপ্লেক্স নকশার মধ্যে দোকান, অফিস, লাইব্রেরি ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের প্রধান কক্ষটি তিন দিকে বারান্দা দিয়ে ঘেরা। মিহরাবটি অর্ধ-বৃত্তাকারের পরিবর্তে আয়তাকার। আধুনিক স্থাপত্যে কম অলংকরণই একটি বৈশিষ্ট্য-যা এই মসজিদে লক্ষনীয়। এর অবয়ব অনেকটা পবিত্র কাবা শরিফের মতো হওয়ায় মুসলমানদের হৃদয়ে এই মসজিদটি আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।[৪]

খতিব

খতিবদের তালিকা
ক্রমিক নং নাম মন্তব্য
মাওলানা আব্দুর রহমান কাশগরি ( ওফাত : ১৯৭১ সন )
মাওলানা ক্কারী উসমান মাদানী ( ওফাত : ১৯৬৪ সন আনুমানিক )
মুফতী সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আমীমুল ইহসান বারকাতী ( ওফাত : ১৯৭৪ সন )
মুফতি মাওলানা আব্দুল মুইজ ( ওফাত : ১৯৮৪ সন আনুমানিক )
মাওলানা উবায়দুল হক ( ওফাত : ২০০৭ সন )
হাফেজ মুফতি মোহাম্মদ নূরুদ্দীন ( ওফাত : ২০০৯ সন ) ভারপ্রাপ্ত
প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত

সর্বশেষ হালনাগাদকরণ: (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১ইং তারিখ পর্যন্ত)[৫]

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ১৬ মে ২০১৮, সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-১৮ 
  2. জাতীয় মসজিদ: (সূচীপত্র সিরিয়াল নং-০৭)। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের অতীত ও বর্তমান। ২০১৬। পৃষ্ঠা ২৬। 
  3. বায়তুল মোকাররম - বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ
  4. বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ: বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পর্যটন মন্ত্রণালয়, ০১ ডিসেম্বর ২০১৪, সংগ্রহের তারিখ 2014-12-01  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. দৈনিক ইত্তেফাকঃ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইতিহাস, ধর্মচিন্তা, পৃঃ ১৮, মুদ্রিত, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১ইং

বহিঃসংযোগ