জলঙ্গী নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
১৪ নং লাইন: | ১৪ নং লাইন: | ||
|etymology = |
|etymology = |
||
<!-- *** Country etc. *** --> |
<!-- *** Country etc. *** --> |
||
|country = {{ |
|country = {{পতাকা|ভারত}} |
||
|country1 = |
|country1 = |
||
|state = পশ্চিমবঙ্গ |
|state = পশ্চিমবঙ্গ |
||
৮১ নং লাইন: | ৮১ নং লাইন: | ||
|map_size = |
|map_size = |
||
|map_caption = |
|map_caption = |
||
}} |
}} |
||
'''জলঙ্গী নদী''' [[ভারত]]-এর [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[মুর্শিদাবাদ জেলা]] ও [[নদিয়া জেলা]] দিয়ে প্রবাহিত। অতীতে এর নাম ছিল ''খড়ে'' নদী।<ref>{{বই উদ্ধৃতি| |
'''জলঙ্গী নদী''' [[ভারত]]-এর [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[মুর্শিদাবাদ জেলা]] ও [[নদিয়া জেলা]] দিয়ে প্রবাহিত। অতীতে এর নাম ছিল ''খড়ে'' নদী।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=রূপমঞ্জরি|শেষাংশ=প্রথম খন্ড|প্রথমাংশ=নারায়ণ সান্যাল|প্রকাশক=দেজ পাবলিশিং|বছর=১৯৯০|আইএসবিএন=|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=২১৯}}</ref> নদীটি [[মুর্শিদাবাদ জেলা]]য় পদ্মা নদী থেকে উৎপন্ন হয় নদিয়া জেলার পলাশীপাড়া, তেহট্ট, [[কৃষ্ণনগর]] শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মায়াপুরের কাছে [[ভাগীরথী নদী]]তে মিলিত হয়েছে। এই মিলিত নদী প্রবাহ এর পর [[হুগলি নদী]] নামে পরিচিত। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটারের কাছাকাছি।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Adrir push for bridge/ Kolkata Plus | ইউআরএল=http://www.thestatesman.com/ | সংগ্রহের-তারিখ = ৫ আগস্ট ২০১৬}}</ref> বর্তমানে নদীটিতে পলি জমে যাওয়ায় এটি তার গভীরতা হারিয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম = জলঙ্গি নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায়,উদ্ববেগ | ইউআরএল=http://www.anandabazar.com/ | সংবাদপত্র= আনন্দবাজার পত্রিকা | সংগ্রহের-তারিখ =০৬ আগস্ট ২০১৬}}</ref> |
||
== নদীর প্রবাহ == |
== নদীর প্রবাহ == |
||
[[চিত্র:Nadia Rivers.jpg|thumb|জলঙ্গী নদীর প্রবাহ]] |
[[চিত্র:Nadia Rivers.jpg|thumb|জলঙ্গী নদীর প্রবাহ]] |
||
জলঙ্গী নদী [[মুর্শিদাবাদ জেলা]]য় চর মধবোনার কাছে [[পদ্মা নদী]] থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। উৎস স্থল থেকে দক্ষিণে নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। প্রবাহ পথে নদীটি ইসলামপুর, [[ডোমকল মহকুমা|ডোমকল]], [[তেহট্ট মহকুমা|তেহট্ট]], [[পলাশীপাড়া]], [[চাপড়া]] অতিক্রম করে [[কৃষ্ণনগর|কৃষ্ণনগরের]] কাছে এসে পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়েছে। এর পর নদীটি পশ্চিমমুখী হয়ে [[মায়াপুর|মায়াপুরের]] কাছে সাহেবগঞ্জে [[গঙ্গা নদী|গঙ্গা]] বা [[ভাগীরথী নদী]]র সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই প্রবাহ পথের মোট দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটার। নদীটির প্রবাহ পথে প্রচুর [[নদী বাঁক]] ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়। [[ভৈরব নদী]] এই নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং এই নদীটিই জলঙ্গী নদীর বেশির ভাগ জলের যোগান দেয়। বর্ষার মরশুম ছাড়া গ্রীষ্মের মরশুমে নদীটির জল অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়।<ref name=":0">{{ |
জলঙ্গী নদী [[মুর্শিদাবাদ জেলা]]য় চর মধবোনার কাছে [[পদ্মা নদী]] থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। উৎস স্থল থেকে দক্ষিণে নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। প্রবাহ পথে নদীটি ইসলামপুর, [[ডোমকল মহকুমা|ডোমকল]], [[তেহট্ট মহকুমা|তেহট্ট]], [[পলাশীপাড়া]], [[চাপড়া]] অতিক্রম করে [[কৃষ্ণনগর|কৃষ্ণনগরের]] কাছে এসে পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়েছে। এর পর নদীটি পশ্চিমমুখী হয়ে [[মায়াপুর|মায়াপুরের]] কাছে সাহেবগঞ্জে [[গঙ্গা নদী|গঙ্গা]] বা [[ভাগীরথী নদী]]র সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই প্রবাহ পথের মোট দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটার। নদীটির প্রবাহ পথে প্রচুর [[নদী বাঁক]] ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়। [[ভৈরব নদী]] এই নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং এই নদীটিই জলঙ্গী নদীর বেশির ভাগ জলের যোগান দেয়। বর্ষার মরশুম ছাড়া গ্রীষ্মের মরশুমে নদীটির জল অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়।<ref name=":0">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম = জলঙ্গি , তোমার জল কোথায় | ইউআরএল=http://www.anandabazar.com/ | সংগ্রহের-তারিখ = ৬ আগস্ট ২০১৬ | সংবাদপত্র = আনন্দবাজার পত্রিকা }}</ref> |
||
==বর্তমান অবস্থা== |
==বর্তমান অবস্থা== |
||
জলংগী নদীকে দখল করে চাষবাস শুরু হওয়ায় নানা জায়গায় নদীর অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। কোথাও কোথাও কচুরিপানায় ভরেছে জলঙ্গি নদী। অবৈধ ইঁটভাটার কারনে যত্রতত্র নদীর ধার থেকে মাটি কাটার ফলে বন্যার সময় নদীর গতিশীল ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। অগভীর হচ্ছে নদীখাত।<ref name=":0" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| |
জলংগী নদীকে দখল করে চাষবাস শুরু হওয়ায় নানা জায়গায় নদীর অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। কোথাও কোথাও কচুরিপানায় ভরেছে জলঙ্গি নদী। অবৈধ ইঁটভাটার কারনে যত্রতত্র নদীর ধার থেকে মাটি কাটার ফলে বন্যার সময় নদীর গতিশীল ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। অগভীর হচ্ছে নদীখাত।<ref name=":0" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archives.anandabazar.com/archive/1131018/18jibjagat3.html|শিরোনাম=নিরঞ্জনের পরে দূষণ নদীতে, নীরব প্রশাসন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=১৮ অক্টোবর ২০১৩|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=আনন্দবাজার পত্রিকা|সংগ্রহের-তারিখ=১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭}}</ref> |
||
[[চিত্র: |
[[চিত্র:পলাশীপাড়া দ্বিজেন্দ্রলাল সেতু.jpg|থাম্ব|পলাশীপাড়া দ্বিজেন্দ্রলাল সেতু]] |
||
==শিল্পে সাহিত্যে জলঙ্গী== |
==শিল্পে সাহিত্যে জলঙ্গী== |
||
[[সত্যজিৎ রায়|সত্যজিৎ রায়ের]] অপুর সংসার সিনেমার অনেকটা অংশই জলঙ্গীর পাড়ে তোলা। [[জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশের]] কবিতা 'আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে, জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙ্গায়'। সাগর চট্টোপাধ্যায় ও নদীয়ার গনশিল্পী বাবলু হালদারের গান '''ও আমার জলঙগী নদী, তোর কোলে রইলাম আমি, জনম অবধি''<nowiki/>'।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| |
[[সত্যজিৎ রায়|সত্যজিৎ রায়ের]] অপুর সংসার সিনেমার অনেকটা অংশই জলঙ্গীর পাড়ে তোলা। [[জীবনানন্দ দাশ|জীবনানন্দ দাশের]] কবিতা 'আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে, জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙ্গায়'। সাগর চট্টোপাধ্যায় ও নদীয়ার গনশিল্পী বাবলু হালদারের গান '''ও আমার জলঙগী নদী, তোর কোলে রইলাম আমি, জনম অবধি''<nowiki/>'।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.abahan.com/Kabita/jibananda1.htm|শিরোনাম=আবার আসিব ফিরে|শেষাংশ=জীবনানন্দ দাশ|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|প্রকাশক=আবাহন|সংগ্রহের-তারিখ=১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭}}</ref> |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
১০০ নং লাইন: | ১০০ নং লাইন: | ||
{{পশ্চিমবঙ্গের নদী}} |
{{পশ্চিমবঙ্গের নদী}} |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলার নদী]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলার নদী]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের নদী]] |
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের নদী]] |
১৮:০৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জলঙ্গী নদী | |
খড়ে নদী | |
জলঙ্গী নদী
| |
দেশ | ভারত |
---|---|
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
অঞ্চল | পূর্ব ভারত |
জেলাসমূহ | মুর্শিদাবাদ জেলা, নদিয়া জেলা |
নগরসমূহ | ইসলামপুর (মুর্শিদাবাদ), কৃষ্ণনগর, মায়াপুর, তেহট্ট, পলাশীপাড়া, আমতলা, ডোমকল, |
Landmark | কৃষ্ণনগর, মায়াপুর |
উৎস | পদ্মা নদী |
- অবস্থান | ইসলামপুর, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
মোহনা | ভাগীরথী নদী |
- অবস্থান | মায়াপুর, নদীয়া জেলা, পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
দৈর্ঘ্য | ২২০ কিলোমিটার কিলোমিটার (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "ক"। মাইল) |
জলঙ্গী নদী ভারত-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলা ও নদিয়া জেলা দিয়ে প্রবাহিত। অতীতে এর নাম ছিল খড়ে নদী।[১] নদীটি মুর্শিদাবাদ জেলায় পদ্মা নদী থেকে উৎপন্ন হয় নদিয়া জেলার পলাশীপাড়া, তেহট্ট, কৃষ্ণনগর শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মায়াপুরের কাছে ভাগীরথী নদীতে মিলিত হয়েছে। এই মিলিত নদী প্রবাহ এর পর হুগলি নদী নামে পরিচিত। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটারের কাছাকাছি।[২] বর্তমানে নদীটিতে পলি জমে যাওয়ায় এটি তার গভীরতা হারিয়েছে।[৩]
নদীর প্রবাহ
জলঙ্গী নদী মুর্শিদাবাদ জেলায় চর মধবোনার কাছে পদ্মা নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। উৎস স্থল থেকে দক্ষিণে নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। প্রবাহ পথে নদীটি ইসলামপুর, ডোমকল, তেহট্ট, পলাশীপাড়া, চাপড়া অতিক্রম করে কৃষ্ণনগরের কাছে এসে পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়েছে। এর পর নদীটি পশ্চিমমুখী হয়ে মায়াপুরের কাছে সাহেবগঞ্জে গঙ্গা বা ভাগীরথী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই প্রবাহ পথের মোট দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটার। নদীটির প্রবাহ পথে প্রচুর নদী বাঁক ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়। ভৈরব নদী এই নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং এই নদীটিই জলঙ্গী নদীর বেশির ভাগ জলের যোগান দেয়। বর্ষার মরশুম ছাড়া গ্রীষ্মের মরশুমে নদীটির জল অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়।[৪]
বর্তমান অবস্থা
জলংগী নদীকে দখল করে চাষবাস শুরু হওয়ায় নানা জায়গায় নদীর অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। কোথাও কোথাও কচুরিপানায় ভরেছে জলঙ্গি নদী। অবৈধ ইঁটভাটার কারনে যত্রতত্র নদীর ধার থেকে মাটি কাটার ফলে বন্যার সময় নদীর গতিশীল ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। অগভীর হচ্ছে নদীখাত।[৪][৫]
শিল্পে সাহিত্যে জলঙ্গী
সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার সিনেমার অনেকটা অংশই জলঙ্গীর পাড়ে তোলা। জীবনানন্দ দাশের কবিতা 'আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে, জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙ্গায়'। সাগর চট্টোপাধ্যায় ও নদীয়ার গনশিল্পী বাবলু হালদারের গান 'ও আমার জলঙগী নদী, তোর কোলে রইলাম আমি, জনম অবধি'।[৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ প্রথম খন্ড, নারায়ণ সান্যাল (১৯৯০)। রূপমঞ্জরি। কলকাতা: দেজ পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ২১৯।
- ↑ "Adrir push for bridge/ Kolkata Plus"। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "জলঙ্গি নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায়,উদ্ববেগ"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ০৬ আগস্ট ২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "জলঙ্গি , তোমার জল কোথায়"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "নিরঞ্জনের পরে দূষণ নদীতে, নীরব প্রশাসন"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৮ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ জীবনানন্দ দাশ। "আবার আসিব ফিরে"। আবাহন। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।