দেলোয়ার হোসেন বীর বিক্রম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{Infobox person
|name= দেলোয়ার হোসেন
|name= দেলোয়ার হোসেন
| image = পুরুষ
| image = পুরুষ
৩২ নং লাইন: ৩২ নং লাইন:


== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
দেলোয়ার হোসেনের জন্ম [[নোয়াখালী জেলা|নোয়াখালী জেলার]] [[সোনাইমুড়ি উপজেলা|সোনাইমুড়ি উপজেলার]] অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আফিজউদ্দিন এবং মায়ের নাম ছবের নেছা। তাঁর স্ত্রীর নাম জাকিয়া খাতুন। তাঁর দুই ছেলে, দুই মেয়ে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |title= একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ |last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=জুন ২০১২ |publisher= জনতা ব্যাংক লিমিটেড |location= |isbn= 9789843351449|page=২৯৯|pages= |accessdate= |url=}}</ref>
দেলোয়ার হোসেনের জন্ম [[নোয়াখালী জেলা|নোয়াখালী জেলার]] [[সোনাইমুড়ি উপজেলা|সোনাইমুড়ি উপজেলার]] অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আফিজউদ্দিন এবং মায়ের নাম ছবের নেছা। তাঁর স্ত্রীর নাম জাকিয়া খাতুন। তাঁর দুই ছেলে, দুই মেয়ে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ |শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=জুন ২০১২ |প্রকাশক= জনতা ব্যাংক লিমিটেড |অবস্থান= |আইএসবিএন= 9789843351449|পাতা=২৯৯|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>


== কর্মজীবন ==
== কর্মজীবন ==
৩৮ নং লাইন: ৩৮ নং লাইন:


== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে [[ফেনী জেলা| ফেনী জেলার]] বিলোনিয়া পকেটে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের অবরুদ্ধ করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে বন্দুয়া-দৌলতপুর-পাঠাননগরে প্রবেশ করে। কিন্তু তার আগেই পাকিস্তানি সেনারা দ্রুত বিলোনিয়ার সব অবস্থান ছেড়ে ফেনীতে সমবেত হয়। পাঠাননগরে ছিল তাদের শক্ত এক অবস্থান। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে মুক্তিযোদ্ধারা ফেনীর পাঠাননগরে পাকিস্তানি সেনাদের মুখোমুখি অবস্থান নেন। একটি দলে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন। মুক্তিযোদ্ধারা পাঠাননগরে অবস্থান নেওয়ার পর দুই পক্ষে গোলাগুলি চলতে থাকে। [[৬ ডিসেম্বর]] পর্যন্ত এখানে প্রতিদিনই খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ হয়। সে সময় কোনো এক যুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন শহীদ হন। দেলোয়ার হোসেন পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টরে। পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে ফেনীর পাঠাননগরে এক যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। সহযোদ্ধারা তাঁকে সমাহিত করেন পাঠাননগরেই। <ref name="shatoMonishi">{{বই উদ্ধৃতি|last=|first=|title=একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা (দ্বিতীয় খন্ড)|publisher=প্রথমা প্রকাশন|location=ঢাকা|date=মার্চ ২০১৩|pages=পৃ ১৭১|isbn=9789849025375|accessdate=|language=বাংলা}}</ref>
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে [[ফেনী জেলা| ফেনী জেলার]] বিলোনিয়া পকেটে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের অবরুদ্ধ করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে বন্দুয়া-দৌলতপুর-পাঠাননগরে প্রবেশ করে। কিন্তু তার আগেই পাকিস্তানি সেনারা দ্রুত বিলোনিয়ার সব অবস্থান ছেড়ে ফেনীতে সমবেত হয়। পাঠাননগরে ছিল তাদের শক্ত এক অবস্থান। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে মুক্তিযোদ্ধারা ফেনীর পাঠাননগরে পাকিস্তানি সেনাদের মুখোমুখি অবস্থান নেন। একটি দলে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন। মুক্তিযোদ্ধারা পাঠাননগরে অবস্থান নেওয়ার পর দুই পক্ষে গোলাগুলি চলতে থাকে। [[৬ ডিসেম্বর]] পর্যন্ত এখানে প্রতিদিনই খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ হয়। সে সময় কোনো এক যুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন শহীদ হন। দেলোয়ার হোসেন পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টরে। পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে ফেনীর পাঠাননগরে এক যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। সহযোদ্ধারা তাঁকে সমাহিত করেন পাঠাননগরেই। <ref name="shatoMonishi">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|শিরোনাম=একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা (দ্বিতীয় খন্ড)|প্রকাশক=প্রথমা প্রকাশন|অবস্থান=ঢাকা|তারিখ=মার্চ ২০১৩|পাতাসমূহ=পৃ ১৭১|আইএসবিএন=9789849025375|সংগ্রহের-তারিখ=|ভাষা=বাংলা}}</ref>


== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==

১৩:৪৯, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দেলোয়ার হোসেন
মৃত্যু১৯৭১
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর বিক্রম
একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন দেলোয়ার হোসেন (দ্ব্যর্থতা নিরসন)

শহীদ দেলোয়ার হোসেন (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।[১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

দেলোয়ার হোসেনের জন্ম নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আফিজউদ্দিন এবং মায়ের নাম ছবের নেছা। তাঁর স্ত্রীর নাম জাকিয়া খাতুন। তাঁর দুই ছেলে, দুই মেয়ে। [২]

কর্মজীবন

ইপিআরে চাকরি করতেন দেলোয়ার হোসেন। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন যশোর ইপিআর সেক্টরের অধীনে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধে যোগ দেন। যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যশোরের পতন হলে তাঁর সঙ্গী-সাথিরা বেশির ভাগ আশ্রয় নেন ভারতে। তিনি তাঁর দলনেতার অনুমতি নিয়ে নিজ এলাকায় চলে আসেন। এসে দেখেন তাঁর এলাকা তখনো মুক্ত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়নি। এটা দেখে তিনি স্থানীয় ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করে তাঁদের নিজেই প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাঁর এলাকায় তৎপরতা শুরু করে। তখন তাঁর দলের সবাইকে নিয়ে তিনি ভারতে যান।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে ফেনী জেলার বিলোনিয়া পকেটে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের অবরুদ্ধ করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে বন্দুয়া-দৌলতপুর-পাঠাননগরে প্রবেশ করে। কিন্তু তার আগেই পাকিস্তানি সেনারা দ্রুত বিলোনিয়ার সব অবস্থান ছেড়ে ফেনীতে সমবেত হয়। পাঠাননগরে ছিল তাদের শক্ত এক অবস্থান। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে মুক্তিযোদ্ধারা ফেনীর পাঠাননগরে পাকিস্তানি সেনাদের মুখোমুখি অবস্থান নেন। একটি দলে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন। মুক্তিযোদ্ধারা পাঠাননগরে অবস্থান নেওয়ার পর দুই পক্ষে গোলাগুলি চলতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানে প্রতিদিনই খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ হয়। সে সময় কোনো এক যুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন শহীদ হন। দেলোয়ার হোসেন পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টরে। পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে ফেনীর পাঠাননগরে এক যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। সহযোদ্ধারা তাঁকে সমাহিত করেন পাঠাননগরেই। [৩]

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ১২-০১-২০১২
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ২৯৯। আইএসবিএন 9789843351449 
  3. একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা (দ্বিতীয় খন্ড)। ঢাকা: প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা পৃ ১৭১। আইএসবিএন 9789849025375 

বহি:সংযোগ